আলমগীর আলম
আর কয়েক দিন বাদেই শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস। রমজান মাসে রোজা রাখতে হবে, সেটাই বিধান। এ সময় সবার মুখে একটি কথা শোনা যায়, কী খাব ইফতারে বা সাহ্রিতে। রোজায় খাওয়া নিয়ে চিন্তার যেন শেষ নেই।
যাঁরা নানান রোগে আক্রান্ত, তাঁরা আরও বেশি চিন্তায় থাকেন কী খাবেন, কী খাবেন না—তা নিয়ে। এর ওপর থাকে ওষুধ খাওয়ার চিন্তা। অথচ রোজা থাকলে মানুষ এমনিতেই সুস্থ থাকে। এর মূলে আছে শরীরের অভ্যন্তরীণ ডিটক্স প্রক্রিয়া, যাকে অটোফিজি বলা হয়।
আমাদের ইফতার ও সাহ্রিতে অদ্ভুত খাবার খাওয়ার রেওয়াজ আছে, যা আমরা অন্য সময় খাই না। এটা অনেকটা স্বাস্থ্যবিরুদ্ধ! যেমন ইফতারে ভাজাপোড়া খাওয়ার প্রবণতা।
যাঁরা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আছেন, তাঁরা রোজা রেখে শরীরটাকে ঠিক করতে পারেন। যদি দিনভর রোজা রেখে ইফতার ও সাহ্রিতে পুষ্টিযুক্ত খাবার খাওয়া হয়, তাহলে কম খেয়েও শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা যায়। বেশির ভাগ মানুষ সে পথে যান না বলেই রোজা রেখেও শরীর সুস্থ রাখতে পারেন না।
ধর্মের নির্দেশমতে, রোজায় আমাদের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক উন্নতি হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা সম্ভবত সেখানে বেখবর। এর মূলে আছে অস্বাস্থ্যকর ও বেশি খাবার খাওয়া।
ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার
ইফতারে প্রথমে এক গ্লাস পানি দিয়ে শুরু করে শরবত হিসেবে তুলসীর বীজ, তোকমা অথবা চিয়াসিড (সকালে ভিজিয়ে রেখে) ইফতারে খাওয়া যায়। এরপর ডালিমের জুস, বেলের শরবত কিংবা আনারসের জুসের যেকোনো একটি খাওয়া যায়। এরপর চার থেকে পাঁচ ধরনের ফল, যেমন কলা, পেঁপে, পেয়ারা, আপেল ইত্যাদি খাওয়া যাবে। এগুলো খেলে শরীর সঙ্গে সঙ্গে শক্তি পাবে, শরীরে পানিশূন্যতা থাকবে না এবং শরীরের পাচনক্রিয়া ঠিকমতো কাজ করবে।
ভারী খাবারের মধ্যে ছোলা সেদ্ধ খাওয়া যেতে পারে। এই সেদ্ধ ছোলা টমেটো, গাজর, কাঁচা পেঁপে, পেঁয়াজ, মরিচ দিয়ে মাখিয়েও নেওয়া যায়। এতে স্বাদ ও খাদ্যগুণ দুটোই বেড়ে যাবে এবং খাবারে আঁশ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল যোগ হয়ে যাবে। একে সুষম খাবারও বলা যায়। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য
যাঁরা উচ্চ ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাঁরা এক গ্লাস পানিতে ২ টেবিল চামচ ছাতু মিশিয়ে খেতে পারেন। ছাতু কম জিআইসম্পন্ন খাবার। এটি শরীরে দীর্ঘ সময় ধরে হজম হবে, ক্ষুধা লাগবে না এবং লিভারের ওপর চাপ ফেলবে না।
সবার শেষে নাট মিল্ক খেতে পারেন। ২০টি আলমন্ড বাদাম, ২০টি কালো কিশমিশ সকালে ভিজিয়ে রেখে ইফতারের আগে এক গ্লাস পানিতে ব্লেন্ড করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে নাট মিল্ক। এটি ফ্যাটি অ্যাসিডের চাহিদা পূরণ করবে, শরীরে জোগাবে ওমেগা ৩। ফলে হৃৎপিণ্ড ঠিক থাকবে ও হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণ হবে। ইফতারের আধা ঘণ্টা পর গ্রিনটি খেতে পারেন।
সবার জন্য
সাহ্রির খাবারে রাখুন ৫০ শতাংশ সবজি, ৩০ শতাংশ ভাত, ১০ শতাংশ মাছ, মাংস অথবা ডিম, ১০ শতাংশ মুগ ডাল। খেতে পারেন ফ্রায়েড রাইস। যাঁদের পেটে সমস্যা আছে, তাঁরা পান্তাভাত খেতে পারেন। যাঁরা আইবিএসের মতো সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরাও পান্তা খেয়ে দেখতে পারেন।
এটি চমৎকার এক সুষম খাবার। সারা দিন রোজা রেখে শরীরে যেসব উপাদানের ঘাটতি হয়, এই খাবার কোনো ধরনের ক্ষতি ছাড়াই তা পূরণ করবে। এই খাবার ডায়াবেটিস, আলসার, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড, অ্যাসিডিটির রোগীদের জন্য খুবই সহায়ক হতে পারে।
যা একদমই খাবেন না
যেকোনো ধরনের ভাজাপোড়া, হালিম, জিলাপি, ফাস্ট ফুড, চিনির শরবত, বিরিয়ানি, দুধ, চিনি এবং গমের তৈরি যেকোনো খাবার।
পরামর্শ: খাদ্য পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
আর কয়েক দিন বাদেই শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস। রমজান মাসে রোজা রাখতে হবে, সেটাই বিধান। এ সময় সবার মুখে একটি কথা শোনা যায়, কী খাব ইফতারে বা সাহ্রিতে। রোজায় খাওয়া নিয়ে চিন্তার যেন শেষ নেই।
যাঁরা নানান রোগে আক্রান্ত, তাঁরা আরও বেশি চিন্তায় থাকেন কী খাবেন, কী খাবেন না—তা নিয়ে। এর ওপর থাকে ওষুধ খাওয়ার চিন্তা। অথচ রোজা থাকলে মানুষ এমনিতেই সুস্থ থাকে। এর মূলে আছে শরীরের অভ্যন্তরীণ ডিটক্স প্রক্রিয়া, যাকে অটোফিজি বলা হয়।
আমাদের ইফতার ও সাহ্রিতে অদ্ভুত খাবার খাওয়ার রেওয়াজ আছে, যা আমরা অন্য সময় খাই না। এটা অনেকটা স্বাস্থ্যবিরুদ্ধ! যেমন ইফতারে ভাজাপোড়া খাওয়ার প্রবণতা।
যাঁরা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আছেন, তাঁরা রোজা রেখে শরীরটাকে ঠিক করতে পারেন। যদি দিনভর রোজা রেখে ইফতার ও সাহ্রিতে পুষ্টিযুক্ত খাবার খাওয়া হয়, তাহলে কম খেয়েও শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা যায়। বেশির ভাগ মানুষ সে পথে যান না বলেই রোজা রেখেও শরীর সুস্থ রাখতে পারেন না।
ধর্মের নির্দেশমতে, রোজায় আমাদের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক উন্নতি হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা সম্ভবত সেখানে বেখবর। এর মূলে আছে অস্বাস্থ্যকর ও বেশি খাবার খাওয়া।
ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার
ইফতারে প্রথমে এক গ্লাস পানি দিয়ে শুরু করে শরবত হিসেবে তুলসীর বীজ, তোকমা অথবা চিয়াসিড (সকালে ভিজিয়ে রেখে) ইফতারে খাওয়া যায়। এরপর ডালিমের জুস, বেলের শরবত কিংবা আনারসের জুসের যেকোনো একটি খাওয়া যায়। এরপর চার থেকে পাঁচ ধরনের ফল, যেমন কলা, পেঁপে, পেয়ারা, আপেল ইত্যাদি খাওয়া যাবে। এগুলো খেলে শরীর সঙ্গে সঙ্গে শক্তি পাবে, শরীরে পানিশূন্যতা থাকবে না এবং শরীরের পাচনক্রিয়া ঠিকমতো কাজ করবে।
ভারী খাবারের মধ্যে ছোলা সেদ্ধ খাওয়া যেতে পারে। এই সেদ্ধ ছোলা টমেটো, গাজর, কাঁচা পেঁপে, পেঁয়াজ, মরিচ দিয়ে মাখিয়েও নেওয়া যায়। এতে স্বাদ ও খাদ্যগুণ দুটোই বেড়ে যাবে এবং খাবারে আঁশ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল যোগ হয়ে যাবে। একে সুষম খাবারও বলা যায়। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য
যাঁরা উচ্চ ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাঁরা এক গ্লাস পানিতে ২ টেবিল চামচ ছাতু মিশিয়ে খেতে পারেন। ছাতু কম জিআইসম্পন্ন খাবার। এটি শরীরে দীর্ঘ সময় ধরে হজম হবে, ক্ষুধা লাগবে না এবং লিভারের ওপর চাপ ফেলবে না।
সবার শেষে নাট মিল্ক খেতে পারেন। ২০টি আলমন্ড বাদাম, ২০টি কালো কিশমিশ সকালে ভিজিয়ে রেখে ইফতারের আগে এক গ্লাস পানিতে ব্লেন্ড করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে নাট মিল্ক। এটি ফ্যাটি অ্যাসিডের চাহিদা পূরণ করবে, শরীরে জোগাবে ওমেগা ৩। ফলে হৃৎপিণ্ড ঠিক থাকবে ও হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণ হবে। ইফতারের আধা ঘণ্টা পর গ্রিনটি খেতে পারেন।
সবার জন্য
সাহ্রির খাবারে রাখুন ৫০ শতাংশ সবজি, ৩০ শতাংশ ভাত, ১০ শতাংশ মাছ, মাংস অথবা ডিম, ১০ শতাংশ মুগ ডাল। খেতে পারেন ফ্রায়েড রাইস। যাঁদের পেটে সমস্যা আছে, তাঁরা পান্তাভাত খেতে পারেন। যাঁরা আইবিএসের মতো সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরাও পান্তা খেয়ে দেখতে পারেন।
এটি চমৎকার এক সুষম খাবার। সারা দিন রোজা রেখে শরীরে যেসব উপাদানের ঘাটতি হয়, এই খাবার কোনো ধরনের ক্ষতি ছাড়াই তা পূরণ করবে। এই খাবার ডায়াবেটিস, আলসার, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড, অ্যাসিডিটির রোগীদের জন্য খুবই সহায়ক হতে পারে।
যা একদমই খাবেন না
যেকোনো ধরনের ভাজাপোড়া, হালিম, জিলাপি, ফাস্ট ফুড, চিনির শরবত, বিরিয়ানি, দুধ, চিনি এবং গমের তৈরি যেকোনো খাবার।
পরামর্শ: খাদ্য পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
অ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
২১ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
১ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগেস্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন।
২ দিন আগে