লাভা মাহমুদা
প্লে গ্রুপ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা এবং ইংরেজি মাধ্যমের একটি প্রাইভেট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেছেন, ‘শিক্ষক-কর্মচারী, স্কুলঘরের ভাড়া সবকিছু নিয়ে আমরা কী করে বেঁচে আছি, কেউ কি জানে? কত দিন আর এমন দুঃসহ কাল চলবে? একই স্কুলের একজন শিক্ষক বলেছেন, গ্রামে আমার মা-বোনদের দেখতে হয়। ঢাকায় বাসাভাড়া, খাওয়া খরচ আছে। স্কুল, টিউশনি সব বন্ধ। হাতে কোনো টাকাপয়সা নেই। কী করে চলি বলেন তো?’
মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে পরিচিত এই মানুষগুলোর কষ্টের কথা শুনলে যে কারও হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়ে উঠবে। এমনিতেই আমাদের যাপিত জীবনে যন্ত্রণার শেষ নেই, তার ওপর করোনাভাইরাসের কশাঘাতে সবকিছু ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে। একটা কথা শোনা যায় যে, ‘ব্যাঙের ছাতার মতো স্কুল-কলেজ গজিয়েছে দেশে।’ হ্যাঁ, পাড়া-মহল্লায় এই ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলোই জ্ঞান বিতরণের সূতিকাগার; আমাদের সন্তানদের মানুষ হওয়ার প্রথম ধাপ। এসব প্রতিষ্ঠান থেকেই প্রাথমিক শিক্ষার ৩০ শতাংশ পূরণ হয়। বাচ্চারা যখন হাঁটতে শেখে, আধো আধো বুলিতে কথা বলতে শুরু করে, তখন পাড়ার স্কুলেই তাদের শুরু হয় প্রাথমিক শিক্ষার প্রথম পাঠ। টিফিনের সময় পাড়া–মহল্লার স্কুলগুলোর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বাচ্চাদের কিচিরমিচির, কোলাহল মুখরিত দৃশ্য হৃদয়ে দারুণ আনন্দময় অনুভূতি জাগায়।
শিক্ষার মান নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে, কথা আছে। দেশে ১১ ধরনের প্রাথমিক শিক্ষার বেশির ভাগটাই সরকারি ব্যবস্থাপনা বা কারিকুলামের বাইরে। মাঝেমধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কারিকুলামের খসড়া দেওয়া হয়। ব্যস, সে পর্যন্তই। স্কুলগুলো কী পড়ায়, শিক্ষকের মানই বা কেমন, ব্যবস্থাপনা কেমন—সেসবে সরকারের কোনো নজরদারি নেই। অবশ্য সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন আছে। অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা বরং এটাও বলেন, প্রাইভেট স্কুলগুলোতে যতটা যত্ন এবং আন্তরিকতা নিয়ে পাঠ দেওয়া হয় সরকারি এবং ক্ষেত্রবিশেষে বেসরকারি স্কুলগুলোতে তেমনটা হয় না (ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে)। এর যৌক্তিক কারণও আছে। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তীব্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে টিকে থাকতে হয়, যা সরকারি স্কুল-কলেজের ক্ষেত্রে ঘটে না।
এসব বিতর্ক দূরে সরিয়ে রেখে বরং এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের দুঃসহ জীবনযাপনের কথা বলা যেতে পারে। খুব নামকরা কয়েকটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ছাড়া বাকিদের অর্থনৈতিক অবস্থা কোনো সময়ই খুব ভালো না। ঢাকা শহরের বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় ভাড়া বাড়িতে এবং এগুলোর আয়ের একমাত্র উৎস শিক্ষার্থীদের বেতন । বাসা ভাড়া, বিদ্যুৎ ও পানির বিল (বাণিজ্যিকভাবে) পরিশোধ করার পর পরিচালকের হাতে যে অর্থ থাকে, তা দিয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তা–কর্মচারীদের যে বেতন দেওয়া হয়, তা লজ্জাকর। শিক্ষকদের বেশির ভাগই প্রাইভেট টিউশনির মাধ্যমে সমন্বয় করে জীবন চালাতে বাধ্য হন।
এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যাঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন, সত্যিকার অর্থেই তাঁদের মানুষের জীবন নয়। যে দেশে আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে কোনো ভারসাম্য নেই, সেখানে মানুষের মতো করে জীবনযাপন করা আসলেই দুঃসাধ্য। তবু পুরোপুরি বেকারত্বের চেয়ে সম্মানের এই পেশাতে নামমাত্র বেতনে জড়িয়ে গেছেন দেশের প্রায় ২০ লাখ লোক।
দুঃসাধ্যের এই জীবনে আর সবকিছুর মতো করোনাকালের থাবায় নিশ্বাস নিতে পারছেন না প্রায় ৬০ হাজার প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই ২০ লাখ মানুষ। এক বছরের বেশি সময় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। অন্যসব প্রতিষ্ঠান নামমাত্র বন্ধ বা লকডাউন হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলো আক্ষরিক অর্থেই একেবারে বন্ধ। আবার দীর্ঘ এই বন্ধের সময় শিক্ষকদের টিউশনিও বন্ধ রয়েছে, অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাঁদের উপার্জনের দুটি পথই। এই অবস্থায় জীবিকা নির্বাহ করাটা কতটা দুরূহ তা ভুক্তভোগীমাত্রই জানেন ।
কত দিন পর এসব প্রতিষ্ঠান খুলবে কেউ জানেন না। করোনা–পরবর্তী পরিস্থিতি হয়তো অন্য রকম হবে বা হতে বাধ্য। অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে, কাজও হারাবে লাখ লাখ মানুষ। মানবেতর জীবন কাটাতে বাধ্য হবে অসংখ্য পরিবার। আমাদের মতো উঠতি অর্থনীতির দেশে করোনা কঠিন শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কেউ কেউ বেঁচে থাকার জন্য পেশা বদলে ফেলতেও বাধ্য হয়েছেন। লন্ড্রি, মুদি দোকান, চায়ের দোকান খুলে আয়ের উপায় খুঁজছেন। কিন্তু এসব কাজে আগে থেকেই যাঁরা আছেন, তাঁরাও তো এখন সংকটের মধ্যে আছেন। তবে এ মুহূর্তে ভবিষ্যতের অজানা আতঙ্কে দিশেহারা হওয়া কোনো সুস্থির কাজ নয়। বরং বর্তমানের এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, সেটাই বিবেচ্য। এ অবস্থায় সরকারের এগিয়ে আসার কোনো বিকল্প নেই। বিনা সুদে এবং সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। সরকার নানা খাতে প্রণোদনা দিচ্ছে, বেসরকারি শিক্ষা খাত এর আওতার বাইরে থাকবে কেন?
মানুষ গড়ার কারিগরেরা মানবেতর জীবনযাপন করবেন, না খেয়ে থাকবেন—এমনটা কি মানা যায়? জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষের এই সময়ে এসে দেশে আবার নতুন করে নিরক্ষরতার হার বাড়ুক, শিক্ষার্থী ঝরে পড়ুক, শিক্ষকেরা অন্য পেশা গ্রহণে বাধ্য হোক তা কারও কাম্য হতে পারে না। এর চেয়ে বরং সভ্যতার বিকাশে আলো ছড়ানো মানুষগুলোর সুস্থভাবে টিকে থাকার গল্প তৈরি হোক নতুন করে। সুদিন আসুক শিগগিরই।
প্লে গ্রুপ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা এবং ইংরেজি মাধ্যমের একটি প্রাইভেট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেছেন, ‘শিক্ষক-কর্মচারী, স্কুলঘরের ভাড়া সবকিছু নিয়ে আমরা কী করে বেঁচে আছি, কেউ কি জানে? কত দিন আর এমন দুঃসহ কাল চলবে? একই স্কুলের একজন শিক্ষক বলেছেন, গ্রামে আমার মা-বোনদের দেখতে হয়। ঢাকায় বাসাভাড়া, খাওয়া খরচ আছে। স্কুল, টিউশনি সব বন্ধ। হাতে কোনো টাকাপয়সা নেই। কী করে চলি বলেন তো?’
মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে পরিচিত এই মানুষগুলোর কষ্টের কথা শুনলে যে কারও হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়ে উঠবে। এমনিতেই আমাদের যাপিত জীবনে যন্ত্রণার শেষ নেই, তার ওপর করোনাভাইরাসের কশাঘাতে সবকিছু ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে। একটা কথা শোনা যায় যে, ‘ব্যাঙের ছাতার মতো স্কুল-কলেজ গজিয়েছে দেশে।’ হ্যাঁ, পাড়া-মহল্লায় এই ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলোই জ্ঞান বিতরণের সূতিকাগার; আমাদের সন্তানদের মানুষ হওয়ার প্রথম ধাপ। এসব প্রতিষ্ঠান থেকেই প্রাথমিক শিক্ষার ৩০ শতাংশ পূরণ হয়। বাচ্চারা যখন হাঁটতে শেখে, আধো আধো বুলিতে কথা বলতে শুরু করে, তখন পাড়ার স্কুলেই তাদের শুরু হয় প্রাথমিক শিক্ষার প্রথম পাঠ। টিফিনের সময় পাড়া–মহল্লার স্কুলগুলোর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বাচ্চাদের কিচিরমিচির, কোলাহল মুখরিত দৃশ্য হৃদয়ে দারুণ আনন্দময় অনুভূতি জাগায়।
শিক্ষার মান নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে, কথা আছে। দেশে ১১ ধরনের প্রাথমিক শিক্ষার বেশির ভাগটাই সরকারি ব্যবস্থাপনা বা কারিকুলামের বাইরে। মাঝেমধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কারিকুলামের খসড়া দেওয়া হয়। ব্যস, সে পর্যন্তই। স্কুলগুলো কী পড়ায়, শিক্ষকের মানই বা কেমন, ব্যবস্থাপনা কেমন—সেসবে সরকারের কোনো নজরদারি নেই। অবশ্য সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন আছে। অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা বরং এটাও বলেন, প্রাইভেট স্কুলগুলোতে যতটা যত্ন এবং আন্তরিকতা নিয়ে পাঠ দেওয়া হয় সরকারি এবং ক্ষেত্রবিশেষে বেসরকারি স্কুলগুলোতে তেমনটা হয় না (ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে)। এর যৌক্তিক কারণও আছে। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তীব্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে টিকে থাকতে হয়, যা সরকারি স্কুল-কলেজের ক্ষেত্রে ঘটে না।
এসব বিতর্ক দূরে সরিয়ে রেখে বরং এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের দুঃসহ জীবনযাপনের কথা বলা যেতে পারে। খুব নামকরা কয়েকটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ছাড়া বাকিদের অর্থনৈতিক অবস্থা কোনো সময়ই খুব ভালো না। ঢাকা শহরের বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় ভাড়া বাড়িতে এবং এগুলোর আয়ের একমাত্র উৎস শিক্ষার্থীদের বেতন । বাসা ভাড়া, বিদ্যুৎ ও পানির বিল (বাণিজ্যিকভাবে) পরিশোধ করার পর পরিচালকের হাতে যে অর্থ থাকে, তা দিয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তা–কর্মচারীদের যে বেতন দেওয়া হয়, তা লজ্জাকর। শিক্ষকদের বেশির ভাগই প্রাইভেট টিউশনির মাধ্যমে সমন্বয় করে জীবন চালাতে বাধ্য হন।
এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যাঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন, সত্যিকার অর্থেই তাঁদের মানুষের জীবন নয়। যে দেশে আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে কোনো ভারসাম্য নেই, সেখানে মানুষের মতো করে জীবনযাপন করা আসলেই দুঃসাধ্য। তবু পুরোপুরি বেকারত্বের চেয়ে সম্মানের এই পেশাতে নামমাত্র বেতনে জড়িয়ে গেছেন দেশের প্রায় ২০ লাখ লোক।
দুঃসাধ্যের এই জীবনে আর সবকিছুর মতো করোনাকালের থাবায় নিশ্বাস নিতে পারছেন না প্রায় ৬০ হাজার প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই ২০ লাখ মানুষ। এক বছরের বেশি সময় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। অন্যসব প্রতিষ্ঠান নামমাত্র বন্ধ বা লকডাউন হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলো আক্ষরিক অর্থেই একেবারে বন্ধ। আবার দীর্ঘ এই বন্ধের সময় শিক্ষকদের টিউশনিও বন্ধ রয়েছে, অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাঁদের উপার্জনের দুটি পথই। এই অবস্থায় জীবিকা নির্বাহ করাটা কতটা দুরূহ তা ভুক্তভোগীমাত্রই জানেন ।
কত দিন পর এসব প্রতিষ্ঠান খুলবে কেউ জানেন না। করোনা–পরবর্তী পরিস্থিতি হয়তো অন্য রকম হবে বা হতে বাধ্য। অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে, কাজও হারাবে লাখ লাখ মানুষ। মানবেতর জীবন কাটাতে বাধ্য হবে অসংখ্য পরিবার। আমাদের মতো উঠতি অর্থনীতির দেশে করোনা কঠিন শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কেউ কেউ বেঁচে থাকার জন্য পেশা বদলে ফেলতেও বাধ্য হয়েছেন। লন্ড্রি, মুদি দোকান, চায়ের দোকান খুলে আয়ের উপায় খুঁজছেন। কিন্তু এসব কাজে আগে থেকেই যাঁরা আছেন, তাঁরাও তো এখন সংকটের মধ্যে আছেন। তবে এ মুহূর্তে ভবিষ্যতের অজানা আতঙ্কে দিশেহারা হওয়া কোনো সুস্থির কাজ নয়। বরং বর্তমানের এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, সেটাই বিবেচ্য। এ অবস্থায় সরকারের এগিয়ে আসার কোনো বিকল্প নেই। বিনা সুদে এবং সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। সরকার নানা খাতে প্রণোদনা দিচ্ছে, বেসরকারি শিক্ষা খাত এর আওতার বাইরে থাকবে কেন?
মানুষ গড়ার কারিগরেরা মানবেতর জীবনযাপন করবেন, না খেয়ে থাকবেন—এমনটা কি মানা যায়? জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষের এই সময়ে এসে দেশে আবার নতুন করে নিরক্ষরতার হার বাড়ুক, শিক্ষার্থী ঝরে পড়ুক, শিক্ষকেরা অন্য পেশা গ্রহণে বাধ্য হোক তা কারও কাম্য হতে পারে না। এর চেয়ে বরং সভ্যতার বিকাশে আলো ছড়ানো মানুষগুলোর সুস্থভাবে টিকে থাকার গল্প তৈরি হোক নতুন করে। সুদিন আসুক শিগগিরই।
এখন রাজনীতির এক গতিময়তার সময়। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের গণতন্ত্রহীন কর্তৃত্ববাদী দুর্নীতিপরায়ণ শাসন ছাত্র আন্দোলনে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী শাসনকালে দ্রুততার সঙ্গে নানা রকম রাজনৈতিক কথাবার্তা, চিন্তা-ভাবনা, চেষ্টা-অপচেষ্টা, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ ঘটছে।
২০ ঘণ্টা আগেবহু বছর আগে সেই ব্রিটিশ যুগে কাজী নজরুল লিখেছিলেন, ‘ক্ষুধাতুর শিশু চায় না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত, একটু নুন।’ আসলে পেটের খিদে নিয়ম, আইন, বিবেক, বিচার কোনো কিছুই মানে না। তাই তো প্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে, খিদের জ্বালা বড় জ্বালা। এর থেকে বোধ হয় আর কোনো অসহায়তা নেই। খালি পেটে কেউ তত্ত্ব শুনতে চায় না। কাওয়ালিও ন
২১ ঘণ্টা আগেতিন বছরের শিশু মুসা মোল্লা ও সাত বছরের রোহান মোল্লা নিষ্পাপ, ফুলের মতো কোমল। কারও সঙ্গে তাদের কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকার কথা নয়। কিন্তু বাবার চরম নিষ্ঠুরতায় পৃথিবী ছাড়তে হয়েছে তাদের। আহাদ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি দুই ছেলেসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করার পর নিজের গলায় নিজে ছুরি চালিয়েছেন।
২১ ঘণ্টা আগেদলীয় রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তুলনা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন পাশে রেখেই ইউনূস সরকারের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে এর ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার সময়টায়। তবে সাধারণ মানুষ মনে হয় প্রতিদিনই তার জীবনে সরকারের ভূমিকা বিচার করে দেখছে।
২ দিন আগে