জীবনধারা ডেস্ক
সকালের নাশতা শরীরের শক্তির অন্যতম উৎস। সারা দিনের প্রথম শক্তি মানবদেহ এখান থেকেই পেয়ে থাকে। তাই সকালের নাশতা সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি হওয়া উচিত পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যসম্মত আর শক্তিদায়ক। তবে কিছু খাদ্য উপকরণ সকালের নাশতা থেকে বাদ দেওয়া উচিত।
ফ্রুট সালাদে যা রাখবেন না
সকালের নাশতায় ফ্রুট সালাদ থাকলে তা থেকে টমেটোকে সরিয়ে রাখা ভালো। মনে হতে পারে, ফ্রুট সালাদে টমেটো কেন! টমেটোকে আমরা সবজির খাতায় ফেললেও এটা আসলে একটা ফল। এতে আছে উচ্চমাত্রায় সাইট্রিক ও ম্যালিক অ্যাসিড থাকে। খালি পেটে টমেটো খেলে তাই পাকস্থলীতে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
অবশ্যই আনারস রাখবেন না সালাদের সঙ্গে। কারণ এই ফলটিতে থাকে ব্রোমেলাইন। এটি এমন একটি এনজাইম যা খালি পেটে খাওয়া হলে পেটের সমস্যা বা ডায়রিয়া হতে পারে। বর্তমানে বেরি ফলটি পাওয়া যাচ্ছে দেশের বাজারে। অনেকেরই এটা খেতে ভালো লাগলেও সকালের নাশতায় একে এড়িয়ে চলা ভালো। ফলটি পুষ্টিকর হলেও অম্লীয় হওয়ার কারণে খালি পেটে এটি খেলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অস্বস্তি বা অ্যাসিডিক রিফ্লাক্সের কারণ হতে পারে।
সামনেই আসছে গ্রীষ্মকাল। বাজারে তরমুজ থাকবে প্রচুর। তার ওপরে রমজান মাসে তরমুজ খেতে অনেকেই ভালোবাসেন। তবে মনে রাখবেন, খালি পেটে তরমুজ কখনই উপকারী ফল নয়। তাই সকালের নাশতা থেকে একে বাদ দেওয়াই উত্তম। পানির পরিমাণ বেশি থাকলেও খালি পেটে তরমুজ খাওয়ার কারণে পেটে বিভিন্ন অস্বস্তি তৈরি হতে পারে।
বাদ দিন চিনিযুক্ত খাবার
যারা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার চান তাদের চিনি এড়িয়ে চলাই ভালো। নির্দিষ্ট পরিমাণ চিনি সবাইকেই খেয়ে হয়। তবে সকালের নাশতাটা চিনিযুক্ত খাবার দিয়ে শুরু না করাই উত্তম।
সিরিয়াল একটি পুষ্টিকর ও শক্তিদায়ক খাবার। এটি দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করলেও এক বাটি চিনিযুক্ত সিরিয়াল দিয়ে সকালের নাশতা শুরু করাটা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মতও কোনো ব্যাপার নয়। এর শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে ও চিনির প্রয়োজনীয়তা এড়াতে পুরো শস্য কিংবা কম চিনিযুক্ত সিরিয়াল বেছে নিন। আর সে ক্ষেত্রে বাজারের ফ্ল্যাশ জুসও রাখা উচিত বাতিলের খাতায়। কারণ এগুলোতে প্রায়ই আঁশ অনুপস্থিত থাকে। তাই জুস খেতে চাইলে বাড়িতে নিজের বানানো তাজা জুসই উত্তম। সে ক্ষেত্রে চিনি ব্যবহার করা থেকেও বিরতি থাকুন।
এই চিনির কারণেই সকালের নাশতা থেকে বাদ পড়বে কেক বা পেস্ট্রি। এ ছাড়া অনেক সময় দোকানের কেনা কেক–পেস্ট্রিগুলোতে থাকে অস্বাস্থ্যকর চর্বি। তবে একান্তই যদি কেক বা পেস্ট্রি খেতে ইচ্ছে করে, সে ক্ষেত্রে বাড়িতে ময়দার তৈরি কেক বেক করে নিতে পারেন। বাড়তি পুষ্টির জন্য এর সঙ্গে ফল বা বাদাম যোগ করতে পারেন।
আবার কিছু ফল আছে যেগুলো সকালের নাশতায় না খাওয়া ভালো। যেমন, কমলা, জাম্বুরা কিংবা লেবুর জুস। কারণ এগুলোতে অ্যাসিডিক অ্যাসিড থাকে যা হৃৎপিণ্ড প্রদাহ ও পাকস্থলী জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা তৈরি করে।
সকালে পাতে যে সবজি রাখবেন না
সকালে আটা কিংবা ময়দার রুটির সঙ্গে অনেকেই সবজি খেতে ভালোবাসেন। এবারে জেনে নেওয়া যাক কোন কোন সবজি সকালে পাতে না রাখা ভালো।
শীতের শেষের দিকে এখনো অনেকেই ফুলকপি খাচ্ছেন। তবে খালি পেটে ফুলকপি খাওয়ার ফলে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম হতে পারে। ফোলেট, ভিটামিন কে এবং আঁশের একটি বড় উৎস হলেও ফুলকপি ক্রুসিফেরাস সবজি। সকালে এটিকে খেয়ে হজম করা কিছুটা কঠিন বটে। একই ভাবে ব্রকলিও বাদ দিন। কাঁচা ব্রকলিও হজম করা খুব কঠিন। এটি হজমের অস্বস্তির কারণ এবং এটি খেলে গ্যাস ও পেট ফোলাভাব বাড়ে। একইভাবে কালের নাশতায় বাঁধাকপি খেলে পেট ফোলা ও পেট ফাঁপা হতে পারে। রান্না করার সময় এতে উপস্থিত সালফার তীব্র গন্ধ ছড়ায় এবং এটি পেটের জন্যও বেশ কড়া।
খালি পেটে মুলা খেলে গ্যাসজনিত সমস্যা, যেমন বমি বমি ভাব, পেট ফাঁপা, বদহজম ও মাথাব্যথা হতে পারে। যাদের পাচনতন্ত্র দুর্বল তাদের বেগুন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাই খালি পেটে বেগুণের তৈরি কোনো খাবার খাওয়া খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
অনেকেই সকালের নাশতায় স্যান্ডুইচ খেতে চান। সে ক্ষেত্রে স্যান্ডুইচেও সবজিকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তবে কাঁচা পেঁয়াজের মতো জিনিসকে বাদ রাখুন স্যান্ডুইচের সঙ্গে খাওয়ার জন্য। এটি দীর্ঘস্থায়ী আফটার টেস্ট রেখে যেতে পারে, যা আপনার নিশ্বাসে দুর্গন্ধ তৈরি করবে। পেঁয়াজের মতো রসুনেরও একটি শক্তিশালী ও তীক্ষ্ণ স্বাদ আছে যা বদহজমের কারণ হতে পারে। পেঁয়াজের মতো রসুনও পেটে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে এবং শরীরে তাপ উৎপন্ন করে।
সকালের নাশতা শরীরের শক্তির অন্যতম উৎস। সারা দিনের প্রথম শক্তি মানবদেহ এখান থেকেই পেয়ে থাকে। তাই সকালের নাশতা সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি হওয়া উচিত পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যসম্মত আর শক্তিদায়ক। তবে কিছু খাদ্য উপকরণ সকালের নাশতা থেকে বাদ দেওয়া উচিত।
ফ্রুট সালাদে যা রাখবেন না
সকালের নাশতায় ফ্রুট সালাদ থাকলে তা থেকে টমেটোকে সরিয়ে রাখা ভালো। মনে হতে পারে, ফ্রুট সালাদে টমেটো কেন! টমেটোকে আমরা সবজির খাতায় ফেললেও এটা আসলে একটা ফল। এতে আছে উচ্চমাত্রায় সাইট্রিক ও ম্যালিক অ্যাসিড থাকে। খালি পেটে টমেটো খেলে তাই পাকস্থলীতে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
অবশ্যই আনারস রাখবেন না সালাদের সঙ্গে। কারণ এই ফলটিতে থাকে ব্রোমেলাইন। এটি এমন একটি এনজাইম যা খালি পেটে খাওয়া হলে পেটের সমস্যা বা ডায়রিয়া হতে পারে। বর্তমানে বেরি ফলটি পাওয়া যাচ্ছে দেশের বাজারে। অনেকেরই এটা খেতে ভালো লাগলেও সকালের নাশতায় একে এড়িয়ে চলা ভালো। ফলটি পুষ্টিকর হলেও অম্লীয় হওয়ার কারণে খালি পেটে এটি খেলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অস্বস্তি বা অ্যাসিডিক রিফ্লাক্সের কারণ হতে পারে।
সামনেই আসছে গ্রীষ্মকাল। বাজারে তরমুজ থাকবে প্রচুর। তার ওপরে রমজান মাসে তরমুজ খেতে অনেকেই ভালোবাসেন। তবে মনে রাখবেন, খালি পেটে তরমুজ কখনই উপকারী ফল নয়। তাই সকালের নাশতা থেকে একে বাদ দেওয়াই উত্তম। পানির পরিমাণ বেশি থাকলেও খালি পেটে তরমুজ খাওয়ার কারণে পেটে বিভিন্ন অস্বস্তি তৈরি হতে পারে।
বাদ দিন চিনিযুক্ত খাবার
যারা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার চান তাদের চিনি এড়িয়ে চলাই ভালো। নির্দিষ্ট পরিমাণ চিনি সবাইকেই খেয়ে হয়। তবে সকালের নাশতাটা চিনিযুক্ত খাবার দিয়ে শুরু না করাই উত্তম।
সিরিয়াল একটি পুষ্টিকর ও শক্তিদায়ক খাবার। এটি দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করলেও এক বাটি চিনিযুক্ত সিরিয়াল দিয়ে সকালের নাশতা শুরু করাটা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মতও কোনো ব্যাপার নয়। এর শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে ও চিনির প্রয়োজনীয়তা এড়াতে পুরো শস্য কিংবা কম চিনিযুক্ত সিরিয়াল বেছে নিন। আর সে ক্ষেত্রে বাজারের ফ্ল্যাশ জুসও রাখা উচিত বাতিলের খাতায়। কারণ এগুলোতে প্রায়ই আঁশ অনুপস্থিত থাকে। তাই জুস খেতে চাইলে বাড়িতে নিজের বানানো তাজা জুসই উত্তম। সে ক্ষেত্রে চিনি ব্যবহার করা থেকেও বিরতি থাকুন।
এই চিনির কারণেই সকালের নাশতা থেকে বাদ পড়বে কেক বা পেস্ট্রি। এ ছাড়া অনেক সময় দোকানের কেনা কেক–পেস্ট্রিগুলোতে থাকে অস্বাস্থ্যকর চর্বি। তবে একান্তই যদি কেক বা পেস্ট্রি খেতে ইচ্ছে করে, সে ক্ষেত্রে বাড়িতে ময়দার তৈরি কেক বেক করে নিতে পারেন। বাড়তি পুষ্টির জন্য এর সঙ্গে ফল বা বাদাম যোগ করতে পারেন।
আবার কিছু ফল আছে যেগুলো সকালের নাশতায় না খাওয়া ভালো। যেমন, কমলা, জাম্বুরা কিংবা লেবুর জুস। কারণ এগুলোতে অ্যাসিডিক অ্যাসিড থাকে যা হৃৎপিণ্ড প্রদাহ ও পাকস্থলী জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা তৈরি করে।
সকালে পাতে যে সবজি রাখবেন না
সকালে আটা কিংবা ময়দার রুটির সঙ্গে অনেকেই সবজি খেতে ভালোবাসেন। এবারে জেনে নেওয়া যাক কোন কোন সবজি সকালে পাতে না রাখা ভালো।
শীতের শেষের দিকে এখনো অনেকেই ফুলকপি খাচ্ছেন। তবে খালি পেটে ফুলকপি খাওয়ার ফলে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম হতে পারে। ফোলেট, ভিটামিন কে এবং আঁশের একটি বড় উৎস হলেও ফুলকপি ক্রুসিফেরাস সবজি। সকালে এটিকে খেয়ে হজম করা কিছুটা কঠিন বটে। একই ভাবে ব্রকলিও বাদ দিন। কাঁচা ব্রকলিও হজম করা খুব কঠিন। এটি হজমের অস্বস্তির কারণ এবং এটি খেলে গ্যাস ও পেট ফোলাভাব বাড়ে। একইভাবে কালের নাশতায় বাঁধাকপি খেলে পেট ফোলা ও পেট ফাঁপা হতে পারে। রান্না করার সময় এতে উপস্থিত সালফার তীব্র গন্ধ ছড়ায় এবং এটি পেটের জন্যও বেশ কড়া।
খালি পেটে মুলা খেলে গ্যাসজনিত সমস্যা, যেমন বমি বমি ভাব, পেট ফাঁপা, বদহজম ও মাথাব্যথা হতে পারে। যাদের পাচনতন্ত্র দুর্বল তাদের বেগুন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাই খালি পেটে বেগুণের তৈরি কোনো খাবার খাওয়া খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
অনেকেই সকালের নাশতায় স্যান্ডুইচ খেতে চান। সে ক্ষেত্রে স্যান্ডুইচেও সবজিকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তবে কাঁচা পেঁয়াজের মতো জিনিসকে বাদ রাখুন স্যান্ডুইচের সঙ্গে খাওয়ার জন্য। এটি দীর্ঘস্থায়ী আফটার টেস্ট রেখে যেতে পারে, যা আপনার নিশ্বাসে দুর্গন্ধ তৈরি করবে। পেঁয়াজের মতো রসুনেরও একটি শক্তিশালী ও তীক্ষ্ণ স্বাদ আছে যা বদহজমের কারণ হতে পারে। পেঁয়াজের মতো রসুনও পেটে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে এবং শরীরে তাপ উৎপন্ন করে।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে