মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
শহুরে জীবনযাপনের অংশ হয়ে উঠেছে কৃষি। শখ ও প্রয়োজন—দুটোই মিটছে এ থেকে। বাড়ির ছাদ কিংবা বারান্দা ভরে উঠছে সবজি ও ফুলের গাছে। ছাদ বেশ প্রশস্ত এবং ভালো রোদ পাওয়া যায় বলে বাগান করার জন্য সেটি উত্তম জায়গা।
কোন সবজির বাগান
ছাদে প্রায় সব ধরনের সবজি উৎপাদন সম্ভব। তবে অল্প সময়ে উৎপাদনের জন্য ভালো হবে লালশাক, পালংশাক, ধনেপাতা, ডাঁটাশাক, পুঁইশাক, কলমিশাক ইত্যাদি। আর একটু বড় সবজির মধ্যে টমেটো, বেগুন, করলা, শিম, লাউ, পটোল, বরবটি, শসার উৎপাদন অনেকটাই সহজ।
বীজ বিষয়ে
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শাকের বীজ অনলাইন, অফলাইন—দুভাবেই কেনা যায়। তবে যেটাই কিনুন না কেন, ভালো জাত ও জার্মিনেশন রেট ভালো দেখে কিনুন। চারা কিনলেও জাতের বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। নইলে দিন শেষে পরিশ্রমটাই বৃথা যেতে পারে। কারণ, ভালো জাতের বীজ বা চারা না হলে যত্ন করেও ভালো ফসল না পাওয়ার আশঙ্কা আছে।
বীজ বপনের আগে
প্রথমে বীজ মিনিট বিশেক রোদে রাখুন। তারপর কিছুটা সময় ছায়ায় রেখে দিন। এরপর যেটা করবেন তা হলো, এক রাত ছত্রাকনাশক মেশানো পানিতে ভিজিয়ে রেখে টিস্যু বা কাপড়ে পেঁচিয়ে একটা বাক্সে ভরে রাখুন। বাক্সটা একটু গরম জায়গায় রাখতে পারলে ভালো।শিকড় গজানো বীজ মিডিয়ায় লাগালে তা দ্রুত বড় হবে। সরাসরি বীজ মিডিয়ায় লাগালে অনেক সময় তা গজাতে পারে না। জার্মিনেশন রেট কম হয়। তাতে ফসল খাওয়ার উপযোগী হতে সময় লাগবে অনেক বেশি। তবে লালশাকের বীজ ছত্রাকনাশক মেশানো পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে তারপর লাগানো যায়। এক রাত ভিজিয়ে না রাখলে তেমন সমস্যা নেই।
গাছ রোপণের পাত্র
অল্প জায়গায় বেশি বা একাধিক সবজি একই সঙ্গে চাষের জন্য জিও ব্যাগের বেড উত্তম; বিশেষ করে শাকজাতীয় সবজির চাষ করতে চাইলে। জিও ব্যাগের বেড লম্বা ও প্রশস্ত। গভীরতা যতটুকু, তা সবজি চাষের জন্য উপযুক্ত। লাউ, শিম, শসাজাতীয় লতানো গাছের বেড তৈরির জন্য ফলের ক্রেট, ড্রাম, বস্তার ব্যবহার ভালো। এই গাছগুলোর শিকড় গভীরে যেতে পছন্দ করে। দীর্ঘ সময় ধরে উৎপাদনে থাকে বলে এগুলোর খাবারও লাগে বেশি। এ ছাড়া পানি বা তেলের জার (পাচ লিটার কিংবা তার চেয়ে বড়), টব ইত্যাদিতেও সবজির চাষ করা সম্ভব।
পানিনিষ্কাশন
ছাদকৃষিতে ব্যর্থতার বড় কারণ পাত্রে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা সঠিকভাবে না থাকা। পাত্রের নিচে কয়েকটি ফুটো করে দিতে হবে। তারপর সুরকি বা খোলামকুচি দেওয়া যেতে পারে। পাত্রটি ড্রাম হলে কয়েকটি ইটের ওপর বসালে ভালো। তাহলে ছাদে ময়লা কম হবে। পানিনিষ্কাশন কেমন হচ্ছে তা বুঝতে পারা যাবে।
মিডিয়া
গাছের জন্য সবচেয়ে বেশি পুষ্টির উপাদান থাকে পাতা পচা সারে। এরপর কেঁচো সার এবং পরের অবস্থান গোবর সারের। পাতা পচা সার সহজলভ্য নয় বলে দাম বেশি। কেঁচো ও গোবর সার সহজলভ্য। দামেও সস্তা। মাটিতে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কেঁচো বা গোবর সার, একটু ছত্রাকনাশক, নিম খৈল, হাড়ের গুঁড়া, শিংকুচি, সরিষার খৈল দিতে হবে। পাশাপাশি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কোকোপিট বা কোকো ডাস্ট দেওয়া যেতে পারে। ২০ শতাংশ দিলেও ক্ষতি নেই। এই দুটি উপাদান মিডিয়ায় আর্দ্রতা ধরে রাখবে। ওজনে হালকা বিধায় তাতে ছাদের ওপর চাপ কম পড়বে। গাছ দ্রুত শিকড় ছড়িয়ে দিতে পারবে। মাটি হবে ঝরঝরে। দলা পাকানো, আঠালো বা শক্ত নয়। এ জন্য একটু বালি (ধোয়া সিলেটী বালি) দিলে ক্ষতি নেই। সবকিছু দিয়ে মিডিয়া প্রস্তুত করে কমপক্ষে দিন দশক রেখে দিন। এরপর সবজির বীজ লাগালে দ্রুত বড় হবে।
বেশি ফলন পেতে
লাউ, শিম, বরবটি, শসা ইত্যাদি গাছ গোড়া থেকে ১০ পাতা হলে ডগা কেটে দিন। তাহলে বেশি শাখা-প্রশাখা বের হবে এবং ফলন হবে বেশি। এভাবে ডগা কেটে ছাদের অল্প জায়গায় গাছ ছোট কিন্তু ঝোপালো রেখে ফসল তুলে নিতে হবে।
যা করবেন না
গাছের জন্য জৈব টোটকা
শহুরে জীবনযাপনের অংশ হয়ে উঠেছে কৃষি। শখ ও প্রয়োজন—দুটোই মিটছে এ থেকে। বাড়ির ছাদ কিংবা বারান্দা ভরে উঠছে সবজি ও ফুলের গাছে। ছাদ বেশ প্রশস্ত এবং ভালো রোদ পাওয়া যায় বলে বাগান করার জন্য সেটি উত্তম জায়গা।
কোন সবজির বাগান
ছাদে প্রায় সব ধরনের সবজি উৎপাদন সম্ভব। তবে অল্প সময়ে উৎপাদনের জন্য ভালো হবে লালশাক, পালংশাক, ধনেপাতা, ডাঁটাশাক, পুঁইশাক, কলমিশাক ইত্যাদি। আর একটু বড় সবজির মধ্যে টমেটো, বেগুন, করলা, শিম, লাউ, পটোল, বরবটি, শসার উৎপাদন অনেকটাই সহজ।
বীজ বিষয়ে
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শাকের বীজ অনলাইন, অফলাইন—দুভাবেই কেনা যায়। তবে যেটাই কিনুন না কেন, ভালো জাত ও জার্মিনেশন রেট ভালো দেখে কিনুন। চারা কিনলেও জাতের বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। নইলে দিন শেষে পরিশ্রমটাই বৃথা যেতে পারে। কারণ, ভালো জাতের বীজ বা চারা না হলে যত্ন করেও ভালো ফসল না পাওয়ার আশঙ্কা আছে।
বীজ বপনের আগে
প্রথমে বীজ মিনিট বিশেক রোদে রাখুন। তারপর কিছুটা সময় ছায়ায় রেখে দিন। এরপর যেটা করবেন তা হলো, এক রাত ছত্রাকনাশক মেশানো পানিতে ভিজিয়ে রেখে টিস্যু বা কাপড়ে পেঁচিয়ে একটা বাক্সে ভরে রাখুন। বাক্সটা একটু গরম জায়গায় রাখতে পারলে ভালো।শিকড় গজানো বীজ মিডিয়ায় লাগালে তা দ্রুত বড় হবে। সরাসরি বীজ মিডিয়ায় লাগালে অনেক সময় তা গজাতে পারে না। জার্মিনেশন রেট কম হয়। তাতে ফসল খাওয়ার উপযোগী হতে সময় লাগবে অনেক বেশি। তবে লালশাকের বীজ ছত্রাকনাশক মেশানো পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে তারপর লাগানো যায়। এক রাত ভিজিয়ে না রাখলে তেমন সমস্যা নেই।
গাছ রোপণের পাত্র
অল্প জায়গায় বেশি বা একাধিক সবজি একই সঙ্গে চাষের জন্য জিও ব্যাগের বেড উত্তম; বিশেষ করে শাকজাতীয় সবজির চাষ করতে চাইলে। জিও ব্যাগের বেড লম্বা ও প্রশস্ত। গভীরতা যতটুকু, তা সবজি চাষের জন্য উপযুক্ত। লাউ, শিম, শসাজাতীয় লতানো গাছের বেড তৈরির জন্য ফলের ক্রেট, ড্রাম, বস্তার ব্যবহার ভালো। এই গাছগুলোর শিকড় গভীরে যেতে পছন্দ করে। দীর্ঘ সময় ধরে উৎপাদনে থাকে বলে এগুলোর খাবারও লাগে বেশি। এ ছাড়া পানি বা তেলের জার (পাচ লিটার কিংবা তার চেয়ে বড়), টব ইত্যাদিতেও সবজির চাষ করা সম্ভব।
পানিনিষ্কাশন
ছাদকৃষিতে ব্যর্থতার বড় কারণ পাত্রে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা সঠিকভাবে না থাকা। পাত্রের নিচে কয়েকটি ফুটো করে দিতে হবে। তারপর সুরকি বা খোলামকুচি দেওয়া যেতে পারে। পাত্রটি ড্রাম হলে কয়েকটি ইটের ওপর বসালে ভালো। তাহলে ছাদে ময়লা কম হবে। পানিনিষ্কাশন কেমন হচ্ছে তা বুঝতে পারা যাবে।
মিডিয়া
গাছের জন্য সবচেয়ে বেশি পুষ্টির উপাদান থাকে পাতা পচা সারে। এরপর কেঁচো সার এবং পরের অবস্থান গোবর সারের। পাতা পচা সার সহজলভ্য নয় বলে দাম বেশি। কেঁচো ও গোবর সার সহজলভ্য। দামেও সস্তা। মাটিতে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কেঁচো বা গোবর সার, একটু ছত্রাকনাশক, নিম খৈল, হাড়ের গুঁড়া, শিংকুচি, সরিষার খৈল দিতে হবে। পাশাপাশি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কোকোপিট বা কোকো ডাস্ট দেওয়া যেতে পারে। ২০ শতাংশ দিলেও ক্ষতি নেই। এই দুটি উপাদান মিডিয়ায় আর্দ্রতা ধরে রাখবে। ওজনে হালকা বিধায় তাতে ছাদের ওপর চাপ কম পড়বে। গাছ দ্রুত শিকড় ছড়িয়ে দিতে পারবে। মাটি হবে ঝরঝরে। দলা পাকানো, আঠালো বা শক্ত নয়। এ জন্য একটু বালি (ধোয়া সিলেটী বালি) দিলে ক্ষতি নেই। সবকিছু দিয়ে মিডিয়া প্রস্তুত করে কমপক্ষে দিন দশক রেখে দিন। এরপর সবজির বীজ লাগালে দ্রুত বড় হবে।
বেশি ফলন পেতে
লাউ, শিম, বরবটি, শসা ইত্যাদি গাছ গোড়া থেকে ১০ পাতা হলে ডগা কেটে দিন। তাহলে বেশি শাখা-প্রশাখা বের হবে এবং ফলন হবে বেশি। এভাবে ডগা কেটে ছাদের অল্প জায়গায় গাছ ছোট কিন্তু ঝোপালো রেখে ফসল তুলে নিতে হবে।
যা করবেন না
গাছের জন্য জৈব টোটকা
খাবার মজাদার করতে আমরা সাধারণভাবে তেল-মসলার খুব বাড়াবাড়ি করে ফেলি। সেখান থেকে বাদ যায় না পেঁয়াজ কিংবা রসুন। পেঁয়াজকে কায়দা করে সরিয়ে রাখলেও খাবার মজাদার হতে পারে। তেমনই কিছু রেসিপি...
১ দিন আগেবাংলা অঞ্চলে মিষ্টিজাতীয় প্রাচীন খাবারগুলোর মধ্যে সন্দেশের নাম আছে একেবারে প্রথম দিকে। সব মিষ্টির কিছু না কিছু বদল হলেও, এর বদল হয়েছে খুবই কম। যশোরের নলেন গুড়ের সন্দেশ, মানিকগঞ্জ বা নাগরপুরের প্যারা সন্দেশ, পাবনার মাছের পেটি সন্দেশ ইত্যাদি কে না খেতে পছন্দ করে!
১ দিন আগেজীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে দারুচিনি দ্বীপের কথা, তার রহস্যময় শ্যামলিমার কথা, সেই সবুজের গহিনে দিকহারা নাবিকের আশ্রয়-আকাঙ্ক্ষার কথা। এই দারুচিনি দ্বীপ কি আসলে কোনো সমুদ্রঘেরা ভূখণ্ড, নাকি বনলতা সেন নিজেই, তা নিয়ে কবিরা বিতর্ক করুক। আমরা বরং এই দ্বীপের তত্ত্বতালাশ করি।
১ দিন আগে‘প্রসেসেস’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভাতের মাড় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি হজমযোগ্য স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে কাজ করে। এমনকি এটি ওজন কমাতে পারে।
১ দিন আগে