ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
কিরগিজস্তানের স্থানীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিসর ও আরবের কয়েকটি দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ১৩ মে। এ ঘটনার জেরে দেশটিতে বসবাসরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর দাবি ছড়িয়ে পড়েছে।
ফারিয়াল শিকদার নামে একটি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল শনিবার (১৮ মে) মাটিতে পড়ে থাকা রক্তাক্ত এক ব্যক্তির ছবি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘কিরগিজস্তানে হিন্দুত্ববাদী ছাত্রদের হাতে এক বাংলাদেশি ছাত্র খুন হয়েছেন। এতে অনেক পাকিস্তানি শিক্ষার্থীও আহত হন।’ ফারিয়াল শিকদারের এক্স প্রোফাইলটি ঘুরে দেখা যায়, অ্যাকাউন্টটির অবস্থান দেওয়া বাংলাদেশের সিলেটে। তিনি নিজেকে ‘একজন মুসলিম এবং ডানপন্থী বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। ফারিয়াল শিকদার তাঁর দাবিটির সূত্র হিসেবে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সাবেক টেকনিক্যাল উপদেষ্টা ও সাংবাদিক জাবেরিয়া তারিনকে উদ্ধৃত করে একই দিনে আরও একটি টুইট করেছেন।
দাবিটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
এ নিয়ে অনুসন্ধানে জাবেরিয়া তারিনের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে গতকাল (১৮ মে) করা একটি টুইট পাওয়া যায়। টুইটটিতে মাটিতে পড়ে থাকা রক্তাক্ত ওই ব্যক্তির ছবি টুইট করে তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে লিখেন, ছবির ব্যক্তিটি একজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। জাবেরিয়া তারিন তাঁর টুইটে ছবির ব্যক্তিটি জীবিত না মৃত বা মৃত হলে কীভাবে মারা গেছেন সে সম্পর্কে কোনো বর্ণনা দেননি।
একই ছবি ‘পাকিস্তানের শিক্ষার্থী’ হিসেবে দাবি করেও এক্সে ছড়িয়েছে। নবাব নাঈম সেয়াল নামে এক পাকিস্তানি নাগরিক টুইট করে লেখেন, কিরগিজস্তানে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের রক্ষা করুন। সেখানে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সামিট নামে এক ভারতীয় নাগরিকও তাঁর টুইটে এই ব্যক্তির ছবি আরেকটি ভিডিওয়ের সঙ্গে শেয়ার করে লিখেন, কিরগিজস্তানে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরা হত্যা ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। সেখানে সহিংস হামলায় চার পাকিস্তানি শিক্ষার্থী মারা গেছেন। দেশটির রাজধানীতে ভারতীয়, পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চলছে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফের ছাত্রসংগঠন ইনসাফ স্টুডেন্ট ফেডারেশন নিজেদের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে একই ছবি টুইট করেছে। সংগঠনটির টুইটে কোনো হতাহতের তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।
তবে এসব টুইটের কোনোটিতেই ছবির ব্যক্তির সুনির্দিষ্ট কোনো পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। যদিও কিরগিজস্তানে অবস্থিত পাকিস্তানের দূতাবাস এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, দেশটিতে কোনো পাকিস্তানি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
কিরগিজস্তানে কী বাংলাদেশি কোনো শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন?
কিরগিজস্তানের সংবাদ সংস্থা ২৪ ডট কেজির ওয়েবসাইটে গতকাল (১৮ মে) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওই দিন রাতে দেশটির রাজধানী বিশকেকে হামলার ঘটনায় ২৯ জন আহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ১৫ জনকে চিকিৎসার জন্য দেশটির সিটি ইমারজেন্সি হাসপাতাল ও ন্যাশনাল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কিরগিজস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়, বাকিদের ঘটনাস্থলেই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনটি থেকে হামলার ঘটনায় কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
২৪ ডট কেজির আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ধর্ষণ, গুরুতর হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিরগিজস্তানের জাতীয় সংবাদ সংস্থা কাবারের বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা-সম্পর্কিত গতকাল এক প্রতিবেদনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়, কিরগিজস্তানের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ করে পাকিস্তানে অনেক মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। বিশকেকের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে শনিবার (১৮ মে) প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিসি বাংলা। দেশটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সালমান ফারসি সিয়াম বিবিসিকে বলেন, কিরগিজস্তানের স্থানীয়রা বাংলাদেশি, ভারতীয়, পাকিস্তানি, মিসরীয়সহ সব বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর শুক্রবার রাতে আক্রমণ করে। এ হামলায় তিনি মৃত্যু ও ধর্ষণের শিকার তথ্য শুনলেও নিশ্চিত করে কোনো তথ্য জানাতে পারেননি।
বিবিসি বাংলার সঙ্গে কথা বলা অন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশি কেউ মারা যাওয়ার ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তবে তাঁদের বক্তব্য থেকে এটি নিশ্চিত হওয়া যায়, বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতরা সবাই স্থানীয় অর্থাৎ কিরগিজস্তানের নাগরিক। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হিন্দু শিক্ষার্থীদের হামলার কোনো তথ্য তাঁদের বক্তব্য থেকে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, কিরগিজস্তানে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। তাই উজবেকিস্তানে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে কিরগিস্তান-সংক্রান্ত বিষয় দেখভাল করা হয়। উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বিবিসিকে জানিয়েছেন, কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় কোনো বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অসুস্থ বা মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার কোনো তথ্য তাঁদের কাছে নেই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ অনুবিভাগের মহাপরিচালক শাহ আহমেদ শফীও গতকাল সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে কিরগিজস্তানে বাংলাদেশের কোনো শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদও বাংলাদেশি কোনো শিক্ষার্থী নিহত বা খুব জখম হয়েছে—এমন খবর নেই বলে জানিয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর প্রেসক্লাবে ওভারসিজ করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওকাব) অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। মন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রদূতকে দেশটিতে (কিরগিজস্তান) গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বলেছি।’
উপরিউক্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এটি স্পষ্ট, কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটায় দেশটির নাগরিকেরা। এ ঘটনায় হিন্দু শিক্ষার্থীদের হামলায় এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর দাবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। তবে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগের সার্বিক অনুসন্ধানে দাবিটির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:
কিরগিজস্তানের স্থানীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিসর ও আরবের কয়েকটি দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ১৩ মে। এ ঘটনার জেরে দেশটিতে বসবাসরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর দাবি ছড়িয়ে পড়েছে।
ফারিয়াল শিকদার নামে একটি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল শনিবার (১৮ মে) মাটিতে পড়ে থাকা রক্তাক্ত এক ব্যক্তির ছবি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘কিরগিজস্তানে হিন্দুত্ববাদী ছাত্রদের হাতে এক বাংলাদেশি ছাত্র খুন হয়েছেন। এতে অনেক পাকিস্তানি শিক্ষার্থীও আহত হন।’ ফারিয়াল শিকদারের এক্স প্রোফাইলটি ঘুরে দেখা যায়, অ্যাকাউন্টটির অবস্থান দেওয়া বাংলাদেশের সিলেটে। তিনি নিজেকে ‘একজন মুসলিম এবং ডানপন্থী বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। ফারিয়াল শিকদার তাঁর দাবিটির সূত্র হিসেবে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সাবেক টেকনিক্যাল উপদেষ্টা ও সাংবাদিক জাবেরিয়া তারিনকে উদ্ধৃত করে একই দিনে আরও একটি টুইট করেছেন।
দাবিটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
এ নিয়ে অনুসন্ধানে জাবেরিয়া তারিনের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে গতকাল (১৮ মে) করা একটি টুইট পাওয়া যায়। টুইটটিতে মাটিতে পড়ে থাকা রক্তাক্ত ওই ব্যক্তির ছবি টুইট করে তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে লিখেন, ছবির ব্যক্তিটি একজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। জাবেরিয়া তারিন তাঁর টুইটে ছবির ব্যক্তিটি জীবিত না মৃত বা মৃত হলে কীভাবে মারা গেছেন সে সম্পর্কে কোনো বর্ণনা দেননি।
একই ছবি ‘পাকিস্তানের শিক্ষার্থী’ হিসেবে দাবি করেও এক্সে ছড়িয়েছে। নবাব নাঈম সেয়াল নামে এক পাকিস্তানি নাগরিক টুইট করে লেখেন, কিরগিজস্তানে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের রক্ষা করুন। সেখানে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সামিট নামে এক ভারতীয় নাগরিকও তাঁর টুইটে এই ব্যক্তির ছবি আরেকটি ভিডিওয়ের সঙ্গে শেয়ার করে লিখেন, কিরগিজস্তানে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরা হত্যা ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। সেখানে সহিংস হামলায় চার পাকিস্তানি শিক্ষার্থী মারা গেছেন। দেশটির রাজধানীতে ভারতীয়, পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চলছে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফের ছাত্রসংগঠন ইনসাফ স্টুডেন্ট ফেডারেশন নিজেদের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে একই ছবি টুইট করেছে। সংগঠনটির টুইটে কোনো হতাহতের তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।
তবে এসব টুইটের কোনোটিতেই ছবির ব্যক্তির সুনির্দিষ্ট কোনো পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। যদিও কিরগিজস্তানে অবস্থিত পাকিস্তানের দূতাবাস এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, দেশটিতে কোনো পাকিস্তানি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
কিরগিজস্তানে কী বাংলাদেশি কোনো শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন?
কিরগিজস্তানের সংবাদ সংস্থা ২৪ ডট কেজির ওয়েবসাইটে গতকাল (১৮ মে) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওই দিন রাতে দেশটির রাজধানী বিশকেকে হামলার ঘটনায় ২৯ জন আহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ১৫ জনকে চিকিৎসার জন্য দেশটির সিটি ইমারজেন্সি হাসপাতাল ও ন্যাশনাল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কিরগিজস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়, বাকিদের ঘটনাস্থলেই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনটি থেকে হামলার ঘটনায় কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
২৪ ডট কেজির আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ধর্ষণ, গুরুতর হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিরগিজস্তানের জাতীয় সংবাদ সংস্থা কাবারের বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা-সম্পর্কিত গতকাল এক প্রতিবেদনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়, কিরগিজস্তানের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ করে পাকিস্তানে অনেক মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। বিশকেকের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে শনিবার (১৮ মে) প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিসি বাংলা। দেশটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সালমান ফারসি সিয়াম বিবিসিকে বলেন, কিরগিজস্তানের স্থানীয়রা বাংলাদেশি, ভারতীয়, পাকিস্তানি, মিসরীয়সহ সব বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর শুক্রবার রাতে আক্রমণ করে। এ হামলায় তিনি মৃত্যু ও ধর্ষণের শিকার তথ্য শুনলেও নিশ্চিত করে কোনো তথ্য জানাতে পারেননি।
বিবিসি বাংলার সঙ্গে কথা বলা অন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশি কেউ মারা যাওয়ার ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তবে তাঁদের বক্তব্য থেকে এটি নিশ্চিত হওয়া যায়, বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতরা সবাই স্থানীয় অর্থাৎ কিরগিজস্তানের নাগরিক। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হিন্দু শিক্ষার্থীদের হামলার কোনো তথ্য তাঁদের বক্তব্য থেকে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, কিরগিজস্তানে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। তাই উজবেকিস্তানে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে কিরগিস্তান-সংক্রান্ত বিষয় দেখভাল করা হয়। উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বিবিসিকে জানিয়েছেন, কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় কোনো বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অসুস্থ বা মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার কোনো তথ্য তাঁদের কাছে নেই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ অনুবিভাগের মহাপরিচালক শাহ আহমেদ শফীও গতকাল সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে কিরগিজস্তানে বাংলাদেশের কোনো শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদও বাংলাদেশি কোনো শিক্ষার্থী নিহত বা খুব জখম হয়েছে—এমন খবর নেই বলে জানিয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর প্রেসক্লাবে ওভারসিজ করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওকাব) অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। মন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রদূতকে দেশটিতে (কিরগিজস্তান) গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বলেছি।’
উপরিউক্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এটি স্পষ্ট, কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটায় দেশটির নাগরিকেরা। এ ঘটনায় হিন্দু শিক্ষার্থীদের হামলায় এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর দাবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। তবে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগের সার্বিক অনুসন্ধানে দাবিটির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিড
১ দিন আগেআওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাবরিনা চৌধুরী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমন দাবিতে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘Sabnam Faria কিছুক্ষণ আগে একটা পোস্ট করলেন ৫ মিনিট পর ডিলিট করে দিলেন।’
২ দিন আগেএলিস থমাস নামের এক ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গবেষকের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করেছে এআই পরিচালিত বট নেটওয়ার্ক।
৩ দিন আগেগত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ‘প্রবাসী জীবন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৪২ হাজার বার।
৩ দিন আগে