অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়
মাথাপিছু জিডিপি বা জাতীয় আয়ের বিচারে বাংলাদেশ ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে—এই সংবাদ নিয়ে সম্প্রতি বেশ আলোড়ন হয়েছে। স্বাভাবিক। মহাজ্ঞানী হেনরি কিসিঞ্জার অর্ধ শতাব্দী আগে নবজাত বাংলাদেশকে ‘অতলান্ত ঝুড়ি’র সঙ্গে তুলনা করে নিদান দিয়েছিলেন, তাঁর কোনো ভবিষ্যৎই নেই। কিসিঞ্জার অতীত হয়েছেন, তাঁর প্রজ্ঞার মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার ‘বড় খবর’। আপন সুবর্ণজয়ন্তীতে এই দেশ তার অতিকায় ও দর্পিত প্রতিবেশীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এ কেবল বড় খবর নয়, এই দুর্দিনে খুব বিরল সুখবর।
কিন্তু বাংলাদেশের কৃতি ও কৃতিত্ব নিছক জিডিপির হিসাবে মাপবার নয়। তার অনেক দিক, অনেক মাত্রা। সীমিত পরিসরে তার দু-একটির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। বিশেষ করে বলতে হয় বাংলাদেশের মেয়েদের কথা। দেশের উন্নয়নে তাঁদের ভূমিকার কথা। গত মার্চ মাসের শেষে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তাদের জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট-এর নতুন সংস্করণ প্রকাশ করেছে। ১৫৬টি দেশে সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতির পরিসরে নানা মাপকাঠিতে নারী ও পুরুষের মধ্যে অধিকার, সক্ষমতা এবং অবস্থানের তারতম্য সম্পর্কে সমীক্ষার ভিত্তিতে এই রিপোর্ট তৈরি করে। তাতে দেখা যাচ্ছে, দুনিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় নারী-পুরুষ অসমতা সবচেয়ে বেশি। এই উপমহাদেশের প্রায় সব কটি দেশের নামই তালিকায় নিচের দিকে, ১০০-র পরে। ভারত ১৪০ নম্বরে। একমাত্র ব্যতিক্রম বাংলাদেশ, তার ক্রম হলো ৬৫।
এমন তালিকাকে ধ্রুব সত্য মনে করার কোনো কারণ নেই। মাপকাঠি নিয়ে তর্ক থাকতে পারে, সমীক্ষার গুণমান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, আরও নানা সমস্যাও অবধারিত। কিন্তু তাতে বড় ছবিটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। সেই ছবি জানিয়ে দেয়, ভারতসহ গোটা দক্ষিণ এশিয়ার, বস্তুত তথাকথিত তৃতীয় বিশ্বের অধিকাংশ দেশের চেয়ে বাংলাদেশে নারী-পুরুষ অসাম্যের মাত্রা কম। তার মানে নিশ্চয়ই এই নয় যে, অসাম্য নেই।
অবশ্যই আছে এবং তা দূর করার জন্য এখনো অনেক দূর যেতে হবে। কিন্তু সেই যাত্রাপথে অন্তত কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠিতে এই দেশটি অন্য অনেকের চেয়ে এগিয়ে এসেছে।
এ রকম কয়েকটি মাপকাঠি হলো: নবজাতকদের মধ্যে কন্যাসন্তানের অনুপাত, সাক্ষরতার অনুপাতে মেয়েদের সঙ্গে ছেলেদের তফাত, কর্মক্ষম মেয়েদের মধ্যে কর্মীর অনুপাত এবং একই ধরনের কাজে নারী-পুরুষের উপার্জনের অসাম্য। ভারতের সঙ্গে যদি তুলনা করা হয়, তবে দেখা যাবে এই চারটির প্রতিটিতে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে এবং সচরাচর অনেকটা এগিয়ে আছে। রাজনীতির দুনিয়াতেও এই এগিয়ে থাকার প্রতিফলন সুস্পষ্ট। সরকারপ্রধানের আসনে নারীর অধিষ্ঠানের মোট সময় বিচার করলে পঞ্চাশ বছর বয়সী দেশটি যে কার্যত অতুলনীয়, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না, কিন্তু শুধু সেটাই নয়, সংসদ থেকে শুরু করে রাজনীতির বিভিন্ন স্তরেই মেয়েদের ভূমিকা রীতিমতো চোখে পড়ার মতো।
এই ছবিটার সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাফল্যের গভীর যোগাযোগ আছে। একদিকে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, অন্যদিকে রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্প—এই দুই ক্ষেত্রেই বাংলাদেশে মেয়েদের ভূমিকা বিরাট এবং সেই ভূমিকা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সেটা তাঁদের ক্ষমতায়নের পথে বিরাট সহায়। এর সুপ্রভাব পড়েছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো বনিয়াদি সক্ষমতার প্রসারে, আবার সেই সক্ষমতা অর্থনীতি ও রাজনীতিতে মেয়েদের অগ্রগতিকে জোরদার করেছে। ভারতের, বিশেষত উত্তর ভারতের অভিজ্ঞতা এর উল্টো, সেখানে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মেয়েদের প্রাথমিক সক্ষমতা অত্যন্ত কম, তাদের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অবস্থানও অসম্ভব পশ্চাৎপদ। এই বিপুল পশ্চাৎপদতা সত্ত্বেও ভারতীয় রাজনীতিক বা প্রশাসকদের একাংশ বাংলাদেশ সম্পর্কে এখনো যে তাচ্ছিল্যের মনোভাব দেখান, কেউ কেউ অত্যন্ত বেশি মাত্রায় দেখান, সেটা কেবল তাঁদের মানসিক বিরাগ বা সংকীর্ণতার পরিচয় দেয় না, সম্ভবত বাংলাদেশ সম্পর্কে তাঁদের অপরিসীম অজ্ঞতারও প্রমাণ দেয়।
এই অজ্ঞতার জন্য কেবল রাজনীতিকদের দায়ী করলে অন্যায় হবে। ভারতের নাগরিকদের একটা বড় অংশও বাংলাদেশ সম্পর্কে যে ধারণা পোষণ করে, তার পেছনে মান্ধাতা আমলের অর্ধসত্য আছে ভূরি পরিমাণে, প্রকৃত বাস্তবের জ্ঞান তিল পরিমাণেও নেই। এবং এটা খুব দুর্ভাগ্যের কথা যে, পশ্চিমবঙ্গেও এই না-জানা এবং ভুল-জানার প্রকোপ অত্যন্ত বেশি। এ নিয়ে আক্ষেপ করে লাভ নেই, বরং কী করে এই অপরিচয় দূর করা যেতে পারে, সেই বিষয়ে দুই তরফের সমস্ত সুস্থ বুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিকেরই ভাবা দরকার এবং কাজ করা দরকার। এ ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক সমাজের দায় অবশ্যই বেশি। তার কারণ, প্রতিবেশী সম্পর্কে তার অজ্ঞতা অনেক বেশি। বিশেষ করে প্রতিবেশী অর্থনীতি ও সমাজের বাস্তব সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গের ধারণাই কেবল অত্যন্ত সীমিত নয়, আগ্রহও খুব কম। বাংলাদেশ দ্রুত এগোচ্ছে, তাই তার সম্পর্কে আগ্রহী হলে আখেরে পশ্চিমবঙ্গের প্রভূত লাভ হবে বলে মনে করি।
অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়
সাবেক সম্পাদক, আনন্দবাজার পত্রিকা
মাথাপিছু জিডিপি বা জাতীয় আয়ের বিচারে বাংলাদেশ ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে—এই সংবাদ নিয়ে সম্প্রতি বেশ আলোড়ন হয়েছে। স্বাভাবিক। মহাজ্ঞানী হেনরি কিসিঞ্জার অর্ধ শতাব্দী আগে নবজাত বাংলাদেশকে ‘অতলান্ত ঝুড়ি’র সঙ্গে তুলনা করে নিদান দিয়েছিলেন, তাঁর কোনো ভবিষ্যৎই নেই। কিসিঞ্জার অতীত হয়েছেন, তাঁর প্রজ্ঞার মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার ‘বড় খবর’। আপন সুবর্ণজয়ন্তীতে এই দেশ তার অতিকায় ও দর্পিত প্রতিবেশীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এ কেবল বড় খবর নয়, এই দুর্দিনে খুব বিরল সুখবর।
কিন্তু বাংলাদেশের কৃতি ও কৃতিত্ব নিছক জিডিপির হিসাবে মাপবার নয়। তার অনেক দিক, অনেক মাত্রা। সীমিত পরিসরে তার দু-একটির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। বিশেষ করে বলতে হয় বাংলাদেশের মেয়েদের কথা। দেশের উন্নয়নে তাঁদের ভূমিকার কথা। গত মার্চ মাসের শেষে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তাদের জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট-এর নতুন সংস্করণ প্রকাশ করেছে। ১৫৬টি দেশে সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতির পরিসরে নানা মাপকাঠিতে নারী ও পুরুষের মধ্যে অধিকার, সক্ষমতা এবং অবস্থানের তারতম্য সম্পর্কে সমীক্ষার ভিত্তিতে এই রিপোর্ট তৈরি করে। তাতে দেখা যাচ্ছে, দুনিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় নারী-পুরুষ অসমতা সবচেয়ে বেশি। এই উপমহাদেশের প্রায় সব কটি দেশের নামই তালিকায় নিচের দিকে, ১০০-র পরে। ভারত ১৪০ নম্বরে। একমাত্র ব্যতিক্রম বাংলাদেশ, তার ক্রম হলো ৬৫।
এমন তালিকাকে ধ্রুব সত্য মনে করার কোনো কারণ নেই। মাপকাঠি নিয়ে তর্ক থাকতে পারে, সমীক্ষার গুণমান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, আরও নানা সমস্যাও অবধারিত। কিন্তু তাতে বড় ছবিটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। সেই ছবি জানিয়ে দেয়, ভারতসহ গোটা দক্ষিণ এশিয়ার, বস্তুত তথাকথিত তৃতীয় বিশ্বের অধিকাংশ দেশের চেয়ে বাংলাদেশে নারী-পুরুষ অসাম্যের মাত্রা কম। তার মানে নিশ্চয়ই এই নয় যে, অসাম্য নেই।
অবশ্যই আছে এবং তা দূর করার জন্য এখনো অনেক দূর যেতে হবে। কিন্তু সেই যাত্রাপথে অন্তত কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠিতে এই দেশটি অন্য অনেকের চেয়ে এগিয়ে এসেছে।
এ রকম কয়েকটি মাপকাঠি হলো: নবজাতকদের মধ্যে কন্যাসন্তানের অনুপাত, সাক্ষরতার অনুপাতে মেয়েদের সঙ্গে ছেলেদের তফাত, কর্মক্ষম মেয়েদের মধ্যে কর্মীর অনুপাত এবং একই ধরনের কাজে নারী-পুরুষের উপার্জনের অসাম্য। ভারতের সঙ্গে যদি তুলনা করা হয়, তবে দেখা যাবে এই চারটির প্রতিটিতে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে এবং সচরাচর অনেকটা এগিয়ে আছে। রাজনীতির দুনিয়াতেও এই এগিয়ে থাকার প্রতিফলন সুস্পষ্ট। সরকারপ্রধানের আসনে নারীর অধিষ্ঠানের মোট সময় বিচার করলে পঞ্চাশ বছর বয়সী দেশটি যে কার্যত অতুলনীয়, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না, কিন্তু শুধু সেটাই নয়, সংসদ থেকে শুরু করে রাজনীতির বিভিন্ন স্তরেই মেয়েদের ভূমিকা রীতিমতো চোখে পড়ার মতো।
এই ছবিটার সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাফল্যের গভীর যোগাযোগ আছে। একদিকে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, অন্যদিকে রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্প—এই দুই ক্ষেত্রেই বাংলাদেশে মেয়েদের ভূমিকা বিরাট এবং সেই ভূমিকা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সেটা তাঁদের ক্ষমতায়নের পথে বিরাট সহায়। এর সুপ্রভাব পড়েছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো বনিয়াদি সক্ষমতার প্রসারে, আবার সেই সক্ষমতা অর্থনীতি ও রাজনীতিতে মেয়েদের অগ্রগতিকে জোরদার করেছে। ভারতের, বিশেষত উত্তর ভারতের অভিজ্ঞতা এর উল্টো, সেখানে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মেয়েদের প্রাথমিক সক্ষমতা অত্যন্ত কম, তাদের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অবস্থানও অসম্ভব পশ্চাৎপদ। এই বিপুল পশ্চাৎপদতা সত্ত্বেও ভারতীয় রাজনীতিক বা প্রশাসকদের একাংশ বাংলাদেশ সম্পর্কে এখনো যে তাচ্ছিল্যের মনোভাব দেখান, কেউ কেউ অত্যন্ত বেশি মাত্রায় দেখান, সেটা কেবল তাঁদের মানসিক বিরাগ বা সংকীর্ণতার পরিচয় দেয় না, সম্ভবত বাংলাদেশ সম্পর্কে তাঁদের অপরিসীম অজ্ঞতারও প্রমাণ দেয়।
এই অজ্ঞতার জন্য কেবল রাজনীতিকদের দায়ী করলে অন্যায় হবে। ভারতের নাগরিকদের একটা বড় অংশও বাংলাদেশ সম্পর্কে যে ধারণা পোষণ করে, তার পেছনে মান্ধাতা আমলের অর্ধসত্য আছে ভূরি পরিমাণে, প্রকৃত বাস্তবের জ্ঞান তিল পরিমাণেও নেই। এবং এটা খুব দুর্ভাগ্যের কথা যে, পশ্চিমবঙ্গেও এই না-জানা এবং ভুল-জানার প্রকোপ অত্যন্ত বেশি। এ নিয়ে আক্ষেপ করে লাভ নেই, বরং কী করে এই অপরিচয় দূর করা যেতে পারে, সেই বিষয়ে দুই তরফের সমস্ত সুস্থ বুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিকেরই ভাবা দরকার এবং কাজ করা দরকার। এ ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক সমাজের দায় অবশ্যই বেশি। তার কারণ, প্রতিবেশী সম্পর্কে তার অজ্ঞতা অনেক বেশি। বিশেষ করে প্রতিবেশী অর্থনীতি ও সমাজের বাস্তব সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গের ধারণাই কেবল অত্যন্ত সীমিত নয়, আগ্রহও খুব কম। বাংলাদেশ দ্রুত এগোচ্ছে, তাই তার সম্পর্কে আগ্রহী হলে আখেরে পশ্চিমবঙ্গের প্রভূত লাভ হবে বলে মনে করি।
অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়
সাবেক সম্পাদক, আনন্দবাজার পত্রিকা
এখন রাজনীতির এক গতিময়তার সময়। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের গণতন্ত্রহীন কর্তৃত্ববাদী দুর্নীতিপরায়ণ শাসন ছাত্র আন্দোলনে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী শাসনকালে দ্রুততার সঙ্গে নানা রকম রাজনৈতিক কথাবার্তা, চিন্তা-ভাবনা, চেষ্টা-অপচেষ্টা, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ ঘটছে।
১২ ঘণ্টা আগেবহু বছর আগে সেই ব্রিটিশ যুগে কাজী নজরুল লিখেছিলেন, ‘ক্ষুধাতুর শিশু চায় না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত, একটু নুন।’ আসলে পেটের খিদে নিয়ম, আইন, বিবেক, বিচার কোনো কিছুই মানে না। তাই তো প্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে, খিদের জ্বালা বড় জ্বালা। এর থেকে বোধ হয় আর কোনো অসহায়তা নেই। খালি পেটে কেউ তত্ত্ব শুনতে চায় না। কাওয়ালিও ন
১২ ঘণ্টা আগেতিন বছরের শিশু মুসা মোল্লা ও সাত বছরের রোহান মোল্লা নিষ্পাপ, ফুলের মতো কোমল। কারও সঙ্গে তাদের কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকার কথা নয়। কিন্তু বাবার চরম নিষ্ঠুরতায় পৃথিবী ছাড়তে হয়েছে তাদের। আহাদ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি দুই ছেলেসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করার পর নিজের গলায় নিজে ছুরি চালিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেদলীয় রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তুলনা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন পাশে রেখেই ইউনূস সরকারের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে এর ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার সময়টায়। তবে সাধারণ মানুষ মনে হয় প্রতিদিনই তার জীবনে সরকারের ভূমিকা বিচার করে দেখছে।
১ দিন আগে