ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি নাগরিকেরা ‘ইন্ডিয়া আউট’ নামে ভারত বয়কটের প্রচারণা চালাচ্ছে। এসব প্রচারণায় ভারতীয় পণ্য ও ব্র্যান্ডের তালিকা দিচ্ছেন অনেকে। আবার অনেকে ভারতীয় পণ্য চেনার উপায় বাতলে দিচ্ছেন।
এমনই একটি পোস্টে বলা হচ্ছে, কোনো পণ্যের বারকোড ৮৯০ দিয়ে শুরু হলে সেটি ভারতীয় পণ্য। তিন দিন আগে শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটকে তাসলিমা নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে এমন তথ্য সংবলিত একটি ভিডিও প্রচার করা হয়। ভিডিওটি আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৪০ হাজার বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটি শেয়ার হয়েছে ২৫০ বারের বেশি। রিয়েকশন পড়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার।
ফেসবুকের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকেও তথ্যটি প্রচার হতে দেখা গেছে। যেমন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি সালেহীন সালেহ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেই এমন তথ্য সংবলিত একটি পোস্ট শতাধিক শেয়ার হয়েছে।
বারকোড কী?
বারকোড হলো বেশ কিছু সমান্তরাল সাদা ও কালো রেখার সমন্বয়ে গঠিত একটি ছবি; রেখাগুলোর নিচে কিছু সংখ্যা বা অক্ষর অথবা উভয়ই থাকতে পারে। বারকোড স্ক্যান করা হলে একটি পণ্যের দামসহ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানা যায়। বারকোডের সবচেয়ে সাধারণ ধরন হলো ইউনিভার্সাল প্রোডাক্ট কোড (ইউপিসি)। ১৯৭০–এর দশকে মুদি দোকানের বিভিন্ন পণ্যে এটির ব্যবহার শুরু হয়।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩০ ধরনের বারকোড চালু আছে। এর মধ্যে ১৯৭৩ সাল থেকে শুরু করা ইউপিসি বারকোড পদ্ধতির জন্য সাধারণত কোড সরবরাহ করে জিএস ওয়ান (GS1)। ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বারকোডটি জিএস ওয়ান (GS1) সরবরাহকৃত।
জিএস ওয়ানের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১০০টির বেশি অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই অঞ্চলগুলোর জন্য প্রতিষ্ঠানটি নির্দিষ্ট সংখ্যার একটি কোড সরবরাহ করে। সংখ্যাটি দিয়ে ওই দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর বারকোড শুরু হয়। যেমন, ভারতের বারকোড ৮৯০, অনুরূপভাবে ইসরায়েলের বারকোড ৭২৯, ফ্রান্সের বারকোড ৩০০ থেকে ৩৭৯। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে জিএস ওয়ানের কার্যক্রম নেই।
ভারতের বারকোড ৮৯০–এর অর্থ কী?
জিএস ওয়ানের ওয়েবসাইটে দেওয়া বারকোডের তালিকাটির শুরুতেই বলা আছে, পণ্যের প্যাকেটের গায়ে জিএস ওয়ান কোডগুলো ব্র্যান্ডের উৎস দেশ নির্দেশ করে। তবে সব সময় পণ্যটির উৎস দেশ সম্পর্কে বারকোডে তথ্য থাকে না। অর্থাৎ কোনো দেশের প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠান বা খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান পণ্যের গায়ে নিজস্ব বারকোড যুক্ত করতে পারে। সেই বারকোডটির শুরুতে সংশ্লিষ্ট দেশের কোডই থাকবে।
যেমন, কোনো পণ্যের বারকোড ৮৯০ দিয়ে শুরু হলে পণ্যটি ভারতীয় কোনো প্রতিষ্ঠান বাজারজাত করেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু পণ্যটি তাদের উৎপাদিত নাও হতে পারে।
জিএস ওয়ানের ওয়েবসাইটের প্রশ্নোত্তর অংশে জিএস ওয়ান বারকোডের প্রথম দুই বা তিন সংখ্যা উৎপাদনকারী দেশ নির্দেশ করে কি না— এমন প্রশ্নের উত্তরেও একই তথ্য দেওয়া রয়েছে।
এ ছাড়া জিএস ওয়ান ইউএসের জনসংযোগ শাখার সিনিয়র পরিচালক শ্যানন সুলিভান বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্টচেক বিভাগকে ২০২০ সালে বলেন, বারকোডের শুরুর অংশ প্রতিষ্ঠানটি কোথায় নিবন্ধিত সে সম্পর্কে তথ্য দেয়। কিন্তু পণ্যটি কোন দেশে উৎপাদিত হয়েছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয় না।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি নাগরিকেরা ‘ইন্ডিয়া আউট’ নামে ভারত বয়কটের প্রচারণা চালাচ্ছে। এসব প্রচারণায় ভারতীয় পণ্য ও ব্র্যান্ডের তালিকা দিচ্ছেন অনেকে। আবার অনেকে ভারতীয় পণ্য চেনার উপায় বাতলে দিচ্ছেন।
এমনই একটি পোস্টে বলা হচ্ছে, কোনো পণ্যের বারকোড ৮৯০ দিয়ে শুরু হলে সেটি ভারতীয় পণ্য। তিন দিন আগে শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটকে তাসলিমা নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে এমন তথ্য সংবলিত একটি ভিডিও প্রচার করা হয়। ভিডিওটি আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৪০ হাজার বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটি শেয়ার হয়েছে ২৫০ বারের বেশি। রিয়েকশন পড়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার।
ফেসবুকের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকেও তথ্যটি প্রচার হতে দেখা গেছে। যেমন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি সালেহীন সালেহ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেই এমন তথ্য সংবলিত একটি পোস্ট শতাধিক শেয়ার হয়েছে।
বারকোড কী?
বারকোড হলো বেশ কিছু সমান্তরাল সাদা ও কালো রেখার সমন্বয়ে গঠিত একটি ছবি; রেখাগুলোর নিচে কিছু সংখ্যা বা অক্ষর অথবা উভয়ই থাকতে পারে। বারকোড স্ক্যান করা হলে একটি পণ্যের দামসহ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানা যায়। বারকোডের সবচেয়ে সাধারণ ধরন হলো ইউনিভার্সাল প্রোডাক্ট কোড (ইউপিসি)। ১৯৭০–এর দশকে মুদি দোকানের বিভিন্ন পণ্যে এটির ব্যবহার শুরু হয়।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩০ ধরনের বারকোড চালু আছে। এর মধ্যে ১৯৭৩ সাল থেকে শুরু করা ইউপিসি বারকোড পদ্ধতির জন্য সাধারণত কোড সরবরাহ করে জিএস ওয়ান (GS1)। ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বারকোডটি জিএস ওয়ান (GS1) সরবরাহকৃত।
জিএস ওয়ানের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১০০টির বেশি অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই অঞ্চলগুলোর জন্য প্রতিষ্ঠানটি নির্দিষ্ট সংখ্যার একটি কোড সরবরাহ করে। সংখ্যাটি দিয়ে ওই দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর বারকোড শুরু হয়। যেমন, ভারতের বারকোড ৮৯০, অনুরূপভাবে ইসরায়েলের বারকোড ৭২৯, ফ্রান্সের বারকোড ৩০০ থেকে ৩৭৯। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে জিএস ওয়ানের কার্যক্রম নেই।
ভারতের বারকোড ৮৯০–এর অর্থ কী?
জিএস ওয়ানের ওয়েবসাইটে দেওয়া বারকোডের তালিকাটির শুরুতেই বলা আছে, পণ্যের প্যাকেটের গায়ে জিএস ওয়ান কোডগুলো ব্র্যান্ডের উৎস দেশ নির্দেশ করে। তবে সব সময় পণ্যটির উৎস দেশ সম্পর্কে বারকোডে তথ্য থাকে না। অর্থাৎ কোনো দেশের প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠান বা খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান পণ্যের গায়ে নিজস্ব বারকোড যুক্ত করতে পারে। সেই বারকোডটির শুরুতে সংশ্লিষ্ট দেশের কোডই থাকবে।
যেমন, কোনো পণ্যের বারকোড ৮৯০ দিয়ে শুরু হলে পণ্যটি ভারতীয় কোনো প্রতিষ্ঠান বাজারজাত করেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু পণ্যটি তাদের উৎপাদিত নাও হতে পারে।
জিএস ওয়ানের ওয়েবসাইটের প্রশ্নোত্তর অংশে জিএস ওয়ান বারকোডের প্রথম দুই বা তিন সংখ্যা উৎপাদনকারী দেশ নির্দেশ করে কি না— এমন প্রশ্নের উত্তরেও একই তথ্য দেওয়া রয়েছে।
এ ছাড়া জিএস ওয়ান ইউএসের জনসংযোগ শাখার সিনিয়র পরিচালক শ্যানন সুলিভান বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্টচেক বিভাগকে ২০২০ সালে বলেন, বারকোডের শুরুর অংশ প্রতিষ্ঠানটি কোথায় নিবন্ধিত সে সম্পর্কে তথ্য দেয়। কিন্তু পণ্যটি কোন দেশে উৎপাদিত হয়েছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয় না।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিড
১ দিন আগেআওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাবরিনা চৌধুরী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমন দাবিতে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘Sabnam Faria কিছুক্ষণ আগে একটা পোস্ট করলেন ৫ মিনিট পর ডিলিট করে দিলেন।’
২ দিন আগেএলিস থমাস নামের এক ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গবেষকের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করেছে এআই পরিচালিত বট নেটওয়ার্ক।
৩ দিন আগেগত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ‘প্রবাসী জীবন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৪২ হাজার বার।
৩ দিন আগে