অনলাইন ডেস্ক
২৭তম বারের মতো এভারেস্টের চূড়ায় পা রেখেছেন নেপালি শেরপা কামি রিতা। এর মাধ্যমে সবচেয়ে বেশিবার এভারেস্ট জয়ের রেকর্ডটি আবার এককভাবে নিজের করে নিয়েছেন তিনি। আজ বুধবার পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় পা রাখেন তিনি। তাঁর পুনরায় এভারেস্ট জয়ের বিষয়টি রয়টার্সকে নিশ্চিত করেন একজন সরকারি কর্মকর্তা ও কামি রিতা যে হাইকিং কোম্পানিতে কাজ করেন তার মহাব্যবস্থাপক।
৫৩ বছর বয়স্ক কামি রিতা ৮৮৪৯ মিটার (২৯.০৩২ ফুট) উচ্চতার পর্বতচূড়াটি জয় করেন বুধবার সকালে। বিদেশি একজন পর্বতারোহীর গাইড হিসেবে দক্ষিণ–পূর্বের ঢালের রুট ধরে এটা করেন তিনি।
‘হ্যা কামি রিতা ২৭তম বারের মতো সাগরমাথার (এভারেস্টের নেপালি নাম) চূড়ায় পৌঁছেছে।’ বলেন নেপালের ডিপার্টমেন্ট অব টুরিজমের কর্মকর্তা বিজ্ঞান কৈরালা।
সেভেন সামিট ট্র্যাকস নামের যে প্রতিষ্ঠানটিতে কামি রিতা চাকরি করেন তার মহাব্যবস্থাপক থানেশ্বর গুরাগাই জানান, নেপালি সময় সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিদেশি পর্বতোরোহীসহ এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছান কামি রিতা। ‘আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। তবে এটা শতভাগ নিশ্চিত যে কামি রিতা ২৭তম বারের মতো এভারেস্ট জয় করেছেন।’ বলেন গুরাগাই।
এর আগে গত রোববার ৪৬ বছর বয়স্ক পাসাং দেওয়া শেরপা ২৬তম বার সর্বোচ্চ পর্বত শিখরটি জয় করে স্পর্শ করেছিলেন কামি রিতা শেরপার রেকর্ড। তিন দিন পরেই রেকর্ডটি আবার শুধু নিজের করে নিলেন কামি রিতা।
কামি রিতা শেরপা ১৯৯৪ সালে প্রথমবার মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন। তারপর থেকে প্রায় প্রতি বছরই চূড়াটি জয় করছেন। এর মধ্যে বাদ পড়ে কেবল ২০১৪,২০১৫ ও ২০২০ সালে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মেডিসন মাউন্টেনিয়ারিং কোম্পানির গারেট মেডিসনের ১২ বার এভারেস্ট জয়ী অভিযানের মধ্যে পাঁচ বারই সঙ্গী ছিলেন কামি রিতা। মেডিসন কামি রিতাকে উল্লেখ করেন, ‘খুব শক্তিশালী পর্বতারোহী’ হিসেবে।
‘একজন স্থানীয় পর্বতারোহী ক্রমাগত মাউন্ট এভারেস্টকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যাচ্ছেন দেখাটা খুব অনুপ্রেরণাদায়ক’ এভারেস্ট বেস ক্যাম্প থেকে রয়টার্সকে ফোনে বলেন মেডিসন। উল্লেখ্য সেখানে ১৩তম বার এভারেস্ট বিজয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মেডিসন।
মজার ঘটনা এভারেস্ট যে জেলায় পড়েছে সেই সোলাখুমবু জেলার একটি গ্রাম থামেতে কামি রিতার জন্ম। অবশ্য ২৭তম বার এভারেস্ট জয়ে তাঁর অনুভূতি জানা সম্ভব হয়নি, কারণ সর্বোচ্চ পর্বত শিখরটি জয়ের পর নিচের ক্যাম্পগুলোর দিকে নামছিলেন তিনি।
এদিকে কামি রিতার এ অর্জনের পর তাঁর কোম্পানি এক বিবৃতিতে জানায়, নিজের জীবনটাকে কামি রিতা নিয়োজিত করেছেন পর্বতারোহণে। আর পৃথিবীর উচ্চতম চূড়া আর কামি রিতা এখন যেন এক সূত্রে গেঁথে গেছে।
পর্বতারোহণে পারদর্শিতার জন্য পরিচিত শেরপারা। তাঁদের অনেকেই জীবনধারণ করেন বিদেশি পর্বতারোহীদের এভারেস্টসহ বিভিন্ন চূড়ায় নিয়ে যাওয়ার গাইড হিসেবে কাজ করে।
মে মাসকে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছানোর আদর্শ সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর এ বছর নেপাল এভারেস্ট আরোহণের জন্য রেকর্ড ৪৭৮টি পারমিট দিয়েছে। এর আগে সর্বোচ্চ পারমিট দেওয়া হয় ৪০৮ টি, ২০২১ সালে।
উল্লেখ্য হিমালয় অঞ্চলের দেশটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ট্র্যাকিং, পর্বতারোহণ ও পর্যটনের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। তবে এভারেস্ট জয়ের জন্য বেশি সংখ্যক পর্বতারোহীকে সুযোগ দিয়ে সম্প্রতি সমালোচনার মুখে পড়েছে। বলা হচ্ছে এই পর্বতারোহীদের অনেকেই অনভিজ্ঞ।
বিশেষ করে পর্বতচূড়ার ঠিক নিচে অবস্থিত হিলারি স্টেপ নামের জায়গাটিতে এই অতিরিক্ত পর্বতারোহীর কারণে বিপজ্জনক ভিড় সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে পর্বতারোহীদের ওঠা–নামার সময় এ ধরনের ভিড়ের কারণে মানুষের সারি তৈরি হলে, ক্লান্ত, বিপর্যস্ত নয়জন পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়।
হিমালয়ান ডেটাবেইস ও নেপালের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৩ সালে প্রথম এভারেস্ট জয়ের পর থেকে নেপালি ও তিব্বতি অংশ দিয়ে ১১,০০০ বারের বেশিবার চূড়ায় আরোহণ করেছেন পর্বতারোহীরা। এদের মধ্যে অনেকেই অবশ্য একাধিকবার জয় করেছেন সর্বোচ্চ শিখরটি। আর সর্বোচ্চ চূড়াটি জয় করার চেষ্টা করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩২০ জনের বেশি মানুষ।
২৭তম বারের মতো এভারেস্টের চূড়ায় পা রেখেছেন নেপালি শেরপা কামি রিতা। এর মাধ্যমে সবচেয়ে বেশিবার এভারেস্ট জয়ের রেকর্ডটি আবার এককভাবে নিজের করে নিয়েছেন তিনি। আজ বুধবার পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় পা রাখেন তিনি। তাঁর পুনরায় এভারেস্ট জয়ের বিষয়টি রয়টার্সকে নিশ্চিত করেন একজন সরকারি কর্মকর্তা ও কামি রিতা যে হাইকিং কোম্পানিতে কাজ করেন তার মহাব্যবস্থাপক।
৫৩ বছর বয়স্ক কামি রিতা ৮৮৪৯ মিটার (২৯.০৩২ ফুট) উচ্চতার পর্বতচূড়াটি জয় করেন বুধবার সকালে। বিদেশি একজন পর্বতারোহীর গাইড হিসেবে দক্ষিণ–পূর্বের ঢালের রুট ধরে এটা করেন তিনি।
‘হ্যা কামি রিতা ২৭তম বারের মতো সাগরমাথার (এভারেস্টের নেপালি নাম) চূড়ায় পৌঁছেছে।’ বলেন নেপালের ডিপার্টমেন্ট অব টুরিজমের কর্মকর্তা বিজ্ঞান কৈরালা।
সেভেন সামিট ট্র্যাকস নামের যে প্রতিষ্ঠানটিতে কামি রিতা চাকরি করেন তার মহাব্যবস্থাপক থানেশ্বর গুরাগাই জানান, নেপালি সময় সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিদেশি পর্বতোরোহীসহ এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছান কামি রিতা। ‘আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। তবে এটা শতভাগ নিশ্চিত যে কামি রিতা ২৭তম বারের মতো এভারেস্ট জয় করেছেন।’ বলেন গুরাগাই।
এর আগে গত রোববার ৪৬ বছর বয়স্ক পাসাং দেওয়া শেরপা ২৬তম বার সর্বোচ্চ পর্বত শিখরটি জয় করে স্পর্শ করেছিলেন কামি রিতা শেরপার রেকর্ড। তিন দিন পরেই রেকর্ডটি আবার শুধু নিজের করে নিলেন কামি রিতা।
কামি রিতা শেরপা ১৯৯৪ সালে প্রথমবার মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন। তারপর থেকে প্রায় প্রতি বছরই চূড়াটি জয় করছেন। এর মধ্যে বাদ পড়ে কেবল ২০১৪,২০১৫ ও ২০২০ সালে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মেডিসন মাউন্টেনিয়ারিং কোম্পানির গারেট মেডিসনের ১২ বার এভারেস্ট জয়ী অভিযানের মধ্যে পাঁচ বারই সঙ্গী ছিলেন কামি রিতা। মেডিসন কামি রিতাকে উল্লেখ করেন, ‘খুব শক্তিশালী পর্বতারোহী’ হিসেবে।
‘একজন স্থানীয় পর্বতারোহী ক্রমাগত মাউন্ট এভারেস্টকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যাচ্ছেন দেখাটা খুব অনুপ্রেরণাদায়ক’ এভারেস্ট বেস ক্যাম্প থেকে রয়টার্সকে ফোনে বলেন মেডিসন। উল্লেখ্য সেখানে ১৩তম বার এভারেস্ট বিজয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মেডিসন।
মজার ঘটনা এভারেস্ট যে জেলায় পড়েছে সেই সোলাখুমবু জেলার একটি গ্রাম থামেতে কামি রিতার জন্ম। অবশ্য ২৭তম বার এভারেস্ট জয়ে তাঁর অনুভূতি জানা সম্ভব হয়নি, কারণ সর্বোচ্চ পর্বত শিখরটি জয়ের পর নিচের ক্যাম্পগুলোর দিকে নামছিলেন তিনি।
এদিকে কামি রিতার এ অর্জনের পর তাঁর কোম্পানি এক বিবৃতিতে জানায়, নিজের জীবনটাকে কামি রিতা নিয়োজিত করেছেন পর্বতারোহণে। আর পৃথিবীর উচ্চতম চূড়া আর কামি রিতা এখন যেন এক সূত্রে গেঁথে গেছে।
পর্বতারোহণে পারদর্শিতার জন্য পরিচিত শেরপারা। তাঁদের অনেকেই জীবনধারণ করেন বিদেশি পর্বতারোহীদের এভারেস্টসহ বিভিন্ন চূড়ায় নিয়ে যাওয়ার গাইড হিসেবে কাজ করে।
মে মাসকে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছানোর আদর্শ সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর এ বছর নেপাল এভারেস্ট আরোহণের জন্য রেকর্ড ৪৭৮টি পারমিট দিয়েছে। এর আগে সর্বোচ্চ পারমিট দেওয়া হয় ৪০৮ টি, ২০২১ সালে।
উল্লেখ্য হিমালয় অঞ্চলের দেশটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ট্র্যাকিং, পর্বতারোহণ ও পর্যটনের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। তবে এভারেস্ট জয়ের জন্য বেশি সংখ্যক পর্বতারোহীকে সুযোগ দিয়ে সম্প্রতি সমালোচনার মুখে পড়েছে। বলা হচ্ছে এই পর্বতারোহীদের অনেকেই অনভিজ্ঞ।
বিশেষ করে পর্বতচূড়ার ঠিক নিচে অবস্থিত হিলারি স্টেপ নামের জায়গাটিতে এই অতিরিক্ত পর্বতারোহীর কারণে বিপজ্জনক ভিড় সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে পর্বতারোহীদের ওঠা–নামার সময় এ ধরনের ভিড়ের কারণে মানুষের সারি তৈরি হলে, ক্লান্ত, বিপর্যস্ত নয়জন পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়।
হিমালয়ান ডেটাবেইস ও নেপালের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৩ সালে প্রথম এভারেস্ট জয়ের পর থেকে নেপালি ও তিব্বতি অংশ দিয়ে ১১,০০০ বারের বেশিবার চূড়ায় আরোহণ করেছেন পর্বতারোহীরা। এদের মধ্যে অনেকেই অবশ্য একাধিকবার জয় করেছেন সর্বোচ্চ শিখরটি। আর সর্বোচ্চ চূড়াটি জয় করার চেষ্টা করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩২০ জনের বেশি মানুষ।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে