সানজিদা সামরিন, ঢাকা
পৃথিবীতে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে মানুষ। সামনের দিনে বড় দুশ্চিন্তা হলো ক্রমবর্ধমান মানুষের খাবার জোগানো। ইতিমধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ প্রচলিত খাবারের বাইরে ভবিষ্যতের খাবার কী হতে পারে তা নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সারা বিশ্বে প্রায় ২ হাজার প্রজাতির পোকামাকড় খাওয়ার উপযোগী। প্রোটিনের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে এসব পোকামাকড়ের অনেকগুলোই ইউরোপিয়ানদের দৈনন্দিন খাদ্যের অংশ হয়ে উঠেছে ইতিমধ্যে। ইউরোপের বাজারে ফ্রোজেন ও পাউডার হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে টেনেব্রিও মলিটর লার্ভা, লোকাস্টা মাইগ্রেটোরিয়া প্রজাতিসহ আরও ৯ ধরনের পোকামাকড়। এর বাইরে মাশরুম ছাড়াও কয়েক প্রজাতির ফাঙ্গাস ও সামুদ্রিক শৈবাল অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ইউরোপিয়ান খাবারে।
তবে খাদ্য উৎপাদনের চেয়ে খাদ্যের অপচয় রোধ করার বিষয়টি মানুষকে ভাবাচ্ছে বেশি।
প্রতিবছর পৃথিবীতে যে পরিমাণ খাবারের অপচয় হয়, তা দিয়ে আফ্রিকার একটি দেশের মানুষের পুরো বছরের খাবারের জোগান দেওয়া সম্ভব। এই বিপুল খাদ্য অপচয় রোধে বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জাতিসংঘও বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে বেশ আগেই।
জাতিসংঘের ‘ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স রিপোর্ট-২০২১’ শিরোনামের এক গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১০ দশমিক ৬২ মিলিয়ন টন খাবার নষ্ট হয়।
খাদ্যের মাধ্যমে পরিবেশদূষণ
বেঁচে যাওয়া এবং নষ্ট বা পচে যাওয়া খাবার ফেলে দিলে সেগুলো জমা হয় উন্মুক্ত জায়গায় এবং সেগুলো মিথেন গ্যাস তৈরি করে। জানা গেছে, গত ২০ বছরে কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে পরিবেশের ৮০ গুণ বেশি ক্ষতি করেছে মিথেন গ্যাস। এর ফলে ওজোনস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তা জলবায়ুসংকটে ভীষণ প্রভাব ফেলছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নও বাড়ছে মিথেনের প্রভাবে। আবার নদী বা সমুদ্রতীরবর্তী খোলা জায়গায় যখন এসব নষ্ট ও পচে যাওয়া খাবার ফেলে দেওয়া হয়, তখন তা পানিদূষণ ঘটায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত করে জলজ প্রাণীদের। যখন ভাগাড়ে ফেলা হয়, তখন এটি মিথেন উৎপন্ন করে এবং বায়ুদূষণ ঘটায়।
এক কথায়, ফেলে দেওয়া খাবার কেবল যে অর্থের অপচয় করে তা-ই নয়, এটি পরিবেশের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই খাবার যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
যেসব উপায়ে খাবারের অপচয় এড়ানো যেতে পারে, সেগুলো জেনে নেওয়া যাক—
অতিরিক্ত বাজার করবেন না
অধিকাংশ মানুষের প্রবণতা থাকে একসঙ্গে বেশি করে বাজার করে বাড়িতে মজুত করার। খাবার অপচয় হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ এটি। একসঙ্গে অনেক বাজার করে মজুত করে না রেখে সপ্তাহে দুই-তিন দিন বাজার করুন। সবজির ক্ষেত্রে ফ্রিজে এনে রাখা আইটেমগুলো শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে বাজার না করাই ভালো। টমেটো, শসা ও ধনেপাতার মতো সালাদ আইটেম পরিমিত পরিমাণে কিনুন।
সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করুন
অনেকেই ফল ও সবজি সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করতে পারেন না। ফলে দ্রুত পেকে যায় বা গরমে সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। যেসব খাবার থেকে অনেক বেশি ইথিলিন গ্যাস উৎপন্ন হয়, সেগুলো অন্য যেসব খাবার এই গ্যাস উৎপন্ন করে না, সেসব থেকে আলাদা রাখা উচিত। ইথিলিনের উপস্থিতিতে ফল ও সবজি দ্রুত পেকে ও পচে যায়। যেসব ফল ও সবজিতে ইথিলিন রয়েছে, সেগুলো হচ্ছে কলা, টমেটো, নাশপাতি, পেঁয়াজপাতা ইত্যাদি। এগুলো আলু, আপেল, শাক থেকে দূরে রাখুন। এগুলো ইথিলিন সহ্য করতে পারে না।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত রান্না করবেন না
পরিবারের সদস্যদের জন্য যেটুকু রান্না করা প্রয়োজন, সেটুকুই রান্না করুন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত রান্না করে ফ্রিজে রাখা থেকে বিরত থাকুন। কারণ, এতে করে খাবার নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
বীজ সংরক্ষণ করুন
মিষ্টি কুমড়া খেতে খুব সুস্বাদু। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই এর বীজ ফেলে দেন। মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেতে ভালো ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত ম্যাগনেশিয়াম। এই খনিজ উপাদান হৃৎস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। অন্যদিকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে কুমড়োর বিচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মিষ্টি কুমড়া কাটার পর এর বীজ আলাদা করে তুলে রাখুন। বীজও একটি খাদ্যদ্রব্য। পানি দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর জারে সংরক্ষণ করুন। সালাদ বানানোর সময় একটু ছড়িয়ে দিতে পারেন বা স্ন্যাকস হিসেবেও খেতে পারেন।
কেটে রাখা ফল দিয়ে স্মুদি তৈরি করুন
বাড়িতে অতিথি এলে বেশি পরিমাণে যদি ফল কাটা হয়, সে ক্ষেত্রে খাওয়ার পর বেঁচে যাওয়া ফল মিক্সচারে দিয়ে স্মুদি তৈরি করে ফেলুন। বিট ও গাজরের মতো সবজি বেঁচে গেলে সেগুলো দিয়েও স্মুদি বানাতে পারেন। ফল ও সবজি দিয়ে তৈরি স্মুদিতে পাওয়া যাবে ক্যালসিয়াম, আঁশ, ভিটামিন ডি-সহ আরও অনেক পুষ্টি উপাদান।
ডিমের খোসাও ফেলনা নয়
অনেকে বাড়িতেই টমেটো, মরিচ ও বেগুন বুনে থাকেন। ডিমের খোসা এ ধরনের গাছের জন্য খুব ভালো সার হিসেবে কাজ করে। একটি পাত্রে ডিমের খোসা জমাতে থাকুন। এরপর খোসাগুলো ভেঙে রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর সেগুলো গুঁড়ো করে বয়ামে রেখে দিন। গাছের গোড়ায় দিলে গাছ পুষ্টি পাবে। পাশাপাশি বাড়িতে খাবার থেকে উৎপন্ন হওয়া বর্জ্যের পরিমাণ কিছু হলেও কমবে।
বাসাবাড়ির বর্জ্যকে খুব সাধারণ মনে করার কোনো কারণ নেই। মনে রাখতে হবে, বাসাবাড়িতে প্রতিদিন আমরা টন টন বর্জ্য উৎপন্ন করি। সেগুলো কোনো না কোনোভাবে পরিবেশের ক্ষতি করেই চলেছে প্রতিদিন। পরিবেশের এই ক্ষতি কমাতে দৈনন্দিন উৎপাদিত বর্জ্যের পরিমাণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই।
জীবনধারা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
পৃথিবীতে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে মানুষ। সামনের দিনে বড় দুশ্চিন্তা হলো ক্রমবর্ধমান মানুষের খাবার জোগানো। ইতিমধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ প্রচলিত খাবারের বাইরে ভবিষ্যতের খাবার কী হতে পারে তা নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সারা বিশ্বে প্রায় ২ হাজার প্রজাতির পোকামাকড় খাওয়ার উপযোগী। প্রোটিনের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে এসব পোকামাকড়ের অনেকগুলোই ইউরোপিয়ানদের দৈনন্দিন খাদ্যের অংশ হয়ে উঠেছে ইতিমধ্যে। ইউরোপের বাজারে ফ্রোজেন ও পাউডার হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে টেনেব্রিও মলিটর লার্ভা, লোকাস্টা মাইগ্রেটোরিয়া প্রজাতিসহ আরও ৯ ধরনের পোকামাকড়। এর বাইরে মাশরুম ছাড়াও কয়েক প্রজাতির ফাঙ্গাস ও সামুদ্রিক শৈবাল অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ইউরোপিয়ান খাবারে।
তবে খাদ্য উৎপাদনের চেয়ে খাদ্যের অপচয় রোধ করার বিষয়টি মানুষকে ভাবাচ্ছে বেশি।
প্রতিবছর পৃথিবীতে যে পরিমাণ খাবারের অপচয় হয়, তা দিয়ে আফ্রিকার একটি দেশের মানুষের পুরো বছরের খাবারের জোগান দেওয়া সম্ভব। এই বিপুল খাদ্য অপচয় রোধে বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জাতিসংঘও বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে বেশ আগেই।
জাতিসংঘের ‘ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স রিপোর্ট-২০২১’ শিরোনামের এক গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১০ দশমিক ৬২ মিলিয়ন টন খাবার নষ্ট হয়।
খাদ্যের মাধ্যমে পরিবেশদূষণ
বেঁচে যাওয়া এবং নষ্ট বা পচে যাওয়া খাবার ফেলে দিলে সেগুলো জমা হয় উন্মুক্ত জায়গায় এবং সেগুলো মিথেন গ্যাস তৈরি করে। জানা গেছে, গত ২০ বছরে কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে পরিবেশের ৮০ গুণ বেশি ক্ষতি করেছে মিথেন গ্যাস। এর ফলে ওজোনস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তা জলবায়ুসংকটে ভীষণ প্রভাব ফেলছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নও বাড়ছে মিথেনের প্রভাবে। আবার নদী বা সমুদ্রতীরবর্তী খোলা জায়গায় যখন এসব নষ্ট ও পচে যাওয়া খাবার ফেলে দেওয়া হয়, তখন তা পানিদূষণ ঘটায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত করে জলজ প্রাণীদের। যখন ভাগাড়ে ফেলা হয়, তখন এটি মিথেন উৎপন্ন করে এবং বায়ুদূষণ ঘটায়।
এক কথায়, ফেলে দেওয়া খাবার কেবল যে অর্থের অপচয় করে তা-ই নয়, এটি পরিবেশের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই খাবার যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
যেসব উপায়ে খাবারের অপচয় এড়ানো যেতে পারে, সেগুলো জেনে নেওয়া যাক—
অতিরিক্ত বাজার করবেন না
অধিকাংশ মানুষের প্রবণতা থাকে একসঙ্গে বেশি করে বাজার করে বাড়িতে মজুত করার। খাবার অপচয় হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ এটি। একসঙ্গে অনেক বাজার করে মজুত করে না রেখে সপ্তাহে দুই-তিন দিন বাজার করুন। সবজির ক্ষেত্রে ফ্রিজে এনে রাখা আইটেমগুলো শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে বাজার না করাই ভালো। টমেটো, শসা ও ধনেপাতার মতো সালাদ আইটেম পরিমিত পরিমাণে কিনুন।
সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করুন
অনেকেই ফল ও সবজি সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করতে পারেন না। ফলে দ্রুত পেকে যায় বা গরমে সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। যেসব খাবার থেকে অনেক বেশি ইথিলিন গ্যাস উৎপন্ন হয়, সেগুলো অন্য যেসব খাবার এই গ্যাস উৎপন্ন করে না, সেসব থেকে আলাদা রাখা উচিত। ইথিলিনের উপস্থিতিতে ফল ও সবজি দ্রুত পেকে ও পচে যায়। যেসব ফল ও সবজিতে ইথিলিন রয়েছে, সেগুলো হচ্ছে কলা, টমেটো, নাশপাতি, পেঁয়াজপাতা ইত্যাদি। এগুলো আলু, আপেল, শাক থেকে দূরে রাখুন। এগুলো ইথিলিন সহ্য করতে পারে না।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত রান্না করবেন না
পরিবারের সদস্যদের জন্য যেটুকু রান্না করা প্রয়োজন, সেটুকুই রান্না করুন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত রান্না করে ফ্রিজে রাখা থেকে বিরত থাকুন। কারণ, এতে করে খাবার নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
বীজ সংরক্ষণ করুন
মিষ্টি কুমড়া খেতে খুব সুস্বাদু। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই এর বীজ ফেলে দেন। মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেতে ভালো ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত ম্যাগনেশিয়াম। এই খনিজ উপাদান হৃৎস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। অন্যদিকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে কুমড়োর বিচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মিষ্টি কুমড়া কাটার পর এর বীজ আলাদা করে তুলে রাখুন। বীজও একটি খাদ্যদ্রব্য। পানি দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর জারে সংরক্ষণ করুন। সালাদ বানানোর সময় একটু ছড়িয়ে দিতে পারেন বা স্ন্যাকস হিসেবেও খেতে পারেন।
কেটে রাখা ফল দিয়ে স্মুদি তৈরি করুন
বাড়িতে অতিথি এলে বেশি পরিমাণে যদি ফল কাটা হয়, সে ক্ষেত্রে খাওয়ার পর বেঁচে যাওয়া ফল মিক্সচারে দিয়ে স্মুদি তৈরি করে ফেলুন। বিট ও গাজরের মতো সবজি বেঁচে গেলে সেগুলো দিয়েও স্মুদি বানাতে পারেন। ফল ও সবজি দিয়ে তৈরি স্মুদিতে পাওয়া যাবে ক্যালসিয়াম, আঁশ, ভিটামিন ডি-সহ আরও অনেক পুষ্টি উপাদান।
ডিমের খোসাও ফেলনা নয়
অনেকে বাড়িতেই টমেটো, মরিচ ও বেগুন বুনে থাকেন। ডিমের খোসা এ ধরনের গাছের জন্য খুব ভালো সার হিসেবে কাজ করে। একটি পাত্রে ডিমের খোসা জমাতে থাকুন। এরপর খোসাগুলো ভেঙে রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর সেগুলো গুঁড়ো করে বয়ামে রেখে দিন। গাছের গোড়ায় দিলে গাছ পুষ্টি পাবে। পাশাপাশি বাড়িতে খাবার থেকে উৎপন্ন হওয়া বর্জ্যের পরিমাণ কিছু হলেও কমবে।
বাসাবাড়ির বর্জ্যকে খুব সাধারণ মনে করার কোনো কারণ নেই। মনে রাখতে হবে, বাসাবাড়িতে প্রতিদিন আমরা টন টন বর্জ্য উৎপন্ন করি। সেগুলো কোনো না কোনোভাবে পরিবেশের ক্ষতি করেই চলেছে প্রতিদিন। পরিবেশের এই ক্ষতি কমাতে দৈনন্দিন উৎপাদিত বর্জ্যের পরিমাণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই।
জীবনধারা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
২ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
২ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
২ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
২ দিন আগে