মর্তুজা হাসান সৈকত
সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বিশ্বব্যাপী তেমন কোনো কূটনৈতিক তৎপরতা নেই। দেশটিতে সামরিক সরকার ক্ষমতা দখল করায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া একপ্রকার অনিশ্চিত হয়ে গেছে। সেনা অভ্যুত্থানের পর প্রথম দিকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ফেরত নেওয়ার কথা কয়েকবার শোনা গেলেও এখন আর শোনা যায় না; বরং হালে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের মুখে উল্টো সুর শোনা যাচ্ছে। চীনের টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর মিয়ানমারে ফেরতের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন দেশটির সামরিক জান্তা সরকারের প্রধান মিন
অং হ্লাইং।
অন্যদিকে, জনগণের বিদ্রোহ, প্রতিবাদ চলতে থাকায় সামরিক কর্তৃপক্ষও অজুহাত পেয়ে গেছে। তা ছাড়া, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক জনমতও এখন তেমন সোচ্চার নয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়টি আর জোরালোভাবে আলোচনায় আসছে না। সমস্যাটির প্রকৃত সমাধানের ব্যাপারে জাতিসংঘ, বিশ্বসম্প্রদায় অনেকটাই নিশ্চুপ এখন।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে তথাকথিত আরসা নাটকের মাধ্যমে রোহিঙ্গা নিধন শুরু হলে পরবর্তী কয়েক মাসে দফায় দফায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। এ ছাড়া, গত ৫০ বছরে আরও তিন দফায় প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে ঢুকেছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। প্রতিবারই সহিংসতা এড়াতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকলেও এসব সহিংসতা ও নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করে গেছে মিয়ানমার সরকার।
বংশপরম্পরায় হাজার বছর ধরে বসবাস করা একটি জাতিগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রহীন করার সময় কোনো দেশ কিংবা আন্তর্জাতিক সংস্থা মোটাদাগে বলার মতো কোনো প্রতিবাদ করেনি। জাতিসংঘও তখন রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বাংলাদেশ প্রতিবার নেহাতই মানবিকতার প্রশ্নে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। তবে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকার এই শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক অভিযানও জোরদার করে।
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে শুরু থেকেই মাঠে রেফারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া চীনের ভূমিকার ওপর জোর দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু চীনের পক্ষপাত সব সময়ই মিয়ানমারের দিকে। প্রথম থেকেই চীন বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে উপস্থাপনের পরিবর্তে দ্বিপক্ষীয় সমাধানের পক্ষে। যেন বিশ্ববাসীর দৃষ্টি ভিন্ন খাতে যায়। রোহিঙ্গা সংকটে চীন কখনোই মানবিক ও সমাধানযোগ্য সদিচ্ছা দেখায়নি, শুধু নিজেদের স্বার্থটাই দেখেছে। নিরাপত্তা পরিষদে তারা বারবার ভেটো প্রয়োগ করেছে, প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছে। অন্যদিকে, দেশটি বাংলাদেশকে বারবার আশ্বস্ত করলেও শুধু তাদের আশকারা পেয়েই মিয়ানমার নানা অজুহাতে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ঝুলিয়ে রেখেছে। একপর্যায়ে চাপ দিয়ে চুক্তি করিয়েছে। অন্তরালে থেকে প্রত্যাবাসন নাটকও করিয়েছে। তদুপরি, জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও চীন ও রাশিয়ার ভূমিকার কারণে নিরাপত্তা পরিষদ কোনো রকম ব্যবস্থা নিতে পারেনি। যদিও গাম্বিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শুনানিতে সম্মতি দেয়।
তবে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অন্তর্বর্তী আদেশ দেওয়ার সময়টায় মিয়ানমারকে সাহস জোগাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেশটি সফর করেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। তখন মিয়ানমারের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে রাখাইনে গভীর সমুদ্রবন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ কয়েক শ কোটি ডলার প্রকল্পের চুক্তিও সই করে চীন। ব্যাপারটা এমন যে, যখনই মিয়ানমারের অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক মদদ প্রয়োজন পড়ে, চীন তখনই হাজির। রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় হেগের আদালতের অন্তর্বর্তী আদেশ এসেছিল ২৩ জানুয়ারি। অন্যদিকে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং দেশটি সফর করেন ১৭ জানুয়ারি। এসব ঘটনাক্রম বিশ্লেষণ করলে বুঝতে সমস্যা হয় না যে, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকট থেকে সেদিনই পরিত্রাণ পাবে, যদি কোনো দিন চীন আন্তরিকভাবে চায়। চীন চাইলে রাশিয়াও চাইবে। জাপান
বা ভারতের অবস্থান এখানে তেমন প্রভাব ফেলতে পারবে না।
বছর চারেক আগে ভারত রাখাইনের রাজধানী শহর সিটওয়ে-তে যেখানে কালাদান নদী সমুদ্রে মিশেছে, সেখানে একটি বন্দর তৈরি করেছিল। কিন্তু বঙ্গোপসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় নিজের প্রভাব বাড়াতে কেয়াকপুতে চীন এমনভাবে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি করছে, যাতে সিটওয়ে বন্দর ষোলো আনাই গুরুত্বহীন হয়ে যায়। অন্যদিকে আরেকটি ব্যাপার হলো, দীর্ঘদিন ধরে ভারত মিয়ানমারের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুললেও চীনের কবজা থেকে সিকিভাগও কখনো বের করে আনতে পারেনি।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন খেলায় মিয়ানমারের পক্ষে মূল খেলোয়াড় হচ্ছে চীন। রাশিয়া স্ট্যান্ডবাই, ডাক পড়লেই মাঠে এসে চীনের শক্তি বৃদ্ধি করে। তদুপরি, দীর্ঘ সময় ধরে মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের ক্ষমতার উৎস চীন। চীনই বিশ্ব মতামত উপেক্ষা করে তাদের টিকিয়ে রেখেছে। আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে, কোয়াড জোটের সদস্য জাপানও রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পক্ষে দল ভারী করেছে।
মূলত, চীন-জাপান-রাশিয়া সবাই তার নিজের স্বার্থেই মিয়ানমারকে রক্ষা করতে চাইছে। রাশিয়া মিয়ানমারের অস্ত্রের বাজার দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। নজর আছে খনিজ সম্পদের দিকেও। ইতিমধ্যে রাশিয়ার তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ‘গ্যাসপম’ মিয়ানমারে অফিস খুলেছে। অন্যদিকে, অং সান সু চির সময়ে, বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলে প্রচুর অর্থ লগ্নি করেছে জাপান। পাশাপাশি রাখাইনের মংডুর কাছাকাছি পরিকল্পিত ইকোনমিক জোনে জাপান বিশাল লগ্নিরও পরিকল্পনা করেছে। জাপান জান্তা সরকারের প্রতি সমর্থন না জানালেও খুব একটা বিরোধিতাও করেনি। বর্তমানে চীন-রাশিয়া-জাপান তিন শক্তির প্রতিযোগিতার কারণে মিয়ানমারের একসময়ের সবচেয়ে গরিব অঞ্চল রাখাইন এখন অন্যতম ভূ-কৌশলগত ভূমি হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে।
তবে মিয়ানমার সব সময়ই চীনের ওপর নির্ভরশীল থেকেছে। অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে সৃষ্ট নতুন ভূ-রাজনৈতিক ইকুয়েশনের কারণে চীনও মিয়ানমারের ওপর নির্ভরতা দিন দিন বাড়াচ্ছে। মিয়ানমারের শাসকেরা এ সুবিধাই ভালোভাবে কাজে লাগাচ্ছেন। বিশ্বে প্রভাব বিস্তারে চীনের বিআরআই প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ ধরা হয় মিয়ানমারকে। এটা হচ্ছে ভারত মহাসাগরে চীনের প্রবেশদ্বার। ফলে, চীন নিজের অনুকূল ভূ-রাজনৈতিক যোগ-বিয়োগ থেকে আন্তর্জাতিক আঙিনায় মিয়ানমারের ঢাল হচ্ছে বারবার। এর বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে যা চেয়েছে, তা-ই পেয়েছে চীন।
