কলকাতা প্রতিনিধি
ভারতের বিহারে বড় ধরনের ধাক্কার মুখোমুখি বিজেপি। বিহারে বিজেপির জোটের শরিক জনতা দল (জেডি-ইউ) বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আরজেডি ও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বিজেপির সমর্থন ছাড়াই সরকার টিকিয়ে রাখতে মরিয়া তাঁরা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামী মঙ্গলবার দলীয় বিধায়কদের বৈঠক ডেকেছে জেডিইউ। কংগ্রেস ও আরজেডিও আলাদাভাবে দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
মহারাষ্ট্রের শিবসেনার মতো বিজেপি জেডিইউ ভাঙার চেষ্টা করছে বলেও জল্পনা শুরু হয়েছে। শঙ্কা মাথায় নিয়ে জেডিইউ নেতৃত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় তাঁদের দলের কোনো প্রতিনিধি থাকবে না।
২০২০ সালে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন নিতীশ কুমার। কিন্তু দু বছরের মধ্যে জোটে জটিলতা দেখা দিয়েছে। জেডিইউ নেতা আরসিপি সিং দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করতেই দুই দলের মধ্যে বিরোধ চরমে পৌঁছে। জেডিইউয়ের সর্বভারতীয় সভাপতি রাজীবরঞ্জন সিংয়ের অভিযোগ, ‘এলজেপি নেতা চিরাগ পাশায়ানের মতোই এখন তাঁদের ঘর ভাঙতে আরসিপিকে ব্যবহার করছে বিজেপি। বিরোধ এতটাই চরমে যে কংগ্রেস ও আরজেডির সঙ্গে যোগাযোগের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা।’ উল্লেখ্য, ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় একক বৃহত্তম হলো আরজেডি। তাঁদের সদস্য সংখ্যা ৮০।
এ ছাড়া, ১৬ জন বাম বিধায়কেরও সমর্থন রয়েছে আরজেডির পক্ষে। এর সঙ্গে যদি কংগ্রেসের ১৯ জন বিধায়কের সমর্থন তাদের দিকে যায় তবে বিজেপির ৭৭ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে আস্থা ভোটে জিততে কোনো অসুবিধাই হবে না নিতীশের। তবে, বিজেপি দল ভাঙায় ওস্তাদ—এমন চিন্তাও মাথায় রেখেছে জেডিইউ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বিজেপিকে ছেড়ে লালুপ্রসাদ যাদবের নেতৃত্বাধীন আরজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েছিলেন নিতীশ। তবে, সেই জোট টেকেনি। এখন আবার নতুন করে জোট গড়া ক্ষেত্রে উভয় দলকে বেশ আশাবাদী বলে শোনা যাচ্ছে।
এদিকে, মহারাষ্ট্রে শিবসেনার ভাঙন ধরানোর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া কংগ্রেস। এই অবস্থায় বাম, কংগ্রেস ও আরজেডির সম্মিলিত তৎপরতায় বিজেপিকে বিহারের শাসক জোট থেকে হটানোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিহারের মতো বড় রাজ্যে বিজেপিকে ধাক্কা দিতে পারলে বিরোধী শিবির অনেকটাই চাঙা হয়ে উঠবে। কারণ, বিহারে রয়েছে ৪০টি লোকসভা আসন। গতবার এর মধ্যে ৩১টিই পেয়েছিল বিজেপির এনডিএ জোট। তাই বিহার নিয়ে বিজেপিও বেশ তৎপর।
বিহারের বিজেপি নেতা সুশীল মোদীর দাবি, জোটে কোনো সমস্যা নেই। আলোচনার মাধ্যমে সব মিটে যাবে। কিন্তু নিতীশ কুমার বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব কমানোর কোনো লক্ষণই দেখাচ্ছেন না। ফলে বিহার সমস্যা বেড়েই চলেছে। এবং সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে বিহারের রাজনীতিতে বিজেপি অনকেটাই ব্যাকফুটে।
ভারতের বিহারে বড় ধরনের ধাক্কার মুখোমুখি বিজেপি। বিহারে বিজেপির জোটের শরিক জনতা দল (জেডি-ইউ) বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আরজেডি ও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বিজেপির সমর্থন ছাড়াই সরকার টিকিয়ে রাখতে মরিয়া তাঁরা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামী মঙ্গলবার দলীয় বিধায়কদের বৈঠক ডেকেছে জেডিইউ। কংগ্রেস ও আরজেডিও আলাদাভাবে দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
মহারাষ্ট্রের শিবসেনার মতো বিজেপি জেডিইউ ভাঙার চেষ্টা করছে বলেও জল্পনা শুরু হয়েছে। শঙ্কা মাথায় নিয়ে জেডিইউ নেতৃত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় তাঁদের দলের কোনো প্রতিনিধি থাকবে না।
২০২০ সালে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন নিতীশ কুমার। কিন্তু দু বছরের মধ্যে জোটে জটিলতা দেখা দিয়েছে। জেডিইউ নেতা আরসিপি সিং দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করতেই দুই দলের মধ্যে বিরোধ চরমে পৌঁছে। জেডিইউয়ের সর্বভারতীয় সভাপতি রাজীবরঞ্জন সিংয়ের অভিযোগ, ‘এলজেপি নেতা চিরাগ পাশায়ানের মতোই এখন তাঁদের ঘর ভাঙতে আরসিপিকে ব্যবহার করছে বিজেপি। বিরোধ এতটাই চরমে যে কংগ্রেস ও আরজেডির সঙ্গে যোগাযোগের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা।’ উল্লেখ্য, ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় একক বৃহত্তম হলো আরজেডি। তাঁদের সদস্য সংখ্যা ৮০।
এ ছাড়া, ১৬ জন বাম বিধায়কেরও সমর্থন রয়েছে আরজেডির পক্ষে। এর সঙ্গে যদি কংগ্রেসের ১৯ জন বিধায়কের সমর্থন তাদের দিকে যায় তবে বিজেপির ৭৭ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে আস্থা ভোটে জিততে কোনো অসুবিধাই হবে না নিতীশের। তবে, বিজেপি দল ভাঙায় ওস্তাদ—এমন চিন্তাও মাথায় রেখেছে জেডিইউ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বিজেপিকে ছেড়ে লালুপ্রসাদ যাদবের নেতৃত্বাধীন আরজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েছিলেন নিতীশ। তবে, সেই জোট টেকেনি। এখন আবার নতুন করে জোট গড়া ক্ষেত্রে উভয় দলকে বেশ আশাবাদী বলে শোনা যাচ্ছে।
এদিকে, মহারাষ্ট্রে শিবসেনার ভাঙন ধরানোর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া কংগ্রেস। এই অবস্থায় বাম, কংগ্রেস ও আরজেডির সম্মিলিত তৎপরতায় বিজেপিকে বিহারের শাসক জোট থেকে হটানোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিহারের মতো বড় রাজ্যে বিজেপিকে ধাক্কা দিতে পারলে বিরোধী শিবির অনেকটাই চাঙা হয়ে উঠবে। কারণ, বিহারে রয়েছে ৪০টি লোকসভা আসন। গতবার এর মধ্যে ৩১টিই পেয়েছিল বিজেপির এনডিএ জোট। তাই বিহার নিয়ে বিজেপিও বেশ তৎপর।
বিহারের বিজেপি নেতা সুশীল মোদীর দাবি, জোটে কোনো সমস্যা নেই। আলোচনার মাধ্যমে সব মিটে যাবে। কিন্তু নিতীশ কুমার বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব কমানোর কোনো লক্ষণই দেখাচ্ছেন না। ফলে বিহার সমস্যা বেড়েই চলেছে। এবং সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে বিহারের রাজনীতিতে বিজেপি অনকেটাই ব্যাকফুটে।
কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এই পতনের প্রধান কারণ। জাতীয় দারিদ্র্য হ্রাস ত্বরান্বিতকরণ টিমের নীতি বিশেষজ্ঞ এগা কুরনিয়া ইয়াজিদ বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তঃসংযুক্ত কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংকোচনের জন্য দায়ী। মধ্যবিত্তরা মূলত কর রাজস্বে বড় অবদান রাখে। কিন্তু তারা খুবই সীমিত
৩৩ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন প্রায় ৯০ জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা। অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনবিরোধী সহিংসতার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে তাঁরা এ আহ্বান জানান। বার্তা
১ ঘণ্টা আগেশ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিসানায়েকের নেতৃত্বে বামপন্থী দল ন্যাশনাল পিপল পাওয়ার (এনপিপি) আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছে। এই জয়ের মার্ক্সবাদী প্রেসিডেন্ট দিসানায়েকে কঠোর ব্যয় সংকোচন নীতি শিথিল করার জন্য ম্যান্ডেট পেয়েছেন
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে তাঁরা সাক্ষাৎ করেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ইরানের দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে
৩ ঘণ্টা আগে