জিন্নাত আরা ঋতু
দুই দফা প্রাক্-বিবাহ অনুষ্ঠান হয়েছে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের। ১৪ জুলাই হতে চলেছে বিয়ের মূল অনুষ্ঠান। এরই মধ্যে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র বিলি শেষ। ভারতীয় শিল্প-সংস্কৃতির মিশেলে তৈরি নিমন্ত্রণ বাক্সটি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা নিয়ে পড়ে গেছে হইচই। সোনালি রঙের বাক্সটি খুললেই বাজছে বিষ্ণুমন্ত্র; মথুরার বাঙ্কে বিহারি মন্দিরের রেপ্লিকা, বৈকুণ্ঠে বসে থাকা বিষ্ণু এবং লক্ষ্মী দেবীর ছবি, বাক্সের ওপরে লেখা বিষ্ণুমন্ত্র। এ ছাড়া এতে রয়েছে দেবতা গণেশ এবং রাধা-কৃষ্ণের ছবি, সঙ্গে ঋক্বেদের একটি শ্লোক।
হাতে লেখা আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে রয়েছে কাশ্মীরের কারিগরদের হাতে বোনা পশমিনা শাল। দাবি করা হচ্ছে, এই শালের দাম ১ লাখ রুপির বেশি!
পশমিনা নিয়ে কিছু তথ্য
পশমিনা অত্যন্ত উচ্চ মূল্যের পশমি চাদর। বহু শতাব্দী ধরেই এই চাদর মূল্যবান পরিচ্ছদ হিসেবে রয়েছে। কোমলতা ও উষ্ণতা পশমিনাকে করে তুলেছে অনন্য। কাশ্মীরের পশমিনা চাদরকে আদর করে ডাকা হয় ‘নরম সোনা’। চড়া মূল্যের এ চাদরে মিশে রয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও কারিগরি নৈপুণ্য। বিশেষ জাতের ছাগলের পশম থেকে তৈরি এই চাদর। এর উৎপাদন প্রক্রিয়াও বেশ জটিল।
পশমিনা শব্দটি এল যেভাবে
ফার্সি শব্দ ‘পাসমিনা’ থেকে এসেছে ‘পশমিনা’। এর অর্থ পশম। কাশ্মীরি জাতের ছাগল থেকে এই পশম সংগ্রহ করা হয়। এই ছাগলের বিভিন্ন জাত রয়েছে। কাশ্মীরের চ্যাংথাং মালভূমির চ্যাংথাংগি ছাগল, কারগিল এলাকার মারলা ও উত্তর ভারতের হিমাচল প্রদেশের চেঙ্গু ছাগল এবং নেপালের ছায়াঙ্গারা ছাগল থেকে পশমিনা পশম সংগ্রহ করা হয়।
পশমিনা ছাগল
পশমিনা ছাগল হিমালয় অঞ্চলের ঠান্ডা ও রুক্ষ জলবায়ুতে বাস করে। এই ধরনের চরম পরিবেশে টিকে থাকার জন্য এদের শরীরে বাইরের লম্বা লোমের নিচে সূক্ষ্ম লোমের আবরণ থাকে। এটি এদের হিমশীতল তাপমাত্রায় টিকে থাকতে সাহায্য করে। এই ভেতরের আবরণটিই সূক্ষ্ম পশমিনা তন্তু তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। একটি ছাগল থেকে ৮০ থেকে ১৭০ গ্রাম পশম পাওয়া যায়। সাধারণ আকারের একটি পশমিনা চাদর তৈরিতে অন্তত তিনটি ছাগলের লোম লাগে।
গ্রীষ্মকালের শুরুতে ছাগলগুলো থেকে লোম সংগ্রহ করা হয়। শীতে আবার শরীরে পশম গজায়। লাদাখ অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী পশমিনা চাদর তৈরি করে চ্যাংপা নামের এক সম্প্রদায়। এরা যাযাবর জনগোষ্ঠী। এরা কাশ্মীরের চ্যাংথ্যাং মালভূমিতে বাস করে। এই মালভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। শীতকালে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। চ্যাংপা জনগোষ্ঠী মাংসের জন্য ভেড়া ও উলের জন্য পশমিনা ছাগল পালন করে।
হাতে পশমিনা তন্তু প্রস্তুত
পশমিনা উৎপাদন ঐতিহাসিকভাবে টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব। ছাগলগুলোকে মালভূমির প্রাকৃতিক চারণভূমিতে অবাধে চরতে দেওয়া হয়। ছাগলগুলোর লোম সংগ্রহ করা হয় চিরুনি ও কাঁচি ব্যবহার করে। পরে সাবধানে পরিষ্কার করা ও হাত দিয়ে জট ছাড়ানো হয়। চরকা কেটে তৈরি করা হয় পশমিনা সুতা। এই সুতা সাধারণ সুতার চেয়ে ছয় গুণ হালকা, তিন গুণ উষ্ণ। যত ভালো পশমিনা, তত মিহি ও উষ্ণ চাদর। এই কায়িক শ্রম ও কারিগরি দক্ষতাই পশমিনার একচেটিয়া বাজার ধরে রাখার পেছনের কারণ।
