রুবাইয়া হক, ঢাকা
দিনের বড় সময় অফিসে কাটাতে হয় একজন কর্মজীবীকে। নয়টা-পাঁচটা, শুধুই কি অফিস কর্ম? খাওয়া থেকে টয়লেট ব্যবহার পর্যন্ত ব্যক্তিগত জরুরি প্রয়োজন অফিসেই মেটাতে হয়। এসব জরুরি প্রয়োজন মেটানোর সঙ্গে জড়িত স্বাস্থ্যবিধি, পরিচ্ছন্নতাসহ নানা শিষ্টাচার। কিন্তু এসব শিষ্টাচার কি আমরা মেনে চলি? এসব ক্ষেত্রে আমাদের অনুপযুক্ত আচরণে সহকর্মীরা বিরক্ত হচ্ছে না তো?
আধুনিক সচেতন নাগরিক হিসেবে এসব শিষ্টাচার শুধু অফিসে নয় নাগরিক জীবনে সর্বত্র প্রযোজ্য। এসব বিষয়ের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হয়ত লিখিত কোনো বিধি নেই। সচেতন নাগরিকেরা এমনিতেই এসব শিষ্টাচার মেনে চলেন। কিন্তু কেউ কেউ খানিকটা উদাসীন থাকেন। এতে অফিসের সামগ্রিক কর্মপরিবেশে যেমন বিঘ্ন ঘটে, তেমনি সহকর্মীদের সমস্যা হয়, তাঁরা বিরক্ত হন। সে কারণে আমাদের এসব শিষ্টাচার জানা ও মানা জরুরি। জেনে নেই, এসব শিষ্টাচারের মধ্যে কি কি আছে।
হাঁচি ও কাশিতে সতর্ক
চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, হাঁচি দেওয়ার সময় ঘণ্টায় প্রায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে ফুসফুস থেকে বাতাস বের হয়ে আসে। সেই সঙ্গে শ্বাসনালি ও নাকে জমে থাকা শ্লেষ্মা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণার আকারে বা স্প্রের মতো বের হয়। হাঁচির গতির কারণেই এসব কণা প্রায় ২ মিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। এরপরও অনেকেই হাঁচি কাশির সময় সতর্ক হই না।
হাঁচি আটকানোর কোনো উপায় না থাকলেও এর মাধ্যমে জীবাণুর ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো সম্ভব। বিশেষ করে হাঁচির সময় মুখ না ঢাকলে জীবাণুযুক্ত তরল পদার্থ অন্যের গায়ে গিয়ে পড়ে। অনেকেই এতে বিব্রত হন। তাই হাঁচি বা কাশি আসলে সামনে টিস্যু বা রুমাল দিয়ে চেপে ধরতে হবে। না থাকলেও হাত দিয়ে মুখ আটকে বা অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। কেননা রোগ জীবাণুর বাহক হাঁচি বা কাশি।
পরিপাটি ডেস্ক
সব সময় নিজের ডেস্ক বা কাজের স্থান পরিপাটি রাখুন। নিশ্চয়ই মানবেন, গোছানো ডেস্কও কাজের অন্যতম দাওয়াই। মনে রাখতে হবে আপনার ডেস্ক আপনার পরিচয় বহন করে।
খোঁচাখুঁচিতে বিরক্ত
অনেকের অফিসে বসে নাক বা কান খোঁচানোর অভ্যাস থাকে, যা অন্যের কাছে খুবই বিব্রতকর হতে পারে। তাই প্রয়োজন হলে ওয়াশরুমে যেতে পারেন।
যেখানে সেখানে টিস্যু ফেলা
সর্দি কাশি কিংবা কোনো কিছু মুছতে টিস্যু ব্যবহার করি। অনেকেই সেই ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে ডেস্কেই রেখে দেন। খোলা অবস্থায় ব্যবহৃত টিস্যু রাখলে তা থেকে জীবাণু ছড়িয়ে সহজেই অন্যকে সংক্রমণ করতে পারে। তাই ব্যবহারের পর নির্দিষ্ট স্থানে টিস্যু ফেলতে হবে।
দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণ
মন দিয়ে কাজ করার সময় হঠাৎ ভেতর থেকে অস্বস্তিবোধ করছেন। আশপাশ থেকে দুর্গন্ধ এই অস্বস্তি ও বিরক্তির উদ্রেক ঘটাতে পারে। সে গন্ধ হতে পারে জুতা কিংবা কারও শরীরের। অনেক ক্ষেত্রে যার থেকে গন্ধ আসে তিনি নিজেও বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যান। তিনিও হয়ত কাজে মন দিতে পারছেন না, কী করবেন বুঝেও উঠতে পারছেন না।
শরীরে দুর্গন্ধ হওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। প্রায় সব মানুষের ঘাম ও শারীরিক নানা জটিলতার কারণে দুর্গন্ধ কম বেশি হয়। সমাধান হিসেবে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে প্রসাধনী যেমন বডি স্প্রে বা পারফিউম, ডিওডরেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে গন্ধ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বিভিন্ন রোগের ফলে বা ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেও শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দুর্গন্ধের প্রসঙ্গে বিশেষ করে বলতে হয় জুতার কথা। অনেকেই কাজের মাঝে আরাম করতে জুতা খোলেন। জুতা খোলার আগে খেয়াল রাখতে হবে মোজা বা পা থেকে গন্ধ আসছে কিনা। তাই নিয়মিত মোজা বা জুতা সোল পরিষ্কার করতে হবে।
টয়লেট ব্যবহার
ধূমপায়ীরা খেয়াল করুন
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবু সহকর্মীদের কেউ কেউ ধূমপায়ী হয়ে থাকেন। ধূমপানের পর মুখের গন্ধের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। কেননা সেই গন্ধে সহকর্মীর অস্বস্তি শুরু হতে পারে। মাথা ব্যথা, কাশি কিংবা বমি ভাবও চলে আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে তারা কুল কুচি বা মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করতে পারেন।
সচেতন প্রাণী হয়েও মানুষ এমন কিছু অভ্যাস ধারণ করে, যা ছায়া সঙ্গীর মতো তার সঙ্গে লেগে থাকে। এগুলোকে অভ্যাস না বলে বদঅভ্যাস বলাই ভালো। এগুলোর চর্চা যেমন ব্যক্তিত্বকে খাটো করে, তেমনি দৃষ্টিকটু। মুদ্রাদোষ বা বদঅভ্যাস চর্চাকে আমরা কেউ তেমন গুরুত্ব দেই না, কেননা আমরা সবাই কম-বেশি এতে আক্রান্ত। বদঅভ্যাস না থাকাই শ্রেয়। আমাদের ছোটখাটো কিছু ভুল বা বদঅভ্যাস অসুস্থ পরিবেশ তৈরি করতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে এবং নিজের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলতে পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই।
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
দিনের বড় সময় অফিসে কাটাতে হয় একজন কর্মজীবীকে। নয়টা-পাঁচটা, শুধুই কি অফিস কর্ম? খাওয়া থেকে টয়লেট ব্যবহার পর্যন্ত ব্যক্তিগত জরুরি প্রয়োজন অফিসেই মেটাতে হয়। এসব জরুরি প্রয়োজন মেটানোর সঙ্গে জড়িত স্বাস্থ্যবিধি, পরিচ্ছন্নতাসহ নানা শিষ্টাচার। কিন্তু এসব শিষ্টাচার কি আমরা মেনে চলি? এসব ক্ষেত্রে আমাদের অনুপযুক্ত আচরণে সহকর্মীরা বিরক্ত হচ্ছে না তো?
আধুনিক সচেতন নাগরিক হিসেবে এসব শিষ্টাচার শুধু অফিসে নয় নাগরিক জীবনে সর্বত্র প্রযোজ্য। এসব বিষয়ের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হয়ত লিখিত কোনো বিধি নেই। সচেতন নাগরিকেরা এমনিতেই এসব শিষ্টাচার মেনে চলেন। কিন্তু কেউ কেউ খানিকটা উদাসীন থাকেন। এতে অফিসের সামগ্রিক কর্মপরিবেশে যেমন বিঘ্ন ঘটে, তেমনি সহকর্মীদের সমস্যা হয়, তাঁরা বিরক্ত হন। সে কারণে আমাদের এসব শিষ্টাচার জানা ও মানা জরুরি। জেনে নেই, এসব শিষ্টাচারের মধ্যে কি কি আছে।
হাঁচি ও কাশিতে সতর্ক
চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, হাঁচি দেওয়ার সময় ঘণ্টায় প্রায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে ফুসফুস থেকে বাতাস বের হয়ে আসে। সেই সঙ্গে শ্বাসনালি ও নাকে জমে থাকা শ্লেষ্মা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণার আকারে বা স্প্রের মতো বের হয়। হাঁচির গতির কারণেই এসব কণা প্রায় ২ মিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। এরপরও অনেকেই হাঁচি কাশির সময় সতর্ক হই না।
হাঁচি আটকানোর কোনো উপায় না থাকলেও এর মাধ্যমে জীবাণুর ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো সম্ভব। বিশেষ করে হাঁচির সময় মুখ না ঢাকলে জীবাণুযুক্ত তরল পদার্থ অন্যের গায়ে গিয়ে পড়ে। অনেকেই এতে বিব্রত হন। তাই হাঁচি বা কাশি আসলে সামনে টিস্যু বা রুমাল দিয়ে চেপে ধরতে হবে। না থাকলেও হাত দিয়ে মুখ আটকে বা অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। কেননা রোগ জীবাণুর বাহক হাঁচি বা কাশি।
পরিপাটি ডেস্ক
সব সময় নিজের ডেস্ক বা কাজের স্থান পরিপাটি রাখুন। নিশ্চয়ই মানবেন, গোছানো ডেস্কও কাজের অন্যতম দাওয়াই। মনে রাখতে হবে আপনার ডেস্ক আপনার পরিচয় বহন করে।
খোঁচাখুঁচিতে বিরক্ত
অনেকের অফিসে বসে নাক বা কান খোঁচানোর অভ্যাস থাকে, যা অন্যের কাছে খুবই বিব্রতকর হতে পারে। তাই প্রয়োজন হলে ওয়াশরুমে যেতে পারেন।
যেখানে সেখানে টিস্যু ফেলা
সর্দি কাশি কিংবা কোনো কিছু মুছতে টিস্যু ব্যবহার করি। অনেকেই সেই ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে ডেস্কেই রেখে দেন। খোলা অবস্থায় ব্যবহৃত টিস্যু রাখলে তা থেকে জীবাণু ছড়িয়ে সহজেই অন্যকে সংক্রমণ করতে পারে। তাই ব্যবহারের পর নির্দিষ্ট স্থানে টিস্যু ফেলতে হবে।
দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণ
মন দিয়ে কাজ করার সময় হঠাৎ ভেতর থেকে অস্বস্তিবোধ করছেন। আশপাশ থেকে দুর্গন্ধ এই অস্বস্তি ও বিরক্তির উদ্রেক ঘটাতে পারে। সে গন্ধ হতে পারে জুতা কিংবা কারও শরীরের। অনেক ক্ষেত্রে যার থেকে গন্ধ আসে তিনি নিজেও বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যান। তিনিও হয়ত কাজে মন দিতে পারছেন না, কী করবেন বুঝেও উঠতে পারছেন না।
শরীরে দুর্গন্ধ হওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। প্রায় সব মানুষের ঘাম ও শারীরিক নানা জটিলতার কারণে দুর্গন্ধ কম বেশি হয়। সমাধান হিসেবে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে প্রসাধনী যেমন বডি স্প্রে বা পারফিউম, ডিওডরেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে গন্ধ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বিভিন্ন রোগের ফলে বা ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেও শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দুর্গন্ধের প্রসঙ্গে বিশেষ করে বলতে হয় জুতার কথা। অনেকেই কাজের মাঝে আরাম করতে জুতা খোলেন। জুতা খোলার আগে খেয়াল রাখতে হবে মোজা বা পা থেকে গন্ধ আসছে কিনা। তাই নিয়মিত মোজা বা জুতা সোল পরিষ্কার করতে হবে।
টয়লেট ব্যবহার
ধূমপায়ীরা খেয়াল করুন
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবু সহকর্মীদের কেউ কেউ ধূমপায়ী হয়ে থাকেন। ধূমপানের পর মুখের গন্ধের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। কেননা সেই গন্ধে সহকর্মীর অস্বস্তি শুরু হতে পারে। মাথা ব্যথা, কাশি কিংবা বমি ভাবও চলে আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে তারা কুল কুচি বা মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করতে পারেন।
সচেতন প্রাণী হয়েও মানুষ এমন কিছু অভ্যাস ধারণ করে, যা ছায়া সঙ্গীর মতো তার সঙ্গে লেগে থাকে। এগুলোকে অভ্যাস না বলে বদঅভ্যাস বলাই ভালো। এগুলোর চর্চা যেমন ব্যক্তিত্বকে খাটো করে, তেমনি দৃষ্টিকটু। মুদ্রাদোষ বা বদঅভ্যাস চর্চাকে আমরা কেউ তেমন গুরুত্ব দেই না, কেননা আমরা সবাই কম-বেশি এতে আক্রান্ত। বদঅভ্যাস না থাকাই শ্রেয়। আমাদের ছোটখাটো কিছু ভুল বা বদঅভ্যাস অসুস্থ পরিবেশ তৈরি করতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে এবং নিজের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলতে পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই।
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে