বিজন সাহা
ভ্যাকসিন না নেওয়ার ফলেই বাড়ছে মৃত্যুর হার। ইংল্যান্ডে প্রতিদিন রাশিয়ার প্রায় দ্বিগুণ আক্রান্ত হলেও মৃত্যুর সংখ্যা সে তুলনায় নগণ্য। একই কথা বলা যায় অন্যান্য উন্নত দেশের ক্ষেত্রে।
দীর্ঘ গ্রীষ্মের ছুটির পর লোকজন যখন দক্ষিণাঞ্চল এবং বিদেশ থেকে ফিরতে শুরু করেছে, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাশিয়ায় বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা।
বর্তমানে মোট শনাক্তের দিক থেকে রাশিয়া পঞ্চম স্থানে। মোট টেস্ট ২০ কোটি ৭০ লাখ ৬ হাজাার ২৫২টি। এ সংখ্যাটা শুধুই সংখ্যা। এর পেছনে লুকিয়ে আছে অসংখ্য মানুষের কান্না, গবেষকদের বিরামহীন প্রচেষ্টা, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিদ্রাহীন রাত্রি, সরকারের কিছু সাফল্য আর অনেক ব্যর্থতা।
যদিও সরকারের পক্ষ থেকে শুধু বিনা মূল্যে ভ্যাকসিনই দেওয়া হচ্ছে না, লোকজন যাতে ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহী হয়, সে জন্য লটারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেপ্টেম্বরে এই লটারিতে ৪৯৯ জন ১ লাখ রুবল করে পেয়েছে, অক্টোবরের ড্রতে ৫০০ জন পেয়েছে ১ লাখ করে রুবল। হাসপাতাল বা ক্লিনিক তো বটেই, সুপারমার্কেট, স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন জনবহুল স্থানে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে, কিন্তু লোকজনের মধ্যে আগ্রহ তেমন দেখা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত দুই ডোজ করে ভ্যাকসিন নিয়েছে ৪৭ মিলিয়ন মানুষ, যা মোট জনসংখ্যার ৩৩ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে স্কুল খোলার পরেও অনেক জায়গায় সবাইকে ঘরে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্যাফে, বার, সিনেমা, থিয়েটার—সব জায়গায় বিভিন্ন ধরনের রেস্ট্রিকশন। ইতিমধ্যে ৩০ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো কোনো জায়গায়, যেখানে করোনার প্রকোপ বেশি, সেখানে ২৪ অক্টোবর থেকে ছুটি শুরু হয়েছে, যাতে ষাটোর্ধ্ব লোকজন ইচ্ছেমতো ঘোরাফেরা না করে, সে জন্য ৮ নভেম্বর থেকে তাদের পাবলিক ট্রান্সপোর্টের মান্থলি স্থগিত করা হবে। হাসপাতাল, ওষুধ, খাবারের দোকান বাদে আর সবকিছুই বন্ধ। রেস্টুরেন্ট কাজ করবে হোম ডেলিভারি সিস্টেমে। অনলাইন ডেলিভারি অব্যাহত থাকবে; বিশেষ করে নতুন স্ট্রেইন এওয়াই ৪.২ শনাক্ত করার পরে আবার নতুন করে শুরু হচ্ছে লকডাউনের পালা।
কার জন্য ওই ঘণ্টা বাজছে? হেমিংওয়ে বলেছিলেন, তোমার নিজের জন্য। ভোগবাদী সমাজে মানুষ মৃত্যুতে বিশ্বাস করে না, তাই ওই করোনা যে তার জন্যও দাঁড়িয়ে আছে, সেটা সে ভাবে না। রাজা যুধিষ্ঠিরের মতে, প্রতিদিন চারদিকে এত মানুষকে মরতে দেখেও মানুষ নিজের মৃত্যু নিয়ে ভাবে না, সেটাই বড় আশ্চর্য। সোভিয়েত আমল হলে কেউ কাউকে জিজ্ঞেস করত না, অনেক আগেই হার্ড ইমিউনিটি গড়তে যত মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া দরকার, সেটা দেওয়া হতো। লোকজন এমনিতেই আসত। স্বাধীনতার এই এক বড় সমস্যা—লোকজন নিজের অধিকার দাবি করলেও অন্যের অধিকার নিশ্চিত করার ব্যাপারে একেবারেই অনাগ্রহী। সেটা সব বিষয়েই। আমার অনুভূতিতে যাতে আঘাত না লাগে, সে জন্য আমার যে উচিত অন্যের অনুভূতিতে আঘাত না দেওয়া আর আমি যাতে স্বাধীনভাবে আমার ধর্ম পালন করতে পারি, সে জন্য যে দরকার অন্যের ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া—এই সোজা হিসাবের কথা নাই বা বললাম। কিন্তু এটাও তো ঠিক, আমি ভ্যাকসিন না নিয়ে শুধু নিজেকেই বিপদে ফেলি না, চারপাশের অসংখ্য মানুষের জন্য বিপদ বয়ে আনি। গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত মস্কোসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০ দিনের