জয়দীপ দে
গত ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শত বছরের মাইলফলক অতিক্রম করল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়; একটি স্বয়ম্ভু ইতিহাস। এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের জন্ম ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ১৯৪৭ সালে যখন পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়, তখন পূর্ব বাংলায় মাত্র একজন সিভিল সার্ভিস অফিসার এবং আর্মিতে গোটা তিনেক কমিশনড অফিসার ছিলেন। এমন অবস্থা থেকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী সরকার পরিচালনের উপযোগী জনবল তৈরি করে দিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
মধ্যে ২৪ বছর পূর্ব বাংলার তরুণেরা এখানে লেখাপড়া করে নিজেকে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য উপযুক্ত করেছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা ছিল সর্বাগ্রে। প্রথম বিদ্রোহের ফুলকিটি এখানে জ্বলেছে।
এই বিশ্ববিদ্যালয় তাই পূর্ব বাংলার বাতিঘর। আর এই প্রতিষ্ঠান আজকের এই পর্যায়ে আসার পেছনে যেসব মহৎপ্রাণ ব্যক্তি ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ফিলিপস জোসেফ হার্টগ। তাঁর প্রসঙ্গে কবি কিরণশঙ্কর সেনগুপ্ত লিখেছেন, ‘এমন নয় যে হরিদাস ভট্টাচার্য, সত্যেন বসু, রমেশ মজুমদার, এফ রহমান—এঁরা কোথাও বেকার বসে ছিলেন আর চাকরি খালির বিজ্ঞাপন দেখে তাঁরা কলকাতাকে ছেড়ে ঢাকায় দৌড়ে এসেছিলেন। তাঁদের সংগ্রহ করা হয়েছিল।
আর তার প্রতিষ্ঠানগত কৃতিত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালের সাংগঠনিক কমিটির হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাগজপত্রে যে ব্যক্তির ঐকান্তিক আগ্রহ, পরিশ্রম ও চেষ্টার পরিচয় পাওয়া যায়; তিনি না বাঙালি, না ভারতীয় এবং না হিন্দু, না মুসলমান। তিনি ইংরেজ–পি জে হার্টগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বপ্রথম ভাইস চ্যান্সেলর বা উপাচার্য। তিনিও বেকার ছিলেন না।
ভারতীয় শিক্ষা সার্ভিস বা আইইএসের অভিজ্ঞ ও উচ্চতর সদস্য। কিন্তু ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি, তার সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শন, আইন—সব বিভাগের জন্য উপযুক্ত শিক্ষক অন্বেষণের যে প্রচেষ্টা হার্টগ সাহেব চালিয়েছিলেন, সেটি তাঁকে একজন যথার্থ কর্মী, জ্ঞানী ও উদ্যোগী সংগঠক হিসেবে প্রমাণিত করে। আজকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত সেই গোড়াকার সকল প্রয়াস ও প্রচেষ্টার মধ্যে যাঁরা ছিলেন, পি জে হার্টগ ও তাঁর অন্য সহকর্মীদের পরিচয় সংগ্রহ করে প্রকাশ করা।’
অথচ আজ পি জে হার্টগকে নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয় না। ১৮৬৪ সালে লন্ডনে জন্ম নেওয়া এই শিক্ষাবিদের পিতা এসেছিলেন হল্যান্ড থেকে। ধর্মে ছিলেন ইহুদি। তিনি ফ্রেঞ্চ ভাষার শিক্ষকতা করতেন। ফিলিপস লন্ডনের ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে রসায়নে বিএসসি অনার্স পাস করে গবেষণার কাজে লেগেছিলেন। কাজ করেছেন জার্মানি ও ফ্রান্সে। ১৮৯১ সালে অ্যাসিস্টেন্ট লেকচারার হিসেবে শিক্ষকতার পেশা শুরু করেন। চার বছরের মাথায় শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে লন্ডন ইউনিভার্সিটির একাডেমিক রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন। টানা ১৭ বছর চাকরির পর তিনি প্রস্তাবিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে তিনি স্যাডলার কমিশনের হয়ে ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করেছিলেন। তাই তিনি জানতেন ভারতের উচ্চশিক্ষার সমস্যাগুলো। সেই অনুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালে তিনি এর লক্ষ্য স্থির করেছিলেন। ১৯২৯ সালে লখনৌতে দেওয়া এক বক্তৃতায় তিনি বলেন : “আমার মনে হয়, ভারতবর্ষের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটি বিষয়, সে বিষয় যা-ই হোক, নানা দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখতে শেখা, চিন্তা করা, ছাত্রদের শেখানো হয় না। তাই নিজের মতামত তৈরি করার মতো শিক্ষাও দেওয়া হয় না। ছাত্ররা বিচার করতে শেখে না, শিক্ষকের কথা মেনে চলে। মতভেদের সাহস বা যোগ্যতা কোনোটিই তাদের হয়ে ওঠে না।
মনে পড়ে, ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে চাকরিপ্রার্থী এক ভদ্রলোককে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ‘তোমার বক্তৃতার পর কোনো ছাত্র যদি এসে বলে, দুঃখিত স্যার, আপনার সঙ্গে একমত হতে পারছি না, আমার চিন্তা অন্যভাবে বিষয়টিকে দেখছে, তুমি কী বলবে?’
উত্তর ছিল, ‘আমি মনে করি, আমার থেকে আলাদা মত রাখার অধিকার কোনো ছাত্রের নেই।’ আমরা ওকে নিইনি।
তবে শুধু সুবিচার দিয়ে মতামতের যোগ্যতা জীবনের পাথেয় হয় না। কারণ, দৃঢ়বিশ্বাস যুক্তিকে হাওয়ায় উড়িয়ে দিতে পারে। চরিত্রে তাই সাম্যতার প্রয়োজন। এটা পাওয়া কঠিন; তার থেকেও কঠিন জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে সবকিছু ছেড়ে সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলা।
আফসোস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন তার প্রতিষ্ঠাকালীন আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে। ভিন্নমত নিয়ে এখন যথেষ্ট অসহিষ্ণুতা দেখা যায়।
হার্টগ ১৯২০ সালের ১ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯২৫ সাল পর্যন্ত তিনি এখানে ছিলেন। পরে তিনি ইন্ডিয়ান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য এবং ইন্ডিয়ান এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান হন। ১৯৪৭ সালের ২৭ জুন এই মহাপ্রাণ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
লেখক: সাহিত্যিক।
গত ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শত বছরের মাইলফলক অতিক্রম করল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়; একটি স্বয়ম্ভু ইতিহাস। এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের জন্ম ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ১৯৪৭ সালে যখন পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়, তখন পূর্ব বাংলায় মাত্র একজন সিভিল সার্ভিস অফিসার এবং আর্মিতে গোটা তিনেক কমিশনড অফিসার ছিলেন। এমন অবস্থা থেকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী সরকার পরিচালনের উপযোগী জনবল তৈরি করে দিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
মধ্যে ২৪ বছর পূর্ব বাংলার তরুণেরা এখানে লেখাপড়া করে নিজেকে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য উপযুক্ত করেছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা ছিল সর্বাগ্রে। প্রথম বিদ্রোহের ফুলকিটি এখানে জ্বলেছে।
এই বিশ্ববিদ্যালয় তাই পূর্ব বাংলার বাতিঘর। আর এই প্রতিষ্ঠান আজকের এই পর্যায়ে আসার পেছনে যেসব মহৎপ্রাণ ব্যক্তি ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ফিলিপস জোসেফ হার্টগ। তাঁর প্রসঙ্গে কবি কিরণশঙ্কর সেনগুপ্ত লিখেছেন, ‘এমন নয় যে হরিদাস ভট্টাচার্য, সত্যেন বসু, রমেশ মজুমদার, এফ রহমান—এঁরা কোথাও বেকার বসে ছিলেন আর চাকরি খালির বিজ্ঞাপন দেখে তাঁরা কলকাতাকে ছেড়ে ঢাকায় দৌড়ে এসেছিলেন। তাঁদের সংগ্রহ করা হয়েছিল।
আর তার প্রতিষ্ঠানগত কৃতিত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালের সাংগঠনিক কমিটির হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাগজপত্রে যে ব্যক্তির ঐকান্তিক আগ্রহ, পরিশ্রম ও চেষ্টার পরিচয় পাওয়া যায়; তিনি না বাঙালি, না ভারতীয় এবং না হিন্দু, না মুসলমান। তিনি ইংরেজ–পি জে হার্টগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বপ্রথম ভাইস চ্যান্সেলর বা উপাচার্য। তিনিও বেকার ছিলেন না।
ভারতীয় শিক্ষা সার্ভিস বা আইইএসের অভিজ্ঞ ও উচ্চতর সদস্য। কিন্তু ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি, তার সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শন, আইন—সব বিভাগের জন্য উপযুক্ত শিক্ষক অন্বেষণের যে প্রচেষ্টা হার্টগ সাহেব চালিয়েছিলেন, সেটি তাঁকে একজন যথার্থ কর্মী, জ্ঞানী ও উদ্যোগী সংগঠক হিসেবে প্রমাণিত করে। আজকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত সেই গোড়াকার সকল প্রয়াস ও প্রচেষ্টার মধ্যে যাঁরা ছিলেন, পি জে হার্টগ ও তাঁর অন্য সহকর্মীদের পরিচয় সংগ্রহ করে প্রকাশ করা।’
অথচ আজ পি জে হার্টগকে নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয় না। ১৮৬৪ সালে লন্ডনে জন্ম নেওয়া এই শিক্ষাবিদের পিতা এসেছিলেন হল্যান্ড থেকে। ধর্মে ছিলেন ইহুদি। তিনি ফ্রেঞ্চ ভাষার শিক্ষকতা করতেন। ফিলিপস লন্ডনের ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে রসায়নে বিএসসি অনার্স পাস করে গবেষণার কাজে লেগেছিলেন। কাজ করেছেন জার্মানি ও ফ্রান্সে। ১৮৯১ সালে অ্যাসিস্টেন্ট লেকচারার হিসেবে শিক্ষকতার পেশা শুরু করেন। চার বছরের মাথায় শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে লন্ডন ইউনিভার্সিটির একাডেমিক রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন। টানা ১৭ বছর চাকরির পর তিনি প্রস্তাবিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে তিনি স্যাডলার কমিশনের হয়ে ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করেছিলেন। তাই তিনি জানতেন ভারতের উচ্চশিক্ষার সমস্যাগুলো। সেই অনুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালে তিনি এর লক্ষ্য স্থির করেছিলেন। ১৯২৯ সালে লখনৌতে দেওয়া এক বক্তৃতায় তিনি বলেন : “আমার মনে হয়, ভারতবর্ষের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটি বিষয়, সে বিষয় যা-ই হোক, নানা দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখতে শেখা, চিন্তা করা, ছাত্রদের শেখানো হয় না। তাই নিজের মতামত তৈরি করার মতো শিক্ষাও দেওয়া হয় না। ছাত্ররা বিচার করতে শেখে না, শিক্ষকের কথা মেনে চলে। মতভেদের সাহস বা যোগ্যতা কোনোটিই তাদের হয়ে ওঠে না।
মনে পড়ে, ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে চাকরিপ্রার্থী এক ভদ্রলোককে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ‘তোমার বক্তৃতার পর কোনো ছাত্র যদি এসে বলে, দুঃখিত স্যার, আপনার সঙ্গে একমত হতে পারছি না, আমার চিন্তা অন্যভাবে বিষয়টিকে দেখছে, তুমি কী বলবে?’
উত্তর ছিল, ‘আমি মনে করি, আমার থেকে আলাদা মত রাখার অধিকার কোনো ছাত্রের নেই।’ আমরা ওকে নিইনি।
তবে শুধু সুবিচার দিয়ে মতামতের যোগ্যতা জীবনের পাথেয় হয় না। কারণ, দৃঢ়বিশ্বাস যুক্তিকে হাওয়ায় উড়িয়ে দিতে পারে। চরিত্রে তাই সাম্যতার প্রয়োজন। এটা পাওয়া কঠিন; তার থেকেও কঠিন জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে সবকিছু ছেড়ে সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলা।
আফসোস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন তার প্রতিষ্ঠাকালীন আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে। ভিন্নমত নিয়ে এখন যথেষ্ট অসহিষ্ণুতা দেখা যায়।
হার্টগ ১৯২০ সালের ১ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯২৫ সাল পর্যন্ত তিনি এখানে ছিলেন। পরে তিনি ইন্ডিয়ান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য এবং ইন্ডিয়ান এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান হন। ১৯৪৭ সালের ২৭ জুন এই মহাপ্রাণ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
লেখক: সাহিত্যিক।
এখন রাজনীতির এক গতিময়তার সময়। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের গণতন্ত্রহীন কর্তৃত্ববাদী দুর্নীতিপরায়ণ শাসন ছাত্র আন্দোলনে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী শাসনকালে দ্রুততার সঙ্গে নানা রকম রাজনৈতিক কথাবার্তা, চিন্তা-ভাবনা, চেষ্টা-অপচেষ্টা, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ ঘটছে।
১১ ঘণ্টা আগেবহু বছর আগে সেই ব্রিটিশ যুগে কাজী নজরুল লিখেছিলেন, ‘ক্ষুধাতুর শিশু চায় না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত, একটু নুন।’ আসলে পেটের খিদে নিয়ম, আইন, বিবেক, বিচার কোনো কিছুই মানে না। তাই তো প্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে, খিদের জ্বালা বড় জ্বালা। এর থেকে বোধ হয় আর কোনো অসহায়তা নেই। খালি পেটে কেউ তত্ত্ব শুনতে চায় না। কাওয়ালিও ন
১১ ঘণ্টা আগেতিন বছরের শিশু মুসা মোল্লা ও সাত বছরের রোহান মোল্লা নিষ্পাপ, ফুলের মতো কোমল। কারও সঙ্গে তাদের কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকার কথা নয়। কিন্তু বাবার চরম নিষ্ঠুরতায় পৃথিবী ছাড়তে হয়েছে তাদের। আহাদ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি দুই ছেলেসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করার পর নিজের গলায় নিজে ছুরি চালিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেদলীয় রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তুলনা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন পাশে রেখেই ইউনূস সরকারের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে এর ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার সময়টায়। তবে সাধারণ মানুষ মনে হয় প্রতিদিনই তার জীবনে সরকারের ভূমিকা বিচার করে দেখছে।
১ দিন আগে