বিভুরঞ্জন সরকার
গত বছর ২০ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন কামাল লোহানী। একজন দ্রোহী মানুষ হিসেবে যিনি পরিচিতি অর্জন করেছিলেন। তিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন সাম্যসাধনায়। তাই অসাম্য, বৈষম্য, অন্যায্যতার বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সদা সোচ্চার, প্রতিবাদী। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ২৫ জুন ১৯৩৪ সালে। তখনো ব্রিটিশরা ভারত শাসন করছে। তবে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন তখন জোরদার হয়েছে। তিনি বেড়ে উঠতে না উঠতেই ভারত ভাগ হলো। একটি স্বাধীন দেশ পেলেও বাঙালি প্রকৃত অর্থে মুক্তি পেল না। বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের সঙ্গে এবং সেই সংগ্রামে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে যে কামাল লোহানীর বেড়ে ওঠা, সেই কামাল লোহানীর তো প্রতিবাদী মানুষই হওয়ার কথা।
তাঁর জন্ম সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। বেঁচে ছিলেন ৮৫ বছর। জীবনের শেষদিকে তিনি নানা রোগে ভুগছিলেন। তারপরও বলা যায়, তিনি দীর্ঘ জীবনই পেয়েছেন। আর এই পুরো জীবন তিনি নিবেদন করেছিলেন মুক্তির সংগ্রামে। ১৯৫২ সালে তিনি পাবনা জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। ভাষা-আন্দোলনে অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। একাধিকবার তাঁকে কারাগারে যেতে হয়েছে। জেলেই পরিচয় ঘটেছে শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদসহ অনেক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে। এর মধ্যে অনেক কমিউনিস্ট নেতাও ছিলেন। বামপন্থাই কামাল লোহানীকে প্রভাবিত করেছিল।
তাঁর মৃত্যুর পর জানলাম তিনি কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সদস্য ছিলেন। আমি নিজে প্রায় ২০ বছর কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। তখন অবশ্য কামাল লোহানীকে কমিউনিস্ট পার্টির কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে দেখিনি। তার মানে, সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপর্যয়ের পর অনেকে যখন সিপিবি ছেড়েছেন, কামাল লোহানী তখন সিপিবির সদস্য হয়েছেন।
সেই হিসাবে তাঁকে দুঃসময়ের কান্ডারি বলা যায়।
সাংবাদিকতাকে তিনি পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে তিনি একাধিক পত্রিকায় বিভিন্ন পদমর্যাদায় কাজ করেছেন। সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। আবার অবিভক্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে তিনি সাংবাদিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে লড়াকু ভূমিকাও পালন করেছেন।
তিনি ভাসানী ন্যাপের রাজনীতিতে কিছুদিন সক্রিয় ছিলেন। তবে পিকিংপন্থী বলতে যা বোঝায় তিনি তা ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন সৎ ও দেশপ্রেমিক মানুষ। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক ছিলেন, সংবাদ বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়বার্তা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে তার কণ্ঠেই প্রচারিত হয়েছিল।
তাঁর জীবনের একটি মুহূর্তও নিষ্ক্রিয়তায় কাটেনি। কত সংগঠন এবং কত ধরনের কাজে যে তিনি অংশ নিয়েছেন, তার হিসাব তিনি নিজেও রেখেছিলেন কি না সন্দেহ। সাংবাদিকতা ছাড়া সংস্কৃতি ছিল তাঁর বিচরণের একটি বড় ক্ষেত্র। নিজে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে নৃত্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। মঞ্চে অভিনয় করেছেন। আবার খ্যাতনামা সব সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃত্বও দিয়েছেন। ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক, উদীচীর সভাপতির দায়িত্ব পালন ছাড়াও ‘ক্রান্তি’ নামক একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন তিনি নিজে গড়ে তুলেছিলেন।
শিল্পকলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক পদেও কামাল লোহানী নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার পুরো নাম বেশ বড়। আবু নইম মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান লোহানী। নাম সংক্ষিপ্ত করে কামাল লোহানী করলেও নিজের কর্মকাণ্ড কিন্তু ক্রমাগত প্রসারিত করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে তিনি নিরলস কাজ করেছেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সঙ্গেও তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।
বয়স তাকে তার কর্মতৎপরতা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার লক্ষ্যে সভা-সমাবেশে সফেদ পাঞ্জাবি পরিহিত কামাল লোহানীর উপস্থিতি ছিল অন্যদের কাছে অনুপ্রেরণার।
সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য তিনি ২০১৫ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
১৯৬০ সালে তিনি চাচাতো বোন দীপ্তি লোহানীকে বিয়ে করেন। তাঁদের দুই কন্যা ও এক পুত্রসন্তান। ফতেহ লোহানী ও ফজলে লোহানী তাঁর চাচাতো ভাই।
কয়েক দশক ধরে দেশের সংস্কৃতি, সাংবাদিকতা এবং রাজনীতির জগতে সক্রিয় কামাল লোহানী কয়েকটি বই লিখেছেন। সংবাদপত্রে অসংখ্য কলাম লিখেছেন। তার লেখা গ্রন্থগুলো হলো: আমরা হারবো না, সত্যি কথা বলতে কী, যেন ভুলে না যাই, মুক্তি সংগ্রামে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, মুক্তিযুদ্ধ আমার অহংকার, এ দেশ আমার গর্ব, আমাদের সংস্কৃতি ও সংগ্রাম, লড়াইয়ের গান, দ্রোহে প্রেমে কবিতার মতো ও শব্দের বিদ্রোহ।
কামাল লোহানী চলে গেছেন। তিনি আর ফিরবেন না। মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে আমরা যারা আদিখ্যেতা করছি, যারা বলছি আমরা তাঁকে ভুলব না–তারা কি আসলে ঠিক বলছি? আমরা কতজন তাঁর লেখা বইগুলো পড়েছি? তিনি নেই। বইগুলো আছে। বইয়ের মধ্যে তিনি তার আদর্শ, চেতনা, বিশ্বাস এবং অঙ্গীকারের কথা লিখে গেছেন। আছে মুক্তিযুদ্ধের নির্ভরযোগ্য, বিশ্বস্ত বয়ান।
কামাল লোহানীকে শ্রদ্ধা জানানো এবং মনে রাখার বড় উপায় হলো তার গ্রন্থপাঠ। তাঁর মতো হওয়া কঠিন; কিন্তু হওয়ার চেষ্টা করা তো যেতে পারে।
লেখক: সহকারী সম্পাদক আজকের পত্রিকা
গত বছর ২০ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন কামাল লোহানী। একজন দ্রোহী মানুষ হিসেবে যিনি পরিচিতি অর্জন করেছিলেন। তিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন সাম্যসাধনায়। তাই অসাম্য, বৈষম্য, অন্যায্যতার বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সদা সোচ্চার, প্রতিবাদী। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ২৫ জুন ১৯৩৪ সালে। তখনো ব্রিটিশরা ভারত শাসন করছে। তবে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন তখন জোরদার হয়েছে। তিনি বেড়ে উঠতে না উঠতেই ভারত ভাগ হলো। একটি স্বাধীন দেশ পেলেও বাঙালি প্রকৃত অর্থে মুক্তি পেল না। বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের সঙ্গে এবং সেই সংগ্রামে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে যে কামাল লোহানীর বেড়ে ওঠা, সেই কামাল লোহানীর তো প্রতিবাদী মানুষই হওয়ার কথা।
তাঁর জন্ম সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। বেঁচে ছিলেন ৮৫ বছর। জীবনের শেষদিকে তিনি নানা রোগে ভুগছিলেন। তারপরও বলা যায়, তিনি দীর্ঘ জীবনই পেয়েছেন। আর এই পুরো জীবন তিনি নিবেদন করেছিলেন মুক্তির সংগ্রামে। ১৯৫২ সালে তিনি পাবনা জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। ভাষা-আন্দোলনে অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। একাধিকবার তাঁকে কারাগারে যেতে হয়েছে। জেলেই পরিচয় ঘটেছে শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদসহ অনেক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে। এর মধ্যে অনেক কমিউনিস্ট নেতাও ছিলেন। বামপন্থাই কামাল লোহানীকে প্রভাবিত করেছিল।
তাঁর মৃত্যুর পর জানলাম তিনি কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সদস্য ছিলেন। আমি নিজে প্রায় ২০ বছর কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। তখন অবশ্য কামাল লোহানীকে কমিউনিস্ট পার্টির কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে দেখিনি। তার মানে, সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপর্যয়ের পর অনেকে যখন সিপিবি ছেড়েছেন, কামাল লোহানী তখন সিপিবির সদস্য হয়েছেন।
সেই হিসাবে তাঁকে দুঃসময়ের কান্ডারি বলা যায়।
সাংবাদিকতাকে তিনি পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে তিনি একাধিক পত্রিকায় বিভিন্ন পদমর্যাদায় কাজ করেছেন। সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। আবার অবিভক্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে তিনি সাংবাদিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে লড়াকু ভূমিকাও পালন করেছেন।
তিনি ভাসানী ন্যাপের রাজনীতিতে কিছুদিন সক্রিয় ছিলেন। তবে পিকিংপন্থী বলতে যা বোঝায় তিনি তা ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন সৎ ও দেশপ্রেমিক মানুষ। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক ছিলেন, সংবাদ বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়বার্তা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে তার কণ্ঠেই প্রচারিত হয়েছিল।
তাঁর জীবনের একটি মুহূর্তও নিষ্ক্রিয়তায় কাটেনি। কত সংগঠন এবং কত ধরনের কাজে যে তিনি অংশ নিয়েছেন, তার হিসাব তিনি নিজেও রেখেছিলেন কি না সন্দেহ। সাংবাদিকতা ছাড়া সংস্কৃতি ছিল তাঁর বিচরণের একটি বড় ক্ষেত্র। নিজে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে নৃত্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। মঞ্চে অভিনয় করেছেন। আবার খ্যাতনামা সব সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃত্বও দিয়েছেন। ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক, উদীচীর সভাপতির দায়িত্ব পালন ছাড়াও ‘ক্রান্তি’ নামক একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন তিনি নিজে গড়ে তুলেছিলেন।
শিল্পকলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক পদেও কামাল লোহানী নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার পুরো নাম বেশ বড়। আবু নইম মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান লোহানী। নাম সংক্ষিপ্ত করে কামাল লোহানী করলেও নিজের কর্মকাণ্ড কিন্তু ক্রমাগত প্রসারিত করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে তিনি নিরলস কাজ করেছেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সঙ্গেও তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।
বয়স তাকে তার কর্মতৎপরতা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার লক্ষ্যে সভা-সমাবেশে সফেদ পাঞ্জাবি পরিহিত কামাল লোহানীর উপস্থিতি ছিল অন্যদের কাছে অনুপ্রেরণার।
সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য তিনি ২০১৫ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
১৯৬০ সালে তিনি চাচাতো বোন দীপ্তি লোহানীকে বিয়ে করেন। তাঁদের দুই কন্যা ও এক পুত্রসন্তান। ফতেহ লোহানী ও ফজলে লোহানী তাঁর চাচাতো ভাই।
কয়েক দশক ধরে দেশের সংস্কৃতি, সাংবাদিকতা এবং রাজনীতির জগতে সক্রিয় কামাল লোহানী কয়েকটি বই লিখেছেন। সংবাদপত্রে অসংখ্য কলাম লিখেছেন। তার লেখা গ্রন্থগুলো হলো: আমরা হারবো না, সত্যি কথা বলতে কী, যেন ভুলে না যাই, মুক্তি সংগ্রামে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, মুক্তিযুদ্ধ আমার অহংকার, এ দেশ আমার গর্ব, আমাদের সংস্কৃতি ও সংগ্রাম, লড়াইয়ের গান, দ্রোহে প্রেমে কবিতার মতো ও শব্দের বিদ্রোহ।
কামাল লোহানী চলে গেছেন। তিনি আর ফিরবেন না। মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে আমরা যারা আদিখ্যেতা করছি, যারা বলছি আমরা তাঁকে ভুলব না–তারা কি আসলে ঠিক বলছি? আমরা কতজন তাঁর লেখা বইগুলো পড়েছি? তিনি নেই। বইগুলো আছে। বইয়ের মধ্যে তিনি তার আদর্শ, চেতনা, বিশ্বাস এবং অঙ্গীকারের কথা লিখে গেছেন। আছে মুক্তিযুদ্ধের নির্ভরযোগ্য, বিশ্বস্ত বয়ান।
কামাল লোহানীকে শ্রদ্ধা জানানো এবং মনে রাখার বড় উপায় হলো তার গ্রন্থপাঠ। তাঁর মতো হওয়া কঠিন; কিন্তু হওয়ার চেষ্টা করা তো যেতে পারে।
লেখক: সহকারী সম্পাদক আজকের পত্রিকা
এখন রাজনীতির এক গতিময়তার সময়। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের গণতন্ত্রহীন কর্তৃত্ববাদী দুর্নীতিপরায়ণ শাসন ছাত্র আন্দোলনে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী শাসনকালে দ্রুততার সঙ্গে নানা রকম রাজনৈতিক কথাবার্তা, চিন্তা-ভাবনা, চেষ্টা-অপচেষ্টা, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ ঘটছে।
১৪ ঘণ্টা আগেবহু বছর আগে সেই ব্রিটিশ যুগে কাজী নজরুল লিখেছিলেন, ‘ক্ষুধাতুর শিশু চায় না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত, একটু নুন।’ আসলে পেটের খিদে নিয়ম, আইন, বিবেক, বিচার কোনো কিছুই মানে না। তাই তো প্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে, খিদের জ্বালা বড় জ্বালা। এর থেকে বোধ হয় আর কোনো অসহায়তা নেই। খালি পেটে কেউ তত্ত্ব শুনতে চায় না। কাওয়ালিও ন
১৪ ঘণ্টা আগেতিন বছরের শিশু মুসা মোল্লা ও সাত বছরের রোহান মোল্লা নিষ্পাপ, ফুলের মতো কোমল। কারও সঙ্গে তাদের কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকার কথা নয়। কিন্তু বাবার চরম নিষ্ঠুরতায় পৃথিবী ছাড়তে হয়েছে তাদের। আহাদ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি দুই ছেলেসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করার পর নিজের গলায় নিজে ছুরি চালিয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেদলীয় রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তুলনা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন পাশে রেখেই ইউনূস সরকারের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে এর ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার সময়টায়। তবে সাধারণ মানুষ মনে হয় প্রতিদিনই তার জীবনে সরকারের ভূমিকা বিচার করে দেখছে।
২ দিন আগে