সৌগত বসু, ঢাকা
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হচ্ছে চলতি নভেম্বরে। ফলে এ মাস থেকেই ট্রেনগুলো ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু-ভাঙ্গা-মধুমতী সেতু-যশোর হয়ে নতুন রেলপথে খুলনায় যাবে। এতে ঢাকা থেকে রেলপথে খুলনার দূরত্ব কমবে ১৭৫ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে মাত্র চার ঘণ্টায় যাওয়া যাবে খুলনা ও বেনাপোলে, যশোরে যেতে লাগবে সাড়ে তিন ঘণ্টা।
প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের রেলপথ দিয়ে বর্তমানে খুলনা, যশোরের বেনাপোল ও রাজশাহীতে মাত্র চারটি ট্রেন চলছে। ঢাকা থেকে রেলপথে পদ্মা সেতু হয়ে খুলনার দূরত্ব প্রায় ৪১২ কিলোমিটার। ট্রেনগুলো বর্তমানে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুর-কুষ্টিয়া-দর্শনা হয়ে খুলনায় যায়। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পুরো চালু হলে এই পথের দূরত্ব কমে হবে মাত্র ২৩৭ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে বেনাপোলের বর্তমান দূরত্ব ৩৫৬ কিলোমিটার। নতুন রেলপথে এর দূরত্ব কমবে ১৮৪ কিলোমিটার।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক মো. আফজাল হোসেন গত মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকা-খুলনা পথে নতুন রেলপথ পুরোদমে চালুর জন্য ২০ নভেম্বরের মধ্যে একটি তারিখ নির্ধারণ করা হবে। ভাঙ্গা স্টেশনে সিগন্যাল সিস্টেমের কাজ এ সপ্তাহেই শেষ হওয়ার কথা।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। তখন ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথ চালু করা হয়। এখন ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ চালু হওয়ায় ঢাকা থেকে যশোরের ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথে সরাসরি যোগাযোগ চালু হতে যাচ্ছে। নতুন রেলপথে ভাঙ্গা থেকে যশোরের দূরত্ব ৯৫ কিলোমিটার এবং যশোর থেকে রেলপথে খুলনার দূরত্ব ৬৫ কিলোমিটার।
২০১৬ সালের ৩ মে একনেক সভায় পদ্মা সেতুর ওপর রেললাইন স্থাপনে ৩৪ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকার এই প্রকল্প অনুমোদন করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। ২০১৮ সালের ২২ মে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে প্রায় ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা এবং মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। করোনার কারণে কাজের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হলে আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত করা হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সূত্র বলছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প চালুর পর যশোর-ঢাকা পথে পদ্মবিলা রেল জংশন দিয়ে ট্রেন চলাচলের পরিকল্পনা রয়েছে রেলওয়ের। তবে বাঘারপাড়া উপজেলার এই স্টেশন যশোর শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে। এ কারণে পদ্মবিলার পরিবর্তে যশোর জংশন থেকে ঢাকার ট্রেন চলাচলের দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, যেসব ট্রেন ঢাকা থেকে বেনাপোলে যাবে, সেগুলো যশোর স্টেশন হয়েই চলাচল করবে। ফলে যাত্রীরা বঞ্চিত হবেন না। খুলনাগামী ট্রেনগুলো পদ্মবিলা জংশন হয়ে যাবে। এর কারণ, খুলনার ট্রেনগুলো যশোর স্টেশনে গেলে ইঞ্জিন ঘুরিয়ে খুলনায় যেতে হবে। এতে ৪০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা সময় বেশি লাগবে। এ ছাড়া যশোর থেকে খুলনা পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ করলে অনেক মানুষের ঘরবাড়ি ভাঙতে হতো, কারও জমি ক্ষতিগ্রস্ত হতো।
রেলওয়ের সূত্র জানায়, বর্তমানে পদ্মা সেতু দিয়ে তিনটি আন্তনগর ট্রেন—খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, বেনাপোলগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ও রাজশাহীগামী মধুমতী এক্সপ্রেস এবং খুলনাগামী কমিউটার ট্রেন নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস চলাচল করছে। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে না রেলওয়ে। তাই পদ্মা সেতু দিয়ে চার রুটে চলতি বছরেই নতুন আট জোড়া ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রুটগুলো হচ্ছে: ঢাকা-যশোর-খুলনা, ঢাকা-যশোর-বেনাপোল, ঢাকা-ভাঙ্গা-গোপালগঞ্জ এবং ঢাকা-ফরিদপুর-দর্শনা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী গতকাল বুধবার বলেন, নভেম্বরের মধ্যেই পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পুরোদমে চালু হচ্ছে। এতে ঢাকা-খুলনা পথের দূরত্ব কমবে। এতে যাত্রীদের পাশাপাশি রেলওয়েও লাভবান হবে। যাত্রার সময় কমলে এ রেলপথের ট্রেনগুলো দুবার করে পরিচালনা করা যাবে। নতুন রেলপথ চালু হলে ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহের যাত্রীদের রেলসেবা বিঘ্নিত হবে, এ নিয়ে রেলওয়ের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন রেলওয়ের ইঞ্জিন, রেক, বগির সংকট রয়েছে। ফরিদপুর-দর্শনা রুটে এখন কোনো নতুন ট্রেন দেওয়ার পরিকল্পনা নেই।
উদ্বোধন কে করবেন, এ প্রশ্নে রেলের মহাপরিচালক বলেন, এখনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি। তাই অতিথির তালিকাও হয়নি। সেটা হলে জানানো হবে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হচ্ছে চলতি নভেম্বরে। ফলে এ মাস থেকেই ট্রেনগুলো ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু-ভাঙ্গা-মধুমতী সেতু-যশোর হয়ে নতুন রেলপথে খুলনায় যাবে। এতে ঢাকা থেকে রেলপথে খুলনার দূরত্ব কমবে ১৭৫ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে মাত্র চার ঘণ্টায় যাওয়া যাবে খুলনা ও বেনাপোলে, যশোরে যেতে লাগবে সাড়ে তিন ঘণ্টা।
প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের রেলপথ দিয়ে বর্তমানে খুলনা, যশোরের বেনাপোল ও রাজশাহীতে মাত্র চারটি ট্রেন চলছে। ঢাকা থেকে রেলপথে পদ্মা সেতু হয়ে খুলনার দূরত্ব প্রায় ৪১২ কিলোমিটার। ট্রেনগুলো বর্তমানে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুর-কুষ্টিয়া-দর্শনা হয়ে খুলনায় যায়। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পুরো চালু হলে এই পথের দূরত্ব কমে হবে মাত্র ২৩৭ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে বেনাপোলের বর্তমান দূরত্ব ৩৫৬ কিলোমিটার। নতুন রেলপথে এর দূরত্ব কমবে ১৮৪ কিলোমিটার।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক মো. আফজাল হোসেন গত মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকা-খুলনা পথে নতুন রেলপথ পুরোদমে চালুর জন্য ২০ নভেম্বরের মধ্যে একটি তারিখ নির্ধারণ করা হবে। ভাঙ্গা স্টেশনে সিগন্যাল সিস্টেমের কাজ এ সপ্তাহেই শেষ হওয়ার কথা।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। তখন ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথ চালু করা হয়। এখন ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ চালু হওয়ায় ঢাকা থেকে যশোরের ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথে সরাসরি যোগাযোগ চালু হতে যাচ্ছে। নতুন রেলপথে ভাঙ্গা থেকে যশোরের দূরত্ব ৯৫ কিলোমিটার এবং যশোর থেকে রেলপথে খুলনার দূরত্ব ৬৫ কিলোমিটার।
২০১৬ সালের ৩ মে একনেক সভায় পদ্মা সেতুর ওপর রেললাইন স্থাপনে ৩৪ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকার এই প্রকল্প অনুমোদন করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। ২০১৮ সালের ২২ মে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে প্রায় ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা এবং মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। করোনার কারণে কাজের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হলে আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত করা হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সূত্র বলছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প চালুর পর যশোর-ঢাকা পথে পদ্মবিলা রেল জংশন দিয়ে ট্রেন চলাচলের পরিকল্পনা রয়েছে রেলওয়ের। তবে বাঘারপাড়া উপজেলার এই স্টেশন যশোর শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে। এ কারণে পদ্মবিলার পরিবর্তে যশোর জংশন থেকে ঢাকার ট্রেন চলাচলের দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, যেসব ট্রেন ঢাকা থেকে বেনাপোলে যাবে, সেগুলো যশোর স্টেশন হয়েই চলাচল করবে। ফলে যাত্রীরা বঞ্চিত হবেন না। খুলনাগামী ট্রেনগুলো পদ্মবিলা জংশন হয়ে যাবে। এর কারণ, খুলনার ট্রেনগুলো যশোর স্টেশনে গেলে ইঞ্জিন ঘুরিয়ে খুলনায় যেতে হবে। এতে ৪০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা সময় বেশি লাগবে। এ ছাড়া যশোর থেকে খুলনা পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ করলে অনেক মানুষের ঘরবাড়ি ভাঙতে হতো, কারও জমি ক্ষতিগ্রস্ত হতো।
রেলওয়ের সূত্র জানায়, বর্তমানে পদ্মা সেতু দিয়ে তিনটি আন্তনগর ট্রেন—খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, বেনাপোলগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ও রাজশাহীগামী মধুমতী এক্সপ্রেস এবং খুলনাগামী কমিউটার ট্রেন নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস চলাচল করছে। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে না রেলওয়ে। তাই পদ্মা সেতু দিয়ে চার রুটে চলতি বছরেই নতুন আট জোড়া ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রুটগুলো হচ্ছে: ঢাকা-যশোর-খুলনা, ঢাকা-যশোর-বেনাপোল, ঢাকা-ভাঙ্গা-গোপালগঞ্জ এবং ঢাকা-ফরিদপুর-দর্শনা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী গতকাল বুধবার বলেন, নভেম্বরের মধ্যেই পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পুরোদমে চালু হচ্ছে। এতে ঢাকা-খুলনা পথের দূরত্ব কমবে। এতে যাত্রীদের পাশাপাশি রেলওয়েও লাভবান হবে। যাত্রার সময় কমলে এ রেলপথের ট্রেনগুলো দুবার করে পরিচালনা করা যাবে। নতুন রেলপথ চালু হলে ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহের যাত্রীদের রেলসেবা বিঘ্নিত হবে, এ নিয়ে রেলওয়ের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন রেলওয়ের ইঞ্জিন, রেক, বগির সংকট রয়েছে। ফরিদপুর-দর্শনা রুটে এখন কোনো নতুন ট্রেন দেওয়ার পরিকল্পনা নেই।
উদ্বোধন কে করবেন, এ প্রশ্নে রেলের মহাপরিচালক বলেন, এখনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি। তাই অতিথির তালিকাও হয়নি। সেটা হলে জানানো হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৭ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০৭ জন রোগী।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অফ পার্টিস-২৯(কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগেবিচারপতি এম এ মতিন বলেছেন, ‘জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে দেশ পরিচালিত হবে—এটাই স্বাভাবিক, এর কোনো ব্যত্যয় হওয়া উচিত নয়। কিন্তু দেশের ন্যূনতম কোনো সংস্কার না করে রাজনীতিবিদদের হাতে ছেড়ে দেওয়া অনেকে নিরাপদ বোধ করছে না। ভালো নির্বাচন হলেও স্বৈরতন্ত্র আসবে না, তার গ্যারান্টি নেই
১৫ ঘণ্টা আগে