মামুনুর রশীদ
বাঙালি কী না পারে? বাঙালি অনেক মহৎ কাজ করেছে। বাঙালি রবীন্দ্রনাথ-নজরুল হয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় অসংখ্য সৃজনশীল মানুষের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের নাম বলতে গেলে শেষ হবে না। ভারতের স্বাধীতাসংগ্রামে এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কত জীবন উৎসর্গকারী মানুষ প্রাতঃস্মরণীয় হয়ে আছে। কিন্তু এই বাঙালিই আবার বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। বিডিআর বিদ্রোহে প্রায় ষাটজন উচ্চপদস্থ অফিসারকে হত্যা করে তাঁদের মরদেহ ম্যানহোলে ফেলে দিয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা-দেশপ্রেমিককে ফাঁসি দিয়েছে এবং প্রতিদিন সংবাদপত্রে হত্যা, অ্যাসিড নিক্ষেপসহ নানা ধরনের ঘটনাপ্রবাহ দেখতে দেখতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। সম্প্রতি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনায় নিহত ব্যক্তিদের লাশ পড়ে ছিল অ্যাম্বুলেন্সের অপেক্ষায়। জানা গেল, অ্যাম্বুলেন্সের কাছ থেকে চাঁদার টাকা না পাওয়ায় একটি ছাত্রসংগঠনের সদস্যরা তা ছাড়তে দিচ্ছে না। সন্দেহ নেই, এই ছাত্রসংগঠন সরকারদলীয়। একইভাবে দেশের সর্বত্র অ্যাম্বুলেন্সচালকেরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ভাড়া দ্বিগুণ, তিন গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ছে। করোনাকালে পাঠানো ত্রাণসামগ্রী আত্মসাৎ করে তা বিক্রি করার সময় বা গুদামজাত করার পর ধরা পড়েছে। তা-ও করছে সরকারদলীয়রা। পৃথিবীর সব দেশেই দুর্নীতি, চোরাকারবারি আছে। সেসব করে অনেক মানুষ সম্পদশালীও হয়ে থাকে। কিন্তু অসহায় মানুষকে বিপদে ফেলে সম্পদশালী হওয়ার ঘটনা বাঙালিদের ছাড়া আর কোথাও আছে কি না, সন্দেহ। করোনায় লকডাউন বা শাটডাউন হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যায় কয়েক গুণ; অথচ এই সময়ে খাদ্যসামগ্রী পরিবহনের ওপর কোনো বিধিনিষেধ থাকে না। দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তিও খুঁজে পাওয়া যায় না। রোজার সময় দাম বাড়বেই, ঈদে-পূজায় দ্বিগুণ; অথচ পৃথিবীর সব দেশে এ সময় দাম কমে যায়। সাধারণ মানুষের জন্যও ক্রয়ের সুযোগ তৈরি হয়।
অবশ্য প্রাচীনকালের পর্যটক ইবনে বতুতা এবং হিউয়েন সাঙ ভারতের পূর্বদেশীয় ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে বহু আগে থেকেই বলে গেছেন। তাঁরা বলেছেন, এরা প্রতারক, অসৎ এবং খুব দ্রুত ধনী হতে চায়। সে তো হাজার বছর আগের মন্তব্য। তারপর বিদেশি শাসক এসেছে। দেশীয় শাসকও এসেছে। কিন্তু চরিত্রের কোনো পরিবর্তন হলো না। এ দেশে যেসব ধর্ম পালন করা হয়, সেসব ধর্মগ্রন্থেও এসব বিষয়ে নানা ধরনের সাবধানবাণী রয়েছে। কিন্তু অসুবিধা হচ্ছে, ধর্মকে নানাভাবে ব্যবহারের সুযোগও তারা তৈরি করেছে। পাপিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা মসজিদ-মন্দির নির্মাণ করে পাপস্খলন হয় বলে মনে করে।
যুগযুগান্তর ধরে এসব দুর্নীতিপরায়ণ মানুষ খুব সহজেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে পড়ে এবং ঢুকে যায় সংগঠিত কোনো সমাজে, যারা রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার এবং শাসকগোষ্ঠী। শাসকগোষ্ঠী যাদের মাধ্যমে আইন কার্যকর করে থাকে, তাদের সঙ্গে যোগসাজশেই তাদের আকাঙ্ক্ষা কার্যকর হয়ে যায়। সম্প্রতি আশ্রয়ণ প্রকল্পেও দেখা গেল আমলা-রাজনীতিক-ব্যবসায়ীদের আঁতাত। সম্প্রতি অবশ্য আমলা-রাজনীতিকদের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব লক্ষ করা যাচ্ছে; কিন্তু খুব দ্রুতই হয়তো একটা যোগাযোগের মাধ্যমে এর মীমাংসা হয়ে যাবে।
সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে, মানুষের মানুষ হওয়া। জৈবিক কারণে মানুষের জন্ম হয়। জন্মানোর পর পরিবেশগত কারণে মানুষের কখনো ন্যায়-অন্যায় বোঝার সমস্যা হয়ে যায়। পরিবার যখন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়, সেটাই ন্যায় বলে মনে হতে পারে। আবার শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষকের যে চিত্র, ষাটের দশক পর্যন্ত আমাদের মাথায় আছে, তা এখন প্রায় অবলুপ্ত। শিক্ষা যে একজন মানুষের পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার প্রক্রিয়া, তা কালক্রমে হারিয়ে গেছে। না বুঝে শুধু মুখস্থবিদ্যা দিয়ে এখন চাকরিতে ঢোকা যায়। অসংখ্য শিক্ষা-দোকান গড়ে উঠেছে, যার নাম কোচিং সেন্টার। এখানে শিক্ষকেরা এমন সম্পদশালী হয়ে উঠছেন যে, শিক্ষাকে তাঁরা আর ব্রত বা মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে ভাবতে পারেন না। শিক্ষাক্ষেত্রের দুর্নীতির সঙ্গেও তাঁরা জড়িয়ে যান। বাঙালি এ ক্ষেত্রেও কী না পারে?
