ফারিয়া সুলতানা রিজু
গর্ভাবস্থায় ত্বকে এক অন্য রকম লাবণ্য ফুটে ওঠে। যাকে সহজ ভাষায় ‘প্রেগন্যান্সি গ্লো’ বলা হয়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা হয় একেবারে ভিন্ন।
স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে র্যাশ, ব্রণ ও চুলকানির প্রবণতা বেড়ে যায়; বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েক মাস হরমোনের তারতম্য হয় বলে ত্বকের সমস্যা বেশি থাকে। আবার ইস্ট্রোজেন হরমোনের পারদ ওপরের দিকে ওঠার কারণে ত্বকে মেলানিন বেশি উৎপন্ন হয়। ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যা বাড়ে। প্রায় ৭০ শতাংশ নারী গর্ভাবস্থায় এ ধরনের সমস্যায় ভোগেন। প্রথমেই জেনে রাখা ভালো, গর্ভাবস্থায় সবই স্বাভাবিক। সন্তান প্রসবের পর নিজে থেকেই এসব সমস্যা কমে যায়। তবে চুলকানি ও দাগের সমস্যা বেশি থাকলে কিছু বাড়তি যত্ন নিতে হয়।
নারীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ সময় গর্ভকাল। এ সময় ত্বকে নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটে। হারমনি স্পার স্বত্বাধিকারী ও লাইফস্টাইল এক্সপার্ট রূপবিশেষজ্ঞ রহিমা সুলতানা রীতা জানিয়েছেন, গর্ভকালে ত্বকের কোন ধরনের সমস্যা হতে পারে এবং এর সমাধান কী।
গর্ভকালে ত্বকে যেসব সমস্যা দেখা দেয়
এ সময় ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় কালো দাগ পড়তে পারে, বিশেষ করে মুখে ও চিবুকে। এগুলোকে সাধারণভাবে মেছতা বা মেলাসমা বলে। পেট ভারী হওয়ার কারণে পেটে সাদা ফাটা দাগ পড়তে শুরু করে। কারও কারও প্রচুর ব্রণ ওঠে, কারও ত্বক কালচে দেখায়। রহিমা সুলতানা রীতা বলেন, ‘ওজন বেশি বেড়ে গেলে বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হলে বগল ও ঘাড় কালো হয়ে যায়, যাকে বলে অ্যাকানথোসিস নাইগ্রিকানস। ওজন বাড়ার কারণে পায়ে ভ্যারিকোস ভেইন দেখা দিতে পারে। এতে ত্বকের নিচে নীলচে শিরা দৃশ্যমান হয়। এর সবই হয় এ সময়ে নানা ধরনের হরমোনের প্রভাবে।’
ত্বকের নিয়মিত ও নিরাপদ যত্নে
রহিমা সুলতানা রীতা বলেন, ‘গর্ভকালে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নেওয়াই নিরাপদ।’ ঘরোয়া পদ্ধতিতে একটু মধু, দুধ, বেসন—এসব ব্যবহার করে প্যাক বানিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া যেতে পারে। চুলের যত্নে টক দই, মেথি ও লেবুর রস ব্যবহার করা যায়। এ ধরনের প্যাক গর্ভবতী নারীরা সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারেন। রহিমা সুলতানা রীতা বলেন, ‘এ সময় রাসায়নিক কোনো উপকরণ ব্যবহার করা উচিত নয়।’
ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানির ঘরোয়া সমাধান
গর্ভকালে ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি এড়াতে ময়শ্চারাইজার এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে নারকেল তেল ব্যবহার করা যায়। এ সময় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সঠিক পরিমাণে পানি পান করতে হবে বলে জানান রহিমা সুলতানা রীতা।
প্রসাধনী ব্যবহার ও বর্জন
গর্ভকালে প্রসাধনী যতটা এড়ানো যায়, ততই ভালো। কড়া সুগন্ধি, সুগন্ধ রয়েছে এমন ক্রিম, লোশন বা রাসায়নিক উপাদানসমৃদ্ধ মেকআপ আইটেম ব্যবহার করা উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ত্বকে ব্যবহারের জন্য কোনো ধরনের ওষুধ বা কসমেটিকস ব্যবহার করা যাবে না।
পারলারে ট্রিটমেন্টের হ্যাঁ-না
এ সময় পারলার ট্রিটমেন্ট, অর্থাৎ কোনো ধরনের লেজার ট্রিটমেন্ট নেওয়া উচিত নয়। এমনকি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে ত্বক ও চুলের ট্রিটমেন্ট নেওয়াও অনুচিত।
গর্ভকালে আরাম দেবে স্পা
গর্ভকালে স্পা নেওয়া যায়; কিন্তু গর্ভবতীকে আধা বসা ও আধা শোয়ার মতো করে বসিয়ে অভিজ্ঞ থেরাপিস্টের হাতে স্পা করাতে হবে। কোনোভাবে শুয়ে স্পা করানো যাবে না। এমনকি গর্ভবতীর শরীরের অবস্থা বুঝে স্পা দিতে হবে।
গর্ভাবস্থায় ত্বকে এক অন্য রকম লাবণ্য ফুটে ওঠে। যাকে সহজ ভাষায় ‘প্রেগন্যান্সি গ্লো’ বলা হয়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা হয় একেবারে ভিন্ন।
স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে র্যাশ, ব্রণ ও চুলকানির প্রবণতা বেড়ে যায়; বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েক মাস হরমোনের তারতম্য হয় বলে ত্বকের সমস্যা বেশি থাকে। আবার ইস্ট্রোজেন হরমোনের পারদ ওপরের দিকে ওঠার কারণে ত্বকে মেলানিন বেশি উৎপন্ন হয়। ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যা বাড়ে। প্রায় ৭০ শতাংশ নারী গর্ভাবস্থায় এ ধরনের সমস্যায় ভোগেন। প্রথমেই জেনে রাখা ভালো, গর্ভাবস্থায় সবই স্বাভাবিক। সন্তান প্রসবের পর নিজে থেকেই এসব সমস্যা কমে যায়। তবে চুলকানি ও দাগের সমস্যা বেশি থাকলে কিছু বাড়তি যত্ন নিতে হয়।
নারীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ সময় গর্ভকাল। এ সময় ত্বকে নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটে। হারমনি স্পার স্বত্বাধিকারী ও লাইফস্টাইল এক্সপার্ট রূপবিশেষজ্ঞ রহিমা সুলতানা রীতা জানিয়েছেন, গর্ভকালে ত্বকের কোন ধরনের সমস্যা হতে পারে এবং এর সমাধান কী।
গর্ভকালে ত্বকে যেসব সমস্যা দেখা দেয়
এ সময় ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় কালো দাগ পড়তে পারে, বিশেষ করে মুখে ও চিবুকে। এগুলোকে সাধারণভাবে মেছতা বা মেলাসমা বলে। পেট ভারী হওয়ার কারণে পেটে সাদা ফাটা দাগ পড়তে শুরু করে। কারও কারও প্রচুর ব্রণ ওঠে, কারও ত্বক কালচে দেখায়। রহিমা সুলতানা রীতা বলেন, ‘ওজন বেশি বেড়ে গেলে বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হলে বগল ও ঘাড় কালো হয়ে যায়, যাকে বলে অ্যাকানথোসিস নাইগ্রিকানস। ওজন বাড়ার কারণে পায়ে ভ্যারিকোস ভেইন দেখা দিতে পারে। এতে ত্বকের নিচে নীলচে শিরা দৃশ্যমান হয়। এর সবই হয় এ সময়ে নানা ধরনের হরমোনের প্রভাবে।’
ত্বকের নিয়মিত ও নিরাপদ যত্নে
রহিমা সুলতানা রীতা বলেন, ‘গর্ভকালে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নেওয়াই নিরাপদ।’ ঘরোয়া পদ্ধতিতে একটু মধু, দুধ, বেসন—এসব ব্যবহার করে প্যাক বানিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া যেতে পারে। চুলের যত্নে টক দই, মেথি ও লেবুর রস ব্যবহার করা যায়। এ ধরনের প্যাক গর্ভবতী নারীরা সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারেন। রহিমা সুলতানা রীতা বলেন, ‘এ সময় রাসায়নিক কোনো উপকরণ ব্যবহার করা উচিত নয়।’
ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানির ঘরোয়া সমাধান
গর্ভকালে ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি এড়াতে ময়শ্চারাইজার এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে নারকেল তেল ব্যবহার করা যায়। এ সময় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সঠিক পরিমাণে পানি পান করতে হবে বলে জানান রহিমা সুলতানা রীতা।
প্রসাধনী ব্যবহার ও বর্জন
গর্ভকালে প্রসাধনী যতটা এড়ানো যায়, ততই ভালো। কড়া সুগন্ধি, সুগন্ধ রয়েছে এমন ক্রিম, লোশন বা রাসায়নিক উপাদানসমৃদ্ধ মেকআপ আইটেম ব্যবহার করা উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ত্বকে ব্যবহারের জন্য কোনো ধরনের ওষুধ বা কসমেটিকস ব্যবহার করা যাবে না।
পারলারে ট্রিটমেন্টের হ্যাঁ-না
এ সময় পারলার ট্রিটমেন্ট, অর্থাৎ কোনো ধরনের লেজার ট্রিটমেন্ট নেওয়া উচিত নয়। এমনকি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে ত্বক ও চুলের ট্রিটমেন্ট নেওয়াও অনুচিত।
গর্ভকালে আরাম দেবে স্পা
গর্ভকালে স্পা নেওয়া যায়; কিন্তু গর্ভবতীকে আধা বসা ও আধা শোয়ার মতো করে বসিয়ে অভিজ্ঞ থেরাপিস্টের হাতে স্পা করাতে হবে। কোনোভাবে শুয়ে স্পা করানো যাবে না। এমনকি গর্ভবতীর শরীরের অবস্থা বুঝে স্পা দিতে হবে।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে