মোহাম্মদ নাদের হোসেন ভূঁইয়া
অক্সফোর্ড, মোকাসিন, বোট শু, লোফার, স্লিপ অন, ডার্বি বা গিবসন ইত্যাদি কত রকমের যে জুতা আছে পৃথিবীতে! সব জুতার কাজ মূলত পায়ের নিরাপত্তা বিধান করা। কিন্তু বর্তমানে জুতা ফ্যাশনের অন্যতম অনুষঙ্গ।
এ সময়ের তরুণ প্রজন্মের কাছে যে কয় ধরনের জুতা পরিচিত ও জনপ্রিয়, তার মধ্যে অন্যতম স্নিকার্স। এগুলোকে অ্যাথলেটিক জুতা, টেনিস জুতা, জিম জুতা, কিকস, স্পোর্ট শু, ফ্ল্যাট বা রানার নামে ডাকা হয়। প্রাথমিকভাবে খেলাধুলা বা শরীরচর্চার জন্য তৈরি করা হলেও এখন স্নিকার প্রতিদিনের ব্যবহার্য জুতায় পরিণত হয়েছে। ফলে এগুলো এখন ফ্যাশনের অন্যতম উপকরণ। ২০ শতকের মাঝামাঝি কনভার্স, নাইকি ও স্প্যাল্ডিংয়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের জুতাকে জনপ্রিয় করে।
স্নিকার তৈরিতে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান কনভার্স। প্রথম থেকেই তারা জুতাসহ লাইফস্টাইল পণ্য উৎপাদন করত। দেশটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লে প্রতিষ্ঠানটি দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য জুতা তৈরি শুরু করে। যুদ্ধ শেষ হলে কনভার্স খেলোয়াড়দের জন্য জুতা তৈরি করতে থাকে। সে সময় স্নিকার তৈরি হয়। ১৯৫০ ও ’৬০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল দলগুলো স্নিকার জুতা জনপ্রিয় করে।
১৯১৭ সালে কনভার্স নামের প্রতিষ্ঠানটি স্নিকার তৈরি শুরু করে। সে সূত্রে এ ধরনের জুতার বয়স প্রায় ১০৭ বছর। শুরুতে এর নাম ছিল নন-স্কিড। ১৯২২ সালে এর আবিষ্কারক চক টেলর কনভার্সের নামে এর নাম রাখা হয় চক টেলর অল স্টার। এর ছিল দুটি ধরন। একটি ছিল লাল রঙের গোড়ালি ঢাকা আর অন্যটি ছিল সাদা ও কালো রঙের লো কাট অর্থাৎ গোড়ালির নিচ পর্যন্ত। ১৯১৭ সালে আবিষ্কার হলেও স্নিকার পঞ্চাশ-ষাটের দশক থেকে খেলা ও ফ্যাশনের জগতে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। খুব সহজে পায়ে গলিয়ে নেওয়া যায় বলে তরুণদের লো কাট স্নিকার ব্যবহারের প্রবণতা বেশি।
এখন শুধু কনভার্স নয় নাইকি, অ্যাডিডাস ইত্যাদির মতো প্রতিষ্ঠানও বিভিন্ন ধরনের উপাদান দিয়ে আরামদায়ক ও স্টাইলিস্ট স্নিকার তৈরি করে।
সামনে আসছে শীত। এ সময় কনভার্সের ক্যানভাসে তৈরি লো কাট স্নিকারের বদলে বুট কাট বা গোড়ালি ঢাকা স্নিকার ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো প্রায় সব ধরনের পোশাকের সঙ্গে এগুলো ব্যবহার করা যায়। এটিই এর একমাত্র বিষয় নয়। এর বৈচিত্র্যের কারণে ভ্রমণ, ক্যাম্পাস, অফিসসহ প্রায় সব জায়গায় যাওয়া যায় স্নিকার পরে।
স্নিকার এখন ইউনিসেক্স জুতা। শুধু পুরুষেরা এগুলো পরবে, এই যাপনের এই স্টেরিওটাইপ ভেঙে গেছে বেশ আগেই। এখন তরুণ-তরুণী সবাই এগুলো ব্যবহার করে মূলত এর সুবিধার জন্য। মূলত ক্যানভাস আর রাবারের সমন্বয়ে এ জুতা তৈরি হয়।
স্নিকারের ক্ল্যাসিক রং লাল ও সাদা-কালো। তবে এখন তরুণদের কথা বিবেচনায় এর বাইরেও বিভিন্ন রঙের স্নিকার পাওয়া যায়। মেয়েদের জন্য পাওয়া যায় গোলাপি রঙের স্নিকার। যাঁরা ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য আছে বিভিন্ন রঙের মিশ্রণে তৈরি ক্যামফ্লেজ স্নিকার।
দরদাম
আপনার পছন্দ যদি হয় জিনস ও টি-শার্ট তার সঙ্গে মানানসই স্নিকার ব্যবহার করতে পারেন। শুধু টি-শার্টই নয়, হুডির সঙ্গেও এ ধরনের জুতা খুব মানানসই। পাশাপাশি যদি ক্যাজুয়াল-স্টাইলের ব্লেজার পরেন, সে ক্ষেত্রে স্নিকার ব্যবহার করতে পারেন।
স্নিকারের দাম ব্র্যান্ড, রং এবং ডিজাইনের ওপর নির্ভর করে। স্নিকারের দাম ৮০০ থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
কোথায় পাওয়া যাবে দেশের সব জেলা ও উপজেলার জুতার দোকানে বিভিন্ন ধরনের স্নিকার পাওয়া যায়। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন স্নিকার তৈরি করে। পছন্দের রং ও আরামের কথা বিবেচনা করে যেকোনো ধরনের স্নিকার বেছে নিতে পারেন। এ ছাড়া অনলাইনেও কিনতে পাওয়া যায় এগুলো। পায়ের মাপে পছন্দের স্নিকার সেখান থেকেও কিনে নিতে পারেন।
অক্সফোর্ড, মোকাসিন, বোট শু, লোফার, স্লিপ অন, ডার্বি বা গিবসন ইত্যাদি কত রকমের যে জুতা আছে পৃথিবীতে! সব জুতার কাজ মূলত পায়ের নিরাপত্তা বিধান করা। কিন্তু বর্তমানে জুতা ফ্যাশনের অন্যতম অনুষঙ্গ।
এ সময়ের তরুণ প্রজন্মের কাছে যে কয় ধরনের জুতা পরিচিত ও জনপ্রিয়, তার মধ্যে অন্যতম স্নিকার্স। এগুলোকে অ্যাথলেটিক জুতা, টেনিস জুতা, জিম জুতা, কিকস, স্পোর্ট শু, ফ্ল্যাট বা রানার নামে ডাকা হয়। প্রাথমিকভাবে খেলাধুলা বা শরীরচর্চার জন্য তৈরি করা হলেও এখন স্নিকার প্রতিদিনের ব্যবহার্য জুতায় পরিণত হয়েছে। ফলে এগুলো এখন ফ্যাশনের অন্যতম উপকরণ। ২০ শতকের মাঝামাঝি কনভার্স, নাইকি ও স্প্যাল্ডিংয়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের জুতাকে জনপ্রিয় করে।
স্নিকার তৈরিতে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান কনভার্স। প্রথম থেকেই তারা জুতাসহ লাইফস্টাইল পণ্য উৎপাদন করত। দেশটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লে প্রতিষ্ঠানটি দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য জুতা তৈরি শুরু করে। যুদ্ধ শেষ হলে কনভার্স খেলোয়াড়দের জন্য জুতা তৈরি করতে থাকে। সে সময় স্নিকার তৈরি হয়। ১৯৫০ ও ’৬০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল দলগুলো স্নিকার জুতা জনপ্রিয় করে।
১৯১৭ সালে কনভার্স নামের প্রতিষ্ঠানটি স্নিকার তৈরি শুরু করে। সে সূত্রে এ ধরনের জুতার বয়স প্রায় ১০৭ বছর। শুরুতে এর নাম ছিল নন-স্কিড। ১৯২২ সালে এর আবিষ্কারক চক টেলর কনভার্সের নামে এর নাম রাখা হয় চক টেলর অল স্টার। এর ছিল দুটি ধরন। একটি ছিল লাল রঙের গোড়ালি ঢাকা আর অন্যটি ছিল সাদা ও কালো রঙের লো কাট অর্থাৎ গোড়ালির নিচ পর্যন্ত। ১৯১৭ সালে আবিষ্কার হলেও স্নিকার পঞ্চাশ-ষাটের দশক থেকে খেলা ও ফ্যাশনের জগতে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। খুব সহজে পায়ে গলিয়ে নেওয়া যায় বলে তরুণদের লো কাট স্নিকার ব্যবহারের প্রবণতা বেশি।
এখন শুধু কনভার্স নয় নাইকি, অ্যাডিডাস ইত্যাদির মতো প্রতিষ্ঠানও বিভিন্ন ধরনের উপাদান দিয়ে আরামদায়ক ও স্টাইলিস্ট স্নিকার তৈরি করে।
সামনে আসছে শীত। এ সময় কনভার্সের ক্যানভাসে তৈরি লো কাট স্নিকারের বদলে বুট কাট বা গোড়ালি ঢাকা স্নিকার ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো প্রায় সব ধরনের পোশাকের সঙ্গে এগুলো ব্যবহার করা যায়। এটিই এর একমাত্র বিষয় নয়। এর বৈচিত্র্যের কারণে ভ্রমণ, ক্যাম্পাস, অফিসসহ প্রায় সব জায়গায় যাওয়া যায় স্নিকার পরে।
স্নিকার এখন ইউনিসেক্স জুতা। শুধু পুরুষেরা এগুলো পরবে, এই যাপনের এই স্টেরিওটাইপ ভেঙে গেছে বেশ আগেই। এখন তরুণ-তরুণী সবাই এগুলো ব্যবহার করে মূলত এর সুবিধার জন্য। মূলত ক্যানভাস আর রাবারের সমন্বয়ে এ জুতা তৈরি হয়।
স্নিকারের ক্ল্যাসিক রং লাল ও সাদা-কালো। তবে এখন তরুণদের কথা বিবেচনায় এর বাইরেও বিভিন্ন রঙের স্নিকার পাওয়া যায়। মেয়েদের জন্য পাওয়া যায় গোলাপি রঙের স্নিকার। যাঁরা ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য আছে বিভিন্ন রঙের মিশ্রণে তৈরি ক্যামফ্লেজ স্নিকার।
দরদাম
আপনার পছন্দ যদি হয় জিনস ও টি-শার্ট তার সঙ্গে মানানসই স্নিকার ব্যবহার করতে পারেন। শুধু টি-শার্টই নয়, হুডির সঙ্গেও এ ধরনের জুতা খুব মানানসই। পাশাপাশি যদি ক্যাজুয়াল-স্টাইলের ব্লেজার পরেন, সে ক্ষেত্রে স্নিকার ব্যবহার করতে পারেন।
স্নিকারের দাম ব্র্যান্ড, রং এবং ডিজাইনের ওপর নির্ভর করে। স্নিকারের দাম ৮০০ থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
কোথায় পাওয়া যাবে দেশের সব জেলা ও উপজেলার জুতার দোকানে বিভিন্ন ধরনের স্নিকার পাওয়া যায়। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন স্নিকার তৈরি করে। পছন্দের রং ও আরামের কথা বিবেচনা করে যেকোনো ধরনের স্নিকার বেছে নিতে পারেন। এ ছাড়া অনলাইনেও কিনতে পাওয়া যায় এগুলো। পায়ের মাপে পছন্দের স্নিকার সেখান থেকেও কিনে নিতে পারেন।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে