বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের ভয়ে ইছামতীতে ঝাঁপ চোরাকারবারির, পরে মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১৪: ১৪
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবস্থিত ইছামতি নদী। তীরে দাঁড়িয়ে বিএসএফের এক সদস্য। ছবি: উইকিমিডিয়া কমনসের সৌজন্যে

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ভয়ে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ইছামতী নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন দুই মাদক চোরাকারবারি। পরে পাঁচ ঘণ্টা পর তাদের উদ্ধার করা হয় মারাত্মক আহত অবস্থায়। পরে বাবাই বড়াই নামে একজন মারা যান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের মুখপাত্র ও ডিআইজি এনকে পাণ্ডে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিএসএফের একটি টহল দলকে দেখে ইছামতী নদীতে ঝাঁপ দেন বাবাই ও তাঁর সঙ্গী। প্রায় ৫ ঘণ্টার মতো সে নদীর ঠান্ডা পানিতে ছিল। মাদক চোরাকারবারের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা ছিল এবং বাবাই সম্প্রতি একটি মামলায় জামিনে মুক্ত হয়েছিলেন।

এনকে পাণ্ডে জানান, গত শনিবার রাত ১১টার দিকে বিএসএফের ৫ম ব্যাটালিয়নের সদস্যরা কিছু প্যাকেট ও ধারালো অস্ত্রসহ চারজনকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করতে দেখে। পরে বিএসএফ জওয়ানরা তাদের দিকে এগিয়ে গেলে, ওই চারজন আক্রমণ চালায়। আত্মরক্ষার জন্য এক বিএসএফ সদস্য ফাঁকা গুলি চালালে দুজন পালিয়ে ভারতের দিকে ফিরে যায়, বাকি দুজন নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে রোববার ভোর ৪টার দিকে বাবাই বড়াই ও তাঁর এক সঙ্গীকে নদীর কচুরিপানার নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার অঙ্গরাইল সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে যাওয়া হয়।

ডিআইজি পাণ্ডে বলেন, ‘সীমান্ত চৌকিতে তাদের কম্বল ও গরম চা দেওয়া হয়। আগুনও জ্বালানো হয়, যাতে তারা নিজেদের গরম রাখতে পারে। কিছুক্ষণ পর বাবাই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন এবং তাঁকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শুরু হলেও দ্রুতই তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’

বিএসএফের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে দুটি প্যাকেজ উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে ৫০০ বোতল কাশির সিরাপ ছিল—যা মাদকদ্রব্য, নেশাজাত দ্রব্য ও মনোবিকৃতিকারী পদার্থ (এনডিপিএস) আইন অনুসারে নিষিদ্ধ।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, বড়াই এনডিপিএস আইনের অধীনে দুই বছর কারাদণ্ড ভোগ করেছিলেন এবং ২০২১ সালে মুক্তি পান। এরপর ২০২৩ সালের ২৫ মে তাঁকে আবার বিএসএফ গ্রেপ্তার করে এবং কিছুদিন পর সে জামিনে বের হয়ে আসে। এরপরও সে সীমান্ত অতিক্রম করে মাদক ও সোনা পাচার চালিয়ে গেছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত