মইনুল হাসান, ফ্রান্স
মাছি চেনে না, এমন মানুষ পৃথিবীতে নেই বললেই চলে। তিন জোড়া তিন ভাঁজের পা এবং এক জোড়া পাখার পতঙ্গ মাছির আছে এক বিশাল জগৎ। বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার প্রজাতির মাছির সন্ধান দিয়েছেন! পচাগলা, দুর্গন্ধযুক্ত খাবার মাছিদের খুব পছন্দ।
প্রাণীর মৃতদেহ পচতে শুরু করলে মাছিরা দল বেঁধে সেখানে ছুটে যায় এবং ডিম পাড়ে। অল্প সময়ের ব্যবধানে সেখানে শুঁয়াপোকার মতো অসংখ্য লার্ভা কিলবিল করতে থাকে। এমন দৃশ্য দেখার অভিজ্ঞতা অনেকের আছে। গরমের দিনে মাছির উৎপাত বৃদ্ধি পায়।
মৌসুমি ফল আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুতে ভাগ বসায়, রোগ-জীবাণু ছড়ায় এবং বিরক্তিকর ভনভন আওয়াজ করে বলেই বেশির ভাগ মানুষ
এ পতঙ্গ অপছন্দ করে।
অথচ বিজ্ঞানীদের বেশ পছন্দের পতঙ্গ এই মাছি। ইদানীং বিভিন্ন গবেষণাগারে খুব যত্ন করে মাছির লার্ভা উৎপাদন করা হচ্ছে। কারণ, দেশে দেশে লার্ভাথেরাপির কদর বাড়ছে। আর লার্ভার জন্য বিজ্ঞানীরা বেছে নিয়েছেন লাল পুঞ্জাক্ষি, চকচকে সবুজ রঙের মাছি—লুসিলিয়া সেরিকাটা।
মানুষের দেহের ক্ষতস্থানে পচে যাওয়া মৃতকোষ ও পুঁজ মিশে হলুদাভ শক্ত আস্তরণ তৈরি করে; বিশেষ করে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করার পর ঘা শুকানোর সময় এমন সমস্যা দেখা দেয়। ফলে ত্বকের সুস্থ কোষ বা টিস্যুতে রক্তসঞ্চালন ব্যাহত হয়। আর তা ব্যাহত হলে সুস্থ কোষগুলোয় অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পৌঁছাতে বিঘ্ন ঘটে। এমন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য শক্ত আস্তরণ খুব সতর্কতার সঙ্গে তুলে ফেলতে হয়। কাজটি করতে হয় হাত দিয়ে। তাতে সময় লাগে বেশ, তারপরও তা নিখুঁত হয় না। সুস্থ কোষেরও ক্ষতি হওয়ার সমূহ আশঙ্কা থেকে যায়। অন্যদিকে এ কাজ খুব দক্ষতায় করতে পারে মাছির লার্ভা।
জীবন্ত লার্ভাপূর্ণ ব্যান্ডেজ দিয়ে শুকনো ক্ষত আচ্ছাদিত করে দিলে মাছির লার্ভারা তিনটি কাজ করে। প্রথমত, শক্ত আস্তরণ খেয়ে ফেলে, ক্ষতস্থান নিখুঁতভাবে পরিষ্কার করে। সুস্থ কোষের কোনো ক্ষতি করে না। দ্বিতীয়ত, লার্ভা নিঃসৃত তরল সুস্থ কোষগুলোকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। তৃতীয়ত, ক্ষতিকর অণুজীব সংক্রমণে বাধা দেয়। ১৮২৬ সালে ব্যাপারটি লক্ষ করছিলেন জার্মান কীটতত্ত্ববিদ ইউহান মাইঘন।
বর্তমানে কিছু ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য মাছির লার্ভা উৎপাদন করছে। যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান বায়োমন্ড প্রতিবছর মাছির জীবন্ত লার্ভাবোঝাই ২৫ হাজার ব্যান্ডেজ এক ইউরোপের হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করে থাকে। বিশেষভাবে তৈরি ব্যান্ডেজের ভাঁজে আটকানোর আগে জীবন্ত লার্ভাগুলোকে ক্ষতিকর অণুজীবমুক্ত করা হয়।
ক্ষতস্থানে শুকনো মৃতকোষের শক্ত আস্তরণ পরিষ্কারে লার্ভাথেরাপি প্রয়োগ নতুন নয়। মধ্য আমেরিকার মায়া জনগোষ্ঠী এ বিষয়ে সিদ্ধহস্ত ছিল। মানুষ প্রায় ৫ হাজার বছর ধরে রোগব্যাধি নিরাময়ে কীটপতঙ্গ ব্যবহার করে আসছে। আজকের দিনে চিকিৎসায় মাছির জীবন্ত লার্ভা ব্যবহার বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে।
মাছি চেনে না, এমন মানুষ পৃথিবীতে নেই বললেই চলে। তিন জোড়া তিন ভাঁজের পা এবং এক জোড়া পাখার পতঙ্গ মাছির আছে এক বিশাল জগৎ। বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার প্রজাতির মাছির সন্ধান দিয়েছেন! পচাগলা, দুর্গন্ধযুক্ত খাবার মাছিদের খুব পছন্দ।
প্রাণীর মৃতদেহ পচতে শুরু করলে মাছিরা দল বেঁধে সেখানে ছুটে যায় এবং ডিম পাড়ে। অল্প সময়ের ব্যবধানে সেখানে শুঁয়াপোকার মতো অসংখ্য লার্ভা কিলবিল করতে থাকে। এমন দৃশ্য দেখার অভিজ্ঞতা অনেকের আছে। গরমের দিনে মাছির উৎপাত বৃদ্ধি পায়।
মৌসুমি ফল আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুতে ভাগ বসায়, রোগ-জীবাণু ছড়ায় এবং বিরক্তিকর ভনভন আওয়াজ করে বলেই বেশির ভাগ মানুষ
এ পতঙ্গ অপছন্দ করে।
অথচ বিজ্ঞানীদের বেশ পছন্দের পতঙ্গ এই মাছি। ইদানীং বিভিন্ন গবেষণাগারে খুব যত্ন করে মাছির লার্ভা উৎপাদন করা হচ্ছে। কারণ, দেশে দেশে লার্ভাথেরাপির কদর বাড়ছে। আর লার্ভার জন্য বিজ্ঞানীরা বেছে নিয়েছেন লাল পুঞ্জাক্ষি, চকচকে সবুজ রঙের মাছি—লুসিলিয়া সেরিকাটা।
মানুষের দেহের ক্ষতস্থানে পচে যাওয়া মৃতকোষ ও পুঁজ মিশে হলুদাভ শক্ত আস্তরণ তৈরি করে; বিশেষ করে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করার পর ঘা শুকানোর সময় এমন সমস্যা দেখা দেয়। ফলে ত্বকের সুস্থ কোষ বা টিস্যুতে রক্তসঞ্চালন ব্যাহত হয়। আর তা ব্যাহত হলে সুস্থ কোষগুলোয় অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পৌঁছাতে বিঘ্ন ঘটে। এমন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য শক্ত আস্তরণ খুব সতর্কতার সঙ্গে তুলে ফেলতে হয়। কাজটি করতে হয় হাত দিয়ে। তাতে সময় লাগে বেশ, তারপরও তা নিখুঁত হয় না। সুস্থ কোষেরও ক্ষতি হওয়ার সমূহ আশঙ্কা থেকে যায়। অন্যদিকে এ কাজ খুব দক্ষতায় করতে পারে মাছির লার্ভা।
জীবন্ত লার্ভাপূর্ণ ব্যান্ডেজ দিয়ে শুকনো ক্ষত আচ্ছাদিত করে দিলে মাছির লার্ভারা তিনটি কাজ করে। প্রথমত, শক্ত আস্তরণ খেয়ে ফেলে, ক্ষতস্থান নিখুঁতভাবে পরিষ্কার করে। সুস্থ কোষের কোনো ক্ষতি করে না। দ্বিতীয়ত, লার্ভা নিঃসৃত তরল সুস্থ কোষগুলোকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। তৃতীয়ত, ক্ষতিকর অণুজীব সংক্রমণে বাধা দেয়। ১৮২৬ সালে ব্যাপারটি লক্ষ করছিলেন জার্মান কীটতত্ত্ববিদ ইউহান মাইঘন।
বর্তমানে কিছু ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য মাছির লার্ভা উৎপাদন করছে। যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান বায়োমন্ড প্রতিবছর মাছির জীবন্ত লার্ভাবোঝাই ২৫ হাজার ব্যান্ডেজ এক ইউরোপের হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করে থাকে। বিশেষভাবে তৈরি ব্যান্ডেজের ভাঁজে আটকানোর আগে জীবন্ত লার্ভাগুলোকে ক্ষতিকর অণুজীবমুক্ত করা হয়।
ক্ষতস্থানে শুকনো মৃতকোষের শক্ত আস্তরণ পরিষ্কারে লার্ভাথেরাপি প্রয়োগ নতুন নয়। মধ্য আমেরিকার মায়া জনগোষ্ঠী এ বিষয়ে সিদ্ধহস্ত ছিল। মানুষ প্রায় ৫ হাজার বছর ধরে রোগব্যাধি নিরাময়ে কীটপতঙ্গ ব্যবহার করে আসছে। আজকের দিনে চিকিৎসায় মাছির জীবন্ত লার্ভা ব্যবহার বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে।
বিশ্বে প্রথমবারের মতো সফলভাবে স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করে তিনজন ব্যক্তির চোখের ঝাপসা দৃষ্টি সারিয়ে ফেলেছেন জাপানের গবেষকেরা। চোখের কর্নিয়ার গুরুতর ক্ষতির কারণে তাদের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। এই গবেষণামূলক চিকিৎসা পদ্ধতিটি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেঅ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
১ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগে