অনলাইন ডেস্ক
যোগী আদিত্যনাথের উত্তর প্রদেশকে বলা হয় বিজেপির ঘাঁটি। ২০১৪ সাল থেকে রাজ্যটি দখলে রেখেছে বিজেপি। কিন্তু ২০২৪ সালের নির্বাচনে এসে এ রাজ্যে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে দলটি। ভোট গণনার প্রায় আট ঘণ্টার মধ্যে সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের ‘ইন্ডিয়া’ জোট এরই মধ্যে ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৪৩টিতে এগিয়ে রয়েছে। আর বিজেপি নেতৃত্বাধীন ৩৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। এতটা ব্যবধান কেউ ধারণা করেনি।
২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যথাক্রমে ৭১ এবং ৬২টি আসন পেয়েছিল। এবারের বুথফেরত জরিপেও তেমন প্রবণতাই দেখানো হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রবণতাগুলো বলছে, বুথফেরত জরিপের ফলাফল ভুল প্রমাণিত হতে যাচ্ছে। উত্তর প্রদেশে বিজেপির আধিপত্যের অবসান ঘটতে যাচ্ছে।
উত্তর প্রদেশে বিজেপির এমন বড় ধাক্কা খাওয়ার পেছনে মূল কারণগুলো কী:
ভোটের রাজনীতিতে রামমন্দির কি বিজেপিকে সহায়তা করল না?
এই নির্বাচনে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ। ১৯৮০-এর দশক থেকে বিজেপির অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল এটি। বিজেপি সমর্থকেরা দাবি করেছিল, এবারের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নির্ধারক ফ্যাক্টর হবে এই রামমন্দির।
কিন্তু প্রবণতাগুলো বলছে, এমনকি ফৈজাবাদ তো বটেই, আসনটির গুরুত্বপূর্ণ অংশ অযোধ্যায়ও রামমন্দির বিজেপিকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বিজেপির লাল্লু সিংয়ের বিরুদ্ধে সমাজবাদী পার্টির অবদেশ প্রসাদ ২০ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। প্রতিবেশী নির্বাচনী এলাকাগুলোর মধ্যে ফৈজাবাদের সীমান্তবর্তী সাতটি আসনের মধ্যে দুটিতে—গোন্ডা ও কায়সারগঞ্জ—বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। অন্য পাঁচটির মধ্যে কংগ্রেস দুটিতে এগিয়ে রয়েছে—আমেথি ও বড়বাঁকি। আর এসপি এগিয়ে আছে তিনটি—সুলতানপুর, আম্বেদনগর ও বাস্তি।
‘ইউপি কে লডকে’ স্লোগান কাজে দিয়েছে
অখিলেশ যাদব ও রাহুল গান্ধীকে শেষবার ২০১৭ সালের উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের দৌড়ে একসঙ্গে প্রচারে নামতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু যখন ফলাফল এল দেখা গেল বিজেপির পকেটে ৩০২টি আসন। আর কংগ্রেস-এসপি জোট মাত্র ৪৭টি রক্ষা করতে পেরেছিল। সাত বছর পরে দুই নেতা, এত দিনে উভয়েই রাজনৈতিকভাবে আরও পরিপক্ব হয়েছেন, তাঁরা ইন্ডিয়া জোটের অধীনে লোকসভা লড়াইয়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। একসঙ্গে প্রচারে নেমেছেন। বর্তমান প্রবণতা ধরে রাখলে এবার উত্তর প্রদেশের চিত্র হয়তো পাল্টে দেবে এই দুজন। ইন্ডিয়া ব্লক বর্তমানে রাজ্যের ৮০টি আসনের মধ্যে ৪৩টিতে এগিয়ে রয়েছে—এটি এনডিএর চেয়ে সাতটি বেশি।
মায়াবতী ফ্যাক্টর নেই
মায়াবতীর নেতৃত্বাধীন বহুজন সমাজ পার্টিকে (বিএসপি) বলা হয় সারপ্রাইজ পার্টি! ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিএসপি উত্তর প্রদেশে ডাক মেরেছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের নির্বাচনে ১০টি আসনে জিতে ফিরে আসে। গত নির্বাচনে তারা সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধেছিল। কিন্তু এবার এককভাবে লড়াই করেছে। আর তাদের সাবেক মিত্র ভিড়েছে কংগ্রেস শিবিরে।
এখন পর্যন্ত প্রবণতাগুলো বলছে, বিএসপি পরাজয়ের দিকেই যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গণনার চার ঘণ্টার মধ্যেও কোনো আসনেই এগিয়ে নেই তারা। এটা মায়াবতীর জন্য ভালো খবর নয়। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য হলো, নাগিনা আসনের প্রবণতা, যেখানে উঠতি দলিত নেতা চন্দ্রশেখর আজাদ লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং বিএসপি সেখানে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। আজাদের বিজয় এবং তফসিলি সম্প্রদায়ের (এসসি) জন্য সংরক্ষিত আসনটিতে বিএসপির বড় পরাজয় কার্যত মায়াবতীর অনুগত দলিত ভোট ব্যাংক হারানোরও ইঙ্গিত।
আরও পড়ুন:
যোগী আদিত্যনাথের উত্তর প্রদেশকে বলা হয় বিজেপির ঘাঁটি। ২০১৪ সাল থেকে রাজ্যটি দখলে রেখেছে বিজেপি। কিন্তু ২০২৪ সালের নির্বাচনে এসে এ রাজ্যে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে দলটি। ভোট গণনার প্রায় আট ঘণ্টার মধ্যে সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের ‘ইন্ডিয়া’ জোট এরই মধ্যে ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৪৩টিতে এগিয়ে রয়েছে। আর বিজেপি নেতৃত্বাধীন ৩৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। এতটা ব্যবধান কেউ ধারণা করেনি।
২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যথাক্রমে ৭১ এবং ৬২টি আসন পেয়েছিল। এবারের বুথফেরত জরিপেও তেমন প্রবণতাই দেখানো হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রবণতাগুলো বলছে, বুথফেরত জরিপের ফলাফল ভুল প্রমাণিত হতে যাচ্ছে। উত্তর প্রদেশে বিজেপির আধিপত্যের অবসান ঘটতে যাচ্ছে।
উত্তর প্রদেশে বিজেপির এমন বড় ধাক্কা খাওয়ার পেছনে মূল কারণগুলো কী:
ভোটের রাজনীতিতে রামমন্দির কি বিজেপিকে সহায়তা করল না?
এই নির্বাচনে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ। ১৯৮০-এর দশক থেকে বিজেপির অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল এটি। বিজেপি সমর্থকেরা দাবি করেছিল, এবারের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নির্ধারক ফ্যাক্টর হবে এই রামমন্দির।
কিন্তু প্রবণতাগুলো বলছে, এমনকি ফৈজাবাদ তো বটেই, আসনটির গুরুত্বপূর্ণ অংশ অযোধ্যায়ও রামমন্দির বিজেপিকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বিজেপির লাল্লু সিংয়ের বিরুদ্ধে সমাজবাদী পার্টির অবদেশ প্রসাদ ২০ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। প্রতিবেশী নির্বাচনী এলাকাগুলোর মধ্যে ফৈজাবাদের সীমান্তবর্তী সাতটি আসনের মধ্যে দুটিতে—গোন্ডা ও কায়সারগঞ্জ—বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। অন্য পাঁচটির মধ্যে কংগ্রেস দুটিতে এগিয়ে রয়েছে—আমেথি ও বড়বাঁকি। আর এসপি এগিয়ে আছে তিনটি—সুলতানপুর, আম্বেদনগর ও বাস্তি।
‘ইউপি কে লডকে’ স্লোগান কাজে দিয়েছে
অখিলেশ যাদব ও রাহুল গান্ধীকে শেষবার ২০১৭ সালের উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের দৌড়ে একসঙ্গে প্রচারে নামতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু যখন ফলাফল এল দেখা গেল বিজেপির পকেটে ৩০২টি আসন। আর কংগ্রেস-এসপি জোট মাত্র ৪৭টি রক্ষা করতে পেরেছিল। সাত বছর পরে দুই নেতা, এত দিনে উভয়েই রাজনৈতিকভাবে আরও পরিপক্ব হয়েছেন, তাঁরা ইন্ডিয়া জোটের অধীনে লোকসভা লড়াইয়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। একসঙ্গে প্রচারে নেমেছেন। বর্তমান প্রবণতা ধরে রাখলে এবার উত্তর প্রদেশের চিত্র হয়তো পাল্টে দেবে এই দুজন। ইন্ডিয়া ব্লক বর্তমানে রাজ্যের ৮০টি আসনের মধ্যে ৪৩টিতে এগিয়ে রয়েছে—এটি এনডিএর চেয়ে সাতটি বেশি।
মায়াবতী ফ্যাক্টর নেই
মায়াবতীর নেতৃত্বাধীন বহুজন সমাজ পার্টিকে (বিএসপি) বলা হয় সারপ্রাইজ পার্টি! ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিএসপি উত্তর প্রদেশে ডাক মেরেছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের নির্বাচনে ১০টি আসনে জিতে ফিরে আসে। গত নির্বাচনে তারা সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধেছিল। কিন্তু এবার এককভাবে লড়াই করেছে। আর তাদের সাবেক মিত্র ভিড়েছে কংগ্রেস শিবিরে।
এখন পর্যন্ত প্রবণতাগুলো বলছে, বিএসপি পরাজয়ের দিকেই যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গণনার চার ঘণ্টার মধ্যেও কোনো আসনেই এগিয়ে নেই তারা। এটা মায়াবতীর জন্য ভালো খবর নয়। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য হলো, নাগিনা আসনের প্রবণতা, যেখানে উঠতি দলিত নেতা চন্দ্রশেখর আজাদ লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং বিএসপি সেখানে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। আজাদের বিজয় এবং তফসিলি সম্প্রদায়ের (এসসি) জন্য সংরক্ষিত আসনটিতে বিএসপির বড় পরাজয় কার্যত মায়াবতীর অনুগত দলিত ভোট ব্যাংক হারানোরও ইঙ্গিত।
আরও পড়ুন:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়রকে স্বাস্থ্য ও মানবসেবা মন্ত্রণালয়ের (এইচএইচএস) প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেবেন। তিনি বলেছেন, সাবেক এই ডেমোক্র্যাট নেতা (কেনেডি জুনিয়র) এই পদে থেকে ‘ক্ষতিকর রাসায়নিক ও দূষণ থেকে সবার সুরক্ষা নিশ্চিত ক
১ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতা যুদ্ধের পর এই প্রথম কোনো পাকিস্তানি মালবাহী জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়েছে। গতকাল বুধবার পাকিস্তানের করাচি থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ে। নানা কারণেই পাকিস্তানি মালবাহী জাহাজটির বাংলাদেশের বন্দরে ভেড়ার বিষয়টিকে ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে। আর এই ঐতিহাসিক বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্
২ ঘণ্টা আগেতুলসী গ্যাবার্ডকে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। তুলসী গ্যাবার্ড কে? নিয়োগ পেলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হওয়া প্রথম হিন্দু নারী। সাবেক এই মার্কিন সেনা একসময় রাজনীতি করেছ
১০ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক দিন পর থেকেই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, এবার মার্কিন আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণও যাচ্ছে রিপাবলিকানদের হাতে। শেষমেশ তা-ই হলো। গত বুধবার মার্কিন গণমাধ্যমগুলো নিশ্চিত করেছে, এই হাউসের নিয়ন্ত্রণও পেল নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের
১১ ঘণ্টা আগে