অনলাইন ডেস্ক
অ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
গবেষণায় দেখা যায়, যেসব শিশুর হাঁপানি আছে, তারা স্মৃতিশক্তি-নির্ভর এবং মনোযোগ দেওয়ার মতো কাজগুলোতে যাদের হাঁপানি নেই—এমন শিশুদের তুলনায় ভালো পারফর্ম করতে পারেনি। যাদের রোগটি কম বয়সে শুরু হয়েছে, তারা স্মৃতি মনে রাখার পরীক্ষায় আরও কম নম্বর পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল জার্নাল ‘জামা নেটওয়ার্ক ওপেন’–এ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
বিস্তারিত তথ্যসহ অতীতের ঘটনা মনে রাখার ক্ষমতাকে এপিসোডিক মেমোরি বলে। এই স্মৃতির জন্য হিপ্পোক্যাম্পাসের অখণ্ডতা প্রয়োজন। কারণ, পরিবেশের প্রভাবে নতুন সংযোগগুলো ক্রমাগতভাবে হিপ্পোক্যাম্পাসে তৈরি হয়। অতীতের ঘটনা সম্পর্কে নির্দিষ্ট বিষয় বিস্তারিত মনে রাখার সঙ্গে সম্পর্কিত এই ধরনের স্মৃতি। যেমন—কখন এবং কোথায় কী ঘটনা ঘটেছিল, কারা উপস্থিত ছিল এবং সেই মুহূর্তে কী ধরনের অনুভূতি ও চিন্তা হয়েছিল।
গবেষকদের মতে, হাঁপানিতে আক্রান্ত শিশুদের স্মৃতির ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। বয়স্ক ব্যক্তি এবং প্রাণীদের ওপর পরিচালিত গবেষণা থেকেও জানা যায়, হাঁপানি ডিমেনশিয়া এবং আলঝাইমারের রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার মনোবিজ্ঞান বিভাগের পিএইচডি ছাত্র এবং এই গবেষণার প্রধান লেখক নিকোলাস ক্রিস্টোফার-হেইস বলেছেন, ‘হাঁপানি শিশুদের এমন এক বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যা পরবর্তীকালে আরও গুরুতর কিছু রোগ যেমন ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।’
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সিমোনা গেটি বলেছেন, ‘শিশুদের মধ্যে সম্ভাব্য কগনেটিভ বা জ্ঞানভিত্তিক সমস্যার উৎস হিসেবে এই গবেষণায় হাঁপানিকে তুলে ধরা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে আরও সচেতন হচ্ছি। কেবল হাঁপানি নয়, বরং ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগও শিশুদের কগনেটিভ সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।’
হাঁপানি-সম্পর্কিত স্মৃতির সমস্যাগুলোর করা কিছু সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করেছেন গবেষকেরা। হাঁপানির কারণে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ হয় অথবা মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যাঘাত ঘটে।
ইঁদুরের ওপর পরীক্ষায় দেখা গেছে, হাঁপানি হিপ্পোক্যাম্পাসের স্নায়ুর ক্ষতি সৃষ্টি করে। হিপ্পোক্যাম্পাস মস্তিষ্কের একটি অংশ এবং এটি স্নায়ু প্রদাহজনিত প্রতিক্রিয়ার প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। শ্বাসকষ্টের কারণে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব হতে পারে, যা হিপ্পোক্যাম্পাসের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
অন্যান্য গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, হাঁপানিতে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে মনোযোগ, কার্যকরী দক্ষতা, দৃষ্টিগত স্মৃতি এবং কাজের স্মৃতি এর ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। হাঁপানি থাকা শিশুদের জন্য মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা অধিক কঠিন হয়।
পূর্ববর্তী গবেষণায় উঠে এসেছে, হাঁপানি থাকা শিশুদের মধ্যে যারা উচ্চমাত্রায় কোর্টিকোস্টেরয়েড (ওষুধ) গ্রহণ করে, তাদের স্মৃতিশক্তি কমে যায়। অপর দিকে যেসব শিশু কোর্টিকোস্টেরয়েড কম মাত্রায় গ্রহণ করে তাদের স্মৃতির তুলনামূলক ভালো থাকে।
গবেষণায় ২ হাজার ৬২ জন শিশুর ওপর পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৩১ জনের হাঁপানি ছিল এবং তাদের গড় বয়স ছিল ১১ দশমিক ৯৯ বছর। চলমান ‘অ্যাডোলেসেন্ট ব্রেইন কগনেটিভ ডেভেলপমেন্ট (এবিসিডি)’ গবেষণার অংশ হিসেবে এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করা হয়। এ জন্য ১১ হাজার ৮০০ জন শিশুকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। আরেকটি ছোট গ্রুপে দুই বছর ধরে ৪৭৩ জন শিশুকে অনুসরণ করা হয়। এই শিশুদের হাঁপানি আক্রান্ত হওয়ার বয়স অনুযায়ী দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে।
প্রথম গ্রুপে ছিল ১৩৫ জন শিশু, যাদের হাঁপানি শৈশবে শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে ৫৬ শতাংশ ছিল ছেলে। প্রথম গ্রুপের জাতিগত বৈচিত্র্যে ২৮ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ, ২১ শতাংশ লাতিনের বা হিস্পানিক শিশু, এবং ৪৭ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ শিশু ছিল।
দ্বিতীয় গ্রুপে ছিল ১০২ জন শিশু, যাদের হাঁপানি লক্ষণগুলো তুলনামূলকভাবে দেরিতে দেখা গিয়েছিল। এই গ্রুপের শিশুদের গড় বয়স ৯ দশমিক ৮৮ বছর, এবং তাদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ ছিল মেয়ে। দ্বিতীয় গ্রুপের জাতিগত বৈচিত্র্যে ১৭ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ, ১৯ শতাংশ লাতিন বা হিস্পানিক শিশু, এবং ৬৩ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ শিশু ছিল।
এই দুটি গ্রুপের তুলনা করা হয়েছিল তৃতীয় একটি গ্রুপের সঙ্গে, যার মধ্যে ছিল ২৩৭ জনের শিশুর হাঁপানি ছিল না। এই গ্রুপের শিশুদের গড় বয়স ৯ দশমিক ৮৯ বছর। তৃতীয় গ্রুপের জাতিগত বৈচিত্র্যে ১৫ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ, ২০ শতাংশ লাতিন বা হিস্পানিক শিশু, এবং ৬২ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ শিশু ছিল।
৪৭৩ জন শিশুর গ্রুপটিকে নিয়ে দুটি বছর ধরে অনুসরণের পর গবেষকেরা দেখতে পান যে, যাদের হাঁপানি আগে শুরু হয়েছিল বা যারা দীর্ঘ সময় ধরে হাঁপানিতে আক্রান্ত ছিল, তাদের স্মৃতি মনে রাখার ক্ষমতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে গেছে। যারা শৈশবে হাঁপানিতে আক্রান্ত হয়েছিল, তাদের স্মৃতি মনে রাখার ক্ষমতা সেসব শিশুদের তুলনায় কম ছিল, যারা পরে হাঁপানিতে আক্রান্ত হয়েছিল বা যারা হাঁপানিতে কখনো আক্রান্ত হয়নি।
নিকোলাস ক্রিস্টোফার-হেইস বলেন, শৈশবে স্মৃতি শক্তি এবং সাধারণভাবে কগনেটিভ (জ্ঞানীয়) ক্ষমতা উন্নয়ন হয়। তবে হাঁপানিতে আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে সেই উন্নয়ন ধীর গতিতে হতে পারে।
গবেষণায় হাঁপানিতে আক্রান্ত শিশুরা এপিসোডিক মেমোরি, প্রোসেসিং স্পিড এবং কার্যকরী দক্ষতার (যেমন—মনোযোগ) পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছে। প্রশ্নের উত্তর দিতে গড়ে বেশি সময় বেশি লেগেছে এসব শিশুদের। এই ফলাফলগুলো নির্দেশ করে যে, হাঁপানি শিশুদের স্মৃতি, প্রোসেসিং স্পিড এবং কার্যকরী দক্ষতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এই নেতিবাচক প্রভাব শিশুদের একাডেমিক পারফরম্যান্স এবং মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করতে পারে।
এই শিশুদের হাঁপানি আক্রমণ কতটা ঘন ঘন এবং কতটা তীব্র ছিল এবং তা তাদের বিকাশকে কীভাবে প্রভাবিত করেছে তা এই গবেষণায় পর্যালোচনা করা হয়নি। তারা এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি যে, কোর্টিকোস্টেরয়েড যুক্ত ইনহেলার ব্যবহার শিশুদের মস্তিষ্কে কোনো প্রভাব ফেলেছে কিনা।
গবেষকদের মতে, হাঁপানি আক্রমণের কারণে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ বা বারবার মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যাঘাত কগনেটিভ (জ্ঞানীয়) ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে রোগের স্থায়িত্বও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, কারণ হাঁপানির স্থায়ীত্ব প্রাপ্তবয়স্কদের মস্তিষ্কের গঠন এবং কার্যকারিতায় পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত।
তথ্যসূত্র: দ্য জেরুজালেম পোস্ট
অ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
গবেষণায় দেখা যায়, যেসব শিশুর হাঁপানি আছে, তারা স্মৃতিশক্তি-নির্ভর এবং মনোযোগ দেওয়ার মতো কাজগুলোতে যাদের হাঁপানি নেই—এমন শিশুদের তুলনায় ভালো পারফর্ম করতে পারেনি। যাদের রোগটি কম বয়সে শুরু হয়েছে, তারা স্মৃতি মনে রাখার পরীক্ষায় আরও কম নম্বর পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল জার্নাল ‘জামা নেটওয়ার্ক ওপেন’–এ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
বিস্তারিত তথ্যসহ অতীতের ঘটনা মনে রাখার ক্ষমতাকে এপিসোডিক মেমোরি বলে। এই স্মৃতির জন্য হিপ্পোক্যাম্পাসের অখণ্ডতা প্রয়োজন। কারণ, পরিবেশের প্রভাবে নতুন সংযোগগুলো ক্রমাগতভাবে হিপ্পোক্যাম্পাসে তৈরি হয়। অতীতের ঘটনা সম্পর্কে নির্দিষ্ট বিষয় বিস্তারিত মনে রাখার সঙ্গে সম্পর্কিত এই ধরনের স্মৃতি। যেমন—কখন এবং কোথায় কী ঘটনা ঘটেছিল, কারা উপস্থিত ছিল এবং সেই মুহূর্তে কী ধরনের অনুভূতি ও চিন্তা হয়েছিল।
গবেষকদের মতে, হাঁপানিতে আক্রান্ত শিশুদের স্মৃতির ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। বয়স্ক ব্যক্তি এবং প্রাণীদের ওপর পরিচালিত গবেষণা থেকেও জানা যায়, হাঁপানি ডিমেনশিয়া এবং আলঝাইমারের রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার মনোবিজ্ঞান বিভাগের পিএইচডি ছাত্র এবং এই গবেষণার প্রধান লেখক নিকোলাস ক্রিস্টোফার-হেইস বলেছেন, ‘হাঁপানি শিশুদের এমন এক বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যা পরবর্তীকালে আরও গুরুতর কিছু রোগ যেমন ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।’
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সিমোনা গেটি বলেছেন, ‘শিশুদের মধ্যে সম্ভাব্য কগনেটিভ বা জ্ঞানভিত্তিক সমস্যার উৎস হিসেবে এই গবেষণায় হাঁপানিকে তুলে ধরা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে আরও সচেতন হচ্ছি। কেবল হাঁপানি নয়, বরং ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগও শিশুদের কগনেটিভ সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।’
হাঁপানি-সম্পর্কিত স্মৃতির সমস্যাগুলোর করা কিছু সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করেছেন গবেষকেরা। হাঁপানির কারণে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ হয় অথবা মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যাঘাত ঘটে।
ইঁদুরের ওপর পরীক্ষায় দেখা গেছে, হাঁপানি হিপ্পোক্যাম্পাসের স্নায়ুর ক্ষতি সৃষ্টি করে। হিপ্পোক্যাম্পাস মস্তিষ্কের একটি অংশ এবং এটি স্নায়ু প্রদাহজনিত প্রতিক্রিয়ার প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। শ্বাসকষ্টের কারণে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব হতে পারে, যা হিপ্পোক্যাম্পাসের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
অন্যান্য গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, হাঁপানিতে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে মনোযোগ, কার্যকরী দক্ষতা, দৃষ্টিগত স্মৃতি এবং কাজের স্মৃতি এর ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। হাঁপানি থাকা শিশুদের জন্য মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা অধিক কঠিন হয়।
পূর্ববর্তী গবেষণায় উঠে এসেছে, হাঁপানি থাকা শিশুদের মধ্যে যারা উচ্চমাত্রায় কোর্টিকোস্টেরয়েড (ওষুধ) গ্রহণ করে, তাদের স্মৃতিশক্তি কমে যায়। অপর দিকে যেসব শিশু কোর্টিকোস্টেরয়েড কম মাত্রায় গ্রহণ করে তাদের স্মৃতির তুলনামূলক ভালো থাকে।
গবেষণায় ২ হাজার ৬২ জন শিশুর ওপর পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৩১ জনের হাঁপানি ছিল এবং তাদের গড় বয়স ছিল ১১ দশমিক ৯৯ বছর। চলমান ‘অ্যাডোলেসেন্ট ব্রেইন কগনেটিভ ডেভেলপমেন্ট (এবিসিডি)’ গবেষণার অংশ হিসেবে এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করা হয়। এ জন্য ১১ হাজার ৮০০ জন শিশুকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। আরেকটি ছোট গ্রুপে দুই বছর ধরে ৪৭৩ জন শিশুকে অনুসরণ করা হয়। এই শিশুদের হাঁপানি আক্রান্ত হওয়ার বয়স অনুযায়ী দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে।
প্রথম গ্রুপে ছিল ১৩৫ জন শিশু, যাদের হাঁপানি শৈশবে শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে ৫৬ শতাংশ ছিল ছেলে। প্রথম গ্রুপের জাতিগত বৈচিত্র্যে ২৮ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ, ২১ শতাংশ লাতিনের বা হিস্পানিক শিশু, এবং ৪৭ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ শিশু ছিল।
দ্বিতীয় গ্রুপে ছিল ১০২ জন শিশু, যাদের হাঁপানি লক্ষণগুলো তুলনামূলকভাবে দেরিতে দেখা গিয়েছিল। এই গ্রুপের শিশুদের গড় বয়স ৯ দশমিক ৮৮ বছর, এবং তাদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ ছিল মেয়ে। দ্বিতীয় গ্রুপের জাতিগত বৈচিত্র্যে ১৭ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ, ১৯ শতাংশ লাতিন বা হিস্পানিক শিশু, এবং ৬৩ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ শিশু ছিল।
এই দুটি গ্রুপের তুলনা করা হয়েছিল তৃতীয় একটি গ্রুপের সঙ্গে, যার মধ্যে ছিল ২৩৭ জনের শিশুর হাঁপানি ছিল না। এই গ্রুপের শিশুদের গড় বয়স ৯ দশমিক ৮৯ বছর। তৃতীয় গ্রুপের জাতিগত বৈচিত্র্যে ১৫ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ, ২০ শতাংশ লাতিন বা হিস্পানিক শিশু, এবং ৬২ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ শিশু ছিল।
৪৭৩ জন শিশুর গ্রুপটিকে নিয়ে দুটি বছর ধরে অনুসরণের পর গবেষকেরা দেখতে পান যে, যাদের হাঁপানি আগে শুরু হয়েছিল বা যারা দীর্ঘ সময় ধরে হাঁপানিতে আক্রান্ত ছিল, তাদের স্মৃতি মনে রাখার ক্ষমতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে গেছে। যারা শৈশবে হাঁপানিতে আক্রান্ত হয়েছিল, তাদের স্মৃতি মনে রাখার ক্ষমতা সেসব শিশুদের তুলনায় কম ছিল, যারা পরে হাঁপানিতে আক্রান্ত হয়েছিল বা যারা হাঁপানিতে কখনো আক্রান্ত হয়নি।
নিকোলাস ক্রিস্টোফার-হেইস বলেন, শৈশবে স্মৃতি শক্তি এবং সাধারণভাবে কগনেটিভ (জ্ঞানীয়) ক্ষমতা উন্নয়ন হয়। তবে হাঁপানিতে আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে সেই উন্নয়ন ধীর গতিতে হতে পারে।
গবেষণায় হাঁপানিতে আক্রান্ত শিশুরা এপিসোডিক মেমোরি, প্রোসেসিং স্পিড এবং কার্যকরী দক্ষতার (যেমন—মনোযোগ) পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছে। প্রশ্নের উত্তর দিতে গড়ে বেশি সময় বেশি লেগেছে এসব শিশুদের। এই ফলাফলগুলো নির্দেশ করে যে, হাঁপানি শিশুদের স্মৃতি, প্রোসেসিং স্পিড এবং কার্যকরী দক্ষতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এই নেতিবাচক প্রভাব শিশুদের একাডেমিক পারফরম্যান্স এবং মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করতে পারে।
এই শিশুদের হাঁপানি আক্রমণ কতটা ঘন ঘন এবং কতটা তীব্র ছিল এবং তা তাদের বিকাশকে কীভাবে প্রভাবিত করেছে তা এই গবেষণায় পর্যালোচনা করা হয়নি। তারা এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি যে, কোর্টিকোস্টেরয়েড যুক্ত ইনহেলার ব্যবহার শিশুদের মস্তিষ্কে কোনো প্রভাব ফেলেছে কিনা।
গবেষকদের মতে, হাঁপানি আক্রমণের কারণে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ বা বারবার মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যাঘাত কগনেটিভ (জ্ঞানীয়) ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে রোগের স্থায়িত্বও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, কারণ হাঁপানির স্থায়ীত্ব প্রাপ্তবয়স্কদের মস্তিষ্কের গঠন এবং কার্যকারিতায় পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত।
তথ্যসূত্র: দ্য জেরুজালেম পোস্ট
বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
২০ ঘণ্টা আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
১ দিন আগেস্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন।
২ দিন আগেকোলেস্টেরল ও ডিমেনশিয়ার বা স্নায়ুজনিত রোগের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা। নতুন গবেষণা বলা হয়েছে, বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে কোলেস্টেরলের স্তরের উল্লেখযোগ্য ওঠানামা ওষুধ পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বরং তা ডিমেনশিয়া বা স্নায়ুজনিত রোগের উচ্চ ঝুঁকি নির্দেশ করতে পারে।
২ দিন আগে