শাহীন সুমনা
ভয় একটি সংক্রামক ব্যাধি। একজন থেকে ভয় অন্যজনে সংক্রমিত হয়, ধীরে ধীরে গোটা সমাজটাই ভীত হয়ে পড়ে। ছোটবেলা থেকেই আমি অন্ধকার ভয় পাই, একাকীত্ব ভয় পাই, পরীক্ষার হলে যেতে ভয় পাই, মারামারি ভয় পাই, ঝগড়া ভয় পাই, রাস্তায় পথ হারিয়ে ফেলার ভয় পাই, কেঁচো–বিচ্ছু–সাপ ভয় পাই, পাছে লোকে কিছু বলে ভয় পাই, খুনখারাবি ভয় পাই, দারিদ্র্য ভয় পাই, ইন্টারভিউ দিতে ভয় পাই, ক্যামেরার সামনে কথা বলতে ভয় পাই, ক্যানসার ভয় পাই, সবচেয়ে বেশি ভয় পাই ভূত এবং মৃত্যুকে। আমার ভয়গুলো ছোটবেলায় কেউই ভেঙে দেয়নি, আমার আধুনিক চিন্তার মা–বাবাও না। ফলে আমি একজন ভীতু হিসেবেই জীবনটা কাটিয়ে দিলাম। ভয় জমে জমে আমার মনের ভেতর তা কঠিন শিলায় রূপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু আমার তিন কন্যা। আমি চাইনি আমার সন্তানেরা আমার মতো ভীতু হোক। ছোটবেলা থেকেই ওদের একা ঘরে পড়তে বসিয়েছি, একা ঘরে শুতে দিয়েছি। ভয় কি, তা বুঝে ওঠার আগেই শিখিয়েছি, ‘ভয় পেয়ো না। তোমাদের মাকে দেখো, ভয়ে ভয়ে জীবন কাটিয়ে জীবনটাকেই একটা গণ্ডির ভেতর আটকে ফেলেছে। তোমরা ভয়কে জয় করো। ভীতুরা সামনে এগোতে পারে না। তোমাদের সামনের দিকে যেতে হবে। এক জায়গায় আটকে থাকাও চলবে না, পেছনে আসাও চলবে না। তোমরা মানুষকে ভয় পাবে না। তাদের ভয় না, ভালোবাসতে শেখো। প্রথমে নিজেকে ভালোবাসবে। এরপর পরিবার, বন্ধু, স্বজন—সবাইকে ভালোবাসবে।
ঈশ্বরকেও ভয় পাবে না। ঈশ্বরকে ভক্তি করবে, ভালোবাসবে। ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখবে, আপদে-বিপদে ঈশ্বরকে স্মরণ করবে, ঈশ্বর পথ দেখাবেন।
ভীতু চরিত্রের হলেও আমি কিন্তু মানুষ ভয় পাই না, সমাজের চোখ রাঙানি ভয় পাই না, পুরুষের শাসন ভয় পাই না, ছেলেদের সঙ্গে বন্ধুত্বে ভয় পাই না, পরিশ্রম করতে ভয় পাই না, রান্না করতে ভয় পাই না, অতিথি আপ্যায়নে ভয় পাই না, অসুস্থকে সেবা করতে ভয় পাই না, আজকাল করোনাভাইরাসকেও ভয় পাচ্ছি না। তবে আজও শুধু মৃত্যুকে ভয় পাই। পেয়ে যাব আমৃত্যু।
ভয় একটি সংক্রামক ব্যাধি। একজন থেকে ভয় অন্যজনে সংক্রমিত হয়, ধীরে ধীরে গোটা সমাজটাই ভীত হয়ে পড়ে। ছোটবেলা থেকেই আমি অন্ধকার ভয় পাই, একাকীত্ব ভয় পাই, পরীক্ষার হলে যেতে ভয় পাই, মারামারি ভয় পাই, ঝগড়া ভয় পাই, রাস্তায় পথ হারিয়ে ফেলার ভয় পাই, কেঁচো–বিচ্ছু–সাপ ভয় পাই, পাছে লোকে কিছু বলে ভয় পাই, খুনখারাবি ভয় পাই, দারিদ্র্য ভয় পাই, ইন্টারভিউ দিতে ভয় পাই, ক্যামেরার সামনে কথা বলতে ভয় পাই, ক্যানসার ভয় পাই, সবচেয়ে বেশি ভয় পাই ভূত এবং মৃত্যুকে। আমার ভয়গুলো ছোটবেলায় কেউই ভেঙে দেয়নি, আমার আধুনিক চিন্তার মা–বাবাও না। ফলে আমি একজন ভীতু হিসেবেই জীবনটা কাটিয়ে দিলাম। ভয় জমে জমে আমার মনের ভেতর তা কঠিন শিলায় রূপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু আমার তিন কন্যা। আমি চাইনি আমার সন্তানেরা আমার মতো ভীতু হোক। ছোটবেলা থেকেই ওদের একা ঘরে পড়তে বসিয়েছি, একা ঘরে শুতে দিয়েছি। ভয় কি, তা বুঝে ওঠার আগেই শিখিয়েছি, ‘ভয় পেয়ো না। তোমাদের মাকে দেখো, ভয়ে ভয়ে জীবন কাটিয়ে জীবনটাকেই একটা গণ্ডির ভেতর আটকে ফেলেছে। তোমরা ভয়কে জয় করো। ভীতুরা সামনে এগোতে পারে না। তোমাদের সামনের দিকে যেতে হবে। এক জায়গায় আটকে থাকাও চলবে না, পেছনে আসাও চলবে না। তোমরা মানুষকে ভয় পাবে না। তাদের ভয় না, ভালোবাসতে শেখো। প্রথমে নিজেকে ভালোবাসবে। এরপর পরিবার, বন্ধু, স্বজন—সবাইকে ভালোবাসবে।
ঈশ্বরকেও ভয় পাবে না। ঈশ্বরকে ভক্তি করবে, ভালোবাসবে। ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখবে, আপদে-বিপদে ঈশ্বরকে স্মরণ করবে, ঈশ্বর পথ দেখাবেন।
ভীতু চরিত্রের হলেও আমি কিন্তু মানুষ ভয় পাই না, সমাজের চোখ রাঙানি ভয় পাই না, পুরুষের শাসন ভয় পাই না, ছেলেদের সঙ্গে বন্ধুত্বে ভয় পাই না, পরিশ্রম করতে ভয় পাই না, রান্না করতে ভয় পাই না, অতিথি আপ্যায়নে ভয় পাই না, অসুস্থকে সেবা করতে ভয় পাই না, আজকাল করোনাভাইরাসকেও ভয় পাচ্ছি না। তবে আজও শুধু মৃত্যুকে ভয় পাই। পেয়ে যাব আমৃত্যু।
এখন রাজনীতির এক গতিময়তার সময়। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের গণতন্ত্রহীন কর্তৃত্ববাদী দুর্নীতিপরায়ণ শাসন ছাত্র আন্দোলনে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী শাসনকালে দ্রুততার সঙ্গে নানা রকম রাজনৈতিক কথাবার্তা, চিন্তা-ভাবনা, চেষ্টা-অপচেষ্টা, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ ঘটছে।
২১ ঘণ্টা আগেবহু বছর আগে সেই ব্রিটিশ যুগে কাজী নজরুল লিখেছিলেন, ‘ক্ষুধাতুর শিশু চায় না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত, একটু নুন।’ আসলে পেটের খিদে নিয়ম, আইন, বিবেক, বিচার কোনো কিছুই মানে না। তাই তো প্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে, খিদের জ্বালা বড় জ্বালা। এর থেকে বোধ হয় আর কোনো অসহায়তা নেই। খালি পেটে কেউ তত্ত্ব শুনতে চায় না। কাওয়ালিও ন
২১ ঘণ্টা আগেতিন বছরের শিশু মুসা মোল্লা ও সাত বছরের রোহান মোল্লা নিষ্পাপ, ফুলের মতো কোমল। কারও সঙ্গে তাদের কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকার কথা নয়। কিন্তু বাবার চরম নিষ্ঠুরতায় পৃথিবী ছাড়তে হয়েছে তাদের। আহাদ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি দুই ছেলেসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করার পর নিজের গলায় নিজে ছুরি চালিয়েছেন।
২১ ঘণ্টা আগেদলীয় রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তুলনা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন পাশে রেখেই ইউনূস সরকারের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে এর ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার সময়টায়। তবে সাধারণ মানুষ মনে হয় প্রতিদিনই তার জীবনে সরকারের ভূমিকা বিচার করে দেখছে।
২ দিন আগে