ড. জাকিয়া সুলতানা
প্রকৃতিতে শ্রাবণ মানেই বৃষ্টির নেশাধরা সকাল, সন্ধ্যা বা রাত। কী যে এক মায়াবী রূপ! যেন নূপুর পায়ে নাচছে ময়ূর। রাতভর বৃষ্টি, ভোরে বৃষ্টি, খানিক বিরতি নিয়ে আবার বৃষ্টি। এমন বৃষ্টিভেজা সকাল যদি শুরু হয় প্রিয় মানুষটিকে পাশে নিয়ে, চায়ের কাপে চুমুক আর বৃষ্টির শব্দের মিষ্টি আবহে; তবে দিনটিই যেন সার্থক হয়ে ওঠে। ঘোর শ্রাবণে আর কী চাই!
মানুষের ধারণা, প্রেম ব্যাপারটা বুঝি বিয়ের আগেই জমজমাট থাকে। বিয়ের পর কেটে যায় ঘোর। আসলে কি তাই? হয়তো কোনো বৃষ্টিভেজা সকালেই উপলব্ধি হবে, আত্মিক এই সম্পর্ক জেগে উঠেছে নতুন করে। আগামীকাল শ্রাবণের প্রথম দিন। শ্রাবণের এই নবধারায় প্রেম জাগিয়ে তুলুন নিজেরাও।
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, কখনোবা ঝুম; এ-ই চলছে অবিরাম। ছুটির দিনে মধ্যাহ্নেও যেন বিরাম নেই। তাই বলে দুজনে দুই ঘরে ফোনে মুখ গুঁজে বসে থাকতে হবে বুঝি? জানালার পর্দাটা আলতো করে সরিয়ে দিন। ঘরময় বাজতে থাকুক, ‘নিশিদিন এই জীবনের সুখের ’পরে দুখের ’পরে/ শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে, পড়ুক ঝরে’। এই ফাঁকে দুজনের কেউ একজন তৈরি করে ফেলুন চা বা কফি। অথবা দুজনে মিলেই হানা দিতে পারেন রান্নাঘরে। চা-কফি তৈরির ফাঁকে খিচুড়ি রান্নার ষড়যন্ত্রটাও সেরে ফেলুন না! ঝটপট প্রেশারকুকার বা রাইসকুকারে চড়িয়ে দিন না হয়! সঙ্গে কী থাকবে? ইলিশ ভাজা নাকি ডিম ভুনা? নাকি মাংসের ঘন ঝোল? জোগাড়যন্ত্র হোক দুজনে মিলে।
ঠিক এ সময়টাতে রান্নাঘরের জানালা বেয়ে বৃষ্টির ফোঁটা আসবে ভেতরে। দেখা যাবে সতেজ গাছ। প্রাণভরে শ্বাস নিন তাজা বাতাসে। বাতাসেরও যে গন্ধ হয়, তা এই বর্ষার বৃষ্টিতেই বোঝা যায়! ষড়্ঋতুর এই দেশে শীত, বসন্ত আর বর্ষার বাইরে অন্য সব ঋতুর উপস্থিতি যেন অনেকটা ম্রিয়মাণ। এর মাঝেই মনে করে নিন, সুগন্ধি মোমবাতিগুলো ক্যাবিনেটের কোথায় রাখা আছে। পেয়ে গেলে জ্বালিয়ে দিন, অথবা খাওয়ার সময় ডাইনিংয়ে জ্বালানোর জন্যও রেখে দিতে পারেন।
বহুদিন আলমারির যে কপাটটি খোলা হয়নি, তা একবার খুলবেন নাকি এই বৃষ্টিভেজা দিনে? আলসেমিপ্রবণ দুপুরে এবার নীলরঙা শাড়ির ভাঁজটা খুলেই ফেলুন। গায়ে জড়িয়ে নিন, ওদিকে নীলাভ টোনের কোনো পাঞ্জাবি বের করে নিন প্রিয় মানুষটির জন্য। ওদিকে বোধ হয় প্রেশারকুকারের সিটি বেজে গেছে। একটা নীল টিপ পরে নিন। সে-ও গুটিয়ে নিক পাঞ্জাবির হাতা। এবার দুজনেই খাবার টেবিল সাজিয়ে ফেলুন। মোমবাতির আলো জ্বলুক আর জানালা টপকে মুখে, চুলে, বুকে এসে পড়ুক শ্রাবণের বাতাস। উপভোগ করুন বৃষ্টিদিনের মুখরোচক খিচুড়ি।
খাবারের পাট চুকে গেলে এবার একটু বারান্দায় গিয়ে বসুন। বৃষ্টি মানেই একটা ছন্দ। আর ছন্দ মানেই কবিতা, গান, তাল, লয়। তাই বর্ষা কাব্যময় ঋতু, কবিদের ঋতু, আবেগ ও ভাবের ঋতু। এ ঋতু সাহিত্যের অনেকটা জায়গা দখলে রেখেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায় নানা রূপে বর্ষাকে পাওয়া যায়। একটা কবিতা পড়ে শোনাতে পারেন। কে কাকে শোনাবেন, সেটা ঠিক করে নিন। হোক না একটু ভুলভ্রান্তি। অথবা পুরোনো স্মৃতিতে ডুবে যেতে পারেন দুজনে, মায়ের বকুনি উপেক্ষা করেও দুপুরের ঝুম বৃষ্টিতে ভেজার আনন্দের কথা আলাপে আসতেই পারে। বৃষ্টিধোয়া স্নিগ্ধ সবুজ প্রকৃতি, বাতাসের শোঁ শোঁ আওয়াজ এক আশ্চর্য সংগীত ধ্বনি তৈরি করবে শ্রাবণে।
ছুটির দিনে অবিরাম বৃষ্টিতে যদি মনে হয়, আজ আমি কোথাও যাব না, ডিভানে গা এলিয়ে দুজনে বসে দেখে ফেলতে পারেন পছন্দের সিনেমা। অথবা একটু সাহস করে ছাদে বা বাগানে গিয়ে দুজনে ভিজতে পারেন শ্রাবণধারায়।
চোখ মেলে দেখুন, রাজপথে সবুজ পাতার আড়ালে কিছু কৃষ্ণচূড়া এখনো বৃষ্টিস্নান করছে। কার্নিশে কবুতর ভিজছে জোড়ায় অথবা একাকী। এসব দৃশ্য দেখতে দেখতে দুজন দুজনকে বলে ফেলুন সেই কথাটি, যা হয়তো বলেছিলেন আজ থেকে কয়েক বছর আগে। মনে করিয়ে দিতে হবে?
প্রকৃতিতে শ্রাবণ মানেই বৃষ্টির নেশাধরা সকাল, সন্ধ্যা বা রাত। কী যে এক মায়াবী রূপ! যেন নূপুর পায়ে নাচছে ময়ূর। রাতভর বৃষ্টি, ভোরে বৃষ্টি, খানিক বিরতি নিয়ে আবার বৃষ্টি। এমন বৃষ্টিভেজা সকাল যদি শুরু হয় প্রিয় মানুষটিকে পাশে নিয়ে, চায়ের কাপে চুমুক আর বৃষ্টির শব্দের মিষ্টি আবহে; তবে দিনটিই যেন সার্থক হয়ে ওঠে। ঘোর শ্রাবণে আর কী চাই!
মানুষের ধারণা, প্রেম ব্যাপারটা বুঝি বিয়ের আগেই জমজমাট থাকে। বিয়ের পর কেটে যায় ঘোর। আসলে কি তাই? হয়তো কোনো বৃষ্টিভেজা সকালেই উপলব্ধি হবে, আত্মিক এই সম্পর্ক জেগে উঠেছে নতুন করে। আগামীকাল শ্রাবণের প্রথম দিন। শ্রাবণের এই নবধারায় প্রেম জাগিয়ে তুলুন নিজেরাও।
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, কখনোবা ঝুম; এ-ই চলছে অবিরাম। ছুটির দিনে মধ্যাহ্নেও যেন বিরাম নেই। তাই বলে দুজনে দুই ঘরে ফোনে মুখ গুঁজে বসে থাকতে হবে বুঝি? জানালার পর্দাটা আলতো করে সরিয়ে দিন। ঘরময় বাজতে থাকুক, ‘নিশিদিন এই জীবনের সুখের ’পরে দুখের ’পরে/ শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে, পড়ুক ঝরে’। এই ফাঁকে দুজনের কেউ একজন তৈরি করে ফেলুন চা বা কফি। অথবা দুজনে মিলেই হানা দিতে পারেন রান্নাঘরে। চা-কফি তৈরির ফাঁকে খিচুড়ি রান্নার ষড়যন্ত্রটাও সেরে ফেলুন না! ঝটপট প্রেশারকুকার বা রাইসকুকারে চড়িয়ে দিন না হয়! সঙ্গে কী থাকবে? ইলিশ ভাজা নাকি ডিম ভুনা? নাকি মাংসের ঘন ঝোল? জোগাড়যন্ত্র হোক দুজনে মিলে।
ঠিক এ সময়টাতে রান্নাঘরের জানালা বেয়ে বৃষ্টির ফোঁটা আসবে ভেতরে। দেখা যাবে সতেজ গাছ। প্রাণভরে শ্বাস নিন তাজা বাতাসে। বাতাসেরও যে গন্ধ হয়, তা এই বর্ষার বৃষ্টিতেই বোঝা যায়! ষড়্ঋতুর এই দেশে শীত, বসন্ত আর বর্ষার বাইরে অন্য সব ঋতুর উপস্থিতি যেন অনেকটা ম্রিয়মাণ। এর মাঝেই মনে করে নিন, সুগন্ধি মোমবাতিগুলো ক্যাবিনেটের কোথায় রাখা আছে। পেয়ে গেলে জ্বালিয়ে দিন, অথবা খাওয়ার সময় ডাইনিংয়ে জ্বালানোর জন্যও রেখে দিতে পারেন।
বহুদিন আলমারির যে কপাটটি খোলা হয়নি, তা একবার খুলবেন নাকি এই বৃষ্টিভেজা দিনে? আলসেমিপ্রবণ দুপুরে এবার নীলরঙা শাড়ির ভাঁজটা খুলেই ফেলুন। গায়ে জড়িয়ে নিন, ওদিকে নীলাভ টোনের কোনো পাঞ্জাবি বের করে নিন প্রিয় মানুষটির জন্য। ওদিকে বোধ হয় প্রেশারকুকারের সিটি বেজে গেছে। একটা নীল টিপ পরে নিন। সে-ও গুটিয়ে নিক পাঞ্জাবির হাতা। এবার দুজনেই খাবার টেবিল সাজিয়ে ফেলুন। মোমবাতির আলো জ্বলুক আর জানালা টপকে মুখে, চুলে, বুকে এসে পড়ুক শ্রাবণের বাতাস। উপভোগ করুন বৃষ্টিদিনের মুখরোচক খিচুড়ি।
খাবারের পাট চুকে গেলে এবার একটু বারান্দায় গিয়ে বসুন। বৃষ্টি মানেই একটা ছন্দ। আর ছন্দ মানেই কবিতা, গান, তাল, লয়। তাই বর্ষা কাব্যময় ঋতু, কবিদের ঋতু, আবেগ ও ভাবের ঋতু। এ ঋতু সাহিত্যের অনেকটা জায়গা দখলে রেখেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায় নানা রূপে বর্ষাকে পাওয়া যায়। একটা কবিতা পড়ে শোনাতে পারেন। কে কাকে শোনাবেন, সেটা ঠিক করে নিন। হোক না একটু ভুলভ্রান্তি। অথবা পুরোনো স্মৃতিতে ডুবে যেতে পারেন দুজনে, মায়ের বকুনি উপেক্ষা করেও দুপুরের ঝুম বৃষ্টিতে ভেজার আনন্দের কথা আলাপে আসতেই পারে। বৃষ্টিধোয়া স্নিগ্ধ সবুজ প্রকৃতি, বাতাসের শোঁ শোঁ আওয়াজ এক আশ্চর্য সংগীত ধ্বনি তৈরি করবে শ্রাবণে।
ছুটির দিনে অবিরাম বৃষ্টিতে যদি মনে হয়, আজ আমি কোথাও যাব না, ডিভানে গা এলিয়ে দুজনে বসে দেখে ফেলতে পারেন পছন্দের সিনেমা। অথবা একটু সাহস করে ছাদে বা বাগানে গিয়ে দুজনে ভিজতে পারেন শ্রাবণধারায়।
চোখ মেলে দেখুন, রাজপথে সবুজ পাতার আড়ালে কিছু কৃষ্ণচূড়া এখনো বৃষ্টিস্নান করছে। কার্নিশে কবুতর ভিজছে জোড়ায় অথবা একাকী। এসব দৃশ্য দেখতে দেখতে দুজন দুজনকে বলে ফেলুন সেই কথাটি, যা হয়তো বলেছিলেন আজ থেকে কয়েক বছর আগে। মনে করিয়ে দিতে হবে?
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
২ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
২ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
২ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
২ দিন আগে