অনলাইন ডেস্ক
হার্ট অ্যাটাকের পর রোগীকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের ব্যবস্থাপত্র দেন চিকিৎসকেরা। এগুলোর মধ্যে পুরো বিশ্বে প্রচলিত একটি সাধারণ ওষুধ হলো—বিটা ব্লকার। তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, হার্ট অ্যাটাকের পর যাদের হৃদ্যন্ত্র ঠিকঠাক কাজ করছে তাঁদের দীর্ঘ মেয়াদে এই ওষুধ সেবনের প্রয়োজনীয়তা নাও থাকতে পারে।
বিটা–ব্লকার হৃদ্যন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ওষুধটি হৃৎস্পন্দন ধীর করে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাকের পর রোগীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে নতুন গবেষণাটি বলছে, চিকিৎসার এই পদ্ধতি সবার জন্য প্রয়োজনীয় নয়। অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন, বুকের ব্যথা (যাকে ‘অ্যাঞ্জিনা’–ও বলা হয়) এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এসব ওষুধ। হার্ট অ্যাটাকের পর বিটা-ব্লকারগুলো হৃদ্যন্ত্রকে স্থিতিশীল করতে এবং সুস্থ হতে সময় দেয়। এ কারণেই হার্ট অ্যাটাকের পর ওষুধগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে গবেষকেরা জানতে চেয়েছেন, যখন ওষুধগুলোর প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাওয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা সম্ভব কিনা।
এ বিষয়টি নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন ‘হার্ট’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ২০০৫ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ৪৩ হাজারের বেশি প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়। এই রোগীদের মধ্যে কেউই হার্ট ফেইলিওর বা লেফট ভেন্ট্রিকুলার সিস্টোলিক ডিসফাংশন (এলভিএসডি) নামে পরিচিত জটিলতার সম্মুখীন হননি। এ ধরনের সমস্যা হলে হৃৎপিণ্ডের রক্ত পাম্প করার সক্ষমতা প্রভাবিত হয়।
রোগীদের মধ্যে এই ধরনের জটিলতা রয়েছে কিনা তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ধরনের রোগীদের সাধারণত হৃৎপিণ্ড সচল রাখতে শক্তিশালী এবং দীর্ঘদিন সমর্থনের প্রয়োজন হয়। তবে যাদের মধ্যে এ ধরনের সমস্যা নেই তাদের ক্ষেত্রে বিটা-ব্লকারগুলো কোনো অতিরিক্ত সুবিধা দেয় কিনা তা গবেষকেরা জানতে চেয়েছেন।
গবেষকেরা রোগীদের গড়ে ৪ দশমিক ৫ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করেছেন। হার্ট অ্যাটাকের পরে যারা প্রথম বছরে বিটা-ব্লকার সেবন করেন এবং যারা এই ওষুধ সেবন করা বন্ধ করে দেন তাঁদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্যগুলো তুলনা করেন গবেষকেরা। আশ্চর্যজনকভাবে, দুই গ্রুপের ফলাফলের মধ্যে কোনো পার্থক্য পাওয়া যায়নি।
এর মাধ্যমে বোঝা যায়, হার্ট ফেইলিওর বা এলভিএসডি সমস্যা না থাকলে এক বছরের বেশি সময় ধরে বিটা-ব্লকার সেবন হৃদ্রোগের সমস্যা বা মৃত্যুর আশঙ্কা কমাতে কোনো ভূমিকা রাখে না।
এই গবেষণাটি পর্যবেক্ষণমূলক। এই ধরনের গবেষণা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রোগীদের বিভিন্ন চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য নেওয়ার চেয়ে বাস্তব জগৎ থেকে সংগৃহীত ডেটা বিশ্লেষণ করে। তাই বিটা-ব্লকারের সেবন বন্ধ করলে প্রতিটি রোগীর জন্য একই ফলাফল নিয়ে আসবে কিনা তা এই গবেষণা থেকে নিশ্চিতভাবে জানা যায় না।
গবেষণার কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। যেমন: প্রতিটি রোগী কতটা ভালোভাবে তাদের ওষুধের রুটিন অনুসরণ করেছেন বা তাঁদের জীবনযাত্রা মান এতে কীভাবে প্রভাব ফেলেছে সেটি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
গবেষণার ফলাফলগুলোর ভিত্তিতে গবেষকেরা সুপারিশ করেছেন, হৃদ্রোগের চিকিৎসার পদ্ধতি হালনাগাদ করার প্রয়োজন হতে পারে। বিটা-ব্লকারগুলোর এমন কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যা জীবনযাত্রার গুণগত মানকে প্রভাবিত করতে পারে। যেমন: ক্লান্তি ও অবসাদ।
বিটা-ব্লকারগুলো কিছু রোগীর তেমন কোনো উপকারই করে না। তাই এসব সম্ভাব্য অসুবিধা এড়ানোর জন্য এই ওষুধ গ্রহণ না করাই ভালো।
তবে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করেই রোগী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। একেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে। একজনের জন্য এই ওষুধ কার্যকর হলেও অন্যের জন্য তা কার্যকর নাও হতে পারে।
তবে অন্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিষয়টি নিয়ে আরও বিস্তৃত গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, যদিও বিটা-ব্লকারগুলো উচ্চ ঝুঁকির হার্ট অ্যাটাক রোগীদের সাহায্য করতে পারে বলে প্রমাণিত হয়েছে, তবে নিম্ন ঝুঁকির রোগীদের জন্য কতটুকু উপকার করে তা স্পষ্ট নয়। যারা ইতিমধ্যে অন্য চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং যাদের হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রয়েছে, তাঁদের এই ওষুধগুলোর সেবনের প্রয়োজন নাও হতে পারে।
হার্ট অ্যাটাকের পর রোগীকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের ব্যবস্থাপত্র দেন চিকিৎসকেরা। এগুলোর মধ্যে পুরো বিশ্বে প্রচলিত একটি সাধারণ ওষুধ হলো—বিটা ব্লকার। তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, হার্ট অ্যাটাকের পর যাদের হৃদ্যন্ত্র ঠিকঠাক কাজ করছে তাঁদের দীর্ঘ মেয়াদে এই ওষুধ সেবনের প্রয়োজনীয়তা নাও থাকতে পারে।
বিটা–ব্লকার হৃদ্যন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ওষুধটি হৃৎস্পন্দন ধীর করে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাকের পর রোগীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে নতুন গবেষণাটি বলছে, চিকিৎসার এই পদ্ধতি সবার জন্য প্রয়োজনীয় নয়। অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন, বুকের ব্যথা (যাকে ‘অ্যাঞ্জিনা’–ও বলা হয়) এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এসব ওষুধ। হার্ট অ্যাটাকের পর বিটা-ব্লকারগুলো হৃদ্যন্ত্রকে স্থিতিশীল করতে এবং সুস্থ হতে সময় দেয়। এ কারণেই হার্ট অ্যাটাকের পর ওষুধগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে গবেষকেরা জানতে চেয়েছেন, যখন ওষুধগুলোর প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাওয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা সম্ভব কিনা।
এ বিষয়টি নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন ‘হার্ট’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ২০০৫ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ৪৩ হাজারের বেশি প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়। এই রোগীদের মধ্যে কেউই হার্ট ফেইলিওর বা লেফট ভেন্ট্রিকুলার সিস্টোলিক ডিসফাংশন (এলভিএসডি) নামে পরিচিত জটিলতার সম্মুখীন হননি। এ ধরনের সমস্যা হলে হৃৎপিণ্ডের রক্ত পাম্প করার সক্ষমতা প্রভাবিত হয়।
রোগীদের মধ্যে এই ধরনের জটিলতা রয়েছে কিনা তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ধরনের রোগীদের সাধারণত হৃৎপিণ্ড সচল রাখতে শক্তিশালী এবং দীর্ঘদিন সমর্থনের প্রয়োজন হয়। তবে যাদের মধ্যে এ ধরনের সমস্যা নেই তাদের ক্ষেত্রে বিটা-ব্লকারগুলো কোনো অতিরিক্ত সুবিধা দেয় কিনা তা গবেষকেরা জানতে চেয়েছেন।
গবেষকেরা রোগীদের গড়ে ৪ দশমিক ৫ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করেছেন। হার্ট অ্যাটাকের পরে যারা প্রথম বছরে বিটা-ব্লকার সেবন করেন এবং যারা এই ওষুধ সেবন করা বন্ধ করে দেন তাঁদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্যগুলো তুলনা করেন গবেষকেরা। আশ্চর্যজনকভাবে, দুই গ্রুপের ফলাফলের মধ্যে কোনো পার্থক্য পাওয়া যায়নি।
এর মাধ্যমে বোঝা যায়, হার্ট ফেইলিওর বা এলভিএসডি সমস্যা না থাকলে এক বছরের বেশি সময় ধরে বিটা-ব্লকার সেবন হৃদ্রোগের সমস্যা বা মৃত্যুর আশঙ্কা কমাতে কোনো ভূমিকা রাখে না।
এই গবেষণাটি পর্যবেক্ষণমূলক। এই ধরনের গবেষণা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রোগীদের বিভিন্ন চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য নেওয়ার চেয়ে বাস্তব জগৎ থেকে সংগৃহীত ডেটা বিশ্লেষণ করে। তাই বিটা-ব্লকারের সেবন বন্ধ করলে প্রতিটি রোগীর জন্য একই ফলাফল নিয়ে আসবে কিনা তা এই গবেষণা থেকে নিশ্চিতভাবে জানা যায় না।
গবেষণার কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। যেমন: প্রতিটি রোগী কতটা ভালোভাবে তাদের ওষুধের রুটিন অনুসরণ করেছেন বা তাঁদের জীবনযাত্রা মান এতে কীভাবে প্রভাব ফেলেছে সেটি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
গবেষণার ফলাফলগুলোর ভিত্তিতে গবেষকেরা সুপারিশ করেছেন, হৃদ্রোগের চিকিৎসার পদ্ধতি হালনাগাদ করার প্রয়োজন হতে পারে। বিটা-ব্লকারগুলোর এমন কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যা জীবনযাত্রার গুণগত মানকে প্রভাবিত করতে পারে। যেমন: ক্লান্তি ও অবসাদ।
বিটা-ব্লকারগুলো কিছু রোগীর তেমন কোনো উপকারই করে না। তাই এসব সম্ভাব্য অসুবিধা এড়ানোর জন্য এই ওষুধ গ্রহণ না করাই ভালো।
তবে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করেই রোগী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। একেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে। একজনের জন্য এই ওষুধ কার্যকর হলেও অন্যের জন্য তা কার্যকর নাও হতে পারে।
তবে অন্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিষয়টি নিয়ে আরও বিস্তৃত গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, যদিও বিটা-ব্লকারগুলো উচ্চ ঝুঁকির হার্ট অ্যাটাক রোগীদের সাহায্য করতে পারে বলে প্রমাণিত হয়েছে, তবে নিম্ন ঝুঁকির রোগীদের জন্য কতটুকু উপকার করে তা স্পষ্ট নয়। যারা ইতিমধ্যে অন্য চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং যাদের হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রয়েছে, তাঁদের এই ওষুধগুলোর সেবনের প্রয়োজন নাও হতে পারে।
অ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
১৬ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
২০ ঘণ্টা আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
১ দিন আগেস্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন।
২ দিন আগে