মো. ইকবাল হোসেন
আমাদের দেশে প্রতিটি ঋতু বৈচিত্র্যময়। শীতের বৈচিত্র্য যেমন পিঠাপুলি, গ্রীষ্মের বৈচিত্র্য তেমনি ফল। গ্রীষ্মের এই কাঠফাটা গরমে শরীরে ও মনে প্রশান্তি দেয় এ সময়ের বাহারি ফল। এগুলো যেমন মিষ্টি, তেমনি পুষ্টিকর। সব ধরনের ভিটামিন আর খনিজে ভরপুর এসব ফল। এর মধ্যে লিচু অন্যতম। লিচু স্বাদে অনন্য ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ফল।
লিচুর ভিটামিন সি রক্তের শ্বেতকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে শক্তিশালী। লিচুতে আছে ভাইরাসবিরোধী গুণাবলি। এর লিচিট্যানিন শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করে। লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কপার আছে, যা শরীরে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে কোষে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ায়। এতে থাকা আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড শরীরে লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে।
লিচুতে আছে ফ্ল্যাভানল। এটি প্রদাহ কমায়। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাংগানিজ ও কপার থাকে। এসব মিনারেল হাড়ের যত্নে সহায়ক।
লিচুর অলিগোনল নামের উপাদান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লুয়েঞ্জা হিসেবে কাজ করে। এই উপাদান রক্তচলাচল স্বাভাবিক রাখে এবং ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব থেকে ত্বক রক্ষা করে।
লিচুর অন্যতম উপাদান এপিকেচিন। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চমৎকার উপাদান। এপিকেচিন রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ডায়াবেটিসজনিত জটিলতাগুলো প্রতিরোধে দুর্দান্ত ভূমিকা পালন করে। তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পাকা লিচুর চেয়ে কিছুটা কাঁচা লিচু বেশি কার্যকরী। অতিরিক্ত পাকা লিচু খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে।
লিচুতে হাইপোগ্লাইসিন নামে একধরনের রাসায়নিক থাকে, যা শরীরে শর্করা তৈরিতে, যকৃতে গ্লুকোজ উৎপাদন ও চর্বি ভাঙতে বাধা দেয়। তাই খালি পেটে অতিরিক্ত লিচু খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গিয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা তৈরি করতে পারে। এ সমস্যা শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে। তাই শিশুদের খালি পেটে কখনো লিচু খেতে দেওয়া যাবে না। হাইপোগ্লাইসিনের প্রভাবে শিশুর শরীরে হঠাৎ করে গ্লুকোজের অভাব দেখা দিতে পারে। এতে কিছু টক্সিন তৈরি হয়। এসব টক্সিন মস্তিষ্কে চলে যায়। ফলে শিশুর মাথাব্যথা, বমি, ঘাম, খিঁচুনি বা অচেতন হয়ে পড়ার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। আধা পাকা ও কাঁচা লিচুতে এই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এ সমস্যায় আক্রান্ত অর্ধেকের বেশি শিশু মারা যায়। যেসব শিশু বেশি অপুষ্টির শিকার, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
শিশুকে লিচু খাওয়ানোর সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, লিচু যেন পাকা হয় এবং শিশু যেন অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকার পরে লিচু না খায়। ২ থেকে ১০ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: মো. ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
আমাদের দেশে প্রতিটি ঋতু বৈচিত্র্যময়। শীতের বৈচিত্র্য যেমন পিঠাপুলি, গ্রীষ্মের বৈচিত্র্য তেমনি ফল। গ্রীষ্মের এই কাঠফাটা গরমে শরীরে ও মনে প্রশান্তি দেয় এ সময়ের বাহারি ফল। এগুলো যেমন মিষ্টি, তেমনি পুষ্টিকর। সব ধরনের ভিটামিন আর খনিজে ভরপুর এসব ফল। এর মধ্যে লিচু অন্যতম। লিচু স্বাদে অনন্য ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ফল।
লিচুর ভিটামিন সি রক্তের শ্বেতকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে শক্তিশালী। লিচুতে আছে ভাইরাসবিরোধী গুণাবলি। এর লিচিট্যানিন শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করে। লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কপার আছে, যা শরীরে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে কোষে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ায়। এতে থাকা আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড শরীরে লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে।
লিচুতে আছে ফ্ল্যাভানল। এটি প্রদাহ কমায়। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাংগানিজ ও কপার থাকে। এসব মিনারেল হাড়ের যত্নে সহায়ক।
লিচুর অলিগোনল নামের উপাদান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লুয়েঞ্জা হিসেবে কাজ করে। এই উপাদান রক্তচলাচল স্বাভাবিক রাখে এবং ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব থেকে ত্বক রক্ষা করে।
লিচুর অন্যতম উপাদান এপিকেচিন। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চমৎকার উপাদান। এপিকেচিন রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ডায়াবেটিসজনিত জটিলতাগুলো প্রতিরোধে দুর্দান্ত ভূমিকা পালন করে। তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পাকা লিচুর চেয়ে কিছুটা কাঁচা লিচু বেশি কার্যকরী। অতিরিক্ত পাকা লিচু খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে।
লিচুতে হাইপোগ্লাইসিন নামে একধরনের রাসায়নিক থাকে, যা শরীরে শর্করা তৈরিতে, যকৃতে গ্লুকোজ উৎপাদন ও চর্বি ভাঙতে বাধা দেয়। তাই খালি পেটে অতিরিক্ত লিচু খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গিয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা তৈরি করতে পারে। এ সমস্যা শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে। তাই শিশুদের খালি পেটে কখনো লিচু খেতে দেওয়া যাবে না। হাইপোগ্লাইসিনের প্রভাবে শিশুর শরীরে হঠাৎ করে গ্লুকোজের অভাব দেখা দিতে পারে। এতে কিছু টক্সিন তৈরি হয়। এসব টক্সিন মস্তিষ্কে চলে যায়। ফলে শিশুর মাথাব্যথা, বমি, ঘাম, খিঁচুনি বা অচেতন হয়ে পড়ার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। আধা পাকা ও কাঁচা লিচুতে এই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এ সমস্যায় আক্রান্ত অর্ধেকের বেশি শিশু মারা যায়। যেসব শিশু বেশি অপুষ্টির শিকার, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
শিশুকে লিচু খাওয়ানোর সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, লিচু যেন পাকা হয় এবং শিশু যেন অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকার পরে লিচু না খায়। ২ থেকে ১০ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: মো. ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
অ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
১ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগেস্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন।
২ দিন আগে