অর্পণা দেবী
বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার পরই বাড়িতে কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়। সে জন্য বরপক্ষের প্রস্তুতি একটু বেশিই থাকে। কনের জন্য কী কী পাঠানো হবে, তা যদি আগেভাগেই ঠিক করে নেওয়া যায় তাহলে কেনাকাটায় ঝক্কি কমে অনেকটা। আবার ডালা বা লাগেজ গোছানো যায় পরিপাটি করে এবং শেষ মুহূর্তের ভুলে দু-একটা জিনিস ছেড়ে যাওয়ার বিড়ম্বনা থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।
বিয়ের পোশাক
বিয়েতে কনেরা এখন পোশাক পরেন নিজের পছন্দমতো ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিলিয়ে। শাড়িতেই বেশির ভাগ কনেকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে দেখা যায়। তবে সেই শাড়ির ধরন যুগ অনুযায়ী বদলেছে। ভারী বেনারসির পরিবর্তে কাতান, জামদানি, সিল্ক এমনকি সুতিও বেছে নিচ্ছেন আধুনিক নারীরা। এর বাইরে অনেকেই লেহেঙ্গা পরছেন। আবার অনেকে পছন্দের ডিজাইনারের হাতে বানিয়ে নিচ্ছেন জুতসই গাউন। তবে বিয়ের পোশাক যা-ই হোক না কেন, তা কনের বাড়িতে পাঠানোর আগে ভেবে নিন কীভাবে পাঠাবেন। বিয়ের দিন যে পোশাক, গয়না ও অনুষঙ্গ কনে পরবেন তা একটি ডালায় আলাদা করে সাজিয়ে দিন। বিয়ে ছাড়াও গায়েহলুদ বা মেহেদি অনুষ্ঠানের পোশাক পাঠানোর থাকলে সেগুলোও ভিন্ন ভিন্ন ডালায় পাঠান। বিয়ের জমকালো পোশাক লাগেজে না পাঠানোই ভালো।
অন্যান্য শাড়ি
বিয়ের তত্ত্বে মূল পোশাকের পাশাপাশি বেশ কিছু শাড়ি পাঠাতেই হয়। এগুলোর মধ্যে কাতান, বেনারসি, জামদানি কিংবা সিল্ক থাকে সাধারণত। পাশাপাশি সব সময় পরার জন্য তাঁত, মণিপুরী, এন্ডি কটন বা এন্ডি সিল্কের শাড়ি সঙ্গে দেওয়া যেতে পারে। এসব ক্ষেত্রে কনের পছন্দ ও আরামকে গুরুত্ব দিতে হবে সবার আগে। এতে শাড়িগুলো অনেক বেশি ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠবে।
মাল্টি-পারপাস ব্লাউজ
যদিও বিয়ের বিভিন্ন শাড়ির সঙ্গে রানিং ব্লাউজ পিস থাকে। সেগুলো বানিয়ে নেওয়ার সুযোগ না থাকলে সাধারণ রঙের ব্লাউজ কিনে ফেলতে পারেন। নানান রঙের ও নকশার ব্লাউজ সঙ্গে দিয়ে দেওয়ার ফল বৃথা যাবে না নিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে কালো, লাল, সাদা, অফ হোয়াইট, রুপালি, সোনালিসহ প্রিন্টের ব্লাউজ নেওয়া যেতে পারে।
নৈমিত্তিক পোশাক
বিয়ের কনে সাধারণত ঘরে-বাইরে যেসব পোশাক পরে অভ্যস্ত, সেই সব পোশাক নিতে ভোলা যাবে না। বিয়ের পর প্রথম দু-এক দিন শাড়ি পরলেও পরে যাতে আরামদায়ক পোশাক পরা যায় তার কিছু বন্দোবস্ত থাকা চাই। তা ছাড়া হানিমুন, বাজার, অফিস—সবখানেই পরা যায় এমন পোশাক তো নিতেই হবে। সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, প্যান্ট, পালাজো, চুড়িদার বা স্কার্ট-টপস, টি-শার্ট, কো-অর্ডস ও অন্যান্য পোশাক কনের সঙ্গে কথা বলে কিনে বা বানিয়ে নিতে হবে।
রাত্রিকালীন পোশাক
বিয়ের দিন পোশাক বদলে রাতে ঘুমানোর জন্য সুন্দর স্লিপিং গাউন লাগেজে পুরে নিতে পারেন। গাউন ছাড়াও সাটিনের পায়জামা-শার্ট, টি-শার্ট-ট্রাউজার, ম্যাক্সি বা কাফতান যেকোনোটিই দেওয়া যেতে পারে। তবে পোশাকগুলো যেন মানে ভালো ও আরামদায়ক কাপড়ের হয়, সেদিকে নজর দেওয়া চাই।
গয়না ও অন্যান্য
বিয়ের পরপর কিছু পারিবারিক দাওয়াত থাকবে, যেখানে সোনার গয়না কমবেশি পরতেই হয়। সোনা ছাড়াও রুপা বা মুক্তার অলংকার, যেমন মালা, কানের দুল, চুড়ি, টিপ এমনকি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে সেফটিপিনসহ গয়নার বাক্স গুছিয়ে নিন। এই বাক্স কনের শাশুড়ি বা পরিবারের বড় কেউ কনের হাতে বুঝিয়ে দিয়ে এলে ভালো দেখাবে।
প্রসাধনী
ত্বক অনুযায়ী নিয়মিত ব্যবহারের জন্য ময়েশ্চারাইজার, টোনার, ক্লিনজার, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, শিট মাস্ক ও প্রয়োজনীয় মেকআপের লিস্ট আগেভাগেই করে ফেলুন। সঙ্গে ওয়াইপার ও তোয়ালে আলাদা ঝুড়িতে করে পাঠালে দেখতে ভালো লাগবে।
অন্তর্বাস
বিয়ের এত সব কেনাকাটার ব্যস্ততায় অন্তর্বাসের মতো মৌলিক জিনিসগুলো ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক। তাই সময় মিলিয়ে আরামদায়ক এবং অভিজাত অন্তর্বাস কিনে নিন। বিদেশি ডিজাইন থেকে শুরু করে বেসিক কিন্তু ক্লাসি কিছু কিনুন। কনের যদি প্রাত্যহিক জীবনে ব্যায়াম বা জগিং, সুইমিং করার অভ্যাস থাকে তাহলে স্পোর্টস বা সুইমিং কস্টিউম অবশ্যই নিতে ভুলবেন না।
ব্যাগ এবং জুতা
কনের পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাগ ও জুতা সঙ্গে নিন। হিল জুতা থেকে শুরু করে ঘরে পরার স্যান্ডেল সবই কনের পায়ের মাপে কিনে ফেলুন। কনের জন্য পার্টি ব্যাগের পাশাপাশি সঙ্গে এমন কয়েকটি ব্যাগ রাখুন, যেগুলোতে টুকিটাকি মেকআপ, লিপস্টিকসহ প্রয়োজনীয় জিনিস রাখা যায়।
ফুল, ফল ও মিষ্টি
কনের জন্য যাবতীয় কেনাকাটা তো করা হলো। তবে শুকনো শুকনো পাঠালে কি আর চলে? সঙ্গে এক ঝুড়ি ফল নিন। মৌসুমি সব ধরনের ফলই একটু একটু করে নিন। আলাদা ঝুড়িতে নিতে পারেন শুকনো ও নকশা করা পিঠা। মাটির রং করা কয়েকটি হাঁড়িতে মিষ্টি পুরে ফুলের তোড়াসহ কনের বাড়ি তত্ত্ব পাঠানোর আয়োজন করে ফেলুন।
সূত্র: ওয়েডিং বাজার ও অন্যান্য
বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার পরই বাড়িতে কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়। সে জন্য বরপক্ষের প্রস্তুতি একটু বেশিই থাকে। কনের জন্য কী কী পাঠানো হবে, তা যদি আগেভাগেই ঠিক করে নেওয়া যায় তাহলে কেনাকাটায় ঝক্কি কমে অনেকটা। আবার ডালা বা লাগেজ গোছানো যায় পরিপাটি করে এবং শেষ মুহূর্তের ভুলে দু-একটা জিনিস ছেড়ে যাওয়ার বিড়ম্বনা থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।
বিয়ের পোশাক
বিয়েতে কনেরা এখন পোশাক পরেন নিজের পছন্দমতো ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিলিয়ে। শাড়িতেই বেশির ভাগ কনেকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে দেখা যায়। তবে সেই শাড়ির ধরন যুগ অনুযায়ী বদলেছে। ভারী বেনারসির পরিবর্তে কাতান, জামদানি, সিল্ক এমনকি সুতিও বেছে নিচ্ছেন আধুনিক নারীরা। এর বাইরে অনেকেই লেহেঙ্গা পরছেন। আবার অনেকে পছন্দের ডিজাইনারের হাতে বানিয়ে নিচ্ছেন জুতসই গাউন। তবে বিয়ের পোশাক যা-ই হোক না কেন, তা কনের বাড়িতে পাঠানোর আগে ভেবে নিন কীভাবে পাঠাবেন। বিয়ের দিন যে পোশাক, গয়না ও অনুষঙ্গ কনে পরবেন তা একটি ডালায় আলাদা করে সাজিয়ে দিন। বিয়ে ছাড়াও গায়েহলুদ বা মেহেদি অনুষ্ঠানের পোশাক পাঠানোর থাকলে সেগুলোও ভিন্ন ভিন্ন ডালায় পাঠান। বিয়ের জমকালো পোশাক লাগেজে না পাঠানোই ভালো।
অন্যান্য শাড়ি
বিয়ের তত্ত্বে মূল পোশাকের পাশাপাশি বেশ কিছু শাড়ি পাঠাতেই হয়। এগুলোর মধ্যে কাতান, বেনারসি, জামদানি কিংবা সিল্ক থাকে সাধারণত। পাশাপাশি সব সময় পরার জন্য তাঁত, মণিপুরী, এন্ডি কটন বা এন্ডি সিল্কের শাড়ি সঙ্গে দেওয়া যেতে পারে। এসব ক্ষেত্রে কনের পছন্দ ও আরামকে গুরুত্ব দিতে হবে সবার আগে। এতে শাড়িগুলো অনেক বেশি ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠবে।
মাল্টি-পারপাস ব্লাউজ
যদিও বিয়ের বিভিন্ন শাড়ির সঙ্গে রানিং ব্লাউজ পিস থাকে। সেগুলো বানিয়ে নেওয়ার সুযোগ না থাকলে সাধারণ রঙের ব্লাউজ কিনে ফেলতে পারেন। নানান রঙের ও নকশার ব্লাউজ সঙ্গে দিয়ে দেওয়ার ফল বৃথা যাবে না নিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে কালো, লাল, সাদা, অফ হোয়াইট, রুপালি, সোনালিসহ প্রিন্টের ব্লাউজ নেওয়া যেতে পারে।
নৈমিত্তিক পোশাক
বিয়ের কনে সাধারণত ঘরে-বাইরে যেসব পোশাক পরে অভ্যস্ত, সেই সব পোশাক নিতে ভোলা যাবে না। বিয়ের পর প্রথম দু-এক দিন শাড়ি পরলেও পরে যাতে আরামদায়ক পোশাক পরা যায় তার কিছু বন্দোবস্ত থাকা চাই। তা ছাড়া হানিমুন, বাজার, অফিস—সবখানেই পরা যায় এমন পোশাক তো নিতেই হবে। সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, প্যান্ট, পালাজো, চুড়িদার বা স্কার্ট-টপস, টি-শার্ট, কো-অর্ডস ও অন্যান্য পোশাক কনের সঙ্গে কথা বলে কিনে বা বানিয়ে নিতে হবে।
রাত্রিকালীন পোশাক
বিয়ের দিন পোশাক বদলে রাতে ঘুমানোর জন্য সুন্দর স্লিপিং গাউন লাগেজে পুরে নিতে পারেন। গাউন ছাড়াও সাটিনের পায়জামা-শার্ট, টি-শার্ট-ট্রাউজার, ম্যাক্সি বা কাফতান যেকোনোটিই দেওয়া যেতে পারে। তবে পোশাকগুলো যেন মানে ভালো ও আরামদায়ক কাপড়ের হয়, সেদিকে নজর দেওয়া চাই।
গয়না ও অন্যান্য
বিয়ের পরপর কিছু পারিবারিক দাওয়াত থাকবে, যেখানে সোনার গয়না কমবেশি পরতেই হয়। সোনা ছাড়াও রুপা বা মুক্তার অলংকার, যেমন মালা, কানের দুল, চুড়ি, টিপ এমনকি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে সেফটিপিনসহ গয়নার বাক্স গুছিয়ে নিন। এই বাক্স কনের শাশুড়ি বা পরিবারের বড় কেউ কনের হাতে বুঝিয়ে দিয়ে এলে ভালো দেখাবে।
প্রসাধনী
ত্বক অনুযায়ী নিয়মিত ব্যবহারের জন্য ময়েশ্চারাইজার, টোনার, ক্লিনজার, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, শিট মাস্ক ও প্রয়োজনীয় মেকআপের লিস্ট আগেভাগেই করে ফেলুন। সঙ্গে ওয়াইপার ও তোয়ালে আলাদা ঝুড়িতে করে পাঠালে দেখতে ভালো লাগবে।
অন্তর্বাস
বিয়ের এত সব কেনাকাটার ব্যস্ততায় অন্তর্বাসের মতো মৌলিক জিনিসগুলো ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক। তাই সময় মিলিয়ে আরামদায়ক এবং অভিজাত অন্তর্বাস কিনে নিন। বিদেশি ডিজাইন থেকে শুরু করে বেসিক কিন্তু ক্লাসি কিছু কিনুন। কনের যদি প্রাত্যহিক জীবনে ব্যায়াম বা জগিং, সুইমিং করার অভ্যাস থাকে তাহলে স্পোর্টস বা সুইমিং কস্টিউম অবশ্যই নিতে ভুলবেন না।
ব্যাগ এবং জুতা
কনের পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাগ ও জুতা সঙ্গে নিন। হিল জুতা থেকে শুরু করে ঘরে পরার স্যান্ডেল সবই কনের পায়ের মাপে কিনে ফেলুন। কনের জন্য পার্টি ব্যাগের পাশাপাশি সঙ্গে এমন কয়েকটি ব্যাগ রাখুন, যেগুলোতে টুকিটাকি মেকআপ, লিপস্টিকসহ প্রয়োজনীয় জিনিস রাখা যায়।
ফুল, ফল ও মিষ্টি
কনের জন্য যাবতীয় কেনাকাটা তো করা হলো। তবে শুকনো শুকনো পাঠালে কি আর চলে? সঙ্গে এক ঝুড়ি ফল নিন। মৌসুমি সব ধরনের ফলই একটু একটু করে নিন। আলাদা ঝুড়িতে নিতে পারেন শুকনো ও নকশা করা পিঠা। মাটির রং করা কয়েকটি হাঁড়িতে মিষ্টি পুরে ফুলের তোড়াসহ কনের বাড়ি তত্ত্ব পাঠানোর আয়োজন করে ফেলুন।
সূত্র: ওয়েডিং বাজার ও অন্যান্য
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে