বাগদান হয়ে গেছে, বিয়ের তারিখও ঠিক। এবার অলিগলি ঘুরে খুঁজে বের করে ফেলুন পছন্দের বাসা। এতে বিয়ের পর সংসার ও বাসা সাজানোর ঝামেলা কমে যাবে অনেকটাই। তবে কেমন ফ্ল্যাট ভাড়া নেবেন এবং কীভাবে সাজাবেন নতুন সংসার অথবা কী কী লাগবে শুরুর দিকে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন হবু বর-কনে। ভাড়া বাসা হোক বা নিজের নতুন ফ্ল্যাট; নতুন সংসার সাজাতে কী কী বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, তা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন স্থাপত্য ও ইন্টেরিয়র ডিজাইন স্টুডিও স্বয়ং-এর প্রধান স্থপতি রুম্মান আরা ফারুকী। লিখেছেন সানজিদা সামরিন।
ফ্ল্যাট নির্বাচনের ক্ষেত্রে
ফ্ল্যাট কেনার বা ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে দেখতে হবে বাসাটা যেন অলো-বাতাসে ভরপুর থাকে। অনেক বড় বাসার ক্ষেত্রেও যদি পর্যাপ্ত আলো-বাতাস না থাকে, তাহলে বাসাটাকে বড় লাগে না। ভাড়া বাসার ক্ষেত্রে ঘরগুলো খুব ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। দুজনের জন্য হলে ফ্ল্যাটটা প্রয়োজন অনুযায়ী ছোট বা বড় রাখা যেতে পারে। কিন্তু পরিবারের সদস্যসংখ্যা বেশি হলে প্রত্যেকের প্রাইভেসি থাকে এবং লিভিং রুম যথেষ্ট বড় এমন ফ্ল্যাট নির্বাচন করতে হবে; বিশেষ করে নতুন বউ, অর্থাৎ পরিবারের নতুন সদস্য যেন তাঁর প্রাইভেসি পান, সেদিকটা বিবেচনা করতে হবে।
আসবাব
নতুন সংসার গোছানোর শুরুতে এমন আসবাব তৈরি করে নিতে বা কিনতে হবে, যেগুলোর গড়ন সোজাসাপ্টা ও যত্ন নেওয়া সহজ। ছোট ঘরের ক্ষেত্রে নিচু আসবাব বাছাই করতে হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাব রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে করে ঘরের আয়তন অনেকটাই বড় দেখাবে। এক কথায় ফ্ল্যাটের আকার বুঝে আসবাব কিনতে বা বানাতে হবে। বড় বাসায় লিভিং রুম বড় হলে এক রকম আসবাব। ছোট হলে বেছে নিতে হবে মিনিমাল আসবাব। এতে আলো-বাতাস চলাচল করতে পারবে এবং রুমটাকেও বড় দেখাবে। অনেক সময় বাজেট অল্প থাকার কারণে কাঠের আসবাব পছন্দ হলেও কেনা সম্ভব হয় না, সে ক্ষেত্রে বেত বা আর্টিফিশিয়াল উডের আসবাব কেনা যেতে পারে।
‘নতুন ফ্ল্যাট সাজানোর সময় খাট, ডাইনিং টেবিল, ফ্রিজ, আলমারি এগুলো আগে কেনা উচিত। ইলেকট্রনিকসের ক্ষেত্রে একটু দাম দিয়ে হলেও ভালো মানের জিনিস কেনা ভালো। পুরো বাসা বা রুমগুলো যদি আলাদা থিম বা রঙে সাজানোর ইচ্ছে থাকে, সে ক্ষেত্রে পর্দা, বেডশিট, কুশন কভার, কার্পেট এগুলোও ম্যাচিং করে কিনতে হবে।’
—রুম্মান আরা ফারুকী
দেয়ালের রং
নিজের ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে দেয়ালের রং নির্বাচনে অনেক ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। কিন্তু ভাড়া বাসার ক্ষেত্রে সেই সুযোগ কম। সে ক্ষেত্রে পছন্দের ওয়াল পেপার দিয়ে রুমের একটা নির্দিষ্ট দেয়ালকে সাজিয়ে নিতে পারেন। এরপর তার ওপর পছন্দসই ফটোফ্রেম সেট করে দেয়ালটিকে আরও বেশি দৃষ্টিনন্দন করতে তুলতে পারেন।
রং করাতে চাইলে বড় ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে যেকোনো ঘরের একটা দেয়াল ফিচার ওয়াল করার জন্য গাঢ় রং করা যেতে পারে। ছোট ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে গাঢ় রং ব্যবহার করা যাবে না। তাতে রুম আকারে বেশি ছোট মনে হবে। সে ক্ষেত্রে রুমে কোন ধরনের রং ও উপকরণ ব্যবহার করলে সেটাকে আরও বড় লাগবে, সেই চিন্তা করতে হবে। পর্যাপ্ত সূর্যের আলো ঘরে প্রবেশ করলে ঘরটাকে অনেক বড় দেখাবে এবং সুন্দর লাগবে।
পর্দা ও ফেব্রিকস নির্বাচন
প্রাইভেসির জন্য তো বটেই, পর্দা শেডিং ডিভাইস ও ডেকোরেটিভ আইটেম হিসেবেও কাজ করে। এর কাপড় এমনভাবে বাছাই করা উচিত যা খুব বেশি ভারী নয় এবং সহজে পরিষ্কার করা যায়। পর্দা ছাড়াও বেডশিট, কুশন কভার ইত্যাদির জন্য ফেব্রিকস খুব ভেবেচিন্তে নির্বাচন করতে হবে। সহজে পরিষ্কার করা ও যত্ন নেওয়া যায় তেমন ফেব্রিকস কেনা জরুরি। আমাদের দেশে যেহেতু বেশির ভাগ সময়ই গরম থাকে তাই সুতির ফেব্রিকস সেরা।
ওয়ার্ম টোনের লাইট ব্যবহার করুন
লাইট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ওয়ার্ম টোনড লাইট বেছে নিতে পারেন। এগুলো ঘরকে অনেক বেশি আরামদায়ক করে তোলে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের লাইটিং ফিক্সার পাওয়া যায়। ট্রেডিশনাল লুকের জন্য বাঁশের ল্যাম্পশেডের কোনো জুড়ি নেই। ঘরে লাইট ফিটিংয়ের সময় খেয়াল রাখতে হবে, যাতে লাইট সরাসরি চোখে এসে না পড়ে।
কম খরচে সাজাতে হলে
খুব কম খরচে সুন্দরভাবে ঘর সাজানোর জন্য মাটির জিনিস ও গাছের কোনো তুলনা হয় না। এ ছাড়া বাজারে বা অনলাইন পেজগুলোতে বাঁশ, বেত ও পাটের বিভিন্ন ধরনের ঘর সাজানোর জিনিস পাওয়া যায়। পছন্দমতো সেগুলো দিয়ে ঘর সাজানো যেতে পারে।
বাজেট কেমন
নতুন ফ্ল্যাট সাজানোর জন্য বাজেট কেমন থাকবে তা নির্ভর করে যিনি বাসাটা সাজাচ্ছেন তাঁর পছন্দ, রুচি ও কোন ধরনের এবং কী পরিমাণে জিনিসপত্র কিনবেন তার ওপর। একবারে পুরো বাসা সাজানোর চিন্তা না করাই ভালো। তাড়াহুড়ো করে একবারে পুরো বাসা সাজালে পরে আফসোস করতে হতে পারে।
তাই প্রথমে একটা তালিকা করুন। এরপর ধাপে ধাপে গুরুত্ব বুঝে জিনিসপত্র কিনতে থাকুন। তাহলে ঘরের একটি অংশের সঙ্গে মিল রেখে অন্য অংশ সাজিয়ে তোলা যাবে।
বাগদান হয়ে গেছে, বিয়ের তারিখও ঠিক। এবার অলিগলি ঘুরে খুঁজে বের করে ফেলুন পছন্দের বাসা। এতে বিয়ের পর সংসার ও বাসা সাজানোর ঝামেলা কমে যাবে অনেকটাই। তবে কেমন ফ্ল্যাট ভাড়া নেবেন এবং কীভাবে সাজাবেন নতুন সংসার অথবা কী কী লাগবে শুরুর দিকে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন হবু বর-কনে। ভাড়া বাসা হোক বা নিজের নতুন ফ্ল্যাট; নতুন সংসার সাজাতে কী কী বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, তা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন স্থাপত্য ও ইন্টেরিয়র ডিজাইন স্টুডিও স্বয়ং-এর প্রধান স্থপতি রুম্মান আরা ফারুকী। লিখেছেন সানজিদা সামরিন।
ফ্ল্যাট নির্বাচনের ক্ষেত্রে
ফ্ল্যাট কেনার বা ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে দেখতে হবে বাসাটা যেন অলো-বাতাসে ভরপুর থাকে। অনেক বড় বাসার ক্ষেত্রেও যদি পর্যাপ্ত আলো-বাতাস না থাকে, তাহলে বাসাটাকে বড় লাগে না। ভাড়া বাসার ক্ষেত্রে ঘরগুলো খুব ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। দুজনের জন্য হলে ফ্ল্যাটটা প্রয়োজন অনুযায়ী ছোট বা বড় রাখা যেতে পারে। কিন্তু পরিবারের সদস্যসংখ্যা বেশি হলে প্রত্যেকের প্রাইভেসি থাকে এবং লিভিং রুম যথেষ্ট বড় এমন ফ্ল্যাট নির্বাচন করতে হবে; বিশেষ করে নতুন বউ, অর্থাৎ পরিবারের নতুন সদস্য যেন তাঁর প্রাইভেসি পান, সেদিকটা বিবেচনা করতে হবে।
আসবাব
নতুন সংসার গোছানোর শুরুতে এমন আসবাব তৈরি করে নিতে বা কিনতে হবে, যেগুলোর গড়ন সোজাসাপ্টা ও যত্ন নেওয়া সহজ। ছোট ঘরের ক্ষেত্রে নিচু আসবাব বাছাই করতে হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাব রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে করে ঘরের আয়তন অনেকটাই বড় দেখাবে। এক কথায় ফ্ল্যাটের আকার বুঝে আসবাব কিনতে বা বানাতে হবে। বড় বাসায় লিভিং রুম বড় হলে এক রকম আসবাব। ছোট হলে বেছে নিতে হবে মিনিমাল আসবাব। এতে আলো-বাতাস চলাচল করতে পারবে এবং রুমটাকেও বড় দেখাবে। অনেক সময় বাজেট অল্প থাকার কারণে কাঠের আসবাব পছন্দ হলেও কেনা সম্ভব হয় না, সে ক্ষেত্রে বেত বা আর্টিফিশিয়াল উডের আসবাব কেনা যেতে পারে।
‘নতুন ফ্ল্যাট সাজানোর সময় খাট, ডাইনিং টেবিল, ফ্রিজ, আলমারি এগুলো আগে কেনা উচিত। ইলেকট্রনিকসের ক্ষেত্রে একটু দাম দিয়ে হলেও ভালো মানের জিনিস কেনা ভালো। পুরো বাসা বা রুমগুলো যদি আলাদা থিম বা রঙে সাজানোর ইচ্ছে থাকে, সে ক্ষেত্রে পর্দা, বেডশিট, কুশন কভার, কার্পেট এগুলোও ম্যাচিং করে কিনতে হবে।’
—রুম্মান আরা ফারুকী
দেয়ালের রং
নিজের ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে দেয়ালের রং নির্বাচনে অনেক ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। কিন্তু ভাড়া বাসার ক্ষেত্রে সেই সুযোগ কম। সে ক্ষেত্রে পছন্দের ওয়াল পেপার দিয়ে রুমের একটা নির্দিষ্ট দেয়ালকে সাজিয়ে নিতে পারেন। এরপর তার ওপর পছন্দসই ফটোফ্রেম সেট করে দেয়ালটিকে আরও বেশি দৃষ্টিনন্দন করতে তুলতে পারেন।
রং করাতে চাইলে বড় ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে যেকোনো ঘরের একটা দেয়াল ফিচার ওয়াল করার জন্য গাঢ় রং করা যেতে পারে। ছোট ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে গাঢ় রং ব্যবহার করা যাবে না। তাতে রুম আকারে বেশি ছোট মনে হবে। সে ক্ষেত্রে রুমে কোন ধরনের রং ও উপকরণ ব্যবহার করলে সেটাকে আরও বড় লাগবে, সেই চিন্তা করতে হবে। পর্যাপ্ত সূর্যের আলো ঘরে প্রবেশ করলে ঘরটাকে অনেক বড় দেখাবে এবং সুন্দর লাগবে।
পর্দা ও ফেব্রিকস নির্বাচন
প্রাইভেসির জন্য তো বটেই, পর্দা শেডিং ডিভাইস ও ডেকোরেটিভ আইটেম হিসেবেও কাজ করে। এর কাপড় এমনভাবে বাছাই করা উচিত যা খুব বেশি ভারী নয় এবং সহজে পরিষ্কার করা যায়। পর্দা ছাড়াও বেডশিট, কুশন কভার ইত্যাদির জন্য ফেব্রিকস খুব ভেবেচিন্তে নির্বাচন করতে হবে। সহজে পরিষ্কার করা ও যত্ন নেওয়া যায় তেমন ফেব্রিকস কেনা জরুরি। আমাদের দেশে যেহেতু বেশির ভাগ সময়ই গরম থাকে তাই সুতির ফেব্রিকস সেরা।
ওয়ার্ম টোনের লাইট ব্যবহার করুন
লাইট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ওয়ার্ম টোনড লাইট বেছে নিতে পারেন। এগুলো ঘরকে অনেক বেশি আরামদায়ক করে তোলে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের লাইটিং ফিক্সার পাওয়া যায়। ট্রেডিশনাল লুকের জন্য বাঁশের ল্যাম্পশেডের কোনো জুড়ি নেই। ঘরে লাইট ফিটিংয়ের সময় খেয়াল রাখতে হবে, যাতে লাইট সরাসরি চোখে এসে না পড়ে।
কম খরচে সাজাতে হলে
খুব কম খরচে সুন্দরভাবে ঘর সাজানোর জন্য মাটির জিনিস ও গাছের কোনো তুলনা হয় না। এ ছাড়া বাজারে বা অনলাইন পেজগুলোতে বাঁশ, বেত ও পাটের বিভিন্ন ধরনের ঘর সাজানোর জিনিস পাওয়া যায়। পছন্দমতো সেগুলো দিয়ে ঘর সাজানো যেতে পারে।
বাজেট কেমন
নতুন ফ্ল্যাট সাজানোর জন্য বাজেট কেমন থাকবে তা নির্ভর করে যিনি বাসাটা সাজাচ্ছেন তাঁর পছন্দ, রুচি ও কোন ধরনের এবং কী পরিমাণে জিনিসপত্র কিনবেন তার ওপর। একবারে পুরো বাসা সাজানোর চিন্তা না করাই ভালো। তাড়াহুড়ো করে একবারে পুরো বাসা সাজালে পরে আফসোস করতে হতে পারে।
তাই প্রথমে একটা তালিকা করুন। এরপর ধাপে ধাপে গুরুত্ব বুঝে জিনিসপত্র কিনতে থাকুন। তাহলে ঘরের একটি অংশের সঙ্গে মিল রেখে অন্য অংশ সাজিয়ে তোলা যাবে।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে