সানজিদা সামরিন, ঢাকা
‘পুরুষ মানুষের গায়ের রং একটু শ্যামলা হলেই ভালো’। আমাদের এই অঞ্চলে কথাটি বহুল ব্যবহৃত। তবে শ্যামলা হলেই ভালো—এই কথার অজুহাতে পুরুষেরা পারসোনাল হইজিন বা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে নারীদের তুলনায় কিন্তু খানিকটা পিছিয়ে রয়েছেন। আর তাই তাঁদের ত্বকের সমস্যাও জটিল। এই অযত্নের কারণে পুরুষের ত্বক বার্ধক্যজনিত সমস্যায় পড়ে আগে। স্নানের সময় একবার শ্যাম্পুর বোতল আরেকবার সাবানের দিকে তাকিয়ে চুলে আর গায়ে পানি ঢেলে ফেললেই ত্বকের ধুলোময়লা কেটে যাবে—এ কথা ভাবার দিন ফুরিয়েছে।
যদি চলতি হাওয়ার ফিরিস্তি দিই তাহলে বলতে হবে, বছরের এই সময়টা মানে হেমন্ত থেকে একেবারে বসন্ত পর্যন্ত বাতাসে ধুলোবালুর পরিমাণ বাড়তি থাকে। শরতে বছরের অন্যান্য ঋতুর তুলনায় ত্বকের সমস্যা দেখা দেয় অনেক বেশি। প্রচুর ঘাম হয়, ধুলোবালুর কারণে ত্বকে দেখা দেয় ব্রণ। তা ছাড়া ডিপ ক্লিনের অভাবে রোমকূপে ময়লা জমে ব্ল্যাকহেডস ও র্যাশ দেখা দেয়। আবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করার কারণে ত্বকের অতিরিক্ত রুক্ষতার সমস্যা তো রয়েছেই। সঙ্গে সঙ্গে বলিরেখাও পড়ে যাচ্ছে আগ বাড়িয়ে। কম যত্নের কারণে পুরুষের ত্বকে এজাতীয় সমস্যা বেশি থাকে। ফলে সামান্য ব্রণ ও ব্রণের দাগ সেরে উঠতে না উঠতেই দেখা দেয় আরও একটি ব্রণ বা র্যাশ। শুধু ত্বকের সমস্যাই নয়। নিয়মিত শ্যাম্পু না করার কারণে বা ভালোভাবে শ্যাম্পু না করার কারণে মাথার ত্বক ও চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই আবারও বলতে হচ্ছে, পুরুষ বলেই নামমাত্র সাবান-শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন—এমনটা না ভাবাই ভালো। ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিতে হবে নিয়মিত যত্ন।
ত্বকের যত্নে যা করবেন
ত্বকের ময়লা পরিষ্কারের জন্য গরম, রোদ ও ধুলোবালুর কারণে মুখের ত্বকে ধুলো-ময়লা জমে গিয়ে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা অনেক বেশি চোখে পড়ে। নাকের ওপর ও নাকের দুই দিকে এবং চিবুকে ব্ল্যাকহেডস থাকে। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। দিনে অন্তত দুবার চারকোলযুক্ত ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুতে হবে। সপ্তাহে একবার স্টিম নিতে হবে মুখে। এতে রোমকূপ খুলে যাবে এবং ত্বকের ময়লা বেরিয়ে আসবে। সম্ভব হলে বাড়িতেই ব্রনস্টিক দিয়ে নাক ও চিবুকে জমা ব্ল্যাকহেডস বের করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর একটু বরফ ঘষে নিলেই রোমকূপ ফের ছোট হয়ে যাবে।
ময়েশ্চারাইজার
প্রতিবার মুখ-হাত ধোয়া এবং স্নানের পর ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না। ময়েশ্চারাইজার ত্বককে আর্দ্র ও তরতাজা রাখে।
ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি
ঘাম নিঃসারণ শরীরের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে কেউ কেউ অনেক বেশি ঘামেন। খাদ্য়াভ্যাসের কারণেও অনেকের ঘামে দুর্গন্ধ হয়। এমন হলে স্নানের সময় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করতে হবে। স্নানের সময় ত্বকে সরাসরি সাবান ব্যবহার না করে লুফা বা নরম তোয়ালেতে সাবান মেখে তারপর সেটা দিয়ে ত্বক রগড়ে নিন। স্নানের পর শরীর ভালোভাবে মুছে আন্ডারআর্মে অ্যান্টিপারসপিরেন্ট ব্যবহার করুন। এরপর পরিষ্কার কাপড় পরে ব্যবহার করুন পছন্দের সুগন্ধি। খুব বেশি গরম পড়লে হালকা সুতির ঢিলেঢালা কাপড় পরতে হবে, যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে।
রোদের প্রকোপ থেকে বাঁচতে
পুরুষেরা ত্বকের অন্যান্য ক্ষতি টের না পেলেও ত্বক যে রোদে পুড়েছে, তা ঠিকই টের পান। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক বাঁচাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারলে খুবই ভালো, নয়তো ফুলহাতা শার্ট পরুন। সঙ্গে রাখুন সানগ্লাস, ক্যাপ, মাস্ক ও ছাতা। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পর্যাপ্ত পানি পান ত্বকের যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনে এবং ত্বক সুরক্ষিত রাখে।
চুলের যত্নেও মনোযোগ দেওয়া চাই
বলে নেওয়া ভালো, পুরুষেরা ত্বকের বেলায় হেলাফেলা করলেও চুলের বেলায় খানিক হলেও মনোযোগী। কারণ কেউই চান না অকালে তার মাথার চুল পড়ে যাক। মাথায় টাক পড়া মানেই অকালে বয়সটা বেড়ে যাওয়া। আর তাই অ্যান্টিড্যান্ড্রাফ ও অ্যান্টিহেয়ারফল শ্যাম্পু পুরুষেরাই বেশি ব্যবহার করেন। কিন্তু এ ধরনের শ্যাম্পু যে রোজ ব্যবহার করা ঠিক নয়, সে কথা অনেকেই জানেন না। এই ফর্মুলার শ্যাম্পুগুলো চুলের ময়লা ও খুশকির পাশাপাশি মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলও ধুয়ে ফেলে। তাই চুল শুষ্ক হয়ে যায়। এর ফলে ভেঙে যাওয়াসহ চুলের অনেক সমস্যা তৈরি হয়। তাই এজাতীয় শ্যাম্পু প্রয়োজন ছাড়া ব্যবহার না করাই ভালো। এর পরিবর্তে শিয়া বাটার বা বিভিন্ন ধরনের তেল রয়েছে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুল সুন্দর থাকবে। এ ছাড়া সপ্তাহে একবার চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করা যেতে পারে। চুল পেকে যাওয়ার সমস্যায় ভুগলে আমলকীর তেল ও মেহেদি বাটা ব্যবহার করতে পারেন।
‘পুরুষ মানুষের গায়ের রং একটু শ্যামলা হলেই ভালো’। আমাদের এই অঞ্চলে কথাটি বহুল ব্যবহৃত। তবে শ্যামলা হলেই ভালো—এই কথার অজুহাতে পুরুষেরা পারসোনাল হইজিন বা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে নারীদের তুলনায় কিন্তু খানিকটা পিছিয়ে রয়েছেন। আর তাই তাঁদের ত্বকের সমস্যাও জটিল। এই অযত্নের কারণে পুরুষের ত্বক বার্ধক্যজনিত সমস্যায় পড়ে আগে। স্নানের সময় একবার শ্যাম্পুর বোতল আরেকবার সাবানের দিকে তাকিয়ে চুলে আর গায়ে পানি ঢেলে ফেললেই ত্বকের ধুলোময়লা কেটে যাবে—এ কথা ভাবার দিন ফুরিয়েছে।
যদি চলতি হাওয়ার ফিরিস্তি দিই তাহলে বলতে হবে, বছরের এই সময়টা মানে হেমন্ত থেকে একেবারে বসন্ত পর্যন্ত বাতাসে ধুলোবালুর পরিমাণ বাড়তি থাকে। শরতে বছরের অন্যান্য ঋতুর তুলনায় ত্বকের সমস্যা দেখা দেয় অনেক বেশি। প্রচুর ঘাম হয়, ধুলোবালুর কারণে ত্বকে দেখা দেয় ব্রণ। তা ছাড়া ডিপ ক্লিনের অভাবে রোমকূপে ময়লা জমে ব্ল্যাকহেডস ও র্যাশ দেখা দেয়। আবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করার কারণে ত্বকের অতিরিক্ত রুক্ষতার সমস্যা তো রয়েছেই। সঙ্গে সঙ্গে বলিরেখাও পড়ে যাচ্ছে আগ বাড়িয়ে। কম যত্নের কারণে পুরুষের ত্বকে এজাতীয় সমস্যা বেশি থাকে। ফলে সামান্য ব্রণ ও ব্রণের দাগ সেরে উঠতে না উঠতেই দেখা দেয় আরও একটি ব্রণ বা র্যাশ। শুধু ত্বকের সমস্যাই নয়। নিয়মিত শ্যাম্পু না করার কারণে বা ভালোভাবে শ্যাম্পু না করার কারণে মাথার ত্বক ও চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই আবারও বলতে হচ্ছে, পুরুষ বলেই নামমাত্র সাবান-শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন—এমনটা না ভাবাই ভালো। ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিতে হবে নিয়মিত যত্ন।
ত্বকের যত্নে যা করবেন
ত্বকের ময়লা পরিষ্কারের জন্য গরম, রোদ ও ধুলোবালুর কারণে মুখের ত্বকে ধুলো-ময়লা জমে গিয়ে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা অনেক বেশি চোখে পড়ে। নাকের ওপর ও নাকের দুই দিকে এবং চিবুকে ব্ল্যাকহেডস থাকে। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। দিনে অন্তত দুবার চারকোলযুক্ত ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুতে হবে। সপ্তাহে একবার স্টিম নিতে হবে মুখে। এতে রোমকূপ খুলে যাবে এবং ত্বকের ময়লা বেরিয়ে আসবে। সম্ভব হলে বাড়িতেই ব্রনস্টিক দিয়ে নাক ও চিবুকে জমা ব্ল্যাকহেডস বের করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর একটু বরফ ঘষে নিলেই রোমকূপ ফের ছোট হয়ে যাবে।
ময়েশ্চারাইজার
প্রতিবার মুখ-হাত ধোয়া এবং স্নানের পর ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না। ময়েশ্চারাইজার ত্বককে আর্দ্র ও তরতাজা রাখে।
ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি
ঘাম নিঃসারণ শরীরের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে কেউ কেউ অনেক বেশি ঘামেন। খাদ্য়াভ্যাসের কারণেও অনেকের ঘামে দুর্গন্ধ হয়। এমন হলে স্নানের সময় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করতে হবে। স্নানের সময় ত্বকে সরাসরি সাবান ব্যবহার না করে লুফা বা নরম তোয়ালেতে সাবান মেখে তারপর সেটা দিয়ে ত্বক রগড়ে নিন। স্নানের পর শরীর ভালোভাবে মুছে আন্ডারআর্মে অ্যান্টিপারসপিরেন্ট ব্যবহার করুন। এরপর পরিষ্কার কাপড় পরে ব্যবহার করুন পছন্দের সুগন্ধি। খুব বেশি গরম পড়লে হালকা সুতির ঢিলেঢালা কাপড় পরতে হবে, যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে।
রোদের প্রকোপ থেকে বাঁচতে
পুরুষেরা ত্বকের অন্যান্য ক্ষতি টের না পেলেও ত্বক যে রোদে পুড়েছে, তা ঠিকই টের পান। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক বাঁচাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারলে খুবই ভালো, নয়তো ফুলহাতা শার্ট পরুন। সঙ্গে রাখুন সানগ্লাস, ক্যাপ, মাস্ক ও ছাতা। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পর্যাপ্ত পানি পান ত্বকের যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনে এবং ত্বক সুরক্ষিত রাখে।
চুলের যত্নেও মনোযোগ দেওয়া চাই
বলে নেওয়া ভালো, পুরুষেরা ত্বকের বেলায় হেলাফেলা করলেও চুলের বেলায় খানিক হলেও মনোযোগী। কারণ কেউই চান না অকালে তার মাথার চুল পড়ে যাক। মাথায় টাক পড়া মানেই অকালে বয়সটা বেড়ে যাওয়া। আর তাই অ্যান্টিড্যান্ড্রাফ ও অ্যান্টিহেয়ারফল শ্যাম্পু পুরুষেরাই বেশি ব্যবহার করেন। কিন্তু এ ধরনের শ্যাম্পু যে রোজ ব্যবহার করা ঠিক নয়, সে কথা অনেকেই জানেন না। এই ফর্মুলার শ্যাম্পুগুলো চুলের ময়লা ও খুশকির পাশাপাশি মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলও ধুয়ে ফেলে। তাই চুল শুষ্ক হয়ে যায়। এর ফলে ভেঙে যাওয়াসহ চুলের অনেক সমস্যা তৈরি হয়। তাই এজাতীয় শ্যাম্পু প্রয়োজন ছাড়া ব্যবহার না করাই ভালো। এর পরিবর্তে শিয়া বাটার বা বিভিন্ন ধরনের তেল রয়েছে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুল সুন্দর থাকবে। এ ছাড়া সপ্তাহে একবার চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করা যেতে পারে। চুল পেকে যাওয়ার সমস্যায় ভুগলে আমলকীর তেল ও মেহেদি বাটা ব্যবহার করতে পারেন।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে