কাজী লতিফুর রেজা
তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে রণদা প্রসাদ সাহা ছিলেন মেজ। মা কুমুদিনী দেবীর গভীর স্নেহে বড় হয়ে উঠলেও মায়ের সঙ্গটুকু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি; সাত বছর বয়সেই মাকে হারান তিনি। তাঁর মা অনাদরে, অবহেলায়, আঁতুড়ঘরের অশুচি পরিবেশে, বিনা চিকিৎসায়, সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। এ শোক যেন তাঁর জীবনজুড়ে এক বিস্তীর্ণ বনস্পতির পতনের মতো ছিল, যার শূন্যতা কোনো দিন মেটেনি।
মায়ের অকাল মৃত্যুর আঘাতই সম্ভবত তাঁকে পরিণত করেছে এক নিঃস্বার্থ প্রেমিক সমাজসেবীতে।
তৃতীয় শ্রেণির পর রণদার পড়াশোনা আর হয়ে ওঠেনি। বাড়িতে মন টেকেনি। কিশোর বয়সেই বাড়ি থেকে পালিয়েছেন বারবার। কুলি, শ্রমিক, রিকশাচালক, ফেরিওয়ালা—এমন হেন কোনো কাজ নেই যা তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলিতে ছিল না। তাঁর অভিজ্ঞতার বর্ণিলতা রুপালি পর্দার রোমাঞ্চকর মুহূর্তকে হার মানিয়েছে; তিনি হয়ে উঠেছেন আমাদের বাস্তবের নায়ক।
ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখের বাইরে তিনি উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন স্বদেশি আন্দোলনে। তিনি নিঃসংকোচে কারাবরণ করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ ভারত থেকে তিনি যোগদান করেন বেঙ্গল অ্যাম্বুলেন্স কোরে। ইরাকের মেসোপটেমিয়া ফ্রন্টে অসুস্থ ও আহত সৈনিকদের সেবা করতেন। তিনি তাঁর কাজে ছিলেন আর সবার থেকে আলাদা, ব্যতিক্রমী। একদিনের কথা। রোগীর তাঁবুতে আগুন লাগে গোলার আঘাতে। সেই ভয়াবহ অগম্য আগুনের ভয়ে সবাই জীবন নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। তখন রণদা প্রসাদ দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে রোগীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। শেষ রোগীটিকে বের করে এনে অজ্ঞান হয়ে গেলেন রণদা। বীরত্বগাথা ভূমিকার জন্য বিভিন্ন মহলে প্রশংসা অর্জন করেন। স্বীকৃতি লাভ করেন ব্রিটিশরাজ থেকে। সুস্থ হয়ে দেশে ফেরার পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।
রণদা যখন বেঙ্গল রেজিমেন্টের হয়ে ইরাকে যান, তখন তাঁর সঙ্গে দেখা হয় কাজী নজরুল ইসলামের। রণদা তাঁকে সংগীত বিভাগে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, যা নজরুলের বেশ পছন্দ হয়। তিনি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে এসে বাঙালি পল্টনে যোগ দেন এবং সৈনিক হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে স্বদেশি তরুণদের সামরিক প্রশিক্ষণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য দেশে ফিরে আসেন।
যুদ্ধ শেষে রেলওয়ের টিকিট কালেক্টরের চাকরি শুরু করেন। এই ক্ষুদ্র চাকরি ও মাপা জীবন, তোলা জলে তৃষ্ণা মেটানোর মানুষ তিনি ছিলেন না। যদিও তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল আরও বৃহৎ ও আরও প্রসারিত।
তিনি কলকাতায় কয়লা ও লবণের ব্যবসা শুরু করেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কয়লার একজন বড় ঠিকাদার এবং ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। এই সময়ে নদীপথে কয়লাচালিত লঞ্চের মালিক হওয়ার মাধ্যমে তাঁর আর্থিক সমৃদ্ধি বাড়তে থাকে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত বেঙ্গল রিভার সার্ভিসের মাধ্যমে তিনি দেশের নৌপথে মালামাল পরিবহনের একটি নতুন যুগের সূচনা করেন। এই বিপুল বিত্তবৈভব তাঁকে বিলাসী করে তোলেনি, তিনি যথেচ্ছাচারী হয়ে ওঠেননি। সংসার সন্ন্যাসী মানুষটির মনে ছিল চির বৈরাগ্য। সমাজকল্যাণের এই মহৎ প্রয়াসে রণদা প্রসাদ সাহা দেশের বিভিন্ন দুর্যোগময় মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কুমুদিনী ট্রাস্ট গঠন করে তাঁর সব সম্পত্তি দাতব্য কাজে বিলিয়ে দিয়েছেন।
সমাজসেবা এবং মানবকল্যাণে তাঁর অবদান অনবদ্য। ১৯৩৮ সালে তাঁর মায়ের নামে কুমুদিনী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। এই হাসপাতাল গ্রামের দরিদ্র মানুষকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা প্রদান করে আসছে। হাসপাতালের সঙ্গে নার্স প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নারীদের জন্য মেডিকেল কলেজ এবং অসহায় নারীদের জন্য ভারতেশ্বরী হোমস প্রতিষ্ঠা করে তাঁদের শিক্ষা ও সেবাদানে নিজেকে নিয়োজিত করেন।
তিনি শুধু একজন সফল ব্যবসায়ী বা সমাজসেবক ছিলেন না; ছিলেন মানবতার অমলিন প্রতীক। সমাজের প্রতি তাঁর অবদানের জন্য ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ‘রায় বাহাদুর’ খেতাবে ভূষিত করে এবং পাকিস্তান সরকার তাঁকে ‘হেলাল-এ-পাকিস্তান’ সম্মান প্রদান করে। তাঁর মহৎ কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করে। ১৯৭১ সালের ৭ মে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগীরা তাঁকে ও তাঁর পুত্র ভবানী প্রসাদ সাহাকে মির্জাপুর থেকে ধরে নিয়ে যায়। এর পর থেকে তাঁদের আর কোনো খোঁজ মেলেনি।
তিনি ছিলেন সংস্কৃতিপ্রাণ একজন মানুষ। অন্যের মধ্যে শিল্প ও সংস্কৃতির গুণ দেখলে তিনি যেমন তা উসকে দিতেন, তেমনি নিজেও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। ভারতেশ্বরী হোমসে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন তিনি। ১৯৪৮ সালে মির্জাপুরে বিপুল উৎসাহ নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন শৌখিন নাট্যসংঘ ও মঞ্চ। এমন আধুনিক মঞ্চ তখন পূর্ববাংলার রাজধানী ঢাকাতেও ছিল না। ১৯৬৯ সালে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর দুই দিন আনন্দ নিকেতন মঞ্চে ক্ষীরদাপ্রসাদ রচিত ‘আলমগীর’ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। এই নাটকে বাদশাহ আলমগীরের ভূমিকায় রণদা প্রসাদের অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল।
রণদা প্রসাদ সাহার জীবনালেখ্য আমাদের বর্তমান সমাজের জন্য জাজ্বল্যমান অনুপ্রেরণার উদাহরণ। তিনি নিজের নামে কোনো প্রতিষ্ঠান না করলেও তাঁর সুধন্য উত্তরাধিকারেরা নারায়ণগঞ্জে প্রতিষ্ঠা করেন আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৫ নভেম্বর এই নির্মোহ মানুষটির জন্মদিন। তাঁর জন্মদিনে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
লেখক: কাজী লতিফুর রেজা, সহযোগী অধ্যাপক, আইন ও মানবাধিকার বিভাগ আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়
তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে রণদা প্রসাদ সাহা ছিলেন মেজ। মা কুমুদিনী দেবীর গভীর স্নেহে বড় হয়ে উঠলেও মায়ের সঙ্গটুকু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি; সাত বছর বয়সেই মাকে হারান তিনি। তাঁর মা অনাদরে, অবহেলায়, আঁতুড়ঘরের অশুচি পরিবেশে, বিনা চিকিৎসায়, সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। এ শোক যেন তাঁর জীবনজুড়ে এক বিস্তীর্ণ বনস্পতির পতনের মতো ছিল, যার শূন্যতা কোনো দিন মেটেনি।
মায়ের অকাল মৃত্যুর আঘাতই সম্ভবত তাঁকে পরিণত করেছে এক নিঃস্বার্থ প্রেমিক সমাজসেবীতে।
তৃতীয় শ্রেণির পর রণদার পড়াশোনা আর হয়ে ওঠেনি। বাড়িতে মন টেকেনি। কিশোর বয়সেই বাড়ি থেকে পালিয়েছেন বারবার। কুলি, শ্রমিক, রিকশাচালক, ফেরিওয়ালা—এমন হেন কোনো কাজ নেই যা তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলিতে ছিল না। তাঁর অভিজ্ঞতার বর্ণিলতা রুপালি পর্দার রোমাঞ্চকর মুহূর্তকে হার মানিয়েছে; তিনি হয়ে উঠেছেন আমাদের বাস্তবের নায়ক।
ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখের বাইরে তিনি উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন স্বদেশি আন্দোলনে। তিনি নিঃসংকোচে কারাবরণ করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ ভারত থেকে তিনি যোগদান করেন বেঙ্গল অ্যাম্বুলেন্স কোরে। ইরাকের মেসোপটেমিয়া ফ্রন্টে অসুস্থ ও আহত সৈনিকদের সেবা করতেন। তিনি তাঁর কাজে ছিলেন আর সবার থেকে আলাদা, ব্যতিক্রমী। একদিনের কথা। রোগীর তাঁবুতে আগুন লাগে গোলার আঘাতে। সেই ভয়াবহ অগম্য আগুনের ভয়ে সবাই জীবন নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। তখন রণদা প্রসাদ দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে রোগীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। শেষ রোগীটিকে বের করে এনে অজ্ঞান হয়ে গেলেন রণদা। বীরত্বগাথা ভূমিকার জন্য বিভিন্ন মহলে প্রশংসা অর্জন করেন। স্বীকৃতি লাভ করেন ব্রিটিশরাজ থেকে। সুস্থ হয়ে দেশে ফেরার পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।
রণদা যখন বেঙ্গল রেজিমেন্টের হয়ে ইরাকে যান, তখন তাঁর সঙ্গে দেখা হয় কাজী নজরুল ইসলামের। রণদা তাঁকে সংগীত বিভাগে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, যা নজরুলের বেশ পছন্দ হয়। তিনি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে এসে বাঙালি পল্টনে যোগ দেন এবং সৈনিক হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে স্বদেশি তরুণদের সামরিক প্রশিক্ষণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য দেশে ফিরে আসেন।
যুদ্ধ শেষে রেলওয়ের টিকিট কালেক্টরের চাকরি শুরু করেন। এই ক্ষুদ্র চাকরি ও মাপা জীবন, তোলা জলে তৃষ্ণা মেটানোর মানুষ তিনি ছিলেন না। যদিও তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল আরও বৃহৎ ও আরও প্রসারিত।
তিনি কলকাতায় কয়লা ও লবণের ব্যবসা শুরু করেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কয়লার একজন বড় ঠিকাদার এবং ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। এই সময়ে নদীপথে কয়লাচালিত লঞ্চের মালিক হওয়ার মাধ্যমে তাঁর আর্থিক সমৃদ্ধি বাড়তে থাকে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত বেঙ্গল রিভার সার্ভিসের মাধ্যমে তিনি দেশের নৌপথে মালামাল পরিবহনের একটি নতুন যুগের সূচনা করেন। এই বিপুল বিত্তবৈভব তাঁকে বিলাসী করে তোলেনি, তিনি যথেচ্ছাচারী হয়ে ওঠেননি। সংসার সন্ন্যাসী মানুষটির মনে ছিল চির বৈরাগ্য। সমাজকল্যাণের এই মহৎ প্রয়াসে রণদা প্রসাদ সাহা দেশের বিভিন্ন দুর্যোগময় মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কুমুদিনী ট্রাস্ট গঠন করে তাঁর সব সম্পত্তি দাতব্য কাজে বিলিয়ে দিয়েছেন।
সমাজসেবা এবং মানবকল্যাণে তাঁর অবদান অনবদ্য। ১৯৩৮ সালে তাঁর মায়ের নামে কুমুদিনী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। এই হাসপাতাল গ্রামের দরিদ্র মানুষকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা প্রদান করে আসছে। হাসপাতালের সঙ্গে নার্স প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নারীদের জন্য মেডিকেল কলেজ এবং অসহায় নারীদের জন্য ভারতেশ্বরী হোমস প্রতিষ্ঠা করে তাঁদের শিক্ষা ও সেবাদানে নিজেকে নিয়োজিত করেন।
তিনি শুধু একজন সফল ব্যবসায়ী বা সমাজসেবক ছিলেন না; ছিলেন মানবতার অমলিন প্রতীক। সমাজের প্রতি তাঁর অবদানের জন্য ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ‘রায় বাহাদুর’ খেতাবে ভূষিত করে এবং পাকিস্তান সরকার তাঁকে ‘হেলাল-এ-পাকিস্তান’ সম্মান প্রদান করে। তাঁর মহৎ কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করে। ১৯৭১ সালের ৭ মে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগীরা তাঁকে ও তাঁর পুত্র ভবানী প্রসাদ সাহাকে মির্জাপুর থেকে ধরে নিয়ে যায়। এর পর থেকে তাঁদের আর কোনো খোঁজ মেলেনি।
তিনি ছিলেন সংস্কৃতিপ্রাণ একজন মানুষ। অন্যের মধ্যে শিল্প ও সংস্কৃতির গুণ দেখলে তিনি যেমন তা উসকে দিতেন, তেমনি নিজেও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। ভারতেশ্বরী হোমসে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন তিনি। ১৯৪৮ সালে মির্জাপুরে বিপুল উৎসাহ নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন শৌখিন নাট্যসংঘ ও মঞ্চ। এমন আধুনিক মঞ্চ তখন পূর্ববাংলার রাজধানী ঢাকাতেও ছিল না। ১৯৬৯ সালে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর দুই দিন আনন্দ নিকেতন মঞ্চে ক্ষীরদাপ্রসাদ রচিত ‘আলমগীর’ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। এই নাটকে বাদশাহ আলমগীরের ভূমিকায় রণদা প্রসাদের অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল।
রণদা প্রসাদ সাহার জীবনালেখ্য আমাদের বর্তমান সমাজের জন্য জাজ্বল্যমান অনুপ্রেরণার উদাহরণ। তিনি নিজের নামে কোনো প্রতিষ্ঠান না করলেও তাঁর সুধন্য উত্তরাধিকারেরা নারায়ণগঞ্জে প্রতিষ্ঠা করেন আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৫ নভেম্বর এই নির্মোহ মানুষটির জন্মদিন। তাঁর জন্মদিনে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
লেখক: কাজী লতিফুর রেজা, সহযোগী অধ্যাপক, আইন ও মানবাধিকার বিভাগ আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়
পৃথিবীকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে নতুন বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শূন্য বর্জ্য, শূন্য কার্বন ও শূন্য বেকারত্ব’র তত্ত্ব তুলে ধরেছেন বিশ্ববাসীর সামনে।
২ ঘণ্টা আগেমাঝে মাঝে মনে হয়, করোনাকালই বোধহয় ভালো ছিল। শাটডাউনে সব বন্ধ, রাস্তায় যানবাহন নেই, মানুষের চলাচল সীমিত, যারাও বাইরে যাচ্ছে তাদের মুখে মাস্ক পরা। রাস্তার ধারের গাছগুলোতে ধুলার পর্দা পড়ছে না, কলকারখানার চোঙা দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে না, বায়ুদূষণও কমে এসেছে। এক অদেখা জীবাণুর আতঙ্কে আমাদের কী দুঃসময়ই না কেট
২ ঘণ্টা আগেমঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তান ও ফার্মগেটে হকার উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। ঢাকার ফুটপাত ও রাস্তার একটা অংশ যেভাবে হকাররা দখল করে রাখেন, তাতে চলাচলে অসুবিধা হয় রাজধানীবাসীর। তাই ব্যস্ত সড়ক হকারমুক্ত করতে পারলে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী সাধুবাদ পাবে।
২ ঘণ্টা আগে১৭ নভেম্বর ৪৩তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগদান করার কথা ছিল। এই বিসিএসে উত্তীর্ণ দুই হাজারের বেশি প্রার্থীর মধ্যে অধিকাংশই সরকারি-বেসরকারি নানা চাকরি করতেন।
১ দিন আগে