আহমেদ শমসের
নিজেকে বরিশালের ‘কৃষকের পোলা’ হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করতেন মার্ক্সবাদী লেখক, চিন্তক, শিক্ষাবিদ সরদার ফজলুল করিম। বরিশালের প্রত্যন্ত আটিপাড়া গ্রামে এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম নিয়ে আমৃত্যু জ্ঞানসাধনায় নিমগ্ন থেকে উঠেছিলেন মেধার শীর্ষে। ২০১৪ সালের ১৫ জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর পিতা খবিরউদ্দিন সরদার ছিলেন কৃষক। মা সফুরা বেগম ছিলেন গৃহিণী। সরদার ফজলুল করিম গ্রামের এক স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে বরিশাল কলেজ থেকে মাধ্যমিক পাস করেন মেধাতালিকায় স্থান পেয়ে। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রথম বিভাগে প্রথম হন।
তিনি লিখেছেন, ‘আমার বাবা-মা নিরক্ষর এবং একেবারে মাটির মানুষ ছিলেন। তাদের মতো লোকের কথা ছিল না আমাকে স্কুলে পাঠানোর। কিন্তু তাঁরা আমাকে স্কুলে পাঠিয়েছেন। সে জন্য আমি এই মাটির মানুষগুলোর কাছে ঋণী এবং এই দেশের মাটির প্রতি আমার মনের মধ্যে একটা ভক্তি জেগে আছে।’ ছাত্রজীবনেই তিনি কমিউনিস্ট আদর্শে দীক্ষা নিয়ে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। পার্টির কাজে সময় দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার চাকরি ছেড়ে এক অনিশ্চিত জীবন বেছে নিয়েছিলেন। তিনি ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসন জারির আগ পর্যন্ত পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনের সময় গ্রেপ্তার হয়ে ১৯৬২ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পান। ১৯৬৩ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যক্ষ ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালে কয়েক মাস তাঁকে কারাগারে থাকতে হয়েছে।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। দর্শন কোষসহ অনেক বই লিখেছেন। দর্শনবিষয়ক একাধিক গ্রন্থ অনুবাদ করেছেন। ‘চল্লিশের দশকের ঢাকা’সহ কয়েকটি অসামান্য স্মৃতিকথা লিখেছেন। তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নিয়মিত লিখতেন।
মে দিবসে জন্ম নিয়ে (জন্ম ১ মে ১৯২৫) শ্রমজীবী মানুষের মুক্তির সংগ্রামেই নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর পুরোটা জীবন ছিল ত্যাগের। আজীবন শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। মৃত্যুদিনে সরদার স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মরণ করি তাঁর নিরলস জ্ঞানসাধনার কথা।
নিজেকে বরিশালের ‘কৃষকের পোলা’ হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করতেন মার্ক্সবাদী লেখক, চিন্তক, শিক্ষাবিদ সরদার ফজলুল করিম। বরিশালের প্রত্যন্ত আটিপাড়া গ্রামে এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম নিয়ে আমৃত্যু জ্ঞানসাধনায় নিমগ্ন থেকে উঠেছিলেন মেধার শীর্ষে। ২০১৪ সালের ১৫ জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর পিতা খবিরউদ্দিন সরদার ছিলেন কৃষক। মা সফুরা বেগম ছিলেন গৃহিণী। সরদার ফজলুল করিম গ্রামের এক স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে বরিশাল কলেজ থেকে মাধ্যমিক পাস করেন মেধাতালিকায় স্থান পেয়ে। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রথম বিভাগে প্রথম হন।
তিনি লিখেছেন, ‘আমার বাবা-মা নিরক্ষর এবং একেবারে মাটির মানুষ ছিলেন। তাদের মতো লোকের কথা ছিল না আমাকে স্কুলে পাঠানোর। কিন্তু তাঁরা আমাকে স্কুলে পাঠিয়েছেন। সে জন্য আমি এই মাটির মানুষগুলোর কাছে ঋণী এবং এই দেশের মাটির প্রতি আমার মনের মধ্যে একটা ভক্তি জেগে আছে।’ ছাত্রজীবনেই তিনি কমিউনিস্ট আদর্শে দীক্ষা নিয়ে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। পার্টির কাজে সময় দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার চাকরি ছেড়ে এক অনিশ্চিত জীবন বেছে নিয়েছিলেন। তিনি ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসন জারির আগ পর্যন্ত পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনের সময় গ্রেপ্তার হয়ে ১৯৬২ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পান। ১৯৬৩ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যক্ষ ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালে কয়েক মাস তাঁকে কারাগারে থাকতে হয়েছে।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। দর্শন কোষসহ অনেক বই লিখেছেন। দর্শনবিষয়ক একাধিক গ্রন্থ অনুবাদ করেছেন। ‘চল্লিশের দশকের ঢাকা’সহ কয়েকটি অসামান্য স্মৃতিকথা লিখেছেন। তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নিয়মিত লিখতেন।
মে দিবসে জন্ম নিয়ে (জন্ম ১ মে ১৯২৫) শ্রমজীবী মানুষের মুক্তির সংগ্রামেই নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর পুরোটা জীবন ছিল ত্যাগের। আজীবন শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। মৃত্যুদিনে সরদার স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মরণ করি তাঁর নিরলস জ্ঞানসাধনার কথা।
এখন রাজনীতির এক গতিময়তার সময়। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের গণতন্ত্রহীন কর্তৃত্ববাদী দুর্নীতিপরায়ণ শাসন ছাত্র আন্দোলনে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী শাসনকালে দ্রুততার সঙ্গে নানা রকম রাজনৈতিক কথাবার্তা, চিন্তা-ভাবনা, চেষ্টা-অপচেষ্টা, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ ঘটছে।
১৬ ঘণ্টা আগেবহু বছর আগে সেই ব্রিটিশ যুগে কাজী নজরুল লিখেছিলেন, ‘ক্ষুধাতুর শিশু চায় না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত, একটু নুন।’ আসলে পেটের খিদে নিয়ম, আইন, বিবেক, বিচার কোনো কিছুই মানে না। তাই তো প্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে, খিদের জ্বালা বড় জ্বালা। এর থেকে বোধ হয় আর কোনো অসহায়তা নেই। খালি পেটে কেউ তত্ত্ব শুনতে চায় না। কাওয়ালিও ন
১৬ ঘণ্টা আগেতিন বছরের শিশু মুসা মোল্লা ও সাত বছরের রোহান মোল্লা নিষ্পাপ, ফুলের মতো কোমল। কারও সঙ্গে তাদের কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকার কথা নয়। কিন্তু বাবার চরম নিষ্ঠুরতায় পৃথিবী ছাড়তে হয়েছে তাদের। আহাদ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি দুই ছেলেসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করার পর নিজের গলায় নিজে ছুরি চালিয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেদলীয় রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তুলনা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন পাশে রেখেই ইউনূস সরকারের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে এর ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার সময়টায়। তবে সাধারণ মানুষ মনে হয় প্রতিদিনই তার জীবনে সরকারের ভূমিকা বিচার করে দেখছে।
২ দিন আগে