এখন পারে না হয়তো; কিন্তু একসময় শিক্ষকেরা মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে থেকেও ভালো ছাত্র, ভালো মানুষ তৈরি করেছেন। ষাটের দশক পর্যন্ত চাঁদাবাজি বা কোনো মাফিয়া কর্মকাণ্ডে তরুণেরা অংশ নেয়নি। তাই তো উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে, মুক্তিযুদ্ধে তারা অকাতরে প্রাণ দিয়েছে। সে সময় কৃষক, শ্রমিক, ছোট ব্যবসায়ী, নৌকার মাঝি, দিনমজুর সবাই কত মানবিক, সাহসী চরিত্রের পরিচয় দিয়েছেন।
আজকের বাঙালির সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মানবিক হওয়া। যেসব অমানবিক ঘটনার জন্ম দিচ্ছে বাঙালি, তার পুরোটার কারণও তা–ই। রাজনীতি, ব্যবসা থেকে সাহিত্যেও কোনো মানবিক চরিত্র নেই। প্রতিবাদ থেমে গেছে। অমানবিক কোনো ঘটনার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ হয় না। কোনো এক সাহসী সাংবাদিক খবরের কাগজের পাতায় অথবা টেলিভিশনে একটা ঘটনা তুলে দিলেন, তাতেই তৎপর হয় পুলিশ অথবা প্রশাসন। চলল মামলা, টাকা এবং তদবিরের ছড়াছড়ি। শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে তার শেষ হলো, কেউ জানি না আমরা। শুধু ভুক্তভোগীর পরিবার জানতে পারল। সেই বেদনা ও বঞ্চনা নিয়ে কাটবে তাদের সারা জীবন।
ময়মনসিংহ অথবা সারা দেশের অ্যাম্বুলেন্সের ঘটনায় যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁরা সারা জীবন এই দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা নিয়ে দিনযাপন করবেন, অভিসম্পাত দেবেন। ফলাফলে তাঁরা বেশি মানবিক হবেন অথবা সেই পথই হয়তো বেছে নেবেন। বাঙালি তাই সব পারে, ভালোটাও পারে। সেই ভালোটার দিকে যাওয়া আজ বাঙালির জন্য কঠিন। তবু আশা:
‘কঠিনেরে ভালোবাসিলাম, সে কখনো করে না বঞ্চনা’।
লেখক: নাট্যব্যক্তিত্ব
বাঙালি কী না পারে? বাঙালি অনেক মহৎ কাজ করেছে। বাঙালি রবীন্দ্রনাথ-নজরুল হয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় অসংখ্য সৃজনশীল মানুষের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের নাম বলতে গেলে শেষ হবে না। ভারতের স্বাধীতাসংগ্রামে এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কত জীবন উৎসর্গকারী মানুষ প্রাতঃস্মরণীয় হয়ে আছে। কিন্তু এই বাঙালিই আবার বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। বিডিআর বিদ্রোহে প্রায় ষাটজন উচ্চপদস্থ অফিসারকে হত্যা করে তাঁদের মরদেহ ম্যানহোলে ফেলে দিয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা-দেশপ্রেমিককে ফাঁসি দিয়েছে এবং প্রতিদিন সংবাদপত্রে হত্যা, অ্যাসিড নিক্ষেপসহ নানা ধরনের ঘটনাপ্রবাহ দেখতে দেখতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। সম্প্রতি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনায় নিহত ব্যক্তিদের লাশ পড়ে ছিল অ্যাম্বুলেন্সের অপেক্ষায়। জানা গেল, অ্যাম্বুলেন্সের কাছ থেকে চাঁদার টাকা না পাওয়ায় একটি ছাত্রসংগঠনের সদস্যরা তা ছাড়তে দিচ্ছে না। সন্দেহ নেই, এই ছাত্রসংগঠন সরকারদলীয়। একইভাবে দেশের সর্বত্র অ্যাম্বুলেন্সচালকেরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ভাড়া দ্বিগুণ, তিন গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ছে। করোনাকালে পাঠানো ত্রাণসামগ্রী আত্মসাৎ করে তা বিক্রি করার সময় বা গুদামজাত করার পর ধরা পড়েছে। তা-ও করছে সরকারদলীয়রা। পৃথিবীর সব দেশেই দুর্নীতি, চোরাকারবারি আছে। সেসব করে অনেক মানুষ সম্পদশালীও হয়ে থাকে। কিন্তু অসহায় মানুষকে বিপদে ফেলে সম্পদশালী হওয়ার ঘটনা বাঙালিদের ছাড়া আর কোথাও আছে কি না, সন্দেহ। করোনায় লকডাউন বা শাটডাউন হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যায় কয়েক গুণ; অথচ এই সময়ে খাদ্যসামগ্রী পরিবহনের ওপর কোনো বিধিনিষেধ থাকে না। দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তিও খুঁজে পাওয়া যায় না। রোজার সময় দাম বাড়বেই, ঈদে-পূজায় দ্বিগুণ; অথচ পৃথিবীর সব দেশে এ সময় দাম কমে যায়। সাধারণ মানুষের জন্যও ক্রয়ের সুযোগ তৈরি হয়।
অবশ্য প্রাচীনকালের পর্যটক ইবনে বতুতা এবং হিউয়েন সাঙ ভারতের পূর্বদেশীয় ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে বহু আগে থেকেই বলে গেছেন। তাঁরা বলেছেন, এরা প্রতারক, অসৎ এবং খুব দ্রুত ধনী হতে চায়। সে তো হাজার বছর আগের মন্তব্য। তারপর বিদেশি শাসক এসেছে। দেশীয় শাসকও এসেছে। কিন্তু চরিত্রের কোনো পরিবর্তন হলো না। এ দেশে যেসব ধর্ম পালন করা হয়, সেসব ধর্মগ্রন্থেও এসব বিষয়ে নানা ধরনের সাবধানবাণী রয়েছে। কিন্তু অসুবিধা হচ্ছে, ধর্মকে নানাভাবে ব্যবহারের সুযোগও তারা তৈরি করেছে। পাপিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা মসজিদ-মন্দির নির্মাণ করে পাপস্খলন হয় বলে মনে করে।
যুগযুগান্তর ধরে এসব দুর্নীতিপরায়ণ মানুষ খুব সহজেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে পড়ে এবং ঢুকে যায় সংগঠিত কোনো সমাজে, যারা রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার এবং শাসকগোষ্ঠী। শাসকগোষ্ঠী যাদের মাধ্যমে আইন কার্যকর করে থাকে, তাদের সঙ্গে যোগসাজশেই তাদের আকাঙ্ক্ষা কার্যকর হয়ে যায়। সম্প্রতি আশ্রয়ণ প্রকল্পেও দেখা গেল আমলা-রাজনীতিক-ব্যবসায়ীদের আঁতাত। সম্প্রতি অবশ্য আমলা-রাজনীতিকদের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব লক্ষ করা যাচ্ছে; কিন্তু খুব দ্রুতই হয়তো একটা যোগাযোগের মাধ্যমে এর মীমাংসা হয়ে যাবে।
সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে, মানুষের মানুষ হওয়া। জৈবিক কারণে মানুষের জন্ম হয়। জন্মানোর পর পরিবেশগত কারণে মানুষের কখনো ন্যায়-অন্যায় বোঝার সমস্যা হয়ে যায়। পরিবার যখন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়, সেটাই ন্যায় বলে মনে হতে পারে। আবার শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষকের যে চিত্র, ষাটের দশক পর্যন্ত আমাদের মাথায় আছে, তা এখন প্রায় অবলুপ্ত। শিক্ষা যে একজন মানুষের পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার প্রক্রিয়া, তা কালক্রমে হারিয়ে গেছে। না বুঝে শুধু মুখস্থবিদ্যা দিয়ে এখন চাকরিতে ঢোকা যায়। অসংখ্য শিক্ষা-দোকান গড়ে উঠেছে, যার নাম কোচিং সেন্টার। এখানে শিক্ষকেরা এমন সম্পদশালী হয়ে উঠছেন যে, শিক্ষাকে তাঁরা আর ব্রত বা মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে ভাবতে পারেন না। শিক্ষাক্ষেত্রের দুর্নীতির সঙ্গেও তাঁরা জড়িয়ে যান। বাঙালি এ ক্ষেত্রেও কী না পারে?
এখন পারে না হয়তো; কিন্তু একসময় শিক্ষকেরা মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে থেকেও ভালো ছাত্র, ভালো মানুষ তৈরি করেছেন। ষাটের দশক পর্যন্ত চাঁদাবাজি বা কোনো মাফিয়া কর্মকাণ্ডে তরুণেরা অংশ নেয়নি। তাই তো উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে, মুক্তিযুদ্ধে তারা অকাতরে প্রাণ দিয়েছে। সে সময় কৃষক, শ্রমিক, ছোট ব্যবসায়ী, নৌকার মাঝি, দিনমজুর সবাই কত মানবিক, সাহসী চরিত্রের পরিচয় দিয়েছেন।
আজকের বাঙালির সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মানবিক হওয়া। যেসব অমানবিক ঘটনার জন্ম দিচ্ছে বাঙালি, তার পুরোটার কারণও তা–ই। রাজনীতি, ব্যবসা থেকে সাহিত্যেও কোনো মানবিক চরিত্র নেই। প্রতিবাদ থেমে গেছে। অমানবিক কোনো ঘটনার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ হয় না। কোনো এক সাহসী সাংবাদিক খবরের কাগজের পাতায় অথবা টেলিভিশনে একটা ঘটনা তুলে দিলেন, তাতেই তৎপর হয় পুলিশ অথবা প্রশাসন। চলল মামলা, টাকা এবং তদবিরের ছড়াছড়ি। শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে তার শেষ হলো, কেউ জানি না আমরা। শুধু ভুক্তভোগীর পরিবার জানতে পারল। সেই বেদনা ও বঞ্চনা নিয়ে কাটবে তাদের সারা জীবন।
ময়মনসিংহ অথবা সারা দেশের অ্যাম্বুলেন্সের ঘটনায় যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁরা সারা জীবন এই দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা নিয়ে দিনযাপন করবেন, অভিসম্পাত দেবেন। ফলাফলে তাঁরা বেশি মানবিক হবেন অথবা সেই পথই হয়তো বেছে নেবেন। বাঙালি তাই সব পারে, ভালোটাও পারে। সেই ভালোটার দিকে যাওয়া আজ বাঙালির জন্য কঠিন। তবু আশা:
‘কঠিনেরে ভালোবাসিলাম, সে কখনো করে না বঞ্চনা’।
লেখক: নাট্যব্যক্তিত্ব
এখন রাজনীতির এক গতিময়তার সময়। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের গণতন্ত্রহীন কর্তৃত্ববাদী দুর্নীতিপরায়ণ শাসন ছাত্র আন্দোলনে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী শাসনকালে দ্রুততার সঙ্গে নানা রকম রাজনৈতিক কথাবার্তা, চিন্তা-ভাবনা, চেষ্টা-অপচেষ্টা, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ ঘটছে।
৮ ঘণ্টা আগেবহু বছর আগে সেই ব্রিটিশ যুগে কাজী নজরুল লিখেছিলেন, ‘ক্ষুধাতুর শিশু চায় না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত, একটু নুন।’ আসলে পেটের খিদে নিয়ম, আইন, বিবেক, বিচার কোনো কিছুই মানে না। তাই তো প্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে, খিদের জ্বালা বড় জ্বালা। এর থেকে বোধ হয় আর কোনো অসহায়তা নেই। খালি পেটে কেউ তত্ত্ব শুনতে চায় না। কাওয়ালিও ন
৮ ঘণ্টা আগেতিন বছরের শিশু মুসা মোল্লা ও সাত বছরের রোহান মোল্লা নিষ্পাপ, ফুলের মতো কোমল। কারও সঙ্গে তাদের কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকার কথা নয়। কিন্তু বাবার চরম নিষ্ঠুরতায় পৃথিবী ছাড়তে হয়েছে তাদের। আহাদ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি দুই ছেলেসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করার পর নিজের গলায় নিজে ছুরি চালিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেদলীয় রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তুলনা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন পাশে রেখেই ইউনূস সরকারের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে এর ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার সময়টায়। তবে সাধারণ মানুষ মনে হয় প্রতিদিনই তার জীবনে সরকারের ভূমিকা বিচার করে দেখছে।
১ দিন আগে