কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
এখন সন্ধ্যা নামলে পাতাগুলো কেমন নিস্তেজ হয়ে যায়। রাতের প্রহরে প্রহরে তাপমাত্রা কমতে থাকে। আর ভোরে ঝকঝকে নীল আকাশে সূর্যের আভা এখন অনেকটাই সোনালি। সেপ্টেম্বর সব সময় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে আসে। এই বদলের ঢেউ লাগে ত্বকে।
প্রতিদিন বডি লোশন ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ ও কোমল থাকে। এমনকি এর ব্যবহার ত্বকের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের সুস্থতার জন্য তার ধরন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বডি লোশন খুঁজে বের করা বেশি জরুরি। এটি ত্বক সতেজ রাখার পাশাপাশি শুষ্কতা এবং এর সঙ্গে আসা অস্বস্তি রোধ করতে সাহায্য করে। কিন্তু কেমন ত্বকে কেমন লোশন চাই?
শুষ্ক ত্বক
শুষ্ক ত্বকের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো আর্দ্রতা পুনরুদ্ধার করা এবং আরও শুষ্ক হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করা। এ ধরনের ত্বকের জন্য এমন একটি বডি লোশন প্রয়োজন, যাতে শিয়া বাটার, গ্লিসারিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড বা সিরামাইডের মতো উপাদান থাকে। ত্বকে প্রতিরক্ষামূলক বলয় তৈরি করতে, এর প্রাকৃতিক লিপিডগুলো পুনরায় পূরণ করতে এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে সতেজ রাখতে ক্রিমভিত্তিক ফরমুলেশন বেছে নিন। অ্যালকোহল শুষ্ক ত্বক আরও শুষ্ক করে দিতে পারে বলে অনেকেই অ্যালকোহলযুক্ত পণ্য এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন।
তৈলাক্ত এবং ব্রণপ্রবণ ত্বক
যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তাদের মূল লড়াই হয়ে থাকে আর্দ্রতা এবং তৈলাক্ততার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে। তাই একটি হালকা ওজনের, নন-কমেডোজেনিক এবং হাইপোঅ্যালার্জেনিক বডি লোশন বেছে নিতে হবে। এগুলো ত্বকে অতিরিক্ত তেল যোগ করে না। পাশাপাশি লোশনটি যেন ছিদ্র আটকে না দিয়ে ত্বক ময়শ্চারাইজ করতে পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা), গ্লিসারিন, নিয়াসিনামাইডের মতো আরও কিছু উপাদান আছে, যেগুলো ত্বকে তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে, প্রদাহ কমায় এবং ছিদ্র আটকে না দিয়ে সজীবতা বাড়ায়।
এ ধরনের ত্বকের জন্য জেল বা পানিভিত্তিক লোশন বেছে নিতে হবে, যা ম্যাট ফিনিশ দেবে। এ জন্য তেলমুক্ত বা নন-কমেডোজেনিক লেবেলযুক্ত লোশন বেছে নিন।
সংবেদনশীল ত্বক
সংবেদনশীল ত্বকের সূক্ষ্ম যত্ন প্রয়োজন। কারণ, এ ধরনের ত্বকে ছোটখাটো ভুলেও জ্বালা এবং অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। তাই অ্যালোভেরা, ক্যামোমাইল বা সিরামাইডযুক্ত হাইপোঅ্যালার্জেনিক, রঞ্জকমুক্ত এবং সুগন্ধিমুক্ত বডি লোশন বেছে নিতে হবে। এই উপাদানগুলো ত্বকের বাধাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এবং কোনো জ্বালা বা চুলকানি তৈরি না করেই প্রশান্তিদায়ক অনুভূতি দেবে। সঙ্গে প্যারাবেন এবং ফর্মালডিহাইড-যুক্ত লোশন এড়িয়ে চলতে হবে।
স্বাভাবিক ত্বক
স্বাভাবিক ত্বকের কোনো অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয় না। এ ক্ষেত্রে এমন লোশন বেছে নিতে হবে, যাতে রয়েছে গ্লিসারিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই। এই উপাদানগুলো ত্বকের সতেজতা বাড়ায় এবং ত্বক চর্বিহীন করে তোলে। স্বাভাবিক ত্বকের জন্য হালকা লোশন বেছে নিতে হবে। এগুলো এ ধরনের ত্বক মসৃণ এবং নরম করবে।
ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা), গ্লিসারিন, নিয়াসিনামাইডের মতো আরও কিছু উপাদান আছে, যেগুলো ত্বকে তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে, প্রদাহ কমায় এবং ছিদ্র আটকে না দিয়ে সজীবতা বাড়ায়
মিশ্র ত্বক
মিশ্র ত্বকের জন্য প্রয়োজন এমন বডি লোশন, যা ত্বকের শুষ্ক জায়গায় আর্দ্রতা যোগ করতে পারে। সেই সঙ্গে তৈলাক্ততা বজায় রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে নিয়াসিনামাইডযুক্ত লোশন ব্যবহার করতে হবে। কারণ, এটি তেল উৎপাদনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, সজীবতা বাড়ায় এবং ত্বকের ছিদ্র বন্ধ না করে জ্বালা কমায়।
বার্ধক্যজনিত ত্বক
রেটিনল, পেপটাইডস, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং হায়ালুরোনিক অ্যাসিডের মতো বার্ধক্যরোধী উপাদানগুলো এ ধরনের ত্বকের জন্য ভালো কাজ করে। যেসব লোশনে এ উপাদান আছে, সেগুলো কিনুন।
সঠিক নিয়মে শরীরে লোশন লাগানোর উপায়
প্রথম ধাপ
ত্বকের জন্য সঠিক বডি লোশন নির্বাচন করে গোসল সেরে আলতো করে ভেজা ত্বকে তা লাগাতে হবে। এটি আর্দ্রতা ঠিক রাখবে এবং লোশনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
দ্বিতীয় ধাপ
সঠিক পরিমাণে লোশন নিন। যতটুকু নিলে ত্বক যথেষ্ট সতেজ হবে, আবার ত্বক ভারী ও চর্বিযুক্ত বোধ হবে না, ততটুকুই নিন।
তৃতীয় ধাপ
লোশন শরীরে ব্যবহার করার আগে হাতের মধ্যে ঘষে নিন। তারপরে বৃত্তাকার গতিতে এটি শরীরে ম্যাসাজ করুন। এই কৌশল রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে এবং সবখানে সমানভাবে লোশন পৌঁছায়।
চতুর্থ ধাপ
তারপর লোশন শুকাতে কয়েক মিনিট সময় দিন।
সূত্র: হেলথ শটস
এখন সন্ধ্যা নামলে পাতাগুলো কেমন নিস্তেজ হয়ে যায়। রাতের প্রহরে প্রহরে তাপমাত্রা কমতে থাকে। আর ভোরে ঝকঝকে নীল আকাশে সূর্যের আভা এখন অনেকটাই সোনালি। সেপ্টেম্বর সব সময় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে আসে। এই বদলের ঢেউ লাগে ত্বকে।
প্রতিদিন বডি লোশন ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ ও কোমল থাকে। এমনকি এর ব্যবহার ত্বকের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের সুস্থতার জন্য তার ধরন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বডি লোশন খুঁজে বের করা বেশি জরুরি। এটি ত্বক সতেজ রাখার পাশাপাশি শুষ্কতা এবং এর সঙ্গে আসা অস্বস্তি রোধ করতে সাহায্য করে। কিন্তু কেমন ত্বকে কেমন লোশন চাই?
শুষ্ক ত্বক
শুষ্ক ত্বকের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো আর্দ্রতা পুনরুদ্ধার করা এবং আরও শুষ্ক হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করা। এ ধরনের ত্বকের জন্য এমন একটি বডি লোশন প্রয়োজন, যাতে শিয়া বাটার, গ্লিসারিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড বা সিরামাইডের মতো উপাদান থাকে। ত্বকে প্রতিরক্ষামূলক বলয় তৈরি করতে, এর প্রাকৃতিক লিপিডগুলো পুনরায় পূরণ করতে এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে সতেজ রাখতে ক্রিমভিত্তিক ফরমুলেশন বেছে নিন। অ্যালকোহল শুষ্ক ত্বক আরও শুষ্ক করে দিতে পারে বলে অনেকেই অ্যালকোহলযুক্ত পণ্য এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন।
তৈলাক্ত এবং ব্রণপ্রবণ ত্বক
যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তাদের মূল লড়াই হয়ে থাকে আর্দ্রতা এবং তৈলাক্ততার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে। তাই একটি হালকা ওজনের, নন-কমেডোজেনিক এবং হাইপোঅ্যালার্জেনিক বডি লোশন বেছে নিতে হবে। এগুলো ত্বকে অতিরিক্ত তেল যোগ করে না। পাশাপাশি লোশনটি যেন ছিদ্র আটকে না দিয়ে ত্বক ময়শ্চারাইজ করতে পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা), গ্লিসারিন, নিয়াসিনামাইডের মতো আরও কিছু উপাদান আছে, যেগুলো ত্বকে তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে, প্রদাহ কমায় এবং ছিদ্র আটকে না দিয়ে সজীবতা বাড়ায়।
এ ধরনের ত্বকের জন্য জেল বা পানিভিত্তিক লোশন বেছে নিতে হবে, যা ম্যাট ফিনিশ দেবে। এ জন্য তেলমুক্ত বা নন-কমেডোজেনিক লেবেলযুক্ত লোশন বেছে নিন।
সংবেদনশীল ত্বক
সংবেদনশীল ত্বকের সূক্ষ্ম যত্ন প্রয়োজন। কারণ, এ ধরনের ত্বকে ছোটখাটো ভুলেও জ্বালা এবং অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। তাই অ্যালোভেরা, ক্যামোমাইল বা সিরামাইডযুক্ত হাইপোঅ্যালার্জেনিক, রঞ্জকমুক্ত এবং সুগন্ধিমুক্ত বডি লোশন বেছে নিতে হবে। এই উপাদানগুলো ত্বকের বাধাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এবং কোনো জ্বালা বা চুলকানি তৈরি না করেই প্রশান্তিদায়ক অনুভূতি দেবে। সঙ্গে প্যারাবেন এবং ফর্মালডিহাইড-যুক্ত লোশন এড়িয়ে চলতে হবে।
স্বাভাবিক ত্বক
স্বাভাবিক ত্বকের কোনো অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয় না। এ ক্ষেত্রে এমন লোশন বেছে নিতে হবে, যাতে রয়েছে গ্লিসারিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই। এই উপাদানগুলো ত্বকের সতেজতা বাড়ায় এবং ত্বক চর্বিহীন করে তোলে। স্বাভাবিক ত্বকের জন্য হালকা লোশন বেছে নিতে হবে। এগুলো এ ধরনের ত্বক মসৃণ এবং নরম করবে।
ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা), গ্লিসারিন, নিয়াসিনামাইডের মতো আরও কিছু উপাদান আছে, যেগুলো ত্বকে তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে, প্রদাহ কমায় এবং ছিদ্র আটকে না দিয়ে সজীবতা বাড়ায়
মিশ্র ত্বক
মিশ্র ত্বকের জন্য প্রয়োজন এমন বডি লোশন, যা ত্বকের শুষ্ক জায়গায় আর্দ্রতা যোগ করতে পারে। সেই সঙ্গে তৈলাক্ততা বজায় রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে নিয়াসিনামাইডযুক্ত লোশন ব্যবহার করতে হবে। কারণ, এটি তেল উৎপাদনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, সজীবতা বাড়ায় এবং ত্বকের ছিদ্র বন্ধ না করে জ্বালা কমায়।
বার্ধক্যজনিত ত্বক
রেটিনল, পেপটাইডস, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং হায়ালুরোনিক অ্যাসিডের মতো বার্ধক্যরোধী উপাদানগুলো এ ধরনের ত্বকের জন্য ভালো কাজ করে। যেসব লোশনে এ উপাদান আছে, সেগুলো কিনুন।
সঠিক নিয়মে শরীরে লোশন লাগানোর উপায়
প্রথম ধাপ
ত্বকের জন্য সঠিক বডি লোশন নির্বাচন করে গোসল সেরে আলতো করে ভেজা ত্বকে তা লাগাতে হবে। এটি আর্দ্রতা ঠিক রাখবে এবং লোশনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
দ্বিতীয় ধাপ
সঠিক পরিমাণে লোশন নিন। যতটুকু নিলে ত্বক যথেষ্ট সতেজ হবে, আবার ত্বক ভারী ও চর্বিযুক্ত বোধ হবে না, ততটুকুই নিন।
তৃতীয় ধাপ
লোশন শরীরে ব্যবহার করার আগে হাতের মধ্যে ঘষে নিন। তারপরে বৃত্তাকার গতিতে এটি শরীরে ম্যাসাজ করুন। এই কৌশল রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে এবং সবখানে সমানভাবে লোশন পৌঁছায়।
চতুর্থ ধাপ
তারপর লোশন শুকাতে কয়েক মিনিট সময় দিন।
সূত্র: হেলথ শটস
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
২ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
২ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
২ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
২ দিন আগে