আলমগীর আলম
দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যার ক্ষতচিহ্ন। পানি নেমে গেলেই শুরু হবে নানান রোগের প্রকোপ। বন্যার পরপরই পানিবাহিত রোগ, চুলকানি, ডায়রিয়া, জ্বর, ফ্লুর মতো নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা থাকে। সেই সঙ্গে বাড়ে মশার প্রকোপ। এ সময় যতই এড়িয়ে চলা হোক, মশাবাহিত রোগ পিছু ছাড়বে না। কারণ, এ সময় মশার কামড় এড়ানো খুবই কঠিন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য রোগের সঙ্গে বাড়বে ডেঙ্গি বা ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এবং চিকুনগুনিয়ার মতো সংক্রামক রোগের বিস্তার।
শুধু তা-ই নয়, এ সময় একটু পানিতে ভিজে গেলেই জ্বর বা ফ্লুর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। সঙ্গে হাঁচি-কাশির প্রকোপও বাড়তে পারে। তাই এ সময় নিজের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রকৃতির ওপর ভরসা রাখতে পারেন। রোগ আসার আগে কিছু প্রতিরোধী ওষুধি খাবার খেতে পারলে আপনার পরিবার স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে পারবে।
ন্যাচারোপ্যাথি বলে, এই সময়ে বৃষ্টিতে ভিজলে বা দীর্ঘ সময় পানিতে থাকলে দেরি না করে চায়ে আদা অথবা আদার রস দিয়ে দিনে দুবার চা খেতে পারেন। সম্ভব হলে এলাচি, তুলসীপাতা ও লবঙ্গ সেদ্ধ করে চায়ের মতো পান করতে পারেন। এগুলো দিনে দুবার খেতে পারলে ভালো। এতে ঠান্ডাসহ অন্য কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হবে না। কোল্ড ফ্লু থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। আর আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা চাঙা হয়ে উঠবে।
বন্যা শেষে শিশুদের ইএনটি বা নাক-কান-গলার সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। কান পাকা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেই সঙ্গে নানান সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। এমন হলে আশপাশে থাকা তুলসীগাছ আপনার উপকার করতে পারে। প্রতিদিন শিশুদের তুলসীপাতার রস খাওয়ালে শিশুরা সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকবে। তুলসীপাতার রস পান করে ভাইরাল সংক্রমণ এড়ানো যায়। এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর পাশাপাশি আদার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও গলাব্যথা এবং সর্দি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এতে শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
আমরা অনেকে জানি, হলুদ অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যে পরিপূর্ণ। মূলত হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্করা জ্বর বা ফ্লু প্রতিরোধের জন্য এক কাপ গরম পানিতে আধা চামচ হলুদের গুঁড়ার সঙ্গে এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে ফ্লু বা জ্বর থেকে মুক্ত থাকা যাবে। শিশুদের বেলায় গলা বা টনসিল ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। হলুদ চা একই নিয়মে মধু মিশিয়ে শিশুদের খাওয়াতে পারেন। আর হলুদ ও মধুর মিশ্রণ পান করলে তার ওষুধি গুণ ঠান্ডাজনিত সমস্যা থেকে শরীর রক্ষা করবে, শ্লেষা জমতে দেবে না, শ্বাস-প্রশ্বাসের বাধা দূর করবে।
এ ছাড়া প্রতিদিন আনারস, আমলকী, লেবু, পেয়ারা, আমড়া, কমলালেবুজাতীয় ফল খেতে পারেন। এগুলোতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। এসব ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীর তাজা রাখে। সেই সঙ্গে শরীরের কাটা-ছেঁড়া এবং পানিতে থাকার কারণে আঙুলের চিপায় ফুসকুড়ি হলে সেরে যাবে।
বন্যা-পরবর্তীকালে পানিবাহিত রোগের মধ্যে নানা ধরনের চুলকানি, ঘা, পাঁচড়া হতে পারে। এর জন্য কার্যকর হলো নিমপাতা। নিমপাতা ক্ষতস্থানে বেটে লাগিয়ে দিলে উপকার পাওয়া যাবে। আবার নিমপাতা পানিতে গরম করে সেই পানি গায়ে ঢাললেও উপকার পাওয়া যাবে।
গুরুতর রোগ হলে চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে না গিয়ে উপায় নেই। কিন্তু ছোটখাটো স্বাস্থ্যঝুঁকি সচেতন থাকলেই এড়ানো সম্ভব। তাই বন্যা-পরবর্তী সময়ে সাবধানে থাকা জরুরি।
আলমগীর আলম, খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যার ক্ষতচিহ্ন। পানি নেমে গেলেই শুরু হবে নানান রোগের প্রকোপ। বন্যার পরপরই পানিবাহিত রোগ, চুলকানি, ডায়রিয়া, জ্বর, ফ্লুর মতো নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা থাকে। সেই সঙ্গে বাড়ে মশার প্রকোপ। এ সময় যতই এড়িয়ে চলা হোক, মশাবাহিত রোগ পিছু ছাড়বে না। কারণ, এ সময় মশার কামড় এড়ানো খুবই কঠিন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য রোগের সঙ্গে বাড়বে ডেঙ্গি বা ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এবং চিকুনগুনিয়ার মতো সংক্রামক রোগের বিস্তার।
শুধু তা-ই নয়, এ সময় একটু পানিতে ভিজে গেলেই জ্বর বা ফ্লুর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। সঙ্গে হাঁচি-কাশির প্রকোপও বাড়তে পারে। তাই এ সময় নিজের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রকৃতির ওপর ভরসা রাখতে পারেন। রোগ আসার আগে কিছু প্রতিরোধী ওষুধি খাবার খেতে পারলে আপনার পরিবার স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে পারবে।
ন্যাচারোপ্যাথি বলে, এই সময়ে বৃষ্টিতে ভিজলে বা দীর্ঘ সময় পানিতে থাকলে দেরি না করে চায়ে আদা অথবা আদার রস দিয়ে দিনে দুবার চা খেতে পারেন। সম্ভব হলে এলাচি, তুলসীপাতা ও লবঙ্গ সেদ্ধ করে চায়ের মতো পান করতে পারেন। এগুলো দিনে দুবার খেতে পারলে ভালো। এতে ঠান্ডাসহ অন্য কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হবে না। কোল্ড ফ্লু থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। আর আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা চাঙা হয়ে উঠবে।
বন্যা শেষে শিশুদের ইএনটি বা নাক-কান-গলার সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। কান পাকা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেই সঙ্গে নানান সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। এমন হলে আশপাশে থাকা তুলসীগাছ আপনার উপকার করতে পারে। প্রতিদিন শিশুদের তুলসীপাতার রস খাওয়ালে শিশুরা সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকবে। তুলসীপাতার রস পান করে ভাইরাল সংক্রমণ এড়ানো যায়। এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর পাশাপাশি আদার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও গলাব্যথা এবং সর্দি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এতে শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
আমরা অনেকে জানি, হলুদ অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যে পরিপূর্ণ। মূলত হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্করা জ্বর বা ফ্লু প্রতিরোধের জন্য এক কাপ গরম পানিতে আধা চামচ হলুদের গুঁড়ার সঙ্গে এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে ফ্লু বা জ্বর থেকে মুক্ত থাকা যাবে। শিশুদের বেলায় গলা বা টনসিল ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। হলুদ চা একই নিয়মে মধু মিশিয়ে শিশুদের খাওয়াতে পারেন। আর হলুদ ও মধুর মিশ্রণ পান করলে তার ওষুধি গুণ ঠান্ডাজনিত সমস্যা থেকে শরীর রক্ষা করবে, শ্লেষা জমতে দেবে না, শ্বাস-প্রশ্বাসের বাধা দূর করবে।
এ ছাড়া প্রতিদিন আনারস, আমলকী, লেবু, পেয়ারা, আমড়া, কমলালেবুজাতীয় ফল খেতে পারেন। এগুলোতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। এসব ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীর তাজা রাখে। সেই সঙ্গে শরীরের কাটা-ছেঁড়া এবং পানিতে থাকার কারণে আঙুলের চিপায় ফুসকুড়ি হলে সেরে যাবে।
বন্যা-পরবর্তীকালে পানিবাহিত রোগের মধ্যে নানা ধরনের চুলকানি, ঘা, পাঁচড়া হতে পারে। এর জন্য কার্যকর হলো নিমপাতা। নিমপাতা ক্ষতস্থানে বেটে লাগিয়ে দিলে উপকার পাওয়া যাবে। আবার নিমপাতা পানিতে গরম করে সেই পানি গায়ে ঢাললেও উপকার পাওয়া যাবে।
গুরুতর রোগ হলে চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে না গিয়ে উপায় নেই। কিন্তু ছোটখাটো স্বাস্থ্যঝুঁকি সচেতন থাকলেই এড়ানো সম্ভব। তাই বন্যা-পরবর্তী সময়ে সাবধানে থাকা জরুরি।
আলমগীর আলম, খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
অ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
১৯ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
১ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগেস্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন।
২ দিন আগে