চীনের নতুন ভূ-কৌশলগত পরিকল্পনা ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ বা বিআরআইয়ের যাত্রা শুরুর পর থেকে মিয়ানমারের বঙ্গোপসাগরতীরের রাখাইন (আরাকান) অঞ্চল বিশ্বের অন্যতম কৌশলগত ভূমিতে পরিণত হয়েছে। রাখাইন-ইউনান গ্যাস পাইপলাইন ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করা তেল পরিবহনের জন্য পাইপলাইন আছে একই পথে। আছে চীনের তৈরি গভীর সমুদ্রবন্দর এবং নির্মাণাধীন রেল ও সড়ক সংযোগ। আফ্রিকা, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যে এ পথের গুরুত্ব দিন দিন বাড়বে।
মুক্তিযুদ্ধে চীনের তৈরি যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করেই পাকিস্তান বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। সে সময় পাকিস্তানকে সর্বাত্মকভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে চীন। তখন চীন ভারতীয় সীমান্তে প্রচুর সৈন্য মোতায়েন করেছিল বাংলাদেশকে অকুণ্ঠ সমর্থন দেওয়া ভারতের প্রতি চাপ প্রয়োগ করতে। শুধু তা–ই নয়, স্বাধীনতার পরও চীন নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে বাংলাদেশের জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রাপ্তির পথ রুদ্ধ করে রেখেছিল। পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিলে বঙ্গবন্ধু লাহোরে ওআইসির সম্মেলনে যোগ দেন। তারপরই মূলত চীন ভেটো তুলে নেয়। তবে বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকাবস্থায় বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করার মাত্র ১৬ দিনের মাথায় বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় দেশটি। অন্যদিকে, বাংলাদেশের জন্য বিষফোড়া হয়ে দাঁড়ানো রোহিঙ্গা সমস্যা জিইয়ে রাখতেও মূল ভূমিকা রাখছে দেশটি। কাগজে-কলমে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয় দেশের সঙ্গেই চীন ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে চললেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, চীন রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর যে ধরনের চাপ সৃষ্টি করার কথা, নিজেদের কৌশলগত স্বার্থের কারণে তা করছে না।
বর্তমান পৃথিবীতে ‘চীনা ফাঁদ’ বলে একটি কথা প্রচলিত আছে। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ আফ্রিকার বহু দেশ চীন থেকে ঋণ নিয়ে ‘ফাঁদে’ আটকা পড়েছে। বাংলাদেশেও চীনের ঋণ আছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিষ্কার করে বলেছেন, বাংলাদেশ চীনের ‘ঋণ ফাঁদে’ আটকা পড়েনি, পড়বেও না। কিন্তু চীনের ঋণের ফাঁদে আটকা না পড়লেও বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে ‘চায়না ফাঁদে’ যে আটকে গেছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। অন্যদিকে, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চল কক্সবাজারে ফিলিস্তিনের মতো একটি পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে আরও বড় ফাঁদে ফেলে বিশেষ সুবিধা আদায় করা চীনের পরিকল্পনার মধ্যে আছে কি না, সেটাও ভাবনায় নিতে হবে। ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে যেসব যুক্তি সামনে আসছে, তাতে এটা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তা ছাড়া, এটাও মনে রাখা দরকার, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে যাওয়া পাকিস্তানিদের যেখানে এখনো ফেরত পাঠানো যায়নি, সেখানে এই বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ফেরত পাঠানো যাবে–সেটারই ভরসা কোথায়?
রোহিঙ্গা সংকটে এ পর্যন্ত চীনের অবস্থান হতাশাব্যঞ্জক। দুই দেশের সঙ্গেই যেহেতু চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান, উদীয়মান পরাশক্তি হিসেবে তাই এ গুরুতর সমস্যা সমাধানে তাদের কাছে আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে বাস্তুচ্যুত হওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর কাছে মিয়ানমার যেমন দুঃস্বপ্নের অপর নাম, ঠিক তেমনি বাংলাদেশের জন্যও চীন এক আক্ষেপ ও দীর্ঘশ্বাসের কারণ হয়ে আবির্ভূত হয়েছে!
লেখক: কবি, কলামিস্ট
সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বিশ্বব্যাপী তেমন কোনো কূটনৈতিক তৎপরতা নেই। দেশটিতে সামরিক সরকার ক্ষমতা দখল করায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া একপ্রকার অনিশ্চিত হয়ে গেছে। সেনা অভ্যুত্থানের পর প্রথম দিকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ফেরত নেওয়ার কথা কয়েকবার শোনা গেলেও এখন আর শোনা যায় না; বরং হালে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের মুখে উল্টো সুর শোনা যাচ্ছে। চীনের টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর মিয়ানমারে ফেরতের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন দেশটির সামরিক জান্তা সরকারের প্রধান মিন
অং হ্লাইং।
অন্যদিকে, জনগণের বিদ্রোহ, প্রতিবাদ চলতে থাকায় সামরিক কর্তৃপক্ষও অজুহাত পেয়ে গেছে। তা ছাড়া, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক জনমতও এখন তেমন সোচ্চার নয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়টি আর জোরালোভাবে আলোচনায় আসছে না। সমস্যাটির প্রকৃত সমাধানের ব্যাপারে জাতিসংঘ, বিশ্বসম্প্রদায় অনেকটাই নিশ্চুপ এখন।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে তথাকথিত আরসা নাটকের মাধ্যমে রোহিঙ্গা নিধন শুরু হলে পরবর্তী কয়েক মাসে দফায় দফায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। এ ছাড়া, গত ৫০ বছরে আরও তিন দফায় প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে ঢুকেছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। প্রতিবারই সহিংসতা এড়াতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকলেও এসব সহিংসতা ও নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করে গেছে মিয়ানমার সরকার।
বংশপরম্পরায় হাজার বছর ধরে বসবাস করা একটি জাতিগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রহীন করার সময় কোনো দেশ কিংবা আন্তর্জাতিক সংস্থা মোটাদাগে বলার মতো কোনো প্রতিবাদ করেনি। জাতিসংঘও তখন রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বাংলাদেশ প্রতিবার নেহাতই মানবিকতার প্রশ্নে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। তবে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকার এই শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক অভিযানও জোরদার করে।
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে শুরু থেকেই মাঠে রেফারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া চীনের ভূমিকার ওপর জোর দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু চীনের পক্ষপাত সব সময়ই মিয়ানমারের দিকে। প্রথম থেকেই চীন বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে উপস্থাপনের পরিবর্তে দ্বিপক্ষীয় সমাধানের পক্ষে। যেন বিশ্ববাসীর দৃষ্টি ভিন্ন খাতে যায়। রোহিঙ্গা সংকটে চীন কখনোই মানবিক ও সমাধানযোগ্য সদিচ্ছা দেখায়নি, শুধু নিজেদের স্বার্থটাই দেখেছে। নিরাপত্তা পরিষদে তারা বারবার ভেটো প্রয়োগ করেছে, প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছে। অন্যদিকে, দেশটি বাংলাদেশকে বারবার আশ্বস্ত করলেও শুধু তাদের আশকারা পেয়েই মিয়ানমার নানা অজুহাতে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ঝুলিয়ে রেখেছে। একপর্যায়ে চাপ দিয়ে চুক্তি করিয়েছে। অন্তরালে থেকে প্রত্যাবাসন নাটকও করিয়েছে। তদুপরি, জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও চীন ও রাশিয়ার ভূমিকার কারণে নিরাপত্তা পরিষদ কোনো রকম ব্যবস্থা নিতে পারেনি। যদিও গাম্বিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শুনানিতে সম্মতি দেয়।
তবে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অন্তর্বর্তী আদেশ দেওয়ার সময়টায় মিয়ানমারকে সাহস জোগাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেশটি সফর করেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। তখন মিয়ানমারের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে রাখাইনে গভীর সমুদ্রবন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ কয়েক শ কোটি ডলার প্রকল্পের চুক্তিও সই করে চীন। ব্যাপারটা এমন যে, যখনই মিয়ানমারের অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক মদদ প্রয়োজন পড়ে, চীন তখনই হাজির। রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় হেগের আদালতের অন্তর্বর্তী আদেশ এসেছিল ২৩ জানুয়ারি। অন্যদিকে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং দেশটি সফর করেন ১৭ জানুয়ারি। এসব ঘটনাক্রম বিশ্লেষণ করলে বুঝতে সমস্যা হয় না যে, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকট থেকে সেদিনই পরিত্রাণ পাবে, যদি কোনো দিন চীন আন্তরিকভাবে চায়। চীন চাইলে রাশিয়াও চাইবে। জাপান
বা ভারতের অবস্থান এখানে তেমন প্রভাব ফেলতে পারবে না।
বছর চারেক আগে ভারত রাখাইনের রাজধানী শহর সিটওয়ে-তে যেখানে কালাদান নদী সমুদ্রে মিশেছে, সেখানে একটি বন্দর তৈরি করেছিল। কিন্তু বঙ্গোপসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় নিজের প্রভাব বাড়াতে কেয়াকপুতে চীন এমনভাবে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি করছে, যাতে সিটওয়ে বন্দর ষোলো আনাই গুরুত্বহীন হয়ে যায়। অন্যদিকে আরেকটি ব্যাপার হলো, দীর্ঘদিন ধরে ভারত মিয়ানমারের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুললেও চীনের কবজা থেকে সিকিভাগও কখনো বের করে আনতে পারেনি।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন খেলায় মিয়ানমারের পক্ষে মূল খেলোয়াড় হচ্ছে চীন। রাশিয়া স্ট্যান্ডবাই, ডাক পড়লেই মাঠে এসে চীনের শক্তি বৃদ্ধি করে। তদুপরি, দীর্ঘ সময় ধরে মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের ক্ষমতার উৎস চীন। চীনই বিশ্ব মতামত উপেক্ষা করে তাদের টিকিয়ে রেখেছে। আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে, কোয়াড জোটের সদস্য জাপানও রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পক্ষে দল ভারী করেছে।
মূলত, চীন-জাপান-রাশিয়া সবাই তার নিজের স্বার্থেই মিয়ানমারকে রক্ষা করতে চাইছে। রাশিয়া মিয়ানমারের অস্ত্রের বাজার দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। নজর আছে খনিজ সম্পদের দিকেও। ইতিমধ্যে রাশিয়ার তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ‘গ্যাসপম’ মিয়ানমারে অফিস খুলেছে। অন্যদিকে, অং সান সু চির সময়ে, বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলে প্রচুর অর্থ লগ্নি করেছে জাপান। পাশাপাশি রাখাইনের মংডুর কাছাকাছি পরিকল্পিত ইকোনমিক জোনে জাপান বিশাল লগ্নিরও পরিকল্পনা করেছে। জাপান জান্তা সরকারের প্রতি সমর্থন না জানালেও খুব একটা বিরোধিতাও করেনি। বর্তমানে চীন-রাশিয়া-জাপান তিন শক্তির প্রতিযোগিতার কারণে মিয়ানমারের একসময়ের সবচেয়ে গরিব অঞ্চল রাখাইন এখন অন্যতম ভূ-কৌশলগত ভূমি হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে।
তবে মিয়ানমার সব সময়ই চীনের ওপর নির্ভরশীল থেকেছে। অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে সৃষ্ট নতুন ভূ-রাজনৈতিক ইকুয়েশনের কারণে চীনও মিয়ানমারের ওপর নির্ভরতা দিন দিন বাড়াচ্ছে। মিয়ানমারের শাসকেরা এ সুবিধাই ভালোভাবে কাজে লাগাচ্ছেন। বিশ্বে প্রভাব বিস্তারে চীনের বিআরআই প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ ধরা হয় মিয়ানমারকে। এটা হচ্ছে ভারত মহাসাগরে চীনের প্রবেশদ্বার। ফলে, চীন নিজের অনুকূল ভূ-রাজনৈতিক যোগ-বিয়োগ থেকে আন্তর্জাতিক আঙিনায় মিয়ানমারের ঢাল হচ্ছে বারবার। এর বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে যা চেয়েছে, তা-ই পেয়েছে চীন।
চীনের নতুন ভূ-কৌশলগত পরিকল্পনা ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ বা বিআরআইয়ের যাত্রা শুরুর পর থেকে মিয়ানমারের বঙ্গোপসাগরতীরের রাখাইন (আরাকান) অঞ্চল বিশ্বের অন্যতম কৌশলগত ভূমিতে পরিণত হয়েছে। রাখাইন-ইউনান গ্যাস পাইপলাইন ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করা তেল পরিবহনের জন্য পাইপলাইন আছে একই পথে। আছে চীনের তৈরি গভীর সমুদ্রবন্দর এবং নির্মাণাধীন রেল ও সড়ক সংযোগ। আফ্রিকা, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যে এ পথের গুরুত্ব দিন দিন বাড়বে।
মুক্তিযুদ্ধে চীনের তৈরি যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করেই পাকিস্তান বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। সে সময় পাকিস্তানকে সর্বাত্মকভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে চীন। তখন চীন ভারতীয় সীমান্তে প্রচুর সৈন্য মোতায়েন করেছিল বাংলাদেশকে অকুণ্ঠ সমর্থন দেওয়া ভারতের প্রতি চাপ প্রয়োগ করতে। শুধু তা–ই নয়, স্বাধীনতার পরও চীন নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে বাংলাদেশের জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রাপ্তির পথ রুদ্ধ করে রেখেছিল। পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিলে বঙ্গবন্ধু লাহোরে ওআইসির সম্মেলনে যোগ দেন। তারপরই মূলত চীন ভেটো তুলে নেয়। তবে বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকাবস্থায় বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করার মাত্র ১৬ দিনের মাথায় বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় দেশটি। অন্যদিকে, বাংলাদেশের জন্য বিষফোড়া হয়ে দাঁড়ানো রোহিঙ্গা সমস্যা জিইয়ে রাখতেও মূল ভূমিকা রাখছে দেশটি। কাগজে-কলমে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয় দেশের সঙ্গেই চীন ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে চললেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, চীন রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর যে ধরনের চাপ সৃষ্টি করার কথা, নিজেদের কৌশলগত স্বার্থের কারণে তা করছে না।
বর্তমান পৃথিবীতে ‘চীনা ফাঁদ’ বলে একটি কথা প্রচলিত আছে। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ আফ্রিকার বহু দেশ চীন থেকে ঋণ নিয়ে ‘ফাঁদে’ আটকা পড়েছে। বাংলাদেশেও চীনের ঋণ আছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিষ্কার করে বলেছেন, বাংলাদেশ চীনের ‘ঋণ ফাঁদে’ আটকা পড়েনি, পড়বেও না। কিন্তু চীনের ঋণের ফাঁদে আটকা না পড়লেও বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে ‘চায়না ফাঁদে’ যে আটকে গেছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। অন্যদিকে, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চল কক্সবাজারে ফিলিস্তিনের মতো একটি পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে আরও বড় ফাঁদে ফেলে বিশেষ সুবিধা আদায় করা চীনের পরিকল্পনার মধ্যে আছে কি না, সেটাও ভাবনায় নিতে হবে। ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে যেসব যুক্তি সামনে আসছে, তাতে এটা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তা ছাড়া, এটাও মনে রাখা দরকার, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে যাওয়া পাকিস্তানিদের যেখানে এখনো ফেরত পাঠানো যায়নি, সেখানে এই বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ফেরত পাঠানো যাবে–সেটারই ভরসা কোথায়?
রোহিঙ্গা সংকটে এ পর্যন্ত চীনের অবস্থান হতাশাব্যঞ্জক। দুই দেশের সঙ্গেই যেহেতু চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান, উদীয়মান পরাশক্তি হিসেবে তাই এ গুরুতর সমস্যা সমাধানে তাদের কাছে আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে বাস্তুচ্যুত হওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর কাছে মিয়ানমার যেমন দুঃস্বপ্নের অপর নাম, ঠিক তেমনি বাংলাদেশের জন্যও চীন এক আক্ষেপ ও দীর্ঘশ্বাসের কারণ হয়ে আবির্ভূত হয়েছে!
লেখক: কবি, কলামিস্ট
এখন রাজনীতির এক গতিময়তার সময়। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের গণতন্ত্রহীন কর্তৃত্ববাদী দুর্নীতিপরায়ণ শাসন ছাত্র আন্দোলনে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী শাসনকালে দ্রুততার সঙ্গে নানা রকম রাজনৈতিক কথাবার্তা, চিন্তা-ভাবনা, চেষ্টা-অপচেষ্টা, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ ঘটছে।
৮ ঘণ্টা আগেবহু বছর আগে সেই ব্রিটিশ যুগে কাজী নজরুল লিখেছিলেন, ‘ক্ষুধাতুর শিশু চায় না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত, একটু নুন।’ আসলে পেটের খিদে নিয়ম, আইন, বিবেক, বিচার কোনো কিছুই মানে না। তাই তো প্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে, খিদের জ্বালা বড় জ্বালা। এর থেকে বোধ হয় আর কোনো অসহায়তা নেই। খালি পেটে কেউ তত্ত্ব শুনতে চায় না। কাওয়ালিও ন
৮ ঘণ্টা আগেতিন বছরের শিশু মুসা মোল্লা ও সাত বছরের রোহান মোল্লা নিষ্পাপ, ফুলের মতো কোমল। কারও সঙ্গে তাদের কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকার কথা নয়। কিন্তু বাবার চরম নিষ্ঠুরতায় পৃথিবী ছাড়তে হয়েছে তাদের। আহাদ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি দুই ছেলেসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করার পর নিজের গলায় নিজে ছুরি চালিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেদলীয় রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তুলনা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন পাশে রেখেই ইউনূস সরকারের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে এর ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার সময়টায়। তবে সাধারণ মানুষ মনে হয় প্রতিদিনই তার জীবনে সরকারের ভূমিকা বিচার করে দেখছে।
১ দিন আগে