কলকাতা প্রতিনিধি
রাজনীতিতে চিরস্থায়ী শত্রুতা বা বন্ধুত্ব বলে কিছু নেই। নেই আদর্শগত স্থায়িত্ব বলেও কোনো কিছু। বিহারের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলিতে এই সত্যই আবারও প্রমাণিত হলো নতুন করে। বুধবার অষ্টমবারের মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডিইউ) নেতা ৭২ বছর বয়সী নিতীশ কুমার। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব।
এই শপথ গ্রহণের মধ্যে দিয়েই শুরু হলো ভারতীয় রাজনীতির নয়া সমীকরণ। বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে বিরোধীদের সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েই বিজেপি সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সাংবাদিকদের নিতীশ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে আমি নেই। তবে ২০১৪ সালে উনি (নরেন্দ্র মোদী) জিতলেও ২০২৪ সালে জিতবেন তো?’ তবে, বিজেপির অভিযোগ, ‘নিতীশ কুমার বিহারের জনগণ ও বিজেপির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। জনগণই এর উপযুক্ত জবাব দেবে।
এর আগে, ২০১৫ সালেও নিতীশ ও লালু প্রাসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী মিলে জোট গঠন করে সরকার গঠন করেছিলেন। কিন্তু বেশি দিন টেকেনি জেডিইউ ও আরজেডির আঁতাত। সেই জোট ভেঙে ২০১৭ সালে বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধেন নিতীশ। সর্বশেষ, ২০২২ সালে আবার বিজেপি ছেড়ে বিহারের রাজনীতিতে অসাম্প্রদায়িক শক্তি হিসাবে পরিচিত আরজেডি, বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলালেন নিতীশ।
বারবার জোট বদলের এই ঘটনায় বিহারের রাজনীতিতে নিতীশকে ‘সুবিধাবাদী বা ক্ষমতালোভী’ বলে কটাক্ষ হজম করতে হচ্ছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ভারতের রাজনীতিতে দল বা জোট বদল বহুদিন ধরেই খুবই স্বাভাবিক। আদর্শের চেয়েও এখানে ক্ষমতার স্বাদ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিছুদিন আগে মহারাষ্ট্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। বিজেপির সঙ্গে জোট করে শিবসেনা নির্বাচনে জিতলেও পরে তাদের ছেড়ে কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। তবে সম্প্রতি শিবসেনা দলটাকেই ভেঙে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করে জয়ের হাসি হাসে বিজেপি।
সেই হাসির রেশ থাকতে থাকতেই বিজেপিকে শক্ত একটি ধাক্কা দিল বিহার। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সঞ্জয় জাসওয়াল অবশ্য মহারাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা টানতে নারাজ। তাঁর মতে, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা বেইমানি করেছিল, তাই সবক শিখিয়েছেন তাঁরা। আর বিহারে জেডিইউ ভাঙার কোনো চেষ্টাই নাকি বিজেপি করেনি।
দীর্ঘদিন গণমাধ্যমের সামনে নীরব থাকলেও সঞ্জয়ের পাল্টা জবাব দিয়েছেন নিতীশ। তিনিও মহারাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা টানতে নারাজ। তাঁর ইঙ্গিত, বিজেপি গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে জেডিইউকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছে। তাই দলের বিধায়কদের পরামর্শেই জোট বদল। আরজেডি, সিপিএম, সিপিআইএমএল, কংগ্রেসসহ সাতটি দলের এই মহাজোট দীর্ঘস্থায়ী হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। নিতীশের মতে, তেজস্বী এখন অনেকটাই সমঝদার। ফলে সরকার চালাতে খুব অসুবিধা হবে না। নতুন মন্ত্রিসভা শিগগিরই সম্প্রসারিত হবে। সেই মন্ত্রিসভায় কংগ্রেসও যাতে যোগ দেয় তার চেষ্টাও চলছে।
বিহারের এই রাজনৈতিক পালাবদলের ছায়া জাতীয় রাজনীতিতেও পড়তে শুরু করেছে। মহারাষ্ট্রে বিজেপির প্রত্যাবর্তনে বিরোধীরা কোণঠাসা হয়ে পড়লেও এবার তাঁরা বাড়তি অক্সিজেন পেলেন। কেবল তাই নয়, ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় নিতীশদের ৫ সদস্যের সমর্থন হারিয়ে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ল শাসক জোট। বিজেপিতে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটির উত্থানের পর এনডিএ জোট ছাড়ার তালিকাও দীর্ঘতর হচ্ছে। শিবসেনা, শিরোমণি আকালি দল, টিডিপি, ওয়াইএসআরসি আগেই তাঁদের সঙ্গ ত্যাগ করেছে। এবার সেই দলে নাম লেখাল জেডিইউ।
এ প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার মন্তব্য করেছেন, শরিক দলকে ধ্বংস করাকেই অগ্রাধিকার দেয় বিজেপি। তাই বিজেপির সঙ্গে যে দলই জোট করুক না কেন জোটধর্ম না মেনে সেই দলেরই ক্ষতি করায় বেশি মনোযোগী হন বিজেপি নেতারা।
রাজনীতিতে চিরস্থায়ী শত্রুতা বা বন্ধুত্ব বলে কিছু নেই। নেই আদর্শগত স্থায়িত্ব বলেও কোনো কিছু। বিহারের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলিতে এই সত্যই আবারও প্রমাণিত হলো নতুন করে। বুধবার অষ্টমবারের মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডিইউ) নেতা ৭২ বছর বয়সী নিতীশ কুমার। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব।
এই শপথ গ্রহণের মধ্যে দিয়েই শুরু হলো ভারতীয় রাজনীতির নয়া সমীকরণ। বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে বিরোধীদের সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েই বিজেপি সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সাংবাদিকদের নিতীশ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে আমি নেই। তবে ২০১৪ সালে উনি (নরেন্দ্র মোদী) জিতলেও ২০২৪ সালে জিতবেন তো?’ তবে, বিজেপির অভিযোগ, ‘নিতীশ কুমার বিহারের জনগণ ও বিজেপির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। জনগণই এর উপযুক্ত জবাব দেবে।
এর আগে, ২০১৫ সালেও নিতীশ ও লালু প্রাসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী মিলে জোট গঠন করে সরকার গঠন করেছিলেন। কিন্তু বেশি দিন টেকেনি জেডিইউ ও আরজেডির আঁতাত। সেই জোট ভেঙে ২০১৭ সালে বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধেন নিতীশ। সর্বশেষ, ২০২২ সালে আবার বিজেপি ছেড়ে বিহারের রাজনীতিতে অসাম্প্রদায়িক শক্তি হিসাবে পরিচিত আরজেডি, বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলালেন নিতীশ।
বারবার জোট বদলের এই ঘটনায় বিহারের রাজনীতিতে নিতীশকে ‘সুবিধাবাদী বা ক্ষমতালোভী’ বলে কটাক্ষ হজম করতে হচ্ছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ভারতের রাজনীতিতে দল বা জোট বদল বহুদিন ধরেই খুবই স্বাভাবিক। আদর্শের চেয়েও এখানে ক্ষমতার স্বাদ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিছুদিন আগে মহারাষ্ট্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। বিজেপির সঙ্গে জোট করে শিবসেনা নির্বাচনে জিতলেও পরে তাদের ছেড়ে কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। তবে সম্প্রতি শিবসেনা দলটাকেই ভেঙে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করে জয়ের হাসি হাসে বিজেপি।
সেই হাসির রেশ থাকতে থাকতেই বিজেপিকে শক্ত একটি ধাক্কা দিল বিহার। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সঞ্জয় জাসওয়াল অবশ্য মহারাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা টানতে নারাজ। তাঁর মতে, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা বেইমানি করেছিল, তাই সবক শিখিয়েছেন তাঁরা। আর বিহারে জেডিইউ ভাঙার কোনো চেষ্টাই নাকি বিজেপি করেনি।
দীর্ঘদিন গণমাধ্যমের সামনে নীরব থাকলেও সঞ্জয়ের পাল্টা জবাব দিয়েছেন নিতীশ। তিনিও মহারাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা টানতে নারাজ। তাঁর ইঙ্গিত, বিজেপি গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে জেডিইউকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছে। তাই দলের বিধায়কদের পরামর্শেই জোট বদল। আরজেডি, সিপিএম, সিপিআইএমএল, কংগ্রেসসহ সাতটি দলের এই মহাজোট দীর্ঘস্থায়ী হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। নিতীশের মতে, তেজস্বী এখন অনেকটাই সমঝদার। ফলে সরকার চালাতে খুব অসুবিধা হবে না। নতুন মন্ত্রিসভা শিগগিরই সম্প্রসারিত হবে। সেই মন্ত্রিসভায় কংগ্রেসও যাতে যোগ দেয় তার চেষ্টাও চলছে।
বিহারের এই রাজনৈতিক পালাবদলের ছায়া জাতীয় রাজনীতিতেও পড়তে শুরু করেছে। মহারাষ্ট্রে বিজেপির প্রত্যাবর্তনে বিরোধীরা কোণঠাসা হয়ে পড়লেও এবার তাঁরা বাড়তি অক্সিজেন পেলেন। কেবল তাই নয়, ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় নিতীশদের ৫ সদস্যের সমর্থন হারিয়ে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ল শাসক জোট। বিজেপিতে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটির উত্থানের পর এনডিএ জোট ছাড়ার তালিকাও দীর্ঘতর হচ্ছে। শিবসেনা, শিরোমণি আকালি দল, টিডিপি, ওয়াইএসআরসি আগেই তাঁদের সঙ্গ ত্যাগ করেছে। এবার সেই দলে নাম লেখাল জেডিইউ।
এ প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার মন্তব্য করেছেন, শরিক দলকে ধ্বংস করাকেই অগ্রাধিকার দেয় বিজেপি। তাই বিজেপির সঙ্গে যে দলই জোট করুক না কেন জোটধর্ম না মেনে সেই দলেরই ক্ষতি করায় বেশি মনোযোগী হন বিজেপি নেতারা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন প্রায় ৯০ জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা। অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনবিরোধী সহিংসতার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে তাঁরা এ আহ্বান জানান। বার্তা
৪ মিনিট আগেশ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিসানায়েকের নেতৃত্বে বামপন্থী দল ন্যাশনাল পিপল পাওয়ার (এনপিপি) আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছে। এই জয়ের মার্ক্সবাদী প্রেসিডেন্ট দিসানায়েকে কঠোর ব্যয় সংকোচন নীতি শিথিল করার জন্য ম্যান্ডেট পেয়েছেন
৪৪ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে তাঁরা সাক্ষাৎ করেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ইরানের দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে
২ ঘণ্টা আগেইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সেগুলোর সার্বভৌম মালিকানা ফিলিস্তিনি জনগণের। এই বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটিতে পশ্চিমা বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সমর্থন দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব পাস হয়
৩ ঘণ্টা আগে