টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) শুধু ঘোষণা দিলে হয় না, ঘোষণার সঙ্গে বাস্তবের মিল রাখতে হয়। এ জন্য জবাবদিহির ব্যবস্থা রাখতে হবে। গতকাল রোববার রাজধানীতে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত এক সংলাপে এসব কথা বলেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চায় রোটারি ইন্টারন্যাশনাল। আজ শুক্রবার রাজধানীর বিয়াম অডিটরিয়ামে বাংলাদেশে রোটারির নেতাদের প্রশিক্ষণ সেমিনারে এই কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়
দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার বর্তমানে প্রতি হাজার জীবিত জন্মে ৩৪ জন। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ২৫-এ নামিয়ে আনতে হবে। একইভাবে মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি ১০ হাজারে ১২১ জন।
সরকারি হিসাবে প্রতিবছরই বাড়ছে সাক্ষরতার হার। এরপরও দেশের সাত বছরের বেশি বয়সী তিন কোটির বেশি মানুষ এখনো নিরক্ষর। এমন বাস্তবতায় ২০৩০ সালের মধ্যে নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
ভারতের নয়াদিল্লিতে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর জি–২০ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করা হবে। মূল সম্মেলন হবে ৯–১০ সেপ্টেম্বর। বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ২০টি দেশের নেতারা এ সম্মেলনে ডিজিটাল রূপান্তর, জলবায়ু অর্থায়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং খাদ্য নিরাপত্তাসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা
করোনা পরবর্তী সময়ে দেশে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আরও দারিদ্র্য এবং বিপন্নতার মুখোমুখি হয়েছে। পাশাপাশি বাজার ব্যবস্থারও চরম অবনতি ঘটেছে। যা ক্ষুধা, দারিদ্র, বৈষম্য ও জলবায়ু সংকট এসডিজির অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করছে।
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে সরকার সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের টেকসই উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম
এই র্যাঙ্কিং মূলত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও উদ্ভাবনের ওপর নির্ভর করে। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা-১: দারিদ্র্য বিলোপ নিয়ে আমরা কাজ করেছি। ভ্যারাইটি এবং বিভিন্ন ফসলের জন্য টেকনোলজি ডেভেলপ করি। এগুলো আমাদের খাদ্য উৎপাদনে সহায়তা করে। দারিদ্র্য কমাতে জাতীয়ভাবে আমরা গবেষণার মাধ্যমে
বাংলাদেশে তামাকের যে করহার আছে, তা তামাকের ব্যবহার ঠেকাতে পারছে না। কার্যকর করারোপের অভাবে দেশে তামাকপণ্য অত্যন্ত সস্তা ও সহজলভ্য হয়ে যাচ্ছে। সিগারেটের চারটি স্তর থাকার ফলে সিগারেট ব্যবহারকারী সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে তুলনামূলকভাবে কম দামি সিগারেট বেছে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
যক্ষ্মার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২১ সালে দেশে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে ৪২ হাজারই মারা গেছে। সে হিসাবে রোগটিতে গড়ে প্রতি মিনিটে একজন আক্রান্ত হয় এবং প্রতি ১২ মিনিটে একজনের মৃত্যু
পানি আমাদের জীবনের একটি বিশেষ উপাদান। জন্মের পর থেকে পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য আমরা নানাভাবেই পানির ওপর নির্ভরশীল। অথচ পানির প্রাচুর্যের কারণে অধিকাংশ মানুষই সচেতন কিংবা অসচেতনভাবেই পানি অপচয় করে থাকি। আমাদের এই পানির গুরুত্ব বোঝা প্রয়োজন এবং এর সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।
দেশে শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমে এসেছে। কিন্তু এসডিজি অর্জন করতে শিশু মৃত্যুহার আরও নামাতে হবে। মাতৃমৃত্যু এখন লাখে ১৬৩ জন। শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমিয়ে আমরা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জন করেছি
খুলনার দাকোপে ইউএনডিপির অর্থায়নে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেছেন বেলজিয়ামের রানি ও জাতিসংঘ মহাসচিবের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) দূত মাথিল্ড।
জাতিসংঘের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে স্বল্পোন্নত ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল উন্নত দেশগুলো। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি তারা পালন করছে না। এমনই অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম। আজ বুধবার
এসডিজি বাস্তবায়নে সবাইকে সমন্বিত কাজ করতে হবে। ১৭টি লক্ষ্য অর্জনে মন্ত্রণালয়গুলোকে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কি না তা মনিটরিং করা হচ্ছে। এসডিজি বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ।
শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়তে অস্ত্র প্রতিযোগিতা, যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি সংকট ও বিরোধ নিরসনে সংলাপের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে বলেছেন।
সরকারি হিসাবে প্রতি বছরই বাড়ছে সাক্ষরতার হার। এরপরও দেশের সাত বছরের বেশি বয়সের প্রায় পৌনে তিন কোটি মানুষ নিরক্ষর। বিপুল এ জনগোষ্ঠীকে সাক্ষর করতে আপাতত তেমন কোনো উদ্যোগ নেই সরকারের।