সব কাশ্মীরি চাদরই পশমিনা নয়
পশমিনা প্রায়ই কাশ্মীরের অনন্য ঐতিহ্যবাহী পণ্য বলে দাবি করা হয়। কিন্তু আসলে তা নয়। কাশ্মীরি উল বলতে বিভিন্ন ধরনের সূক্ষ্ম পশমি তন্তুকে বোঝায়। অন্যদিকে পশমিনা বলতে বিশেষভাবে হিমালয় অঞ্চলের পশমিনা ছাগল থেকে প্রাপ্ত পশম বোঝায়। সব পশমিনা চাদর কাশ্মীরি, কিন্তু সব কাশ্মীরি চাদর পশমিনা নয়।
পশমিনার বিশেষত্ব
পশমিনা খুবই হালকা। তবে শীতকালে এর উষ্ণতার তুলনা হয় না! পশমিনা রং করা খুবই জটিল ও দক্ষ প্রক্রিয়া। পশমিনার কোমল ভাব ও মান ঠিক রেখে নিখুঁত শেডে রং করা কঠিন। এটি কেবল অভিজ্ঞ কারিগরেরাই পারেন।
দুইভাবে তৈরি হয় পশমিনা। হস্তচালিত তাঁতের বুনটে কাঠের সুচের ফোঁড় তুলে তৈরি হয় কানি পশমিনা। আর উনিশ শতক থেকে সুই-সুতায় এমব্রয়ডারি করে তৈরি করা হচ্ছে আমিলকর শাল। পশমিনার ওপর হাতের কাজগুলো হয় খুবই সূক্ষ্ম। এটি চাদরের শোভা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে।
পশমিনা ঐতিহ্যগত, সমসাময়িক—উভয় স্টাইলের জন্য অনন্য। আসল পশমিনা চাদর, স্কার্ফ ও কম্বল আভিজাত্যের প্রতীক। সাধারণত ১০ ও ১২ হাজার থেকে শুরু করে ৮ লাখ ও ১০ লাখ রুপিতে পাওয়া যায় পশমিনা।
ইতিহাস
তৃতীয় খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ও ১১ শতকে লেখা আফগান পুঁথিতে কাশ্মীরে পশমি চাদর তৈরির কথা উল্লেখ আছে। ১৫ শতকে পশমিনা প্রথম রাজার পৃষ্ঠপোষকতা পায়। উজবেকিস্তানের শহর আন্দিজান থেকে কারিগর আনিয়ে কাশ্মীরি শাসক জয়নুল আবিদিন পশমিনার বুনন পুনরুজ্জীবিত করেন। ‘দ্বিতীয় রাজ তরঙ্গিণী’ পুঁথিতে তিনি এই শিল্পের প্রতিষ্ঠাতা রূপেই প্রশংসিত।
মোগল রাজপরিবারের মধ্যে পশমিনা চাদর বেশ জনপ্রিয় ছিল। মোগলদের বিলাসবহুল বস্ত্রের প্রতি আকর্ষণের কারণের পশমিনা চাদর দ্রুত বিত্ত ও বৈভবের প্রতীক হয়ে ওঠে। পশমিনা চাদর সৌন্দর্য ও কোমলতার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান ছিল।
পশমিনা নিয়ে আরও একটি ইতিহাস প্রচলিত, বহু প্রজন্ম ধরে ভারতীয় ও নেপালি নারীরা মেয়ের যৌতুক হিসেবে পশমিনা শাল দিতেন। এ থেকে ধারণা করা হয়, এই পশমিনা চাদরের সৃষ্টি তাঁদের হাতেই। পশমিনার প্রাচীনতম কারিগরেরা ৩০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের বলে ধারণা করা হয়।
তথ্যসূত্র: পাশওয়ার্প ডটকম, আনন্দবাজার পত্রিকা, উইকিপিডিয়া
দুই দফা প্রাক্-বিবাহ অনুষ্ঠান হয়েছে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের। ১৪ জুলাই হতে চলেছে বিয়ের মূল অনুষ্ঠান। এরই মধ্যে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র বিলি শেষ। ভারতীয় শিল্প-সংস্কৃতির মিশেলে তৈরি নিমন্ত্রণ বাক্সটি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা নিয়ে পড়ে গেছে হইচই। সোনালি রঙের বাক্সটি খুললেই বাজছে বিষ্ণুমন্ত্র; মথুরার বাঙ্কে বিহারি মন্দিরের রেপ্লিকা, বৈকুণ্ঠে বসে থাকা বিষ্ণু এবং লক্ষ্মী দেবীর ছবি, বাক্সের ওপরে লেখা বিষ্ণুমন্ত্র। এ ছাড়া এতে রয়েছে দেবতা গণেশ এবং রাধা-কৃষ্ণের ছবি, সঙ্গে ঋক্বেদের একটি শ্লোক।
হাতে লেখা আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে রয়েছে কাশ্মীরের কারিগরদের হাতে বোনা পশমিনা শাল। দাবি করা হচ্ছে, এই শালের দাম ১ লাখ রুপির বেশি!
পশমিনা নিয়ে কিছু তথ্য
পশমিনা অত্যন্ত উচ্চ মূল্যের পশমি চাদর। বহু শতাব্দী ধরেই এই চাদর মূল্যবান পরিচ্ছদ হিসেবে রয়েছে। কোমলতা ও উষ্ণতা পশমিনাকে করে তুলেছে অনন্য। কাশ্মীরের পশমিনা চাদরকে আদর করে ডাকা হয় ‘নরম সোনা’। চড়া মূল্যের এ চাদরে মিশে রয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও কারিগরি নৈপুণ্য। বিশেষ জাতের ছাগলের পশম থেকে তৈরি এই চাদর। এর উৎপাদন প্রক্রিয়াও বেশ জটিল।
পশমিনা শব্দটি এল যেভাবে
ফার্সি শব্দ ‘পাসমিনা’ থেকে এসেছে ‘পশমিনা’। এর অর্থ পশম। কাশ্মীরি জাতের ছাগল থেকে এই পশম সংগ্রহ করা হয়। এই ছাগলের বিভিন্ন জাত রয়েছে। কাশ্মীরের চ্যাংথাং মালভূমির চ্যাংথাংগি ছাগল, কারগিল এলাকার মারলা ও উত্তর ভারতের হিমাচল প্রদেশের চেঙ্গু ছাগল এবং নেপালের ছায়াঙ্গারা ছাগল থেকে পশমিনা পশম সংগ্রহ করা হয়।
পশমিনা ছাগল
পশমিনা ছাগল হিমালয় অঞ্চলের ঠান্ডা ও রুক্ষ জলবায়ুতে বাস করে। এই ধরনের চরম পরিবেশে টিকে থাকার জন্য এদের শরীরে বাইরের লম্বা লোমের নিচে সূক্ষ্ম লোমের আবরণ থাকে। এটি এদের হিমশীতল তাপমাত্রায় টিকে থাকতে সাহায্য করে। এই ভেতরের আবরণটিই সূক্ষ্ম পশমিনা তন্তু তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। একটি ছাগল থেকে ৮০ থেকে ১৭০ গ্রাম পশম পাওয়া যায়। সাধারণ আকারের একটি পশমিনা চাদর তৈরিতে অন্তত তিনটি ছাগলের লোম লাগে।
গ্রীষ্মকালের শুরুতে ছাগলগুলো থেকে লোম সংগ্রহ করা হয়। শীতে আবার শরীরে পশম গজায়। লাদাখ অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী পশমিনা চাদর তৈরি করে চ্যাংপা নামের এক সম্প্রদায়। এরা যাযাবর জনগোষ্ঠী। এরা কাশ্মীরের চ্যাংথ্যাং মালভূমিতে বাস করে। এই মালভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। শীতকালে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। চ্যাংপা জনগোষ্ঠী মাংসের জন্য ভেড়া ও উলের জন্য পশমিনা ছাগল পালন করে।
হাতে পশমিনা তন্তু প্রস্তুত
পশমিনা উৎপাদন ঐতিহাসিকভাবে টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব। ছাগলগুলোকে মালভূমির প্রাকৃতিক চারণভূমিতে অবাধে চরতে দেওয়া হয়। ছাগলগুলোর লোম সংগ্রহ করা হয় চিরুনি ও কাঁচি ব্যবহার করে। পরে সাবধানে পরিষ্কার করা ও হাত দিয়ে জট ছাড়ানো হয়। চরকা কেটে তৈরি করা হয় পশমিনা সুতা। এই সুতা সাধারণ সুতার চেয়ে ছয় গুণ হালকা, তিন গুণ উষ্ণ। যত ভালো পশমিনা, তত মিহি ও উষ্ণ চাদর। এই কায়িক শ্রম ও কারিগরি দক্ষতাই পশমিনার একচেটিয়া বাজার ধরে রাখার পেছনের কারণ।
সব কাশ্মীরি চাদরই পশমিনা নয়
পশমিনা প্রায়ই কাশ্মীরের অনন্য ঐতিহ্যবাহী পণ্য বলে দাবি করা হয়। কিন্তু আসলে তা নয়। কাশ্মীরি উল বলতে বিভিন্ন ধরনের সূক্ষ্ম পশমি তন্তুকে বোঝায়। অন্যদিকে পশমিনা বলতে বিশেষভাবে হিমালয় অঞ্চলের পশমিনা ছাগল থেকে প্রাপ্ত পশম বোঝায়। সব পশমিনা চাদর কাশ্মীরি, কিন্তু সব কাশ্মীরি চাদর পশমিনা নয়।
পশমিনার বিশেষত্ব
পশমিনা খুবই হালকা। তবে শীতকালে এর উষ্ণতার তুলনা হয় না! পশমিনা রং করা খুবই জটিল ও দক্ষ প্রক্রিয়া। পশমিনার কোমল ভাব ও মান ঠিক রেখে নিখুঁত শেডে রং করা কঠিন। এটি কেবল অভিজ্ঞ কারিগরেরাই পারেন।
দুইভাবে তৈরি হয় পশমিনা। হস্তচালিত তাঁতের বুনটে কাঠের সুচের ফোঁড় তুলে তৈরি হয় কানি পশমিনা। আর উনিশ শতক থেকে সুই-সুতায় এমব্রয়ডারি করে তৈরি করা হচ্ছে আমিলকর শাল। পশমিনার ওপর হাতের কাজগুলো হয় খুবই সূক্ষ্ম। এটি চাদরের শোভা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে।
পশমিনা ঐতিহ্যগত, সমসাময়িক—উভয় স্টাইলের জন্য অনন্য। আসল পশমিনা চাদর, স্কার্ফ ও কম্বল আভিজাত্যের প্রতীক। সাধারণত ১০ ও ১২ হাজার থেকে শুরু করে ৮ লাখ ও ১০ লাখ রুপিতে পাওয়া যায় পশমিনা।
ইতিহাস
তৃতীয় খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ও ১১ শতকে লেখা আফগান পুঁথিতে কাশ্মীরে পশমি চাদর তৈরির কথা উল্লেখ আছে। ১৫ শতকে পশমিনা প্রথম রাজার পৃষ্ঠপোষকতা পায়। উজবেকিস্তানের শহর আন্দিজান থেকে কারিগর আনিয়ে কাশ্মীরি শাসক জয়নুল আবিদিন পশমিনার বুনন পুনরুজ্জীবিত করেন। ‘দ্বিতীয় রাজ তরঙ্গিণী’ পুঁথিতে তিনি এই শিল্পের প্রতিষ্ঠাতা রূপেই প্রশংসিত।
মোগল রাজপরিবারের মধ্যে পশমিনা চাদর বেশ জনপ্রিয় ছিল। মোগলদের বিলাসবহুল বস্ত্রের প্রতি আকর্ষণের কারণের পশমিনা চাদর দ্রুত বিত্ত ও বৈভবের প্রতীক হয়ে ওঠে। পশমিনা চাদর সৌন্দর্য ও কোমলতার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান ছিল।
পশমিনা নিয়ে আরও একটি ইতিহাস প্রচলিত, বহু প্রজন্ম ধরে ভারতীয় ও নেপালি নারীরা মেয়ের যৌতুক হিসেবে পশমিনা শাল দিতেন। এ থেকে ধারণা করা হয়, এই পশমিনা চাদরের সৃষ্টি তাঁদের হাতেই। পশমিনার প্রাচীনতম কারিগরেরা ৩০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের বলে ধারণা করা হয়।
তথ্যসূত্র: পাশওয়ার্প ডটকম, আনন্দবাজার পত্রিকা, উইকিপিডিয়া
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে