জয়দীপ দে
পত্রিকার পাতায় আটকে আছে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো। ম্যাড়মেড়ে নিউজপ্রিন্টে ছাপা সাদাকালো পত্রিকাগুলো আমার মনে যে কত রঙের আলো ছড়িয়েছে, তার কোনো হিসাব নেই। নিভৃতে সুপ্ত এক জানার সমুদ্রকে উত্তাল করে গেছে। সেই থেকে পড়ার মোহে পড়ে আছি। পত্রিকার পাতায় টুকটাক লেখালেখি থেকেই লেখক হওয়ার বাসনা।
আমি চাই, আমার সন্তানও এই সুন্দর অনুভূতিগুলোর মধ্য দিয়ে বড় হোক। ইদানীং আমার মেয়ে শালুককে আমি পত্রিকাপাঠে উৎসাহিত করি। সে পত্রিকার পাতা ওল্টায় আর বলে, বাবা, কী পড়ব?
পত্রিকা ওল্টাই। একটা কার্টুন পাই। এক লহমায় সে সেটা পড়ে ফেলে। তারপর আর খুঁজে পাই না, তাকে পড়তে দেওয়ার মতো বিষয়। আমারও পড়ার মতো কিছু নেই। প্রায় সবকিছু ইন্টারনেট ও টিভিতে জানা ও দেখা হয়ে গেছে। তাহলে কি আর পত্রিকার প্রয়োজন নেই—প্রশ্নটি শালুকের মায়ের। আমি সরু চোখ করে তাকাই। ভাবি। হিসাব মেলাই।
উপযোগের হিসাব মেলাতে আমাকে একটু পেছনে যেতে হয়।
মূলত ১৯০০ সাল থেকে বাংলা সংবাদপত্র সাধারণের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে শুরু করে। তা–ও দৈনিক নয়, মাসিক পত্র। ‘ভারতবর্ষ’ ও ‘প্রবাসী’ যথাক্রমে শরৎচন্দ্র ও রবিঠাকুরের লেখার জোরে শিক্ষিত বাঙালির অবশ্যপাঠ্য হয়ে ওঠে। স্রেফ গল্প-কবিতা-উপন্যাস-প্রবন্ধে সীমাবদ্ধ ছিল এ দুটো মাসিক। অবশ্য এর ষাট বছর আগেই প্রথম বাংলা দৈনিক ‘সংবাদ প্রভাকর’ বেরিয়েছিল। দুর্বল যোগাযোগব্যবস্থার কারণে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি সর্বত্র।
আরও দুই দশক পরে যোগাযোগব্যবস্থায় এল আমূল পরিবর্তন। সাড়াঘাট পুল (হার্ডিঞ্জ ব্রিজ) হয়ে গেছে। কলকাতা থেকে প্রতিদিন ট্রেন যায় জলপাইগুড়ি কিংবা ঢাকায়। পান্ডু হয়ে গুয়াহাটি। চট্টগ্রাম থেকে তিনসুকিয়া। রেললাইনের সঙ্গে বিস্তৃত হয়েছে টেলিগ্রাফ আর পোস্টাপিস। আগের দিনের খবর পরের দিনই প্রত্যন্তে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। সারা মাস একটি পত্রিকার অপেক্ষায় বসে থাকার প্রয়োজন নেই।
পরিবর্তন এল শাসনব্যবস্থায়ও। চালু হলো দ্বৈত শাসন। ভারতীয়রা ক্ষমতার ভাগ পেতে শুরু করল। নির্বাচনব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল। প্রদেশে প্রদেশে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত হলো। তখনো কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক লোকের ভোটে নির্বাচন চালু হয়নি। ১২–১৩ শতাংশ মানুষ যারা সেস (স্থানীয় কর) ও ট্যাক্স দেয়, তারাই ভোটার।
এদের দলে ভেড়ানো জরুরি। প্রতিদিনের সংবাদের উত্তেজনার সঙ্গে যদি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পুরে দেওয়া যায়, খারাপ কী? তাই বড় বিনিয়োগ এল দৈনিক সংবাদপত্রে।
১৯২২-এ এল আনন্দবাজার পত্রিকা। আনন্দবাজার কংগ্রেসের ঝোলা টানে। তাই একে কাউন্টার দিতে ১৯৩৬-এ আজাদ। ইংরেজ সরকারের কোপ থেকে বাঁচতে পরের বছর সাপ্তাহিক যুগান্তর হয়ে গেল দৈনিক।
বছর দশেক পরেই পাকিস্তান হাসিল হলো। আজাদ হয়ে উঠল যুদ্ধজয়ী বীর। জনপ্রিয়তার শীর্ষে। কিন্তু মুসলিম লীগের সঙ্গে আজাদ-এর জনপ্রিয়তায়ও যে ধস নেমেছে, সে খবর জানা ছিল না আকরম খাঁর। এই জায়গাটা দখল করে নিল ইত্তেফাক, সংবাদ ও পূর্বদেশ। সরকারি বিধিনিষেধের মুখে যখন সব খবর ছাপা যেত না, তখন সম্পাদকীয় পাতাই হয়ে উঠল আকারে-ইঙ্গিতে ক্ষোভ প্রকাশের প্রধান জায়গা। তাই খবরের চেয়ে উপসম্পাদকীয়ের জন্য পত্রিকাগুলো জনপ্রিয় হতে শুরু করল। এ ধারা দীর্ঘদিন চলেছিল।
আশির দশকের শেষের দিকে যায়যায়দিন এসে একটা বড় ধাক্কা দিল। সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী নয়, সাধারণ মানুষের চোখে চলমান ঘটনাগুলোর বিশ্লেষণ তুলে ধরতে লাগল সাপ্তাহিকটি। পেল আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। তাকে অনুসরণ করে কিছু নতুন ধারার পত্রিকার আবির্ভাব ঘটল। তারাও সফল হলো।
সময়মতো প্যারাডাইম শিফটের কারণে কেবল টিভির যুগেও দৈনিক পত্রিকাগুলো স্বমহিমায় টিকে গেল। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার আবির্ভাবের আগে বা পরে এমন কিছু হয়নি। ফলে একটা গভীর সংকট দেখা দিয়েছে।
পত্রিকাগুলোকে এখন তাদের শক্তি অনুসন্ধান করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য বস্তুগত রূপ পায় না। তথ্য মানুষের চোখে পিছলে পিছলে যায়। এই তথ্য স্থৈর্য পায় পত্রিকায়। এই স্থিতিশীলতাকে কতটা মানুষের প্রয়োজনে আনা যায়, তার ওপর নির্ভর করবে ভবিষ্যতে পত্রিকার সাফল্য।
আবার আসি শালুকের প্রসঙ্গে। ব্রডশিট পত্রিকাটি ওল্টাতে তার কষ্ট হয়। তার পরও সে মুরুব্বির ভাব করে পড়ে আর টুক টুক প্রশ্ন করে। বাবা, মগবাজারের কোথায় বিস্ফোরণ হয়েছে? মিথেন গ্যাস কী? শক ওয়েভ কী?
আমার মাথায় বিদ্যুৎ খেলে ওঠে। শালুকের এই আপাত সাধারণ প্রশ্নগুলোই তো পত্রিকায় ছোট ছোট ফিচার আকারে সংবাদের সঙ্গে আসতে পারত। থাকতে পারত ইনফোগ্রাফ।
টাটকা খবর দেওয়ার দিন শেষ। এখন নতুনভাবে আসতে হবে পত্রিকাগুলোকে। শালুকরা যেন পড়ার অনেক অনেক উপকরণ পায়। তবেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পত্রিকার আনন্দজগতে যুক্ত হতে পারবে।
লেখক: সাহিত্যিক
পত্রিকার পাতায় আটকে আছে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো। ম্যাড়মেড়ে নিউজপ্রিন্টে ছাপা সাদাকালো পত্রিকাগুলো আমার মনে যে কত রঙের আলো ছড়িয়েছে, তার কোনো হিসাব নেই। নিভৃতে সুপ্ত এক জানার সমুদ্রকে উত্তাল করে গেছে। সেই থেকে পড়ার মোহে পড়ে আছি। পত্রিকার পাতায় টুকটাক লেখালেখি থেকেই লেখক হওয়ার বাসনা।
আমি চাই, আমার সন্তানও এই সুন্দর অনুভূতিগুলোর মধ্য দিয়ে বড় হোক। ইদানীং আমার মেয়ে শালুককে আমি পত্রিকাপাঠে উৎসাহিত করি। সে পত্রিকার পাতা ওল্টায় আর বলে, বাবা, কী পড়ব?
পত্রিকা ওল্টাই। একটা কার্টুন পাই। এক লহমায় সে সেটা পড়ে ফেলে। তারপর আর খুঁজে পাই না, তাকে পড়তে দেওয়ার মতো বিষয়। আমারও পড়ার মতো কিছু নেই। প্রায় সবকিছু ইন্টারনেট ও টিভিতে জানা ও দেখা হয়ে গেছে। তাহলে কি আর পত্রিকার প্রয়োজন নেই—প্রশ্নটি শালুকের মায়ের। আমি সরু চোখ করে তাকাই। ভাবি। হিসাব মেলাই।
উপযোগের হিসাব মেলাতে আমাকে একটু পেছনে যেতে হয়।
মূলত ১৯০০ সাল থেকে বাংলা সংবাদপত্র সাধারণের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে শুরু করে। তা–ও দৈনিক নয়, মাসিক পত্র। ‘ভারতবর্ষ’ ও ‘প্রবাসী’ যথাক্রমে শরৎচন্দ্র ও রবিঠাকুরের লেখার জোরে শিক্ষিত বাঙালির অবশ্যপাঠ্য হয়ে ওঠে। স্রেফ গল্প-কবিতা-উপন্যাস-প্রবন্ধে সীমাবদ্ধ ছিল এ দুটো মাসিক। অবশ্য এর ষাট বছর আগেই প্রথম বাংলা দৈনিক ‘সংবাদ প্রভাকর’ বেরিয়েছিল। দুর্বল যোগাযোগব্যবস্থার কারণে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি সর্বত্র।
আরও দুই দশক পরে যোগাযোগব্যবস্থায় এল আমূল পরিবর্তন। সাড়াঘাট পুল (হার্ডিঞ্জ ব্রিজ) হয়ে গেছে। কলকাতা থেকে প্রতিদিন ট্রেন যায় জলপাইগুড়ি কিংবা ঢাকায়। পান্ডু হয়ে গুয়াহাটি। চট্টগ্রাম থেকে তিনসুকিয়া। রেললাইনের সঙ্গে বিস্তৃত হয়েছে টেলিগ্রাফ আর পোস্টাপিস। আগের দিনের খবর পরের দিনই প্রত্যন্তে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। সারা মাস একটি পত্রিকার অপেক্ষায় বসে থাকার প্রয়োজন নেই।
পরিবর্তন এল শাসনব্যবস্থায়ও। চালু হলো দ্বৈত শাসন। ভারতীয়রা ক্ষমতার ভাগ পেতে শুরু করল। নির্বাচনব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল। প্রদেশে প্রদেশে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত হলো। তখনো কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক লোকের ভোটে নির্বাচন চালু হয়নি। ১২–১৩ শতাংশ মানুষ যারা সেস (স্থানীয় কর) ও ট্যাক্স দেয়, তারাই ভোটার।
এদের দলে ভেড়ানো জরুরি। প্রতিদিনের সংবাদের উত্তেজনার সঙ্গে যদি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পুরে দেওয়া যায়, খারাপ কী? তাই বড় বিনিয়োগ এল দৈনিক সংবাদপত্রে।
১৯২২-এ এল আনন্দবাজার পত্রিকা। আনন্দবাজার কংগ্রেসের ঝোলা টানে। তাই একে কাউন্টার দিতে ১৯৩৬-এ আজাদ। ইংরেজ সরকারের কোপ থেকে বাঁচতে পরের বছর সাপ্তাহিক যুগান্তর হয়ে গেল দৈনিক।
বছর দশেক পরেই পাকিস্তান হাসিল হলো। আজাদ হয়ে উঠল যুদ্ধজয়ী বীর। জনপ্রিয়তার শীর্ষে। কিন্তু মুসলিম লীগের সঙ্গে আজাদ-এর জনপ্রিয়তায়ও যে ধস নেমেছে, সে খবর জানা ছিল না আকরম খাঁর। এই জায়গাটা দখল করে নিল ইত্তেফাক, সংবাদ ও পূর্বদেশ। সরকারি বিধিনিষেধের মুখে যখন সব খবর ছাপা যেত না, তখন সম্পাদকীয় পাতাই হয়ে উঠল আকারে-ইঙ্গিতে ক্ষোভ প্রকাশের প্রধান জায়গা। তাই খবরের চেয়ে উপসম্পাদকীয়ের জন্য পত্রিকাগুলো জনপ্রিয় হতে শুরু করল। এ ধারা দীর্ঘদিন চলেছিল।
আশির দশকের শেষের দিকে যায়যায়দিন এসে একটা বড় ধাক্কা দিল। সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী নয়, সাধারণ মানুষের চোখে চলমান ঘটনাগুলোর বিশ্লেষণ তুলে ধরতে লাগল সাপ্তাহিকটি। পেল আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। তাকে অনুসরণ করে কিছু নতুন ধারার পত্রিকার আবির্ভাব ঘটল। তারাও সফল হলো।
সময়মতো প্যারাডাইম শিফটের কারণে কেবল টিভির যুগেও দৈনিক পত্রিকাগুলো স্বমহিমায় টিকে গেল। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার আবির্ভাবের আগে বা পরে এমন কিছু হয়নি। ফলে একটা গভীর সংকট দেখা দিয়েছে।
পত্রিকাগুলোকে এখন তাদের শক্তি অনুসন্ধান করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য বস্তুগত রূপ পায় না। তথ্য মানুষের চোখে পিছলে পিছলে যায়। এই তথ্য স্থৈর্য পায় পত্রিকায়। এই স্থিতিশীলতাকে কতটা মানুষের প্রয়োজনে আনা যায়, তার ওপর নির্ভর করবে ভবিষ্যতে পত্রিকার সাফল্য।
আবার আসি শালুকের প্রসঙ্গে। ব্রডশিট পত্রিকাটি ওল্টাতে তার কষ্ট হয়। তার পরও সে মুরুব্বির ভাব করে পড়ে আর টুক টুক প্রশ্ন করে। বাবা, মগবাজারের কোথায় বিস্ফোরণ হয়েছে? মিথেন গ্যাস কী? শক ওয়েভ কী?
আমার মাথায় বিদ্যুৎ খেলে ওঠে। শালুকের এই আপাত সাধারণ প্রশ্নগুলোই তো পত্রিকায় ছোট ছোট ফিচার আকারে সংবাদের সঙ্গে আসতে পারত। থাকতে পারত ইনফোগ্রাফ।
টাটকা খবর দেওয়ার দিন শেষ। এখন নতুনভাবে আসতে হবে পত্রিকাগুলোকে। শালুকরা যেন পড়ার অনেক অনেক উপকরণ পায়। তবেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পত্রিকার আনন্দজগতে যুক্ত হতে পারবে।
লেখক: সাহিত্যিক
এখন রাজনীতির এক গতিময়তার সময়। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের গণতন্ত্রহীন কর্তৃত্ববাদী দুর্নীতিপরায়ণ শাসন ছাত্র আন্দোলনে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী শাসনকালে দ্রুততার সঙ্গে নানা রকম রাজনৈতিক কথাবার্তা, চিন্তা-ভাবনা, চেষ্টা-অপচেষ্টা, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ ঘটছে।
৮ ঘণ্টা আগেবহু বছর আগে সেই ব্রিটিশ যুগে কাজী নজরুল লিখেছিলেন, ‘ক্ষুধাতুর শিশু চায় না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত, একটু নুন।’ আসলে পেটের খিদে নিয়ম, আইন, বিবেক, বিচার কোনো কিছুই মানে না। তাই তো প্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে, খিদের জ্বালা বড় জ্বালা। এর থেকে বোধ হয় আর কোনো অসহায়তা নেই। খালি পেটে কেউ তত্ত্ব শুনতে চায় না। কাওয়ালিও ন
৮ ঘণ্টা আগেতিন বছরের শিশু মুসা মোল্লা ও সাত বছরের রোহান মোল্লা নিষ্পাপ, ফুলের মতো কোমল। কারও সঙ্গে তাদের কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকার কথা নয়। কিন্তু বাবার চরম নিষ্ঠুরতায় পৃথিবী ছাড়তে হয়েছে তাদের। আহাদ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি দুই ছেলেসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করার পর নিজের গলায় নিজে ছুরি চালিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেদলীয় রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তুলনা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন পাশে রেখেই ইউনূস সরকারের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে এর ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার সময়টায়। তবে সাধারণ মানুষ মনে হয় প্রতিদিনই তার জীবনে সরকারের ভূমিকা বিচার করে দেখছে।
১ দিন আগে