আমি: আসসালামু আলাইকুম, স্যার। (ভেতর প্রবেশ করে)
চেয়ারম্যান: ওয়ালাইকুম আসসালাম। মাস্কটা খুলে বসুন। চেয়ারম্যান: নাম কী আপনার? কোথায় পড়াশোনা করেছেন? এটা কি আপনার প্রথম বিসিএস?

আমি: শানিরুল ইসলাম শাওন। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। জি স্যার, এটা আমার প্রথম বিসিএস। 
চেয়ারম্যান: আচ্ছা। আপনি টেক্সটাইলে পড়ে বিসিএসে কেন আসতে চাইছেন?

আমি: আমি পরিবারের সবার ছোট। পরিবারের সবার; বিশেষ করে বাবার অনেক শখ, আমি সরকারি চাকরি করি। তাই স্যার, আমার বিসিএস পরীক্ষায় আসা।
এক্সটার্নাল-২: আচ্ছা, ভালো কথা, তাহলে বিসিএসে কেন? আরও সরকারি চাকরি আছে তো। কেন বিসিএস বেছে নেবেন? বাংলা অথবা ইংরেজি যেভাবে আপনি প্রিফার, সেভাবেই বলুন।

আমি: স্যার, যেকোনো দেশের সার্ভিস সেক্টরকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা মিলিটারি ও সিভিল। আর বেসামরিক সার্ভিসে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস হলো সর্বোচ্চ প্ল্যাটফর্ম। তাই আমি বিসিএসকে পছন্দের প্রথমে রেখেছি।
এক্সটার্নাল-২: ভালো। (তেমন সন্তুষ্ট, মনে হলো না)

চেয়ারম্যান: আচ্ছা, বাংলাদেশ টেক্সটাইল রপ্তানিতে কততম?
আমি: (সহজ প্রশ্ন শুনে মনে মনে হেসে) দ্বিতীয় নাম্বারে আছে, স্যার। 

চেয়ারম্যান: বাংলাদেশে টেক্সটাইলের ইতিহাস কবে থেকে শুরু?
আমি: স্যার, ইতিহাস বেশ পুরোনো। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই টেক্সটাইল রপ্তানি শুরু হয়।

চেয়ারম্যান: প্রথম কবে রপ্তানি হয়?
আমি: প্রথম ১৯৭৬ সালে ফ্রান্সে ১০ হাজার পিস শার্ট রপ্তানির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল রপ্তানির যাত্রা শুরু করে। (পরে বাসায় এসে মিলিয়ে দেখি, ১৯৭৮ সাল হবে)

চেয়ারম্যান: প্রথম আমাদের দেশে টেক্সটাইল খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি দেশ ট্রেনিংয়ে সহায়তা দেয়? দেশটির নাম বলতে পারবেন? 
আমি: জি স্যার। দক্ষিণ কোরিয়া।

চেয়ারম্যান: ওকে, আমার আর প্রশ্ন নেই। (এক্সটার্নাল-১ স্যারের দিকে ঘুরে) স্যার, এবার আপনি প্রশ্ন করেন।
এক্সটার্নাল-১: Well, please tell about your choice list.

আমি: BCS Administration, BCS Police, BCS Ansar, BCS Customs and Excise, BCS Audit...
এক্সটার্নাল-১: এই ওয়েট ওয়েট...ফরেন অ্যাফেয়ার্স নাই আপনার চয়েজ লিস্টে!

আমি: না স্যার।
এক্সটার্নাল-১: কেন?

আমি: আমি আসলে অনেক হোমসিক স্যার। তাই ফরেন অ্যাফেয়ার্সের বিদেশে বিদেশে থেকে চাকরি করাটাকে আমি ভয়ের চোখে দেখছিলাম। 
এক্সটার্নাল-২: (ওপর পাশ থেকে) ওমা! আপনি প্রশাসন ক্যাডারে গেলে ট্রেনিং বা চাকরির সুবাদে তো আপনাকে বিদেশে যাওয়া লাগতে পারে। তখন আপনি কী করবেন?

আমি: স্যার, কাজের সুবাদে যাওয়া লাগবে তো যাবই। কিন্তু আজ থেকে তিন বছর আগে হয়তো জীবনের বাস্তবতা তেমনভাবে বুঝে উঠতে পারিনি। তাই ফরেন অ্যাফেয়ার্স চয়েজে দেওয়া হয়নি।

এক্সটার্নাল-২: Well, why did you choose BCS Administration first? 
আমি: Actually sir, from my perspective, I always want to go to the Acme of my job sector. In BCS Administration, it will be easier for me to Work as a secretary by gradual promition. Besides, administration cadre offers maximum general cadre vacant posts. Also, this cadre ensures security, honour, dignity, etc. That’s why, I choose BCS Administration cadre first.
এক্সটার্নাল-১: Fine. Can you tell me how the relation should be between The Minister and The secretary of a ministry?

আমি: As the minister declares the manifesto of the ministry and the secretary execute the actions, the relation between them should be very positive and cooperative.
এক্সটার্নাল-১: Ok. In President governed countries, the president makes all of the decesions. There is no need of cabinet in decision making. Can You Tell me, in a cabinet governed country, how decisions are made?

আমি: (একটু ভেবে) Prime minister along with his cabinet makes the decisions. 
এক্সটার্নাল-১: How they make the decisions?

আমি: Sorry sir, I can’t explain it. 
এক্সটার্নাল-১: ওকে ওকে, শিওর।

এক্সটার্নাল-২: স্যার, ওকে লাস্ট একটা প্রশ্ন করে ছেড়ে দিচ্ছি। 
চেয়ারম্যান: শিওর স্যার।

এক্সটার্নাল-২: (আমার দিকে ফিরে) আপনাকে একজন ব্যক্তিত্বের নাম বলব। আপনি তাঁর সম্পর্কে দু-তিন লাইনে যা পারেন বলে চলে যাবেন। 
আমি: জি স্যার।

এক্সটার্নাল-২: ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। 
আমি: উনি একজন বীরাঙ্গনা ছিলেন। উনি প্রথম জনসমক্ষে একাত্তরে বীরাঙ্গনাদের সাথে নির্যাতনের কথা প্রকাশ করেন। এসব ব্যাপারে সবাই আগে থেকে জানত, তবে উনার প্রকাশের পরেই বিষয়টা লাইমলাইটে আসে। (উনি যে ভাস্কর, তখন সেটা ভুলে গিয়েছিলাম।) 

এক্সটার্নাল-২: হ্যাঁ, ঠিক আছে। তবে আরও ভালোভাবে জানতে হবে। 
আমি: জি স্যার।

চেয়ারম্যান: ওকে, এবার আসতে পারেন। 

অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম