অনলাইন ডেস্ক
নাকের মাধ্যমে শ্বাস–প্রশ্বাস ও ঘ্রাণ নেওয়া হয়। খাবারে রুচি বৃদ্ধি বা অরুচির সঙ্গে ঘ্রাণের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। তবে নাকের এই ঘ্রাণশক্তি শরীরের নানা রোগ শনাক্তেও আগাম ধারণা দিতে পারে! এমনই চমকপ্রদ বিষয় আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঘ্রাণশক্তির সমস্যা শুধু অস্বস্তিকর বিষয়ই নয়, এটি অনেক ধরনের রোগের প্রাথমিক লক্ষণও হতে পারে।
ফ্রন্টিয়ার্স ইন মলিকুলার নিউরোসায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়, ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়ার সঙ্গে অন্তত ১৩৯টি বিভিন্ন রোগের সম্পর্ক রয়েছে। এসব রোগের মধ্যে আলঝেইমার, হৃদ্রোগ ও ডায়াবেটিসও রয়েছে। তাই গন্ধ না পাওয়া শরীরের বিভিন্ন রোগ থাকার সংকেত হতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে শরীরে বিভিন্ন রোগের সাধারণ লক্ষণ প্রকাশের আগেই মানুষ ঘ্রাণশক্তি হারায়।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দলের গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মানুষ পার্কিনসন (স্নায়ুতন্ত্রের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়, তারা রোগের লক্ষণ প্রকাশের অনেক আগে থেকেই ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলে।
একইভাবে আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায়ই ঘ্রাণশক্তি হারানোর সমস্যাকে তাদের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে উল্লেখ করে। এমনকি তাদের স্মৃতিশক্তিতে কোনো সমস্যা দেখা দেওয়ার আগেই তারা ঘ্রাণশক্তি হারায়। তারা শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রদাহের সঙ্গে গন্ধ হারানোর মধ্যে একটি স্পষ্ট সম্পর্কও উল্লেখ করেন।
ঘ্রাণশক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত স্নায়ুতন্ত্র হলো অলফ্যাক্টরি। মানুষের শরীরের এই সংবেদী ব্যবস্থা সরাসরি মস্তিষ্কের স্মৃতি কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত।
গবেষকেরা বলেন, ঘ্রাণশক্তি হারানোর সঙ্গে ১৩৯টি রোগ সম্পর্কিত। তাঁরা রোগগুলো তিনটি প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত করেছেন—নিউরোলজিক্যাল (মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্র সম্পর্কিত), সোম্যাটিক (শরীরের বিভিন্ন অংশ সম্পর্কিত) এবং কনজেনিটাল বা হেরেডিটারি (বংশগত রোগ)।
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, যেমন—বিষণ্নতা এবং উদ্বেগ থেকে শুরু করে শারীরিক রোগ, যেমন—ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগ এসব শ্রেণিভুক্ত।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের স্নায়ুতন্ত্র অলফ্যাক্টরিকে উদ্দীপিত করার মাধ্যমে মানুষ এসব রোগের অনেক উপসর্গ থেকে উপশম পেতে পারে। এর জন্য বিভিন্ন তীব্র ও কটু গন্ধে শুঁকে অলফ্যাক্টরিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে।
নতুন গবেষণায় দেখা গেছেে, ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রংশ) আক্রান্ত রোগীরা দুই সপ্তাহ ধরে দিনে দুবার ৪০টি ভিন্ন গন্ধ নিলে তাদের স্মৃতি, মনোযোগ এবং ভাষার দক্ষতার উন্নতি হয়েছে।
এই উদ্ভাবনী পদ্ধতির নেতৃত্ব দেওয়া অধ্যাপক মাইকেল লিয়ন বলেছেন, ‘আমরা আগেই জানিয়েছিলাম, ঘ্রাণশক্তির উন্নতি প্রবীণদের স্মৃতিকে ২২৬ শতাংশ উন্নত করতে পারে। আর এখন আমরা জানি যে সুঘ্রাণ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে, এই গন্ধগুলো মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে।
ঘ্রাণশক্তি হারানোর সঙ্গে সম্পর্কিত রোগগুলোর তালিকা—
নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার (স্নায়ুতন্ত্রের বিকার): আলঝেইমার, পার্কিনসন, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, বিষণ্নতা, উদ্বেগ, অটিজম, এপিলেপসি, ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম, স্মৃতিভ্রম, দীর্ঘকালীন কোভিড, মাইগ্রেন, ঘুমের ব্যাধি, পোস্ট-ট্রম্যাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি), সিজোফ্রেনিয়া, ট্রমাটিক ব্রেন ইনজুরি, স্ট্রোক, ক্লাস্টার মাইগ্রেন, ফাইব্রোমায়ালজিয়া, বিভিন্ন ধরনের ডিমেনশিয়া মস্তিষ্ক এবং নার্ভের কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য অবস্থা।
বডি ওয়াইড কন্ডিশন (শারীরিক সমস্যা): কোভিড ১৯, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, মেদ, ক্যানসার (মাথা ও ঘাড়), এইচআইভি এইডস, অ্যালার্জি, অ্যাজমা, আর্থরাইটিস, সিলিয়াক রোগ, ক্রোনের রোগ, সিরোসিস, কিডনি রোগ, পুষ্টিহীনতা, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েডের সমস্যা, ভিটামিন বি১২ স্বল্পতা, ভিটামিন ডি স্বল্পতা বিভিন্ন শরীরের সিস্টেমকে প্রভাবিত করা অন্যান্য অসংখ্য অবস্থা।
জেনেটিক কন্ডিশন (জিনগত সমস্যা): ডাউন সিনড্রোম, ফ্র্যাজাইল এক্স সিনড্রোম, সিস্টিক ফাইব্রোসি, উইলসন রোগ, বিভিন্ন বিরল জিনগত রোগ যা বিপাক ক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
নাকের মাধ্যমে শ্বাস–প্রশ্বাস ও ঘ্রাণ নেওয়া হয়। খাবারে রুচি বৃদ্ধি বা অরুচির সঙ্গে ঘ্রাণের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। তবে নাকের এই ঘ্রাণশক্তি শরীরের নানা রোগ শনাক্তেও আগাম ধারণা দিতে পারে! এমনই চমকপ্রদ বিষয় আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঘ্রাণশক্তির সমস্যা শুধু অস্বস্তিকর বিষয়ই নয়, এটি অনেক ধরনের রোগের প্রাথমিক লক্ষণও হতে পারে।
ফ্রন্টিয়ার্স ইন মলিকুলার নিউরোসায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়, ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়ার সঙ্গে অন্তত ১৩৯টি বিভিন্ন রোগের সম্পর্ক রয়েছে। এসব রোগের মধ্যে আলঝেইমার, হৃদ্রোগ ও ডায়াবেটিসও রয়েছে। তাই গন্ধ না পাওয়া শরীরের বিভিন্ন রোগ থাকার সংকেত হতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে শরীরে বিভিন্ন রোগের সাধারণ লক্ষণ প্রকাশের আগেই মানুষ ঘ্রাণশক্তি হারায়।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দলের গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মানুষ পার্কিনসন (স্নায়ুতন্ত্রের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়, তারা রোগের লক্ষণ প্রকাশের অনেক আগে থেকেই ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলে।
একইভাবে আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায়ই ঘ্রাণশক্তি হারানোর সমস্যাকে তাদের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে উল্লেখ করে। এমনকি তাদের স্মৃতিশক্তিতে কোনো সমস্যা দেখা দেওয়ার আগেই তারা ঘ্রাণশক্তি হারায়। তারা শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রদাহের সঙ্গে গন্ধ হারানোর মধ্যে একটি স্পষ্ট সম্পর্কও উল্লেখ করেন।
ঘ্রাণশক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত স্নায়ুতন্ত্র হলো অলফ্যাক্টরি। মানুষের শরীরের এই সংবেদী ব্যবস্থা সরাসরি মস্তিষ্কের স্মৃতি কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত।
গবেষকেরা বলেন, ঘ্রাণশক্তি হারানোর সঙ্গে ১৩৯টি রোগ সম্পর্কিত। তাঁরা রোগগুলো তিনটি প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত করেছেন—নিউরোলজিক্যাল (মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্র সম্পর্কিত), সোম্যাটিক (শরীরের বিভিন্ন অংশ সম্পর্কিত) এবং কনজেনিটাল বা হেরেডিটারি (বংশগত রোগ)।
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, যেমন—বিষণ্নতা এবং উদ্বেগ থেকে শুরু করে শারীরিক রোগ, যেমন—ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগ এসব শ্রেণিভুক্ত।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের স্নায়ুতন্ত্র অলফ্যাক্টরিকে উদ্দীপিত করার মাধ্যমে মানুষ এসব রোগের অনেক উপসর্গ থেকে উপশম পেতে পারে। এর জন্য বিভিন্ন তীব্র ও কটু গন্ধে শুঁকে অলফ্যাক্টরিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে।
নতুন গবেষণায় দেখা গেছেে, ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রংশ) আক্রান্ত রোগীরা দুই সপ্তাহ ধরে দিনে দুবার ৪০টি ভিন্ন গন্ধ নিলে তাদের স্মৃতি, মনোযোগ এবং ভাষার দক্ষতার উন্নতি হয়েছে।
এই উদ্ভাবনী পদ্ধতির নেতৃত্ব দেওয়া অধ্যাপক মাইকেল লিয়ন বলেছেন, ‘আমরা আগেই জানিয়েছিলাম, ঘ্রাণশক্তির উন্নতি প্রবীণদের স্মৃতিকে ২২৬ শতাংশ উন্নত করতে পারে। আর এখন আমরা জানি যে সুঘ্রাণ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে, এই গন্ধগুলো মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে।
ঘ্রাণশক্তি হারানোর সঙ্গে সম্পর্কিত রোগগুলোর তালিকা—
নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার (স্নায়ুতন্ত্রের বিকার): আলঝেইমার, পার্কিনসন, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, বিষণ্নতা, উদ্বেগ, অটিজম, এপিলেপসি, ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম, স্মৃতিভ্রম, দীর্ঘকালীন কোভিড, মাইগ্রেন, ঘুমের ব্যাধি, পোস্ট-ট্রম্যাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি), সিজোফ্রেনিয়া, ট্রমাটিক ব্রেন ইনজুরি, স্ট্রোক, ক্লাস্টার মাইগ্রেন, ফাইব্রোমায়ালজিয়া, বিভিন্ন ধরনের ডিমেনশিয়া মস্তিষ্ক এবং নার্ভের কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য অবস্থা।
বডি ওয়াইড কন্ডিশন (শারীরিক সমস্যা): কোভিড ১৯, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, মেদ, ক্যানসার (মাথা ও ঘাড়), এইচআইভি এইডস, অ্যালার্জি, অ্যাজমা, আর্থরাইটিস, সিলিয়াক রোগ, ক্রোনের রোগ, সিরোসিস, কিডনি রোগ, পুষ্টিহীনতা, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েডের সমস্যা, ভিটামিন বি১২ স্বল্পতা, ভিটামিন ডি স্বল্পতা বিভিন্ন শরীরের সিস্টেমকে প্রভাবিত করা অন্যান্য অসংখ্য অবস্থা।
জেনেটিক কন্ডিশন (জিনগত সমস্যা): ডাউন সিনড্রোম, ফ্র্যাজাইল এক্স সিনড্রোম, সিস্টিক ফাইব্রোসি, উইলসন রোগ, বিভিন্ন বিরল জিনগত রোগ যা বিপাক ক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
অ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
১৯ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
১ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগেস্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন।
২ দিন আগে