ফারুক মেহেদী
আজকের পত্রিকা: শুরুতে কোভিড ব্যবস্থাপনাটা কেমন ছিল?
ড. গৌর গোবিন্দ গোস্বামী: বাংলাদেশ প্রথম থেকেই একটা ভ্যাকসিন ডেফিসিট কান্ট্রি। আমরা নিজস্ব ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারিনি। নির্ভর করেছি ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট বা অক্সফোর্ডের টিকার ওপর। প্রথমে তা দামেও কম ছিল। নতুন ভ্যারিয়েন্ট এলে ভারতে সংক্রমণ বাড়ে, তারা তখন পিছিয়ে যায়। আমাদের ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেল। ফলে ওই সময়ে আমাদের কোভিড ম্যানেজমেন্টটা যেভাবে এগোচ্ছিল, তাতে একটা বড় ধাক্কা খেয়েছি।
আজকের পত্রিকা: এখন ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম কি সঠিক পথে আছে?
ড. গৌর গোবিন্দ: সরকার সঠিকভাবেই চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক দক্ষতা দেখিয়ে সাফল্য পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিরাট একটা ভ্যাকসিন সাপোর্ট পাওয়া গেছে। রাশিয়া ও চীন থেকেও পাচ্ছি। ভারতও দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। সুতরাং স্বাস্থ্য খাতে ভ্যাকসিন-সম্পর্কিত যে সমস্যাটা ছিল, তা সমাধানের পথে। তবে সমাধান হয়ে যায়নি। এখনো গ্রাম ও নগরের সর্বস্তরে ভ্যাকসিনেশন হয়নি। তার মানে ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত সরবরাহব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এ কারণে মৃত্যুঝুঁকি রয়ে গেছে। দীর্ঘ মেয়াদে কোভিডের কারণে মানুষের মানসিক-শারীরিক ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্য খাতে যে সক্ষমতা গড়ে তোলা দরকার, সেটা সম্ভব হয়নি।
আজকের পত্রিকা: প্রণোদনা কতটা সুফল দিয়েছে?
ড. গৌর গোবিন্দ: অর্থনৈতিক দিক থেকে আমার মনে হয়, সরকার শুরুর দিক থেকে করোনার ক্ষতি উত্তরণের চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিয়েছে। যদিও বিতরণের ক্ষেত্রে হয়তো কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি ছিল, কিন্তু এটা সত্য যে যারা পেয়েছে তাদের বেশ উপকার হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত প্রণোদনা যাকে বলে, সেটা সরকার এখনো ব্যবস্থা করতে পারেনি।
আজকের পত্রিকা: সরকারের অর্থায়নপদ্ধতিকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
ড. গৌর গোবিন্দ: অর্থায়ন যেভাবে হওয়া দরকার, সেভাবে হয়নি। সরকার মনে করছে, ব্যাংকিং খাতে অনেক অলস টাকা পড়ে আছে, সেখান থেকে অর্থায়নটা করতে পারবে। সুতরাং বিকল্প কোনো উপায় খুঁজতে হবে না। সরকার ইচ্ছে করলেই অলস টাকা নিতে পারে না। ধার করতে পারে। ধারের কিছু পদ্ধতি আছে। তা হলো বিভিন্ন ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মাধ্যমে টাকাটা নিতে পারে। এটাও সরকারের দায়। ধারের প্রথাগত পদ্ধতি সঞ্চয়পত্র থেকে ভবিষ্যতে খুব বেশি টাকা নেওয়া সম্ভব নয়। ধারের জন্য বন্ডভিত্তিক কৌশলে যাওয়া দরকার। বন্ড থেকে টাকা ধারের নির্ভরতা বাড়ানো গেলে অর্থনীতির ওপর দেনার যে অতিরিক্ত চাপ কম হতো।
আজকের পত্রিকা: বন্ড মার্কেট শক্তিশালী হচ্ছে না কেন?
ড. গৌর গোবিন্দ: প্রাইমারি বন্ড মার্কেট আছে। সেকেন্ডারি মার্কেটে যাওয়া উচিত। বন্ডকে শেয়ারবাজারের অন্য প্রোডাক্টের মতো লেনদেন করা বা হাতবদলের কার্যক্রমটা নেই। এখন প্রাইমারি ডিলারদের মাধ্যমে ফোর্সড সেল করছে। এর সঠিক বিনিয়োগ হয় না। এটা টেকসই পদ্ধতি নয়। তা দায়ের বোঝা বাড়াবে। ঋণের টাকা নিলে এর সুদসহ দিতে হয়। করোনা সহসা যাবে না। এ জন্য বন্ড ঘিরে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন পরিকল্পনা করতে পারে সরকার।
আজকের পত্রিকা: সাধারণের ওপর কোভিডের প্রভাব কেমন দেখছেন?
ড. গৌর গোবিন্দ: কোভিড সময়ে মুদ্রাস্ফীতি কমার কথা। অথচ এখন তা বাড়ছে। মানুষ খুব চাপের মধ্যে আছে। বিশেষ করে গ্রামবাংলার মানুষ সত্যিকার অর্থে টানাটানিতে দিন কাটাচ্ছে। মধ্যবিত্তরাও ভোগান্তিতে আছে। যারা সরকারি চাকরি করেন, তাঁরা মোটামুটি চলতে পারছেন। আর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, হোটেল ব্যবসা, রেস্টুরেন্টসহ যত ধরনের সেবা খাত বা অন্যান্য অনানুষ্ঠানিক খাতে যাঁরা আছেন, তাঁদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এখন লকডাউন না থাকলেও তাঁরা আগে যে ঋণ করেছিলেন, তার চাপ রয়ে গেছেন।
আজকের পত্রিকা: সামনে কাদের অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত?
ড. গৌর গোবিন্দ: পোশাক খাতে সবচেয়ে বড় প্রণোদনা ছিল, করোনায় সবকিছু বন্ধের মধ্যেও তাদের উৎপাদন চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ। এখন বৈষম্য না করে বিশেষভাবে যাঁরা সবচেয়ে বেশি নাজুক অবস্থায় আছেন, যাঁরা অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন, যাঁরা এখনো কোনো ধরনের সহায়তা পাননি, বেতনও পাননি তাঁদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। বেসরকারি পর্যায়ের স্কুলের শিক্ষক যাঁরা মাসের পর মাস বেতন পাননি, অনেক স্কুল বন্ধও হয়ে গেছে, তাঁদের পাশে সরকারকে দাঁড়াতে হবে। এমন পরিস্থিতি যে তাঁরা ভিক্ষাও করতে পারেন না। মোটকথা সরকারের শুধু এক-দুটি খাত নয়, যাদের নিয়মিত আয় নেই, তাদের দিকে বেশি নজর দিতে হবে।
আজকের পত্রিকা: শুরুতে কোভিড ব্যবস্থাপনাটা কেমন ছিল?
ড. গৌর গোবিন্দ গোস্বামী: বাংলাদেশ প্রথম থেকেই একটা ভ্যাকসিন ডেফিসিট কান্ট্রি। আমরা নিজস্ব ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারিনি। নির্ভর করেছি ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট বা অক্সফোর্ডের টিকার ওপর। প্রথমে তা দামেও কম ছিল। নতুন ভ্যারিয়েন্ট এলে ভারতে সংক্রমণ বাড়ে, তারা তখন পিছিয়ে যায়। আমাদের ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেল। ফলে ওই সময়ে আমাদের কোভিড ম্যানেজমেন্টটা যেভাবে এগোচ্ছিল, তাতে একটা বড় ধাক্কা খেয়েছি।
আজকের পত্রিকা: এখন ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম কি সঠিক পথে আছে?
ড. গৌর গোবিন্দ: সরকার সঠিকভাবেই চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক দক্ষতা দেখিয়ে সাফল্য পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিরাট একটা ভ্যাকসিন সাপোর্ট পাওয়া গেছে। রাশিয়া ও চীন থেকেও পাচ্ছি। ভারতও দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। সুতরাং স্বাস্থ্য খাতে ভ্যাকসিন-সম্পর্কিত যে সমস্যাটা ছিল, তা সমাধানের পথে। তবে সমাধান হয়ে যায়নি। এখনো গ্রাম ও নগরের সর্বস্তরে ভ্যাকসিনেশন হয়নি। তার মানে ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত সরবরাহব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এ কারণে মৃত্যুঝুঁকি রয়ে গেছে। দীর্ঘ মেয়াদে কোভিডের কারণে মানুষের মানসিক-শারীরিক ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্য খাতে যে সক্ষমতা গড়ে তোলা দরকার, সেটা সম্ভব হয়নি।
আজকের পত্রিকা: প্রণোদনা কতটা সুফল দিয়েছে?
ড. গৌর গোবিন্দ: অর্থনৈতিক দিক থেকে আমার মনে হয়, সরকার শুরুর দিক থেকে করোনার ক্ষতি উত্তরণের চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিয়েছে। যদিও বিতরণের ক্ষেত্রে হয়তো কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি ছিল, কিন্তু এটা সত্য যে যারা পেয়েছে তাদের বেশ উপকার হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত প্রণোদনা যাকে বলে, সেটা সরকার এখনো ব্যবস্থা করতে পারেনি।
আজকের পত্রিকা: সরকারের অর্থায়নপদ্ধতিকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
ড. গৌর গোবিন্দ: অর্থায়ন যেভাবে হওয়া দরকার, সেভাবে হয়নি। সরকার মনে করছে, ব্যাংকিং খাতে অনেক অলস টাকা পড়ে আছে, সেখান থেকে অর্থায়নটা করতে পারবে। সুতরাং বিকল্প কোনো উপায় খুঁজতে হবে না। সরকার ইচ্ছে করলেই অলস টাকা নিতে পারে না। ধার করতে পারে। ধারের কিছু পদ্ধতি আছে। তা হলো বিভিন্ন ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মাধ্যমে টাকাটা নিতে পারে। এটাও সরকারের দায়। ধারের প্রথাগত পদ্ধতি সঞ্চয়পত্র থেকে ভবিষ্যতে খুব বেশি টাকা নেওয়া সম্ভব নয়। ধারের জন্য বন্ডভিত্তিক কৌশলে যাওয়া দরকার। বন্ড থেকে টাকা ধারের নির্ভরতা বাড়ানো গেলে অর্থনীতির ওপর দেনার যে অতিরিক্ত চাপ কম হতো।
আজকের পত্রিকা: বন্ড মার্কেট শক্তিশালী হচ্ছে না কেন?
ড. গৌর গোবিন্দ: প্রাইমারি বন্ড মার্কেট আছে। সেকেন্ডারি মার্কেটে যাওয়া উচিত। বন্ডকে শেয়ারবাজারের অন্য প্রোডাক্টের মতো লেনদেন করা বা হাতবদলের কার্যক্রমটা নেই। এখন প্রাইমারি ডিলারদের মাধ্যমে ফোর্সড সেল করছে। এর সঠিক বিনিয়োগ হয় না। এটা টেকসই পদ্ধতি নয়। তা দায়ের বোঝা বাড়াবে। ঋণের টাকা নিলে এর সুদসহ দিতে হয়। করোনা সহসা যাবে না। এ জন্য বন্ড ঘিরে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন পরিকল্পনা করতে পারে সরকার।
আজকের পত্রিকা: সাধারণের ওপর কোভিডের প্রভাব কেমন দেখছেন?
ড. গৌর গোবিন্দ: কোভিড সময়ে মুদ্রাস্ফীতি কমার কথা। অথচ এখন তা বাড়ছে। মানুষ খুব চাপের মধ্যে আছে। বিশেষ করে গ্রামবাংলার মানুষ সত্যিকার অর্থে টানাটানিতে দিন কাটাচ্ছে। মধ্যবিত্তরাও ভোগান্তিতে আছে। যারা সরকারি চাকরি করেন, তাঁরা মোটামুটি চলতে পারছেন। আর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, হোটেল ব্যবসা, রেস্টুরেন্টসহ যত ধরনের সেবা খাত বা অন্যান্য অনানুষ্ঠানিক খাতে যাঁরা আছেন, তাঁদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এখন লকডাউন না থাকলেও তাঁরা আগে যে ঋণ করেছিলেন, তার চাপ রয়ে গেছেন।
আজকের পত্রিকা: সামনে কাদের অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত?
ড. গৌর গোবিন্দ: পোশাক খাতে সবচেয়ে বড় প্রণোদনা ছিল, করোনায় সবকিছু বন্ধের মধ্যেও তাদের উৎপাদন চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ। এখন বৈষম্য না করে বিশেষভাবে যাঁরা সবচেয়ে বেশি নাজুক অবস্থায় আছেন, যাঁরা অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন, যাঁরা এখনো কোনো ধরনের সহায়তা পাননি, বেতনও পাননি তাঁদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। বেসরকারি পর্যায়ের স্কুলের শিক্ষক যাঁরা মাসের পর মাস বেতন পাননি, অনেক স্কুল বন্ধও হয়ে গেছে, তাঁদের পাশে সরকারকে দাঁড়াতে হবে। এমন পরিস্থিতি যে তাঁরা ভিক্ষাও করতে পারেন না। মোটকথা সরকারের শুধু এক-দুটি খাত নয়, যাদের নিয়মিত আয় নেই, তাদের দিকে বেশি নজর দিতে হবে।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