সানজিদা সামরিন, ঢাকা
কনে দেখতে গিয়ে ঠায় বসে আছেন। প্রথমে লেবুজল পান আর তারপর মিষ্টিমুখ। ঘরের ভেতরে খানিক উঁকিঝুঁকি দিয়েও কনের দেখা মিলছে না। মিলবে কী করে? শেষ বিকেলের লালচে আভা জানালা গলিয়ে ঘরে প্রবেশ করলে তবেই না কনেকে সামনে আনা হবে। পশ্চিমমুখী জানালার কোনাকুনি পাতা চেয়ারে এসে বসবেন কনে। সূর্যের লালচে-সোনালি আভা কনের মুখে এসে পড়লে তাঁকে আরও উজ্জ্বল দেখাবে, তাই তো এত কসরত।
কনে দেখা বিয়ের প্রথম ধাপ কি না, এই আধুনিক যুগে এসে সে নিয়ে খানিক বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু এটি যে আনুষ্ঠানিক বিয়ের প্রথম ধাপ, সেটা অস্বীকার করা যায় না। তাই এ দিন কনের সাজ এমন হওয়া চাই যেন রূপ-লাবণ্যের সম্পূর্ণ বহিঃপ্রকাশ হয়। আলমারি থেকে সবচেয়ে উজ্জ্বল আর দামি শাড়িটা বের করার আগে একবার ভেবে নেওয়া চাই শাড়ির রং কনের রূপকে ঠিকঠাক বের করে আনতে পারবে কি না। পাশাপাশি সাজটাও হওয়া চাই আড়ম্বরহীন, যাতে অযথা ভারী না লাগে। গোটা সাজপোশাকেই যেন বিরাজ করে স্নিগ্ধতা।
শাড়িই সেরা
কনে দেখার আয়োজনে বিয়ের পাত্রীকে সাধারণত শাড়িই পরানো হয়। সে ক্ষেত্রে গাঢ় রঙের বা ভারী কাজের শাড়ি এদিন এড়িয়ে চলাই ভালো। তাতে কনের স্বাভাবিক গায়ের রং ও লাবণ্য ঢাকা পড়ে যায়। বেছে নিন প্যাস্টেল শেডের কোনো শাড়ি। তা হতে পারে জামদানি, হাফসিল্ক, জাপানি সিল্ক, জর্জেট, তসর বা একেবারেই হালকা-পাতলা ওজনের কোনো কাতান শাড়ি। শাড়ির জমিনে যেন ঘন কাজ না থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শাড়ির আঁচল লম্বা রেখে অল্প কুচি দিয়ে শাড়ি গুছিয়ে পরে নিন। এতে প্রয়োজনে আঁচল দিয়ে খোঁপার ওপর ছোট্ট ঘোমটা তুলে দেওয়া যাবে। তবে ঘোমটা দিতে চাইলে খোঁপায় ও কাঁধের অংশে শাড়ি এমনভাবে পিনআপ করে নিতে হবে যাতে বারবার ঘোমটা তুলে নেওয়ার ঝামেলা না থাকে।
ছিমছাম গয়না
কনে দেখানোর ক্ষেত্রে আগেকার সময়ে মা-খালারা পাত্রীর হাতে, কানে, গলায় সোনার গয়না পরানোর পক্ষপাতী ছিলেন। কিন্তু কালের ধারাবাহিকতায় সেই ধারণা পাল্টেছে। সোনার গয়নার বদলে এখন শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং করে মিনিমাল গয়না পরতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন নারীরা। এমন গয়না বেছে নিন যেখানে কান, গলা কিংবা হাতে একই নকশা ও একই রঙের গয়না থাকে। এতে সাজটা পরিপূর্ণ লাগবে দেখতে। বেছে নিতে পারেন রুপা, পাথর কিংবা মুক্তার গয়না।
সাজে স্নিগ্ধতা
হালকা ফাউন্ডেশন দিয়ে ফেস পাউডারের বেজ মেকআপ করে নিন। মুখের দাগ ঢাকতে কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন। কনট্যুরিং করতে চাইলে পাউডার কনট্যুরিং কিট ব্যবহার করুন। চোখে পাউডার আইশ্যাডোর বাদামি শেড ব্যবহার করতে পারেন। চোখের কোলে হালকা কাজল এবং ওপরে চিকন করে আইলাইনারের রেখা এঁকে দিন। মাসকারার কথা কিন্তু ভুলবেন না। এদিন গ্লসি বা শিমারিং লিপস্টিক এড়িয়ে ম্যাট বা ক্রিম বেজড লিপ কালার ব্যবহার করুন। হালকা সাজের সঙ্গে লাল, মেরুনসহ যেকোনো গাঢ় রঙের লিপস্টিক হলেও মানাবে বেশ। ন্যুড লিপস্টিক যেকোনো মেকআপ লুকের সঙ্গে মানানসই। এ জন্য ‘সিম্পল টু গর্জিয়াস’ যেকোনো লুকের জন্য ঠোঁটে ন্যুড লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। পিচ, ন্যুড পিংক, মভ, টেরাকোটা ইত্যাদি রংও দারুণ মানাবে এই দিনের সাজে। চুলের সাজে টুইস্ট, সাইড বান, ফ্রেঞ্চ বেণি কিংবা কার্ল করে চুল বাঁধলেও ভালো দেখাবে।
কনে দেখতে গিয়ে ঠায় বসে আছেন। প্রথমে লেবুজল পান আর তারপর মিষ্টিমুখ। ঘরের ভেতরে খানিক উঁকিঝুঁকি দিয়েও কনের দেখা মিলছে না। মিলবে কী করে? শেষ বিকেলের লালচে আভা জানালা গলিয়ে ঘরে প্রবেশ করলে তবেই না কনেকে সামনে আনা হবে। পশ্চিমমুখী জানালার কোনাকুনি পাতা চেয়ারে এসে বসবেন কনে। সূর্যের লালচে-সোনালি আভা কনের মুখে এসে পড়লে তাঁকে আরও উজ্জ্বল দেখাবে, তাই তো এত কসরত।
কনে দেখা বিয়ের প্রথম ধাপ কি না, এই আধুনিক যুগে এসে সে নিয়ে খানিক বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু এটি যে আনুষ্ঠানিক বিয়ের প্রথম ধাপ, সেটা অস্বীকার করা যায় না। তাই এ দিন কনের সাজ এমন হওয়া চাই যেন রূপ-লাবণ্যের সম্পূর্ণ বহিঃপ্রকাশ হয়। আলমারি থেকে সবচেয়ে উজ্জ্বল আর দামি শাড়িটা বের করার আগে একবার ভেবে নেওয়া চাই শাড়ির রং কনের রূপকে ঠিকঠাক বের করে আনতে পারবে কি না। পাশাপাশি সাজটাও হওয়া চাই আড়ম্বরহীন, যাতে অযথা ভারী না লাগে। গোটা সাজপোশাকেই যেন বিরাজ করে স্নিগ্ধতা।
শাড়িই সেরা
কনে দেখার আয়োজনে বিয়ের পাত্রীকে সাধারণত শাড়িই পরানো হয়। সে ক্ষেত্রে গাঢ় রঙের বা ভারী কাজের শাড়ি এদিন এড়িয়ে চলাই ভালো। তাতে কনের স্বাভাবিক গায়ের রং ও লাবণ্য ঢাকা পড়ে যায়। বেছে নিন প্যাস্টেল শেডের কোনো শাড়ি। তা হতে পারে জামদানি, হাফসিল্ক, জাপানি সিল্ক, জর্জেট, তসর বা একেবারেই হালকা-পাতলা ওজনের কোনো কাতান শাড়ি। শাড়ির জমিনে যেন ঘন কাজ না থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শাড়ির আঁচল লম্বা রেখে অল্প কুচি দিয়ে শাড়ি গুছিয়ে পরে নিন। এতে প্রয়োজনে আঁচল দিয়ে খোঁপার ওপর ছোট্ট ঘোমটা তুলে দেওয়া যাবে। তবে ঘোমটা দিতে চাইলে খোঁপায় ও কাঁধের অংশে শাড়ি এমনভাবে পিনআপ করে নিতে হবে যাতে বারবার ঘোমটা তুলে নেওয়ার ঝামেলা না থাকে।
ছিমছাম গয়না
কনে দেখানোর ক্ষেত্রে আগেকার সময়ে মা-খালারা পাত্রীর হাতে, কানে, গলায় সোনার গয়না পরানোর পক্ষপাতী ছিলেন। কিন্তু কালের ধারাবাহিকতায় সেই ধারণা পাল্টেছে। সোনার গয়নার বদলে এখন শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং করে মিনিমাল গয়না পরতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন নারীরা। এমন গয়না বেছে নিন যেখানে কান, গলা কিংবা হাতে একই নকশা ও একই রঙের গয়না থাকে। এতে সাজটা পরিপূর্ণ লাগবে দেখতে। বেছে নিতে পারেন রুপা, পাথর কিংবা মুক্তার গয়না।
সাজে স্নিগ্ধতা
হালকা ফাউন্ডেশন দিয়ে ফেস পাউডারের বেজ মেকআপ করে নিন। মুখের দাগ ঢাকতে কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন। কনট্যুরিং করতে চাইলে পাউডার কনট্যুরিং কিট ব্যবহার করুন। চোখে পাউডার আইশ্যাডোর বাদামি শেড ব্যবহার করতে পারেন। চোখের কোলে হালকা কাজল এবং ওপরে চিকন করে আইলাইনারের রেখা এঁকে দিন। মাসকারার কথা কিন্তু ভুলবেন না। এদিন গ্লসি বা শিমারিং লিপস্টিক এড়িয়ে ম্যাট বা ক্রিম বেজড লিপ কালার ব্যবহার করুন। হালকা সাজের সঙ্গে লাল, মেরুনসহ যেকোনো গাঢ় রঙের লিপস্টিক হলেও মানাবে বেশ। ন্যুড লিপস্টিক যেকোনো মেকআপ লুকের সঙ্গে মানানসই। এ জন্য ‘সিম্পল টু গর্জিয়াস’ যেকোনো লুকের জন্য ঠোঁটে ন্যুড লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। পিচ, ন্যুড পিংক, মভ, টেরাকোটা ইত্যাদি রংও দারুণ মানাবে এই দিনের সাজে। চুলের সাজে টুইস্ট, সাইড বান, ফ্রেঞ্চ বেণি কিংবা কার্ল করে চুল বাঁধলেও ভালো দেখাবে।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে