মো. আশিকুর রহমান
সম্প্রতি প্রকাশিত টাইমস হায়ার এডুকেশন ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিংয়ে বশেমুরকৃবি দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। কোন ধরনের পদক্ষেপের ফলে এমন অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে আপনি মনে করেন?
এই র্যাঙ্কিং মূলত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও উদ্ভাবনের ওপর নির্ভর করে। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা-১: দারিদ্র্য বিলোপ নিয়ে আমরা কাজ করেছি। ভ্যারাইটি এবং বিভিন্ন ফসলের জন্য টেকনোলজি ডেভেলপ করি। এগুলো আমাদের খাদ্য উৎপাদনে সহায়তা করে। দারিদ্র্য কমাতে জাতীয়ভাবে আমরা গবেষণার মাধ্যমে সাহায্য করছি। লক্ষ্যমাত্রা-৪: মানসম্মত শিক্ষা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা সুসংগঠিত। আমরা হালনাগাদ তথ্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শেয়ার করি। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, লক্ষ্য পূরণে অংশীদারত্ব, যা লক্ষ্যমাত্রা-১৭। আমরা গুণগত ও মানসম্পন্ন কৃষিশিক্ষা এবং বিশ্বমানের যৌথ গবেষণার লক্ষ্যে ইউরোপের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীনসহ এশিয়ার আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি। তাদের সঙ্গে আমরা শিক্ষা ও গবেষণা নিয়ে কাজ করি। উদ্ভাবন, অর্থাৎ নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করার ক্ষেত্রেও আমরা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। এগুলোই আমাদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান অর্জনে ভূমিকা রেখেছে।
এ ছাড়া ২০২১ ও ২০২২ সালে পরপর দুইবার দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক মর্যাদাপূর্ণ সিমাগো র্যাঙ্কিংয়ে আমরা শীর্ষস্থান অর্জন করেছি।
ইউজিসি কর্তৃক বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে ২০২১ ও ২০২২ সালে টানা দুইবার শীর্ষস্থান অর্জন করেছে বশেমুরকৃবি। এ-সম্পর্কে জানতে চাই?
বাংলাদেশ সরকারের তথা প্রতিটি সংস্থার কাজের স্বচ্ছতা, সেবা প্রদান, সহজীকরণ ও এসডিজি অর্জনের জন্য সরকার গৃহীত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নে আমরা টানা দুইবার প্রথম স্থান অর্জন করেছি।
বছরের শুরুতে ইউজিসির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটা চুক্তি হয় যে আমরা সব কাজ সময়মতো সম্পন্ন করব। এ কাজগুলো আমরা সঠিকভাবে সম্পন্ন করি। বছরের শুরুতে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করি এবং সেটি কঠোরভাবে মেনে চলি। ওই ক্যালেন্ডার মোতাবেক যাবতীয় শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম, পরীক্ষা অনুষ্ঠান ও প্রতি টার্মে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সে কারণে নির্ধারিত সময়েই শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
গবেষণার ক্ষেত্রে আমরা ভালো জার্নাল প্রকাশ করি। এ বছর আমরা কয়েকটি ফসলের জাত ও নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছি। শিক্ষার্থীরা যেসব সেবা পাওয়ার কথা, সেগুলো আমরা দিয়ে থাকি। এটি সম্পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, শতভাগ শিক্ষার্থীকে টার্মের শুরু থেকে হলে সিট দেওয়া হয়। তাঁদের ইন্টারনেট, খেলাধুলা, লাইব্রেরিসহ সব সুবিধা আমরা নির্ধারিত সময়ে দিয়ে থাকি।
বছরে চারটি সিন্ডিকেট ও চারটি একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং, প্ল্যানিং কমিটির মিটিং, অর্থ কমিটির মিটিং, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইন্টারঅ্যাকশনসহ সবকিছুই নির্ধারিত সময়ে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে করে থাকি। এ জন্য এপিএতে সব সময় আমরা ৯৯ থেকে ১০০ নম্বর পাই। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই জানেন আমাদের সব কাজ নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে।
শিক্ষা ও গবেষণায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
আমি নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করে চলেছি। আমরা একাডেমিক কাউন্সিলে আউটকাম বেইসড এডুকেশন অনুমোদন করেছি এবং সেই অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবশক্তিতে রূপান্তরের কাজ করছি। প্রত্যেক শিক্ষকের এখন এক বা একাধিক প্রজেক্ট রয়েছে এবং সবাই নিজেদের গবেষণায় মনোনিবেশ করেছেন। যাঁরা এখানে মাস্টার্সে পড়ছেন, তাঁরাও জানেন এখানে মাস্টার্সে পড়তে হলে গবেষণায় সম্পৃক্ত থাকতে হবে, থিসিস করতে হবে এবং পেপার পাবলিশ করতে হবে। আমি বলব, আমার শতভাগ নয়, ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী বা শিক্ষক গবেষণায় হাইলি মোটিভেটেড।
স্মার্ট কৃষির ক্ষেত্রে বশেমুরকৃবি কতটা ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আপনি মনে করেন?
স্মার্ট কৃষি মানে হচ্ছে, কৃষির যে পরিবর্তন সেই পরিবর্তনের সঙ্গে প্রযুক্তিগতভাবে আমাদের খাপ খাওয়ানো। আয়তনে ক্ষুদ্র অথচ বিপুল জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে ক্রমহ্রাসমান জমি থেকে ক্রমবর্ধমান জনগণের খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা গড়ে তোলা এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। তার ওপর পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতি, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত, শিল্পায়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের আবর্তনে সীমিত কৃষিজমির ওপর চাপ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। আমরা যদি সঠিক সময়ে, সঠিক পরামর্শ দিতে না পারি, তাহলে এই কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব না। আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় কৃষককে আগাম ও যথাযথ তথ্য দেওয়ার জন্য দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে ইতিমধ্যে আমরা ‘অ্যাগ্রোমেটেরিওলজি’ বিভাগ চালু করেছি।
জলবায়ুবিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণা জোরদার করার মানসে ‘ইনস্টিটিউট অব ক্লাইমেন্ট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’ নামে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। বৈরী জলবায়ু, প্রতিকূলতাসহিষ্ণু জাত এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবনে দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আরও যুগোপযোগী কোর্স, বিভাগ ও ইনস্টিটিউট চালুর প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। স্মার্ট কৃষির জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াতে হবে। এ জন্য বিশ্বের যে পরিবর্তন, সেগুলো নিয়ে আমরা সেমিনার ও ওয়ার্কশপ করি এবং কৃষকের মতামত নেওয়ার চেষ্টা করি। এগুলোর ফলে আমাদের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হবেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত টাইমস হায়ার এডুকেশন ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিংয়ে বশেমুরকৃবি দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। কোন ধরনের পদক্ষেপের ফলে এমন অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে আপনি মনে করেন?
এই র্যাঙ্কিং মূলত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও উদ্ভাবনের ওপর নির্ভর করে। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা-১: দারিদ্র্য বিলোপ নিয়ে আমরা কাজ করেছি। ভ্যারাইটি এবং বিভিন্ন ফসলের জন্য টেকনোলজি ডেভেলপ করি। এগুলো আমাদের খাদ্য উৎপাদনে সহায়তা করে। দারিদ্র্য কমাতে জাতীয়ভাবে আমরা গবেষণার মাধ্যমে সাহায্য করছি। লক্ষ্যমাত্রা-৪: মানসম্মত শিক্ষা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা সুসংগঠিত। আমরা হালনাগাদ তথ্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শেয়ার করি। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, লক্ষ্য পূরণে অংশীদারত্ব, যা লক্ষ্যমাত্রা-১৭। আমরা গুণগত ও মানসম্পন্ন কৃষিশিক্ষা এবং বিশ্বমানের যৌথ গবেষণার লক্ষ্যে ইউরোপের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীনসহ এশিয়ার আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি। তাদের সঙ্গে আমরা শিক্ষা ও গবেষণা নিয়ে কাজ করি। উদ্ভাবন, অর্থাৎ নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করার ক্ষেত্রেও আমরা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। এগুলোই আমাদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান অর্জনে ভূমিকা রেখেছে।
এ ছাড়া ২০২১ ও ২০২২ সালে পরপর দুইবার দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক মর্যাদাপূর্ণ সিমাগো র্যাঙ্কিংয়ে আমরা শীর্ষস্থান অর্জন করেছি।
ইউজিসি কর্তৃক বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে ২০২১ ও ২০২২ সালে টানা দুইবার শীর্ষস্থান অর্জন করেছে বশেমুরকৃবি। এ-সম্পর্কে জানতে চাই?
বাংলাদেশ সরকারের তথা প্রতিটি সংস্থার কাজের স্বচ্ছতা, সেবা প্রদান, সহজীকরণ ও এসডিজি অর্জনের জন্য সরকার গৃহীত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নে আমরা টানা দুইবার প্রথম স্থান অর্জন করেছি।
বছরের শুরুতে ইউজিসির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটা চুক্তি হয় যে আমরা সব কাজ সময়মতো সম্পন্ন করব। এ কাজগুলো আমরা সঠিকভাবে সম্পন্ন করি। বছরের শুরুতে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করি এবং সেটি কঠোরভাবে মেনে চলি। ওই ক্যালেন্ডার মোতাবেক যাবতীয় শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম, পরীক্ষা অনুষ্ঠান ও প্রতি টার্মে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সে কারণে নির্ধারিত সময়েই শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
গবেষণার ক্ষেত্রে আমরা ভালো জার্নাল প্রকাশ করি। এ বছর আমরা কয়েকটি ফসলের জাত ও নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছি। শিক্ষার্থীরা যেসব সেবা পাওয়ার কথা, সেগুলো আমরা দিয়ে থাকি। এটি সম্পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, শতভাগ শিক্ষার্থীকে টার্মের শুরু থেকে হলে সিট দেওয়া হয়। তাঁদের ইন্টারনেট, খেলাধুলা, লাইব্রেরিসহ সব সুবিধা আমরা নির্ধারিত সময়ে দিয়ে থাকি।
বছরে চারটি সিন্ডিকেট ও চারটি একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং, প্ল্যানিং কমিটির মিটিং, অর্থ কমিটির মিটিং, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইন্টারঅ্যাকশনসহ সবকিছুই নির্ধারিত সময়ে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে করে থাকি। এ জন্য এপিএতে সব সময় আমরা ৯৯ থেকে ১০০ নম্বর পাই। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই জানেন আমাদের সব কাজ নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে।
শিক্ষা ও গবেষণায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
আমি নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করে চলেছি। আমরা একাডেমিক কাউন্সিলে আউটকাম বেইসড এডুকেশন অনুমোদন করেছি এবং সেই অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবশক্তিতে রূপান্তরের কাজ করছি। প্রত্যেক শিক্ষকের এখন এক বা একাধিক প্রজেক্ট রয়েছে এবং সবাই নিজেদের গবেষণায় মনোনিবেশ করেছেন। যাঁরা এখানে মাস্টার্সে পড়ছেন, তাঁরাও জানেন এখানে মাস্টার্সে পড়তে হলে গবেষণায় সম্পৃক্ত থাকতে হবে, থিসিস করতে হবে এবং পেপার পাবলিশ করতে হবে। আমি বলব, আমার শতভাগ নয়, ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী বা শিক্ষক গবেষণায় হাইলি মোটিভেটেড।
স্মার্ট কৃষির ক্ষেত্রে বশেমুরকৃবি কতটা ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আপনি মনে করেন?
স্মার্ট কৃষি মানে হচ্ছে, কৃষির যে পরিবর্তন সেই পরিবর্তনের সঙ্গে প্রযুক্তিগতভাবে আমাদের খাপ খাওয়ানো। আয়তনে ক্ষুদ্র অথচ বিপুল জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে ক্রমহ্রাসমান জমি থেকে ক্রমবর্ধমান জনগণের খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা গড়ে তোলা এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। তার ওপর পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতি, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত, শিল্পায়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের আবর্তনে সীমিত কৃষিজমির ওপর চাপ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। আমরা যদি সঠিক সময়ে, সঠিক পরামর্শ দিতে না পারি, তাহলে এই কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব না। আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় কৃষককে আগাম ও যথাযথ তথ্য দেওয়ার জন্য দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে ইতিমধ্যে আমরা ‘অ্যাগ্রোমেটেরিওলজি’ বিভাগ চালু করেছি।
জলবায়ুবিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণা জোরদার করার মানসে ‘ইনস্টিটিউট অব ক্লাইমেন্ট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’ নামে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। বৈরী জলবায়ু, প্রতিকূলতাসহিষ্ণু জাত এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবনে দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আরও যুগোপযোগী কোর্স, বিভাগ ও ইনস্টিটিউট চালুর প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। স্মার্ট কৃষির জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াতে হবে। এ জন্য বিশ্বের যে পরিবর্তন, সেগুলো নিয়ে আমরা সেমিনার ও ওয়ার্কশপ করি এবং কৃষকের মতামত নেওয়ার চেষ্টা করি। এগুলোর ফলে আমাদের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হবেন।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে