অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি তিনি দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। আর তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কোনো ধরনের অস্বস্তিতে ভুগবে না ভারত। এমনটাই জানিয়েছেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণম জয়শঙ্কর।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘অনেক দেশই ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে চিন্তিত, তবে ভারত এসব দেশের মধ্যে নেই।’ তিনি বলেন, ‘ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ট্রাম্পের অধীনে এগোবে না, এমন কোনো কারণ (নয়া) দিল্লির নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ ছিল ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত। সে সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুসম্পর্ক ছিল। তবে সেই সময়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ভারতের একটি তিক্ত ‘শুল্ক যুদ্ধ’ হয়েছিল, যা উভয় দেশের ব্যবসার ওপর প্রভাব ফেলেছিল।
দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের দুই দলের প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছে ভারত। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের সঙ্গেই তারা সমানভাবে কাজ করেছে। ওয়াশিংটনের বিভিন্ন প্রশাসন ভারতকে চীনের পাল্টা প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করেছে।
ট্রাম্পের বিজয়ের পর যেসব বিশ্ব নেতা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাদের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন। বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘মোদি ছিলেন প্রথম তিনজনের মধ্যে একজন, যাঁদের ফোন প্রেসিডেন্ট (নির্বাচিত হওয়ার) ট্রাম্প গ্রহণ করেছিলেন।’
তবে, জয়শঙ্কর যতই বলুন না কেন, ট্রাম্পের নীতির কারণে বাণিজ্যিক সংঘাত দুই দেশের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। গত অক্টোবরে ট্রাম্প মোদিকে ‘মহান নেতা’ বলে অভিহিত করলেও ভারতের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের অভিযোগও করেছিলেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দুই দেশের বাণিজ্যিক বিরোধ এই নেতার মধুর সম্পর্ক দিয়ে অতিক্রম করা সম্ভব হবে কিনা, তা দেখার বিষয়। এর আগেও ট্রাম্প ও মোদি একে অপরের প্রশংসা প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ২০১৯ সালে ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের এক অনুষ্ঠানে ‘হাউডি, মোদি!’ বা ‘হ্যালো মোদি’ নামের এক অনুষ্ঠানে দুই নেতা একে অপরে উদার প্রশংসা করেন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানেই এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি কোনো নেতার সম্মানে এটি অন্যতম বড় সংবর্ধনা ছিল। যেখানে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ অংশ নেন।
এর পরের বছর, অর্থাৎ ২০২০ সালে ট্রাম্পের প্রথম ভারত সফরের সময় মোদি তাঁকে গুজরাটে স্বাগত জানান। সেখানে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১ লাখ ২৫ হাজার লোকের এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেন মোদি। তবে এই বড় আয়োজনের পরও দুই দেশের সম্পর্কে কিছু ফাটল দেখা দেয়।
প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প ভারতকে দেওয়া বাণিজ্যিক বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহার করেন। এতে দুই দেশের মধ্যে শুল্ক যুদ্ধ শুরু হয়। এ ছাড়া, ২০১৬ সালে এইচ-১বি ভিসার বাতিলের হার ছিল ৬ শতাংশ। কিন্তু ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২১ শতাংশে। মার্কিন শ্রম দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই ভিসাগুলোর বড় অংশই ভারতীয় প্রযুক্তি কর্মীদের জন্য বরাদ্দ ছিল।
এদিকে, জয়শঙ্কর যুক্তি দিয়ে বলেছেন, পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তিত হচ্ছে। তবে পুরোনো শিল্পোন্নত অর্থনীতিগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এখনো গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘ওরা বড় বাজার, শক্তিশালী প্রযুক্তি কেন্দ্র এবং উদ্ভাবনের কেন্দ্রস্থল। তাই পরিবর্তনকে স্বীকার করি, কিন্তু আমরা আমাদের উপলব্ধিকে অতিরঞ্জিত ও বিকৃত না করব না।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি তিনি দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। আর তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কোনো ধরনের অস্বস্তিতে ভুগবে না ভারত। এমনটাই জানিয়েছেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণম জয়শঙ্কর।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘অনেক দেশই ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে চিন্তিত, তবে ভারত এসব দেশের মধ্যে নেই।’ তিনি বলেন, ‘ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ট্রাম্পের অধীনে এগোবে না, এমন কোনো কারণ (নয়া) দিল্লির নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ ছিল ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত। সে সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুসম্পর্ক ছিল। তবে সেই সময়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ভারতের একটি তিক্ত ‘শুল্ক যুদ্ধ’ হয়েছিল, যা উভয় দেশের ব্যবসার ওপর প্রভাব ফেলেছিল।
দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের দুই দলের প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছে ভারত। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের সঙ্গেই তারা সমানভাবে কাজ করেছে। ওয়াশিংটনের বিভিন্ন প্রশাসন ভারতকে চীনের পাল্টা প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করেছে।
ট্রাম্পের বিজয়ের পর যেসব বিশ্ব নেতা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাদের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন। বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘মোদি ছিলেন প্রথম তিনজনের মধ্যে একজন, যাঁদের ফোন প্রেসিডেন্ট (নির্বাচিত হওয়ার) ট্রাম্প গ্রহণ করেছিলেন।’
তবে, জয়শঙ্কর যতই বলুন না কেন, ট্রাম্পের নীতির কারণে বাণিজ্যিক সংঘাত দুই দেশের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। গত অক্টোবরে ট্রাম্প মোদিকে ‘মহান নেতা’ বলে অভিহিত করলেও ভারতের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের অভিযোগও করেছিলেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দুই দেশের বাণিজ্যিক বিরোধ এই নেতার মধুর সম্পর্ক দিয়ে অতিক্রম করা সম্ভব হবে কিনা, তা দেখার বিষয়। এর আগেও ট্রাম্প ও মোদি একে অপরের প্রশংসা প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ২০১৯ সালে ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের এক অনুষ্ঠানে ‘হাউডি, মোদি!’ বা ‘হ্যালো মোদি’ নামের এক অনুষ্ঠানে দুই নেতা একে অপরে উদার প্রশংসা করেন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানেই এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি কোনো নেতার সম্মানে এটি অন্যতম বড় সংবর্ধনা ছিল। যেখানে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ অংশ নেন।
এর পরের বছর, অর্থাৎ ২০২০ সালে ট্রাম্পের প্রথম ভারত সফরের সময় মোদি তাঁকে গুজরাটে স্বাগত জানান। সেখানে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১ লাখ ২৫ হাজার লোকের এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেন মোদি। তবে এই বড় আয়োজনের পরও দুই দেশের সম্পর্কে কিছু ফাটল দেখা দেয়।
প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প ভারতকে দেওয়া বাণিজ্যিক বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহার করেন। এতে দুই দেশের মধ্যে শুল্ক যুদ্ধ শুরু হয়। এ ছাড়া, ২০১৬ সালে এইচ-১বি ভিসার বাতিলের হার ছিল ৬ শতাংশ। কিন্তু ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২১ শতাংশে। মার্কিন শ্রম দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই ভিসাগুলোর বড় অংশই ভারতীয় প্রযুক্তি কর্মীদের জন্য বরাদ্দ ছিল।
এদিকে, জয়শঙ্কর যুক্তি দিয়ে বলেছেন, পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তিত হচ্ছে। তবে পুরোনো শিল্পোন্নত অর্থনীতিগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এখনো গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘ওরা বড় বাজার, শক্তিশালী প্রযুক্তি কেন্দ্র এবং উদ্ভাবনের কেন্দ্রস্থল। তাই পরিবর্তনকে স্বীকার করি, কিন্তু আমরা আমাদের উপলব্ধিকে অতিরঞ্জিত ও বিকৃত না করব না।’
তুলসী গ্যাবার্ডকে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। তুলসী গ্যাবার্ড কে? নিয়োগ পেলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হওয়া প্রথম হিন্দু নারী। সাবেক এই মার্কিন সেনা একসময় রাজনীতি করেছ
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক দিন পর থেকেই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, এবার মার্কিন আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণও যাচ্ছে রিপাবলিকানদের হাতে। শেষমেশ তা-ই হলো। গত বুধবার মার্কিন গণমাধ্যমগুলো নিশ্চিত করেছে, এই হাউসের নিয়ন্ত্রণও পেল নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের
৩ ঘণ্টা আগেহিজাব আইন অমান্যকারীদের মানসিক রোগী হিসেবে বিবেচনার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। এমন নারীদের জন্য ‘মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্র’ চালুর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। ইরানের নারী ও পরিবার বিভাগের নীতি ও অনৈতিকতা প্রতিরোধ দপ্তরের প্রধান মেহরি তালেবি দারেস্তানি গত মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেন।
৬ ঘণ্টা আগেজনগণের ভোটাধিকার হরণ, অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার ও সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী পাসের প্রতিবাদে ২৪ নভেম্বর (বুধবার) দেশব্যাপী ‘চূড়ান্ত’ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন কারান্তরীণ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) তাঁর মুক্তি ও নির্বাচনে কথিত কারচুপির বিরুদ্ধে বিক্ষ
৭ ঘণ্টা আগে