ইরানে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড দুবার কার্যকর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৭: ২৭
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৭: ৪৭
আহমাদ আলীজাদেহ। ছবি: সংগৃহীত

ইরানে কয়েক মাস আগে আহমাদ আলিজাদেহ নামের ২৬ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আধা মিনিট পর তা স্থগিত করা হয়েছিল। আজ বুধবার দ্বিতীয়বারের মতো তাঁর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

নরওয়েভিত্তিক এনজিও ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে হত্যার অভিযোগে আহমাদ আলিজাদেহকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন আলিজাদেহ, তারপরও তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

গত ২৭ এপ্রিল রাজধানী তেহরানের নিকটবর্তী কারাজ শহরের গেজেল হেসার কারাগারে প্রথমবারের মতো তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। কিন্তু ফাঁসির মাত্র ২৮ সেকেন্ডের মাথায় বাদীর পরিবারের সদস্যরা আলিজাদেহকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে চিৎকার করে জানান। তাঁদের এই বক্তব্যের পর আলিজাদেহকে ফাঁসির মঞ্চ থেকে নামিয়ে আনা হয়; তাঁর ‘প্রাণহীন’ মরদেহ সফলভাবে পুনরুজ্জীবিত করা হয় এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত করা হয়।

ইরানের শরিয়া আইন অনুযায়ী, ভুক্তভোগীর পরিবার অপরাধীর জীবন বাঁচাতে টাকা চাইতে পারে বা ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দণ্ডিত ব্যক্তির পরিবার নির্ধারিত অঙ্কের টাকা দিতে পারে না এবং সে ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বলে জানান অধিকারকর্মীরা। ভুক্তভোগীর পরিবারকে দণ্ডিত ব্যক্তির স্বজন বা পরিবারের সদস্যরা যে অর্থ পরিশোধ করে, তাকে বলা হয় ‘ব্লাড মানি’।

ব্লাড মানির জন্য ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে কোনো চুক্তি না হওয়ায় আলিজাদেহ মৃত্যুদণ্ডের ঝুঁকির মধ্যে ছিলেন। আইএইচআর জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সকালে গেজেল হেসার কারাগারে আবারও তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

আইএইচআরের পরিচালক মাহমুদ আমিরি-মোঘাদ্দাম বলেন, মেধাবী ছাত্র আহমাদ আলিজাদেহকে হত্যার অভিযোগে দ্বিতীয়বারের মতো ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। হত্যার অভিযোগ আলিজাদেহ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন নির্যাতনের মুখে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

সক্রিয় কর্মীদের অভিযোগ, বিশেষত ২০২২-২৩ সালের দেশব্যাপী বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে ইরান মৃত্যুদণ্ডকে সমাজে ভীতি জাগরুক রাখতে ব্যবহার করছে। ওই বিক্ষোভ ইরানে ক্ষমতাসীন ইসলামি শাসকগোষ্ঠীর ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল।

আইএইচআর অনুসারে, ২০২৪ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ক্ষেত্রে নতুন করে এই প্রবণতার বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। কেবল অক্টোবরেই কমপক্ষে ১৬৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রেকর্ড করা হয়েছে। ২০০৭ সালে দলটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা শুরু করার পর থেকে এক মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আবু সাঈদকে ৪–৫ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়—শেখ হাসিনার দাবির সত্যতা কতটুকু

মেট্রোরেল থেকে আমলাদের বিদায়, অগ্রাধিকার প্রকৌশলীদের

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার সময় বাড়ল

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

ব্যাংক খাতে নতুন নীতিমালা: আটকে গেল ২৫৮ কর্মকর্তার জিএম পদে পদোন্নতি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত