অধ্যাপক ডা. ইমনুল ইসলাম
বসন্ত রোগটি পৃথিবী থেকে প্রায় নির্মূল হয়ে গেলেও চিকেন পক্স বা জলবসন্ত এখনো আছে। এটি বেশ পরিচিত ও ছোঁয়াচে ভাইরাসঘটিত রোগ। এই ভাইরাসের নাম ভ্যারিসেলা জন্টার। যেকোনো বয়সের লোক এতে আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগের তীব্রতায় নবজাতক ও ক্ষেত্রবিশেষে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের মৃত্যুর আশঙ্কা থাকলেও রোগটি সাধারণত ঝুঁকিপূর্ণ নয়। কখনো একে নিজ থেকে ভালো হয়ে যেতে দেখা যায়। তবে এই ভ্যারিসেলা জস্টার জীবাণুটি রোগীর দেহে সুপ্ত অবস্থায় থেকে যায় এবং পুনরায় সক্রিয় হয়ে হারপিস জাস্টার রোগের সৃষ্টি করে।
যেভাবে ছড়ায়
ছড়ানোর সময়
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে ঠান্ডার সময় এ রোগ বেশি দেখা দিলেও মহামারি আকারে বছরজুড়েই এর বিস্তার দেখা যেতে পারে।
বিস্তারকাল
র্যাশ অথবা দানা ওঠার দুদিন আগে থেকে শুরু করে দানাগুলো শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত।
লক্ষণ
সাধারণত ২ থেকে ৮ বছরের শিশুদের বেশি হতে দেখা যায় এ রোগ। রোগটির সুপ্তকাল অতিক্রম করে প্রথম দিকে জ্বর ১০০ থেকে ১০৬ ডিগ্রি পর্যন্ত ওঠে। ক্লান্ত লাগা, মাথাব্যথা, অরুচি ও বমিভাব হতে দেখা যায়। তবে এক বছর বয়সের নিচের শিশুদের প্রাথমিক এই লক্ষণগুলো সাধারণত দেখা যায় না। এ ক্ষেত্রে সরাসরি প্রথম দিনেই চামড়ায় র্যাশ অথবা লালচে দাগ দেখা যেতে পারে। দানাগুলো প্রথম দিকে লালচে ভাব, পরে উঁচু হয়ে পানিপূর্ণ হয়ে ৩ থেকে ৪ দিন থাকার পর ঘোলাটে হয়ে যায়। শেষে দানাগুলো শুকিয়ে গিয়ে আলগা আবরণ খসে পড়তে দেখা যায়। চামড়ার এই সংক্রমণ মাথা ও মুখমণ্ডল থেকে শুরু করে বুক, পেট, হাত, পা, মুখগহ্বর, জিহ্বা, চোখসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে পারে।
প্রথম দিকের দানাগুলো শুকাতে শুরু করলেও নতুন নতুন দানা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উঠতে দেখা যায়। এগুলোর সংখ্যা ২০০ থেকে ৩০০টি পর্যন্ত হতে পারে। বিশেষ ক্ষেত্রে সংখ্যা দেড় হাজার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
চিকেন পক্সের টিকা দেওয়া থাকলে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায় শতভাগ। তবে টিকা দেওয়া থাকলেও ওয়াইল্ড টাইপের ভাইরাসের মাধ্যমে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে ক্ষেত্রে রোগটির তীব্রতা কম হয়ে থাকে।
জলবসন্ত থেকে জটিলতা
রোগের সুপ্তকাল
১৪ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত রোগটি মানবদেহে সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে।
চিকিৎসাব্যবস্থা
প্রতিরোধ
চিকেন পক্স ছোঁয়াচে হওয়ায় আক্রান্ত শিশুদের সুস্থ শিশুদের কাছ থেকে আলাদা রাখতে হবে। দুর্ভাগ্যের কথা, র্যাশগুলো চোখে পড়ার দু-এক দিন আগে থেকে জলবসন্তের জীবাণু ছড়াতে শুরু করে। চিকেন পক্সের টিকা দিয়ে এ রোগের বিরুদ্ধে দীর্ঘকালীন প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব। ৯ মাস বয়সের পর থেকে এই টিকা দেওয়া যায়। ১২ বছর পর্যন্ত একটি ডোজ ও ১২ বছরের বেশি হলে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি ডোজ দিতে হয়। যেকোনো টিকা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে দেওয়া উচিত।
পরামর্শ: শিশু বিভাগ, আলোক হেলথ কেয়ার লিমিটেড, মিরপুর-১০, ঢাকা
বসন্ত রোগটি পৃথিবী থেকে প্রায় নির্মূল হয়ে গেলেও চিকেন পক্স বা জলবসন্ত এখনো আছে। এটি বেশ পরিচিত ও ছোঁয়াচে ভাইরাসঘটিত রোগ। এই ভাইরাসের নাম ভ্যারিসেলা জন্টার। যেকোনো বয়সের লোক এতে আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগের তীব্রতায় নবজাতক ও ক্ষেত্রবিশেষে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের মৃত্যুর আশঙ্কা থাকলেও রোগটি সাধারণত ঝুঁকিপূর্ণ নয়। কখনো একে নিজ থেকে ভালো হয়ে যেতে দেখা যায়। তবে এই ভ্যারিসেলা জস্টার জীবাণুটি রোগীর দেহে সুপ্ত অবস্থায় থেকে যায় এবং পুনরায় সক্রিয় হয়ে হারপিস জাস্টার রোগের সৃষ্টি করে।
যেভাবে ছড়ায়
ছড়ানোর সময়
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে ঠান্ডার সময় এ রোগ বেশি দেখা দিলেও মহামারি আকারে বছরজুড়েই এর বিস্তার দেখা যেতে পারে।
বিস্তারকাল
র্যাশ অথবা দানা ওঠার দুদিন আগে থেকে শুরু করে দানাগুলো শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত।
লক্ষণ
সাধারণত ২ থেকে ৮ বছরের শিশুদের বেশি হতে দেখা যায় এ রোগ। রোগটির সুপ্তকাল অতিক্রম করে প্রথম দিকে জ্বর ১০০ থেকে ১০৬ ডিগ্রি পর্যন্ত ওঠে। ক্লান্ত লাগা, মাথাব্যথা, অরুচি ও বমিভাব হতে দেখা যায়। তবে এক বছর বয়সের নিচের শিশুদের প্রাথমিক এই লক্ষণগুলো সাধারণত দেখা যায় না। এ ক্ষেত্রে সরাসরি প্রথম দিনেই চামড়ায় র্যাশ অথবা লালচে দাগ দেখা যেতে পারে। দানাগুলো প্রথম দিকে লালচে ভাব, পরে উঁচু হয়ে পানিপূর্ণ হয়ে ৩ থেকে ৪ দিন থাকার পর ঘোলাটে হয়ে যায়। শেষে দানাগুলো শুকিয়ে গিয়ে আলগা আবরণ খসে পড়তে দেখা যায়। চামড়ার এই সংক্রমণ মাথা ও মুখমণ্ডল থেকে শুরু করে বুক, পেট, হাত, পা, মুখগহ্বর, জিহ্বা, চোখসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে পারে।
প্রথম দিকের দানাগুলো শুকাতে শুরু করলেও নতুন নতুন দানা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উঠতে দেখা যায়। এগুলোর সংখ্যা ২০০ থেকে ৩০০টি পর্যন্ত হতে পারে। বিশেষ ক্ষেত্রে সংখ্যা দেড় হাজার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
চিকেন পক্সের টিকা দেওয়া থাকলে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায় শতভাগ। তবে টিকা দেওয়া থাকলেও ওয়াইল্ড টাইপের ভাইরাসের মাধ্যমে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে ক্ষেত্রে রোগটির তীব্রতা কম হয়ে থাকে।
জলবসন্ত থেকে জটিলতা
রোগের সুপ্তকাল
১৪ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত রোগটি মানবদেহে সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে।
চিকিৎসাব্যবস্থা
প্রতিরোধ
চিকেন পক্স ছোঁয়াচে হওয়ায় আক্রান্ত শিশুদের সুস্থ শিশুদের কাছ থেকে আলাদা রাখতে হবে। দুর্ভাগ্যের কথা, র্যাশগুলো চোখে পড়ার দু-এক দিন আগে থেকে জলবসন্তের জীবাণু ছড়াতে শুরু করে। চিকেন পক্সের টিকা দিয়ে এ রোগের বিরুদ্ধে দীর্ঘকালীন প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব। ৯ মাস বয়সের পর থেকে এই টিকা দেওয়া যায়। ১২ বছর পর্যন্ত একটি ডোজ ও ১২ বছরের বেশি হলে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি ডোজ দিতে হয়। যেকোনো টিকা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে দেওয়া উচিত।
পরামর্শ: শিশু বিভাগ, আলোক হেলথ কেয়ার লিমিটেড, মিরপুর-১০, ঢাকা
অ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
১৮ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
১ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগেস্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন।
২ দিন আগে