রফি হক
নদীর কথা, গ্রামের সব কথা বলা হয়নি, একজীবনে হবেও না। এতসব স্মৃতি আছে! নদী ও গ্রামের কথা লিখেছি মাঝে মাঝে। গ্রামে যে আমি অনেক দিন থেকেছি তা নয়। আর গ্রাম বলতে আমার মনে ছাপ ফেলে আছে নানাবাড়ি কালোয়া—এ কথা আমি এতবার বলেছি, আরও বলতে ইচ্ছে করে। রবীন্দ্রনাথের শিলাইদহের পাশেই কালোয়া।
ছোটবেলায় নানাবাড়িতেই যাওয়া হতো বেশি। দাদাবাড়ি পান্টি। পান্টি গ্রামে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়টিতে ছিলাম। পান্টি আমার মনে দাগ ফেলেনি। তাই গ্রাম বলতেই নানাবাড়ির বিরাট পরিচ্ছন্ন উঠোন। দক্ষিণে গোলাপবাগান। পশ্চিমে চার চালার সামনে পাতাবাহারের বাগান। বাড়ির উত্তরে শীতল কুয়াতলা। সারিবাঁধা সুপারিগাছ। আরও পশ্চিমে নানির হেঁশেল। হেঁশেলের পেছনে ঘন বাঁশবাগান। তার আইল ধরে সরু পথরেখা চলে গেছে আরও সব জঙ্গলের মধ্য দিয়ে আমাদের আমবাগান পেরিয়ে বাজারের দিকে। এমন জঙ্গল আর বাঁশবাগান শুধু সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’তে দেখেছি।
বাড়ি থেকে উত্তরে পদ্মা নদীর দূরত্ব ছিল ৪০০–৫০০ গজের মতো। ছোটবেলাকার পদ্মা নদী ছিল আমার কাছে সমুদ্রসম। ওপারের কিছুই দেখা যেত না। শুনতাম, ওপারে পাবনা। আমরা ছোটরা সারা দিন খেলাধুলা করতাম। নদীর কিনারা ঘেঁষে একটি আমগাছ ছিল। সেই আমগাছকে ঘিরেই আমাদের যাবতীয় খেলাধুলা। ডাকাবুকো সাহসীরা গাছে উঠে বসে থাকত।
দুপুরে খালাদের সঙ্গে নদীতে নাইতে যেতাম দলবেঁধে। আমার খালারা অতীব রূপবতী ছিলেন। আমি সবার ছোট ছিলাম বলে খালাদের কাছে খুব আদর পেতাম। তারা শুধু রূপবতীই ছিলেন না, শিক্ষিতও ছিলেন। অনেকগুলো খালা ছিল আমার। খালাদের পিঠে চেপে সাঁতার শিখেছি পদ্মায়!
একবার ভেসে গিয়েছিলাম স্রোতে। খুব বিপজ্জনক স্মৃতিও মনে পড়ছে—পদ্মার তীব্র একরোখা জলধারার ভয়ংকর আক্রোশ মাঝে মাঝে আমাদের ছোটদের টেনে নিয়ে যেতে চাইত। এ জন্য খালারা চোখের আড়াল করতেন না। একবার আমার এক খেলার সঙ্গী কৃষ্ণা, কী কারণে আমাকে আচমকা ঠেলে দিয়েছিল, সবার অলক্ষ্যেই আমি ভেসে চলেছিলাম। বেশ দূরে আরেকটি ঘাটের এক নারী আমাকে উদ্ধার করেছিলেন। ফলে নারী জাতির প্রতি অভিমান যেমন আছে, কৃতজ্ঞতাও কম নেই।
খালারা যখন নদীর ঘাটে যেতেন, তখন বেশির ভাগ সময়ই সুনসান থাকত ঘাট। গ্রামের পুরুষদের সারা দিন নদীর আশপাশেই দেখতাম না খুব একটা। তাঁরা সন্ধ্যায় নদীর ধারে গিয়ে বসতেন। আমরা ছোটরা একটু দূরে গিয়ে জটলা করতাম। বড়রা আমাদের কিছু বলতেন না। এখন মনে পড়ে, বিকেলে সূর্য হেলে পড়লে আমি বন্ধুদের থেকে আলাদা হয়ে যেতাম। নিজেকে ওদের থেকে আলাদা করে নদীর ডান দিকের বাঁকটায় ঝোপের কিনারে গিয়ে বসতাম। আকাশ রঙের বন্যায় ভেসে যেত। কত যে রং। বিশাল নদীর ওপর আকাশটাই অন্যরকম। আকাশটা কী বিশাল ক্যানভাস! অমন আকাশ আর দেখিনি। ভারমিলিয়ন, রেড, ক্রিমসন, ইয়েলো, লেমন, অকার, স্কাই ব্লু, লেক ব্লু, কোবাল্ট, পার্পেল—কী রং ছিল না! আর এসব রঙের রিফ্লেকশন বিশাল নদীর বুকের ওপর পড়ত। মজার ব্যাপার হলো, রিফ্লেকশন নদীর পানির কাঁপুনিতে ভেঙে ভেঙে পড়ত যখন-তখন, তা দেখার মতো অপূর্ব একটি দৃশ্য হতো। আমার সমস্ত মুগ্ধতা নিয়ে আমি তাকিয়ে থাকতাম। আকাশ-নদী একাকার হয়ে যেত। এবং আকাশ ও নদী মিলেমিশে মার্ক রথকোর উজ্জ্বল ভাইব্রেন্ট অ্যাবস্ট্রাক্ট পেইন্টিংয়ের রূপ পেত। এখন মনে হয়, ওই যে আমি ঝোপের পাশে গিয়ে নদীর কিনারায় বসতাম, তা নেহাত নদীর সঙ্গে কথা বলার জন্য। নদী ও আকাশকে একলা করে পেতাম বলে আমার ভালো লাগত। নদী আর আকাশের কম বিপুল বিস্তার!
নদী নানান সময়ে নানা রকম শব্দে আমার সঙ্গে ভাব জমানোর চেষ্টা করত। তখন আমাদের ছোটদের এক খেলা ছিল নদীর ডান দিকের বাঁক ফিরে কয়টা পালের নৌকা আসে তা ধরে ফেলার। যে বেশি আর আগে দেখে ফেলত, তারই জিত হতো। এক পালের নৌকা, দুই পালের নৌকা, তিন পাল, এমনকি চার পালের নৌকা—কত যে নৌকা আসত-যেত তার ইয়ত্তা নেই। কত রকমের যে নৌকা, তাদের কত রকমের যে গড়ন—জেলে নৌকা, ডিঙি নৌকা, পানসি নৌকা, গয়নার নৌকা। মালবোঝাই নৌকা দেখলে মনে হতো অতি কষ্টে জলের ওপর ভেসে আছে, একটা চড়ুই পাখি বসলেই যেন-বা ডুবে যাবে! এসব নৌকার দাঁড় থাকত স্টিমারের রাডারের মতো বিশাল। তার মস্ত হাতল ধরে স্থির বসে থাকত দাঁড়ি, নিশ্চিন্তে ভাটিয়ালি গান গাইতে গাইতে মিলিয়ে যেত দূরে। তার উদাস বেদনার সুর হাওয়ায় ভাসত, আমি আনমনা হয়ে যেতাম।
বড় বড় নৌকা শুধু মাঝিমাল্লাদের দাঁড়-বইঠার জোরে চলত না! দু-তিনজন গুণটানা মাল্লা লম্বা শক্ত দড়ির ‘গুণ’ ছোট বাঁশের চোঙে বেঁধে কাঁধে নিয়ে নদীর কিনারা ধরে ধরে সেটা টেনে চলত। মাঝিদের দাঁড়-বইঠার ঠেলা আর গুণের সমবেত টান—এই দুইয়ের শক্তিতে নৌকা এগিয়ে যেত। এই গুণটানা মাঝিরাও গান গাইত সমস্বরে। তারা পরস্পর ছড়াও কাটত! দিনের একটি সময়ে দূর দিয়ে স্টিমার যেত। স্টিমারের চিমনির ধোঁয়া আকাশে ছড়িয়ে পড়ত… আর বিস্ময় নিয়ে দেখতাম। কী ভালো যে লাগত! … হঠাৎ কোনো কোনো দিন পানসি নৌকা থেকে ঘুঙুর, সারেঙ্গির ধ্বনি নদীর ঢেউ তুলে ভেসে আসত। খুব রহস্যময় মনে হতো সেই নৌকাগুলো, তার কূল-কিনারা করতে পারতাম না। কিন্তু মনে একটা তোলপাড় হতো। কেন হতো? জানি না।
লেখক: শিল্পী
নদীর কথা, গ্রামের সব কথা বলা হয়নি, একজীবনে হবেও না। এতসব স্মৃতি আছে! নদী ও গ্রামের কথা লিখেছি মাঝে মাঝে। গ্রামে যে আমি অনেক দিন থেকেছি তা নয়। আর গ্রাম বলতে আমার মনে ছাপ ফেলে আছে নানাবাড়ি কালোয়া—এ কথা আমি এতবার বলেছি, আরও বলতে ইচ্ছে করে। রবীন্দ্রনাথের শিলাইদহের পাশেই কালোয়া।
ছোটবেলায় নানাবাড়িতেই যাওয়া হতো বেশি। দাদাবাড়ি পান্টি। পান্টি গ্রামে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়টিতে ছিলাম। পান্টি আমার মনে দাগ ফেলেনি। তাই গ্রাম বলতেই নানাবাড়ির বিরাট পরিচ্ছন্ন উঠোন। দক্ষিণে গোলাপবাগান। পশ্চিমে চার চালার সামনে পাতাবাহারের বাগান। বাড়ির উত্তরে শীতল কুয়াতলা। সারিবাঁধা সুপারিগাছ। আরও পশ্চিমে নানির হেঁশেল। হেঁশেলের পেছনে ঘন বাঁশবাগান। তার আইল ধরে সরু পথরেখা চলে গেছে আরও সব জঙ্গলের মধ্য দিয়ে আমাদের আমবাগান পেরিয়ে বাজারের দিকে। এমন জঙ্গল আর বাঁশবাগান শুধু সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’তে দেখেছি।
বাড়ি থেকে উত্তরে পদ্মা নদীর দূরত্ব ছিল ৪০০–৫০০ গজের মতো। ছোটবেলাকার পদ্মা নদী ছিল আমার কাছে সমুদ্রসম। ওপারের কিছুই দেখা যেত না। শুনতাম, ওপারে পাবনা। আমরা ছোটরা সারা দিন খেলাধুলা করতাম। নদীর কিনারা ঘেঁষে একটি আমগাছ ছিল। সেই আমগাছকে ঘিরেই আমাদের যাবতীয় খেলাধুলা। ডাকাবুকো সাহসীরা গাছে উঠে বসে থাকত।
দুপুরে খালাদের সঙ্গে নদীতে নাইতে যেতাম দলবেঁধে। আমার খালারা অতীব রূপবতী ছিলেন। আমি সবার ছোট ছিলাম বলে খালাদের কাছে খুব আদর পেতাম। তারা শুধু রূপবতীই ছিলেন না, শিক্ষিতও ছিলেন। অনেকগুলো খালা ছিল আমার। খালাদের পিঠে চেপে সাঁতার শিখেছি পদ্মায়!
একবার ভেসে গিয়েছিলাম স্রোতে। খুব বিপজ্জনক স্মৃতিও মনে পড়ছে—পদ্মার তীব্র একরোখা জলধারার ভয়ংকর আক্রোশ মাঝে মাঝে আমাদের ছোটদের টেনে নিয়ে যেতে চাইত। এ জন্য খালারা চোখের আড়াল করতেন না। একবার আমার এক খেলার সঙ্গী কৃষ্ণা, কী কারণে আমাকে আচমকা ঠেলে দিয়েছিল, সবার অলক্ষ্যেই আমি ভেসে চলেছিলাম। বেশ দূরে আরেকটি ঘাটের এক নারী আমাকে উদ্ধার করেছিলেন। ফলে নারী জাতির প্রতি অভিমান যেমন আছে, কৃতজ্ঞতাও কম নেই।
খালারা যখন নদীর ঘাটে যেতেন, তখন বেশির ভাগ সময়ই সুনসান থাকত ঘাট। গ্রামের পুরুষদের সারা দিন নদীর আশপাশেই দেখতাম না খুব একটা। তাঁরা সন্ধ্যায় নদীর ধারে গিয়ে বসতেন। আমরা ছোটরা একটু দূরে গিয়ে জটলা করতাম। বড়রা আমাদের কিছু বলতেন না। এখন মনে পড়ে, বিকেলে সূর্য হেলে পড়লে আমি বন্ধুদের থেকে আলাদা হয়ে যেতাম। নিজেকে ওদের থেকে আলাদা করে নদীর ডান দিকের বাঁকটায় ঝোপের কিনারে গিয়ে বসতাম। আকাশ রঙের বন্যায় ভেসে যেত। কত যে রং। বিশাল নদীর ওপর আকাশটাই অন্যরকম। আকাশটা কী বিশাল ক্যানভাস! অমন আকাশ আর দেখিনি। ভারমিলিয়ন, রেড, ক্রিমসন, ইয়েলো, লেমন, অকার, স্কাই ব্লু, লেক ব্লু, কোবাল্ট, পার্পেল—কী রং ছিল না! আর এসব রঙের রিফ্লেকশন বিশাল নদীর বুকের ওপর পড়ত। মজার ব্যাপার হলো, রিফ্লেকশন নদীর পানির কাঁপুনিতে ভেঙে ভেঙে পড়ত যখন-তখন, তা দেখার মতো অপূর্ব একটি দৃশ্য হতো। আমার সমস্ত মুগ্ধতা নিয়ে আমি তাকিয়ে থাকতাম। আকাশ-নদী একাকার হয়ে যেত। এবং আকাশ ও নদী মিলেমিশে মার্ক রথকোর উজ্জ্বল ভাইব্রেন্ট অ্যাবস্ট্রাক্ট পেইন্টিংয়ের রূপ পেত। এখন মনে হয়, ওই যে আমি ঝোপের পাশে গিয়ে নদীর কিনারায় বসতাম, তা নেহাত নদীর সঙ্গে কথা বলার জন্য। নদী ও আকাশকে একলা করে পেতাম বলে আমার ভালো লাগত। নদী আর আকাশের কম বিপুল বিস্তার!
নদী নানান সময়ে নানা রকম শব্দে আমার সঙ্গে ভাব জমানোর চেষ্টা করত। তখন আমাদের ছোটদের এক খেলা ছিল নদীর ডান দিকের বাঁক ফিরে কয়টা পালের নৌকা আসে তা ধরে ফেলার। যে বেশি আর আগে দেখে ফেলত, তারই জিত হতো। এক পালের নৌকা, দুই পালের নৌকা, তিন পাল, এমনকি চার পালের নৌকা—কত যে নৌকা আসত-যেত তার ইয়ত্তা নেই। কত রকমের যে নৌকা, তাদের কত রকমের যে গড়ন—জেলে নৌকা, ডিঙি নৌকা, পানসি নৌকা, গয়নার নৌকা। মালবোঝাই নৌকা দেখলে মনে হতো অতি কষ্টে জলের ওপর ভেসে আছে, একটা চড়ুই পাখি বসলেই যেন-বা ডুবে যাবে! এসব নৌকার দাঁড় থাকত স্টিমারের রাডারের মতো বিশাল। তার মস্ত হাতল ধরে স্থির বসে থাকত দাঁড়ি, নিশ্চিন্তে ভাটিয়ালি গান গাইতে গাইতে মিলিয়ে যেত দূরে। তার উদাস বেদনার সুর হাওয়ায় ভাসত, আমি আনমনা হয়ে যেতাম।
বড় বড় নৌকা শুধু মাঝিমাল্লাদের দাঁড়-বইঠার জোরে চলত না! দু-তিনজন গুণটানা মাল্লা লম্বা শক্ত দড়ির ‘গুণ’ ছোট বাঁশের চোঙে বেঁধে কাঁধে নিয়ে নদীর কিনারা ধরে ধরে সেটা টেনে চলত। মাঝিদের দাঁড়-বইঠার ঠেলা আর গুণের সমবেত টান—এই দুইয়ের শক্তিতে নৌকা এগিয়ে যেত। এই গুণটানা মাঝিরাও গান গাইত সমস্বরে। তারা পরস্পর ছড়াও কাটত! দিনের একটি সময়ে দূর দিয়ে স্টিমার যেত। স্টিমারের চিমনির ধোঁয়া আকাশে ছড়িয়ে পড়ত… আর বিস্ময় নিয়ে দেখতাম। কী ভালো যে লাগত! … হঠাৎ কোনো কোনো দিন পানসি নৌকা থেকে ঘুঙুর, সারেঙ্গির ধ্বনি নদীর ঢেউ তুলে ভেসে আসত। খুব রহস্যময় মনে হতো সেই নৌকাগুলো, তার কূল-কিনারা করতে পারতাম না। কিন্তু মনে একটা তোলপাড় হতো। কেন হতো? জানি না।
লেখক: শিল্পী
এখন রাজনীতির এক গতিময়তার সময়। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের গণতন্ত্রহীন কর্তৃত্ববাদী দুর্নীতিপরায়ণ শাসন ছাত্র আন্দোলনে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী শাসনকালে দ্রুততার সঙ্গে নানা রকম রাজনৈতিক কথাবার্তা, চিন্তা-ভাবনা, চেষ্টা-অপচেষ্টা, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ ঘটছে।
১৮ ঘণ্টা আগেবহু বছর আগে সেই ব্রিটিশ যুগে কাজী নজরুল লিখেছিলেন, ‘ক্ষুধাতুর শিশু চায় না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত, একটু নুন।’ আসলে পেটের খিদে নিয়ম, আইন, বিবেক, বিচার কোনো কিছুই মানে না। তাই তো প্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে, খিদের জ্বালা বড় জ্বালা। এর থেকে বোধ হয় আর কোনো অসহায়তা নেই। খালি পেটে কেউ তত্ত্ব শুনতে চায় না। কাওয়ালিও ন
১৮ ঘণ্টা আগেতিন বছরের শিশু মুসা মোল্লা ও সাত বছরের রোহান মোল্লা নিষ্পাপ, ফুলের মতো কোমল। কারও সঙ্গে তাদের কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকার কথা নয়। কিন্তু বাবার চরম নিষ্ঠুরতায় পৃথিবী ছাড়তে হয়েছে তাদের। আহাদ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি দুই ছেলেসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করার পর নিজের গলায় নিজে ছুরি চালিয়েছেন।
১৮ ঘণ্টা আগেদলীয় রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তুলনা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন পাশে রেখেই ইউনূস সরকারের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে এর ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার সময়টায়। তবে সাধারণ মানুষ মনে হয় প্রতিদিনই তার জীবনে সরকারের ভূমিকা বিচার করে দেখছে।
২ দিন আগে