হাবিবুর রহমান
২০১৬ সালে সরকারি কর্মচারীদের বেতন প্রায় শতভাগ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তৎকালীন পে-কমিশন প্রধান বেতন বৃদ্ধির পেছনে যুক্তি দিয়েছিলেন এই বলে, এর ফলে সরকারি কর্মচারীদের অন্তরে দুর্নীতির টান থাকবে না এবং সরকারের কাজে গতি আসবে। অতি উত্তম কথা। সরকারি কর্মীদের বেতনভাতা বৃদ্ধি একটি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু এর নেতিবাচক প্রভাব সরাসরি সাধারণ মানুষের ওপর গিয়ে পড়ে। সরকারের বেতন বৃদ্ধির কারণে বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। বাড়ি ভাড়া ও নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে। ফলে আমজনতা চাপে পড়ে। যে চাপ প্রশমিত হতে অনেক দিন সময় লাগে।
এখন কেউই আর দ্বিমত করবেন না যে সরকারের সেই বৈপ্লবিক বেতন বৃদ্ধি আর যাই করুক না কেন কর্মচারীদের দুর্নীতিপ্রীতিতে সামান্যও অরুচি আনতে পারেনি। বরং তাঁদের অর্থক্ষুধা আরও বেড়েছে। কিছুদিন আগেও দুর্নীতি করে মানুষ বাড়ি-গাড়ি করত অবসর জীবনটা আয়েশে কাটানোর জন্য। কিন্তু সময় বদলের চেয়েও দ্রুত বদলে গেছে দুর্নীতির উদ্দেশ্য, পদ্ধতি ও আকার।
এখন দুর্নীতি করে কেউ দু-চার কোটি টাকা ও দেশে গাড়ি-বাড়ি করে সন্তুষ্ট নয়। এখন চাই শত–সহস্র কোটি টাকা, আর কানাডা–আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ায় বেগমপাড়ায় বাড়ি ও বিদেশের ব্যাংকে টাকা। কিছুদিন পরে হয়তো দুর্নীতির টাকায় এসব দেশে এক্সক্লুসিভ পতিতাপল্লি তৈরি হবে স্বর্গের আদলে, যেখানে থাকবে হুর–গেলমানরা।
আগের দিনে বড় কর্তারা বড় দুর্নীতি করতেন। এখন ড্রাইভার, কেরানিরাও দুর্নীতি করে শত শত কোটি টাকা কামায় ও বিদেশে বাড়ি বানান। ছেলেমেয়েদের বিদেশের দামি স্কুল–কলেজে পড়ান। সত্যই অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছে আমাদের দেশের!
মানুষ স্বভাবত লোভী প্রাণী। বেশি টাকা দিয়ে, বাড়তি সুবিধা দিয়ে, আইন দিয়ে, ধর্মের কথা বলে, এমনকি নরকের মহা শাস্তির ভয় দেখিয়ে আদম সন্তানদের দুর্নীতি থেকে নিবৃত করা যে সম্ভব নয় বাংলাদেশ তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
তাহলে উপায় কী? ওয়াচডগ প্রতিষ্ঠান যেমন, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, মিডিয়া, সিভিল সোসাইটি ও স্বাধীন বিচারব্যবস্থা এবং জবাবদিহিমূলক গণতন্ত্র বিকশিত হলেই দুর্নীতির দৈত্যকে বোতলবন্দী করা সম্ভব। তৈরি করতে হবে বহু রোজিনা ইসলামের মতো সাংবাদিকের। তখন তাঁদের চোখ, কলম ও ক্যামেরাই হবে দুর্নীতিবাজদের ভয় ও দুর্নীতির মহৌষধ। আর দরকার নাগরিক সচেতনতার। মানুষকে সজাগ হতে হবে। চুপ করে না থেকে মুখ খুলতে হবে। সৎ মানুষের নীরবতা অসৎ ব্যক্তিদের উৎসাহিত করে।
২০১৬ সালে সরকারি কর্মচারীদের বেতন প্রায় শতভাগ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তৎকালীন পে-কমিশন প্রধান বেতন বৃদ্ধির পেছনে যুক্তি দিয়েছিলেন এই বলে, এর ফলে সরকারি কর্মচারীদের অন্তরে দুর্নীতির টান থাকবে না এবং সরকারের কাজে গতি আসবে। অতি উত্তম কথা। সরকারি কর্মীদের বেতনভাতা বৃদ্ধি একটি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু এর নেতিবাচক প্রভাব সরাসরি সাধারণ মানুষের ওপর গিয়ে পড়ে। সরকারের বেতন বৃদ্ধির কারণে বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। বাড়ি ভাড়া ও নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে। ফলে আমজনতা চাপে পড়ে। যে চাপ প্রশমিত হতে অনেক দিন সময় লাগে।
এখন কেউই আর দ্বিমত করবেন না যে সরকারের সেই বৈপ্লবিক বেতন বৃদ্ধি আর যাই করুক না কেন কর্মচারীদের দুর্নীতিপ্রীতিতে সামান্যও অরুচি আনতে পারেনি। বরং তাঁদের অর্থক্ষুধা আরও বেড়েছে। কিছুদিন আগেও দুর্নীতি করে মানুষ বাড়ি-গাড়ি করত অবসর জীবনটা আয়েশে কাটানোর জন্য। কিন্তু সময় বদলের চেয়েও দ্রুত বদলে গেছে দুর্নীতির উদ্দেশ্য, পদ্ধতি ও আকার।
এখন দুর্নীতি করে কেউ দু-চার কোটি টাকা ও দেশে গাড়ি-বাড়ি করে সন্তুষ্ট নয়। এখন চাই শত–সহস্র কোটি টাকা, আর কানাডা–আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ায় বেগমপাড়ায় বাড়ি ও বিদেশের ব্যাংকে টাকা। কিছুদিন পরে হয়তো দুর্নীতির টাকায় এসব দেশে এক্সক্লুসিভ পতিতাপল্লি তৈরি হবে স্বর্গের আদলে, যেখানে থাকবে হুর–গেলমানরা।
আগের দিনে বড় কর্তারা বড় দুর্নীতি করতেন। এখন ড্রাইভার, কেরানিরাও দুর্নীতি করে শত শত কোটি টাকা কামায় ও বিদেশে বাড়ি বানান। ছেলেমেয়েদের বিদেশের দামি স্কুল–কলেজে পড়ান। সত্যই অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছে আমাদের দেশের!
মানুষ স্বভাবত লোভী প্রাণী। বেশি টাকা দিয়ে, বাড়তি সুবিধা দিয়ে, আইন দিয়ে, ধর্মের কথা বলে, এমনকি নরকের মহা শাস্তির ভয় দেখিয়ে আদম সন্তানদের দুর্নীতি থেকে নিবৃত করা যে সম্ভব নয় বাংলাদেশ তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
তাহলে উপায় কী? ওয়াচডগ প্রতিষ্ঠান যেমন, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, মিডিয়া, সিভিল সোসাইটি ও স্বাধীন বিচারব্যবস্থা এবং জবাবদিহিমূলক গণতন্ত্র বিকশিত হলেই দুর্নীতির দৈত্যকে বোতলবন্দী করা সম্ভব। তৈরি করতে হবে বহু রোজিনা ইসলামের মতো সাংবাদিকের। তখন তাঁদের চোখ, কলম ও ক্যামেরাই হবে দুর্নীতিবাজদের ভয় ও দুর্নীতির মহৌষধ। আর দরকার নাগরিক সচেতনতার। মানুষকে সজাগ হতে হবে। চুপ করে না থেকে মুখ খুলতে হবে। সৎ মানুষের নীরবতা অসৎ ব্যক্তিদের উৎসাহিত করে।
এখন রাজনীতির এক গতিময়তার সময়। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের গণতন্ত্রহীন কর্তৃত্ববাদী দুর্নীতিপরায়ণ শাসন ছাত্র আন্দোলনে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী শাসনকালে দ্রুততার সঙ্গে নানা রকম রাজনৈতিক কথাবার্তা, চিন্তা-ভাবনা, চেষ্টা-অপচেষ্টা, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ ঘটছে।
১ দিন আগেবহু বছর আগে সেই ব্রিটিশ যুগে কাজী নজরুল লিখেছিলেন, ‘ক্ষুধাতুর শিশু চায় না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত, একটু নুন।’ আসলে পেটের খিদে নিয়ম, আইন, বিবেক, বিচার কোনো কিছুই মানে না। তাই তো প্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে, খিদের জ্বালা বড় জ্বালা। এর থেকে বোধ হয় আর কোনো অসহায়তা নেই। খালি পেটে কেউ তত্ত্ব শুনতে চায় না। কাওয়ালিও ন
১ দিন আগেতিন বছরের শিশু মুসা মোল্লা ও সাত বছরের রোহান মোল্লা নিষ্পাপ, ফুলের মতো কোমল। কারও সঙ্গে তাদের কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকার কথা নয়। কিন্তু বাবার চরম নিষ্ঠুরতায় পৃথিবী ছাড়তে হয়েছে তাদের। আহাদ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি দুই ছেলেসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করার পর নিজের গলায় নিজে ছুরি চালিয়েছেন।
১ দিন আগেদলীয় রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তুলনা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন পাশে রেখেই ইউনূস সরকারের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে এর ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার সময়টায়। তবে সাধারণ মানুষ মনে হয় প্রতিদিনই তার জীবনে সরকারের ভূমিকা বিচার করে দেখছে।
২ দিন আগে