সবেতন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেটা করা হয়েছে, যাতে মানুষ ঘরে থাকে। কিন্তু বাস্তবে কী ঘটছে? খবরে দেখলাম, এই ছুটিতে সোচি ১ লাখের বেশি লোকের আগমনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। অনেকেই যাচ্ছে তুরস্ক ও মিসরে। এর ফলে এক সপ্তাহের ট্যুর প্যাকেজের মূল্য ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ রুবল, মানে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার ডলার। এতে করে সরকারের ওপর চাপ আরও বাড়ছে। চাপ বাড়ছে হাসপাতাল আর স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর। এই ছুটি দেওয়া হয়েছিল করোনার বৃদ্ধি কমাতে, কিন্তু সেটা হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা বেশ। কেননা, প্রতিবারই এসব ছুটির পর হু হু করে বাড়ে করোনার প্রকোপ। পকেটের পয়সা খরচ করে করোনার সঙ্গে মোলাকাত করার এই আগ্রহটা বেশ সংক্রামক। কে জানে এরা কবিগুরুর সেই গান থেকে উৎসাহ পায় কি না—`আমি ভয় করব না ভয় করব না দু বেলা মরার আগে মরব না, ভাই, মরব না।' করোনার শুরুতে রাশিয়া বেশ ভালোভাবেই সেটা মোকাবিলা করেছে, সবার আগে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে; অথচ যতই দিন যাচ্ছে, ততই করোনার চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে তারা। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার করে মানুষ মরছে। ফলে বিগত কয়েক বছরে জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য এদের সব প্রচেষ্টা প্রায় নাই হয়ে যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় অনেকে কঠোর লকডাউনের কথা বলছে। তবে রাশিয়ায় কখনোই সেটা আরোপ করা হয়নি।
সারা বিশ্বের কাছে রাশিয়া টোটালিটারিয়ান স্টেট হিসেবে গণ্য হলেও করোনার ক্ষেত্রে এরা প্রচণ্ড লিবারেল। যদি সরকার এ ব্যাপারে কঠিন হতো, ঘোষণা করত যেমন— যারা ভ্যাকসিন নেয়নি, আগামী জানুয়ারি থেকে তাদের করোনার চিকিৎসা বিনা মূল্যে হবে না, আগামী জানুয়ারি থেকে ভ্যাকসিন দিতে হবে শুধুই পয়সার বিনিময়ে ইত্যাদি, তবে হয়তো এত দিনে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়ে যেত। ভ্যাকসিন না নেওয়ার কারণেই বাড়ছে মৃত্যুর হার। ইংল্যান্ডে প্রতিদিন রাশিয়ার প্রায় দ্বিগুণ আক্রান্ত হলেও মৃত্যুর সংখ্যা সে তুলনায় নগণ্য। একই কথা বলা যায় অন্যান্য উন্নত দেশের ক্ষেত্রে। গত দুই বছরে করোনা মোকাবিলায় সরকার কার্পণ্য করেনি; অথচ যদি মাস্ক, ভ্যাকসিন, লকডাউন—এসব ব্যাপারে কড়া হতো, আজ এ অবস্থা হতো না।
তাই ধর্মীয় উন্মাদনা, সাম্প্রদায়িকতার মতো করোনার কালো থাবা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমাদের চাই সেই শিক্ষাব্যবস্থা, যা মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক করবে, ব্যক্তিস্বার্থের পাশাপাশি সমষ্টির স্বার্থের কথাও ভাবতে শেখাবে। হয়তো এটা হবে পুঁজিবাদ আর সমাজতন্ত্রের সমন্বয়ে এক গণতান্ত্রিক পথ।
লেখক: গবেষক, জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ, দুবনা, রাশিয়া।
ভ্যাকসিন না নেওয়ার ফলেই বাড়ছে মৃত্যুর হার। ইংল্যান্ডে প্রতিদিন রাশিয়ার প্রায় দ্বিগুণ আক্রান্ত হলেও মৃত্যুর সংখ্যা সে তুলনায় নগণ্য। একই কথা বলা যায় অন্যান্য উন্নত দেশের ক্ষেত্রে।
দীর্ঘ গ্রীষ্মের ছুটির পর লোকজন যখন দক্ষিণাঞ্চল এবং বিদেশ থেকে ফিরতে শুরু করেছে, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাশিয়ায় বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা।
বর্তমানে মোট শনাক্তের দিক থেকে রাশিয়া পঞ্চম স্থানে। মোট টেস্ট ২০ কোটি ৭০ লাখ ৬ হাজাার ২৫২টি। এ সংখ্যাটা শুধুই সংখ্যা। এর পেছনে লুকিয়ে আছে অসংখ্য মানুষের কান্না, গবেষকদের বিরামহীন প্রচেষ্টা, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিদ্রাহীন রাত্রি, সরকারের কিছু সাফল্য আর অনেক ব্যর্থতা।
যদিও সরকারের পক্ষ থেকে শুধু বিনা মূল্যে ভ্যাকসিনই দেওয়া হচ্ছে না, লোকজন যাতে ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহী হয়, সে জন্য লটারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেপ্টেম্বরে এই লটারিতে ৪৯৯ জন ১ লাখ রুবল করে পেয়েছে, অক্টোবরের ড্রতে ৫০০ জন পেয়েছে ১ লাখ করে রুবল। হাসপাতাল বা ক্লিনিক তো বটেই, সুপারমার্কেট, স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন জনবহুল স্থানে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে, কিন্তু লোকজনের মধ্যে আগ্রহ তেমন দেখা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত দুই ডোজ করে ভ্যাকসিন নিয়েছে ৪৭ মিলিয়ন মানুষ, যা মোট জনসংখ্যার ৩৩ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে স্কুল খোলার পরেও অনেক জায়গায় সবাইকে ঘরে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্যাফে, বার, সিনেমা, থিয়েটার—সব জায়গায় বিভিন্ন ধরনের রেস্ট্রিকশন। ইতিমধ্যে ৩০ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো কোনো জায়গায়, যেখানে করোনার প্রকোপ বেশি, সেখানে ২৪ অক্টোবর থেকে ছুটি শুরু হয়েছে, যাতে ষাটোর্ধ্ব লোকজন ইচ্ছেমতো ঘোরাফেরা না করে, সে জন্য ৮ নভেম্বর থেকে তাদের পাবলিক ট্রান্সপোর্টের মান্থলি স্থগিত করা হবে। হাসপাতাল, ওষুধ, খাবারের দোকান বাদে আর সবকিছুই বন্ধ। রেস্টুরেন্ট কাজ করবে হোম ডেলিভারি সিস্টেমে। অনলাইন ডেলিভারি অব্যাহত থাকবে; বিশেষ করে নতুন স্ট্রেইন এওয়াই ৪.২ শনাক্ত করার পরে আবার নতুন করে শুরু হচ্ছে লকডাউনের পালা।
কার জন্য ওই ঘণ্টা বাজছে? হেমিংওয়ে বলেছিলেন, তোমার নিজের জন্য। ভোগবাদী সমাজে মানুষ মৃত্যুতে বিশ্বাস করে না, তাই ওই করোনা যে তার জন্যও দাঁড়িয়ে আছে, সেটা সে ভাবে না। রাজা যুধিষ্ঠিরের মতে, প্রতিদিন চারদিকে এত মানুষকে মরতে দেখেও মানুষ নিজের মৃত্যু নিয়ে ভাবে না, সেটাই বড় আশ্চর্য। সোভিয়েত আমল হলে কেউ কাউকে জিজ্ঞেস করত না, অনেক আগেই হার্ড ইমিউনিটি গড়তে যত মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া দরকার, সেটা দেওয়া হতো। লোকজন এমনিতেই আসত। স্বাধীনতার এই এক বড় সমস্যা—লোকজন নিজের অধিকার দাবি করলেও অন্যের অধিকার নিশ্চিত করার ব্যাপারে একেবারেই অনাগ্রহী। সেটা সব বিষয়েই। আমার অনুভূতিতে যাতে আঘাত না লাগে, সে জন্য আমার যে উচিত অন্যের অনুভূতিতে আঘাত না দেওয়া আর আমি যাতে স্বাধীনভাবে আমার ধর্ম পালন করতে পারি, সে জন্য যে দরকার অন্যের ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া—এই সোজা হিসাবের কথা নাই বা বললাম। কিন্তু এটাও তো ঠিক, আমি ভ্যাকসিন না নিয়ে শুধু নিজেকেই বিপদে ফেলি না, চারপাশের অসংখ্য মানুষের জন্য বিপদ বয়ে আনি। গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত মস্কোসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০ দিনের সবেতন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেটা করা হয়েছে, যাতে মানুষ ঘরে থাকে। কিন্তু বাস্তবে কী ঘটছে? খবরে দেখলাম, এই ছুটিতে সোচি ১ লাখের বেশি লোকের আগমনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। অনেকেই যাচ্ছে তুরস্ক ও মিসরে। এর ফলে এক সপ্তাহের ট্যুর প্যাকেজের মূল্য ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ রুবল, মানে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার ডলার। এতে করে সরকারের ওপর চাপ আরও বাড়ছে। চাপ বাড়ছে হাসপাতাল আর স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর। এই ছুটি দেওয়া হয়েছিল করোনার বৃদ্ধি কমাতে, কিন্তু সেটা হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা বেশ। কেননা, প্রতিবারই এসব ছুটির পর হু হু করে বাড়ে করোনার প্রকোপ। পকেটের পয়সা খরচ করে করোনার সঙ্গে মোলাকাত করার এই আগ্রহটা বেশ সংক্রামক। কে জানে এরা কবিগুরুর সেই গান থেকে উৎসাহ পায় কি না—`আমি ভয় করব না ভয় করব না দু বেলা মরার আগে মরব না, ভাই, মরব না।' করোনার শুরুতে রাশিয়া বেশ ভালোভাবেই সেটা মোকাবিলা করেছে, সবার আগে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে; অথচ যতই দিন যাচ্ছে, ততই করোনার চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে তারা। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার করে মানুষ মরছে। ফলে বিগত কয়েক বছরে জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য এদের সব প্রচেষ্টা প্রায় নাই হয়ে যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় অনেকে কঠোর লকডাউনের কথা বলছে। তবে রাশিয়ায় কখনোই সেটা আরোপ করা হয়নি।
সারা বিশ্বের কাছে রাশিয়া টোটালিটারিয়ান স্টেট হিসেবে গণ্য হলেও করোনার ক্ষেত্রে এরা প্রচণ্ড লিবারেল। যদি সরকার এ ব্যাপারে কঠিন হতো, ঘোষণা করত যেমন— যারা ভ্যাকসিন নেয়নি, আগামী জানুয়ারি থেকে তাদের করোনার চিকিৎসা বিনা মূল্যে হবে না, আগামী জানুয়ারি থেকে ভ্যাকসিন দিতে হবে শুধুই পয়সার বিনিময়ে ইত্যাদি, তবে হয়তো এত দিনে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়ে যেত। ভ্যাকসিন না নেওয়ার কারণেই বাড়ছে মৃত্যুর হার। ইংল্যান্ডে প্রতিদিন রাশিয়ার প্রায় দ্বিগুণ আক্রান্ত হলেও মৃত্যুর সংখ্যা সে তুলনায় নগণ্য। একই কথা বলা যায় অন্যান্য উন্নত দেশের ক্ষেত্রে। গত দুই বছরে করোনা মোকাবিলায় সরকার কার্পণ্য করেনি; অথচ যদি মাস্ক, ভ্যাকসিন, লকডাউন—এসব ব্যাপারে কড়া হতো, আজ এ অবস্থা হতো না।
তাই ধর্মীয় উন্মাদনা, সাম্প্রদায়িকতার মতো করোনার কালো থাবা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমাদের চাই সেই শিক্ষাব্যবস্থা, যা মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক করবে, ব্যক্তিস্বার্থের পাশাপাশি সমষ্টির স্বার্থের কথাও ভাবতে শেখাবে। হয়তো এটা হবে পুঁজিবাদ আর সমাজতন্ত্রের সমন্বয়ে এক গণতান্ত্রিক পথ।
লেখক: গবেষক, জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ, দুবনা, রাশিয়া।
পৃথিবীকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে নতুন বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শূন্য বর্জ্য, শূন্য কার্বন ও শূন্য বেকারত্ব’র তত্ত্ব তুলে ধরেছেন বিশ্ববাসীর সামনে।
১০ ঘণ্টা আগেমাঝে মাঝে মনে হয়, করোনাকালই বোধহয় ভালো ছিল। শাটডাউনে সব বন্ধ, রাস্তায় যানবাহন নেই, মানুষের চলাচল সীমিত, যারাও বাইরে যাচ্ছে তাদের মুখে মাস্ক পরা। রাস্তার ধারের গাছগুলোতে ধুলার পর্দা পড়ছে না, কলকারখানার চোঙা দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে না, বায়ুদূষণও কমে এসেছে। এক অদেখা জীবাণুর আতঙ্কে আমাদের কী দুঃসময়ই না কেট
১০ ঘণ্টা আগেতিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে রণদা প্রসাদ সাহা ছিলেন মেজ। মা কুমুদিনী দেবীর গভীর স্নেহে বড় হয়ে উঠলেও মায়ের সঙ্গটুকু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি; সাত বছর বয়সেই মাকে হারান তিনি।
১০ ঘণ্টা আগেমঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তান ও ফার্মগেটে হকার উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। ঢাকার ফুটপাত ও রাস্তার একটা অংশ যেভাবে হকাররা দখল করে রাখেন, তাতে চলাচলে অসুবিধা হয় রাজধানীবাসীর। তাই ব্যস্ত সড়ক হকারমুক্ত করতে পারলে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী সাধুবাদ পাবে।
১০ ঘণ্টা আগে