মাসুমা চৌধুরী
আমাদের প্রচলিত অনেক রকম নিরামিষ রান্না আছে; যেমন—সবজি ভাজি, সবজি বড়া, বিভিন্ন রকম ডাল, বিভিন্ন রকম ভর্তা ইত্যাদি। কথায় নিরামিষ বললেও আসলে কোনো কিছুই আমিষবিহীন খাবার নয়; ভাত, ডাল, আটা—সবকিছুতেই কোনো না কোনো আমিষ বা প্রোটিন রয়েছে। যেমন চালে আছে মেথেওনিন নামক প্রোটিন, আবার ডালে লাইসিন নামক প্রোটিন। চাল ও ডালের মিশ্রণে তৈরি খাবার তাই উত্তম নিরামিষ জাতীয় খাবার হতে পারে; যেমন—খিচুড়ি।
নিরামিষ ভোজনের সংজ্ঞা অনুযায়ী প্রাণীজ উৎস যেমন—মাছ, মাংস, ডিম, সামুদ্রিক অন্যান্য প্রাণী না খাওয়ার চর্চা করাকেই বোঝায়। কিছু ক্ষেত্রে পেঁয়াজ, রসুনের মতো মসলাকে বাদ দেওয়াও নিরামিষ খাওয়ার চর্চার মধ্যে গণ্য করা হয়। প্রাচীন ভারত, দক্ষিণ ইতালি ও গ্রিসের প্রাচীনতম নিদর্শনে নিরামিষ খাওয়ার চর্চার ধারণা পাওয়া যায়। মধ্যযুগে ইউরোপের কিছু সাধু মাংস না খেলেও মাছ খেতেন। তাঁরা কিছুটা নিরামিষভোজী ছিলেন। রেনেসাঁর সময়ে নিরামিষ খাওয়ার চর্চা আবার ফিরে আসে এবং ১৯-২০ শতকে তা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
মাংস, মাছ, ডিম ইত্যাদি আমিষের ভালো উৎস। শিশুর শারীরিক বিকাশে এ ধরনের প্রাণীজ খাবার দরকার। তবে মাংস, মাছ, ডিম না খেয়েও উদ্ভিজ্জ খাবারের মধ্যেও উচ্চ প্রোটিন পাওয়া সম্ভব। এ জন্য খাবার মেনুতে থাকতে হবে ছানা, পনির, টফু, সয়াবিন, বিভিন্ন রকম বাদাম, মাশরুম, বিভিন্ন রকম ডাল, মটরশুঁটি, ফুলকপি, ব্রকলি এবং বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। এতে জিংক ও ক্যালসিয়ামের চাহিদা কিছু মেটানো যাবে। সেই সঙ্গে মানতে হবে নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস।
নিরামিষভোজীদের খাবারে কিছু খাদ্য উপাদান যোগ করলে তা ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, স্ট্রোক, কর্কট বা ক্যানসার রোগসহ বিভিন্ন রোগের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। যেমন—কাউন, ডাল, দানা শস্য, বাদাম, পনির, মাখন ও দুধ। কাউনে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড ও ফাইবার থাকে, যা রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফাইবার থাকায় পেট অনেক সময় ধরে ভরা থাকে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। লো ফ্যাট দুধ ও পনির লিনোলিক অ্যাসিড এবং ক্যালসিয়াম থাকে হাড়ের ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে। বাদামে থাকে উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন-ই, যা অন্তঃপ্রদাহ ও ত্বকের রোগ থেকে রক্ষা করে। নিরামিষভোজীরা উদ্বিগ্নতা, রক্তস্বল্পতা, হাড় ক্ষয়সহ ত্বকের বিভিন্ন রোগে ভুগে থাকেন। তাই নিরামিষভোজীদের খাবার থেকে সঠিক পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ এবং বিভিন্ন ধরনের, বিভিন্ন রঙের ফল-মূল, শাক-সবজি নিয়মিত গ্রহণে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
লেখক: পুষ্টিবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
আমাদের প্রচলিত অনেক রকম নিরামিষ রান্না আছে; যেমন—সবজি ভাজি, সবজি বড়া, বিভিন্ন রকম ডাল, বিভিন্ন রকম ভর্তা ইত্যাদি। কথায় নিরামিষ বললেও আসলে কোনো কিছুই আমিষবিহীন খাবার নয়; ভাত, ডাল, আটা—সবকিছুতেই কোনো না কোনো আমিষ বা প্রোটিন রয়েছে। যেমন চালে আছে মেথেওনিন নামক প্রোটিন, আবার ডালে লাইসিন নামক প্রোটিন। চাল ও ডালের মিশ্রণে তৈরি খাবার তাই উত্তম নিরামিষ জাতীয় খাবার হতে পারে; যেমন—খিচুড়ি।
নিরামিষ ভোজনের সংজ্ঞা অনুযায়ী প্রাণীজ উৎস যেমন—মাছ, মাংস, ডিম, সামুদ্রিক অন্যান্য প্রাণী না খাওয়ার চর্চা করাকেই বোঝায়। কিছু ক্ষেত্রে পেঁয়াজ, রসুনের মতো মসলাকে বাদ দেওয়াও নিরামিষ খাওয়ার চর্চার মধ্যে গণ্য করা হয়। প্রাচীন ভারত, দক্ষিণ ইতালি ও গ্রিসের প্রাচীনতম নিদর্শনে নিরামিষ খাওয়ার চর্চার ধারণা পাওয়া যায়। মধ্যযুগে ইউরোপের কিছু সাধু মাংস না খেলেও মাছ খেতেন। তাঁরা কিছুটা নিরামিষভোজী ছিলেন। রেনেসাঁর সময়ে নিরামিষ খাওয়ার চর্চা আবার ফিরে আসে এবং ১৯-২০ শতকে তা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
মাংস, মাছ, ডিম ইত্যাদি আমিষের ভালো উৎস। শিশুর শারীরিক বিকাশে এ ধরনের প্রাণীজ খাবার দরকার। তবে মাংস, মাছ, ডিম না খেয়েও উদ্ভিজ্জ খাবারের মধ্যেও উচ্চ প্রোটিন পাওয়া সম্ভব। এ জন্য খাবার মেনুতে থাকতে হবে ছানা, পনির, টফু, সয়াবিন, বিভিন্ন রকম বাদাম, মাশরুম, বিভিন্ন রকম ডাল, মটরশুঁটি, ফুলকপি, ব্রকলি এবং বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। এতে জিংক ও ক্যালসিয়ামের চাহিদা কিছু মেটানো যাবে। সেই সঙ্গে মানতে হবে নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস।
নিরামিষভোজীদের খাবারে কিছু খাদ্য উপাদান যোগ করলে তা ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, স্ট্রোক, কর্কট বা ক্যানসার রোগসহ বিভিন্ন রোগের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। যেমন—কাউন, ডাল, দানা শস্য, বাদাম, পনির, মাখন ও দুধ। কাউনে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড ও ফাইবার থাকে, যা রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফাইবার থাকায় পেট অনেক সময় ধরে ভরা থাকে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। লো ফ্যাট দুধ ও পনির লিনোলিক অ্যাসিড এবং ক্যালসিয়াম থাকে হাড়ের ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে। বাদামে থাকে উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন-ই, যা অন্তঃপ্রদাহ ও ত্বকের রোগ থেকে রক্ষা করে। নিরামিষভোজীরা উদ্বিগ্নতা, রক্তস্বল্পতা, হাড় ক্ষয়সহ ত্বকের বিভিন্ন রোগে ভুগে থাকেন। তাই নিরামিষভোজীদের খাবার থেকে সঠিক পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ এবং বিভিন্ন ধরনের, বিভিন্ন রঙের ফল-মূল, শাক-সবজি নিয়মিত গ্রহণে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
লেখক: পুষ্টিবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
বিশ্বে প্রথমবারের মতো সফলভাবে স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করে তিনজন ব্যক্তির চোখের ঝাপসা দৃষ্টি সারিয়ে ফেলেছেন জাপানের গবেষকেরা। চোখের কর্নিয়ার গুরুতর ক্ষতির কারণে তাদের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। এই গবেষণামূলক চিকিৎসা পদ্ধতিটি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
১২ ঘণ্টা আগেঅ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
২ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগে