ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ভারতীয় উপমহাদেশের নারীদের আটপৌরে পোশাক শাড়ি। বহুকাল ধরেই এ অঞ্চলের নারীরা এ পোশাকে অভ্যস্ত। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীদের এ শাড়ি পরা নিয়ে একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। বলা হচ্ছে, নারী শাড়ি থেকে ছড়াচ্ছে বিষাক্ত ক্যানসার! শাড়িতেই লুকিয়ে, ক্যানসারের মারণ ছোবল। এই ক্যানসারের নাম ‘শাড়ি ক্যানসার’। যার মূলে নারীদের শাড়ি। এই ক্যানসারে প্রতি ২ মিনিটে মারা যাচ্ছেন একজন নারী।
‘বাংলা হান্ট ভিডিওজ’ নামের ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের ফেসবুক পেজ থেকে গত ৮ মার্চ এসব তথ্য উল্লেখ করে পোস্ট করা হয় একটি ভিডিও। ভিডিওটি আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৮টা পর্যন্ত শেয়ার হয়েছে ২২ হাজারের বেশি। দেখা হয়েছে ৩৯ লাখ বার।
‘শাড়ি ক্যানসার’ কী? এটি কী খুবই ভয়ংকর? উত্তর খুঁজেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
‘বাংলা হান্ট ভিডিওজ’ প্রায় ৪ মিনিটের ভিডিও প্রতিবেদনটিতে ‘শাড়ি ক্যানসার’ নিয়ে যেসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তার কিছু সত্যতা রয়েছে। তবে পুরো ব্যাপারটি আরও বিস্তৃত। ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে অবস্থিত অ্যান্ড্রোমিডা ক্যানসার হাসপাতালের রেডিয়েশন অনকোলজির চেয়ারম্যান ডা. দীনেশ সিং দেশটিতে ফ্যাক্টচেক নিয়ে কাজ করা দ্য কুইন্টকে বলেন, ‘শাড়ি ক্যানসার মূলত কোমরে হয়। একে “ধূতি ক্যানসার”ও বলা হয়। এটি ত্বকের এক ধরনের ক্যানসার। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে “স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা” বলা হয়।’
নয়াদিল্লির ম্যাক্স ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. হরিত চতুর্বেদী দ্য কুইন্টকে বলেন, ‘শাড়ি ক্যানসার’ নতুন কিছু নয়। ২০১১ সালে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে কোমরে ক্যানসারের এমন দুটি ঘটনা তুলে ধরা হয়। এই তথ্য তখন ভারতীয়দের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছিল।
২০১৪ সালে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা একজন চল্লিশোর্ধ নারীর কোমরে অনিরাময়যোগ্য আলসারের দেখা পান। চিকিৎসকেরা এর জন্য ওই নারীর শাড়ি পরার অভ্যাসের যোগ খুঁজে পেয়েছিলেন। তাঁরা জানান, ওই নারী কোমরে খুব আঁটসাঁট করে শাড়ি পরতেন।
এই দুই চিকিৎসকই বলেন, শরীরের যে কোনও অংশে ক্রমাগত চাপ বা ঘর্ষণের ফলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। সেখানে সৃষ্টি হতে পারে ক্যানসার। যেমন, শাড়ির সঙ্গে অন্তর্বাস হিসেবে পরা পেটিকোট কোমরের একই স্থানে দীর্ঘ সময় শক্ত করে বাঁধার ফলে এটি হতে পারে।
ভারতবর্ষের নারীরা সাধারণত শাড়ির সঙ্গে পেটিকোট পরেন। এই পেটিকোটে একটি সরু ফিতা লাগানো থাকে। নারীরা সাধারণত ফিতাটি বেশ শক্ত করে বাঁধেন।
তার মানে এই ‘শাড়ি ক্যানসার’ পরিভাষাটি কেবল কোমর এবং কোনো নির্দিষ্ট পোশাকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি যেকোনো আঁটসাঁট পোশাকের জন্যই প্রযোজ্য, বিশেষ করে যেসব জামার সঙ্গে ইলাস্টিক থাকে। যেমন, আঁটসাঁট ব্রার স্ট্রাইপ বা ফিতা, নারী বা পুরুষের পায়জামার ফিতা ইত্যাদি। শক্ত করে লুঙ্গি পরার কারণেও এটি হতে পারে।
ডা. দীনেশ সিং বলেন, এই ক্যানসারের রোগী খুবই বিরল। মোট ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার তুলনায় ‘শাড়ি ক্যানসার’ বা ‘ধুতি ক্যানসার’–এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা খুবই কম। এটি মোট ক্যানসার আক্রান্তের শূন্য দশমিক ২ বা ৩ শতাংশের বেশি হবে না।
শাড়ি বা ধুতি ক্যানসার তথা ত্বকের এই ক্যানসার নিয়ে ওয়ার্ল্ড জার্নাল অব সার্জিক্যাল অনকোলজিতে ২০১৫ সালে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। গবেষণাটি করেন ভারতের এনকেপি সালভে ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ও লতা মঙ্গেশকর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের একদল চিকিৎসক। গবেষণাটির শিরোনাম ছিল ‘ধুতি ক্যানসার: কোমরের ত্বকের ক্যানসারের একটি পর্যালোচনা।’
এতে বলা হয়, ভারতের সব ক্যানসার রোগীর মধ্যে ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা এক শতাংশের কম। ‘স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা’ সাধারণত কোমরের ওপরের অংশে হয়। পুরুষদের মধ্যে ধুতি আঁটসাঁটভাবে বাঁধার কারণে এবং নারীদের মধ্যে শাড়ি পরার কারণে এটি হতে পারে। বছরের পর বছর ধরে এসব জামাকাপড় আঁটসাঁটভাবে পরতে থাকলে কোমরে ক্রমাগত জ্বালা হয়, যা একসময় ক্ষতের সৃষ্টি করে এবং পরে মারাত্মক রূপ ধারণ করে ক্যানসারে পরিণত হয়।
গবেষণাটিতে ৬৫ বছর বয়সী এক পুরুষের কোমরে এই ধরনের ক্যানসার হওয়ার তথ্যও তুলে ধরা হয়। ওই ব্যক্তির দীর্ঘদিন ধুতি পরার ইতিহাস ছিল। তাঁর ক্যানসার আক্রান্ত স্থানে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল এবং এক বছর চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকার পর তিনি সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করেন।
ইন্ডিয়ান জার্নাল অব সার্জিক্যাল অনকোলজিতে ২০২০ সালে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণা নিবন্ধে শাড়ির পাশাপাশি সালোয়ার–কামিজের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই ধরনের পোশাক দীর্ঘদিন আঁটসাঁটভাবে পরার কারণে ‘শাড়ি ক্যানসার’–এর মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
সুতরাং, সাধারণত কোমরে হওয়া ত্বকের এক ধরনের সমস্যা ‘শাড়ি ক্যানসার’ বা ‘ধুতি ক্যানসার’ নামে পরিচিত। এটি নারী–পুরুষ যে কারোরই হতে পারে। গবেষণায় শাড়ি বা ধুতির কথা বলা হলেও ফিতা বেঁধে পরা এমন পোশাকের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। গবেষণা বলছে, এ ধরনের পোশাক–পরিচ্ছেদ দীর্ঘদিন আঁটসাঁট করে পরার ফলে ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি হয়ে এমন ক্যানসার হতে পারে। এই ক্যানসার জটিল কিছু নয়, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিরাময়যোগ্য। আর এ ধরনের ক্যানসার অত্যন্ত বিরল।
প্রতিরোধ যোগ্য এই ক্যানসার থেকে সুরক্ষা পেতে বিশেষজ্ঞরা কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে আছে:
• দীর্ঘ সময় ধরে খুব আঁটসাঁট করে পোশাক পরা এড়িয়ে চলা।
• ত্বকে জ্বালাপোড়া, ব্যথা বা লালভাব অনুভব করলে সেই পোশাক পরিহার করা।
• এই উপসর্গগুলোর কোনো একটি দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
ভারতীয় উপমহাদেশের নারীদের আটপৌরে পোশাক শাড়ি। বহুকাল ধরেই এ অঞ্চলের নারীরা এ পোশাকে অভ্যস্ত। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীদের এ শাড়ি পরা নিয়ে একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। বলা হচ্ছে, নারী শাড়ি থেকে ছড়াচ্ছে বিষাক্ত ক্যানসার! শাড়িতেই লুকিয়ে, ক্যানসারের মারণ ছোবল। এই ক্যানসারের নাম ‘শাড়ি ক্যানসার’। যার মূলে নারীদের শাড়ি। এই ক্যানসারে প্রতি ২ মিনিটে মারা যাচ্ছেন একজন নারী।
‘বাংলা হান্ট ভিডিওজ’ নামের ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের ফেসবুক পেজ থেকে গত ৮ মার্চ এসব তথ্য উল্লেখ করে পোস্ট করা হয় একটি ভিডিও। ভিডিওটি আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৮টা পর্যন্ত শেয়ার হয়েছে ২২ হাজারের বেশি। দেখা হয়েছে ৩৯ লাখ বার।
‘শাড়ি ক্যানসার’ কী? এটি কী খুবই ভয়ংকর? উত্তর খুঁজেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
‘বাংলা হান্ট ভিডিওজ’ প্রায় ৪ মিনিটের ভিডিও প্রতিবেদনটিতে ‘শাড়ি ক্যানসার’ নিয়ে যেসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তার কিছু সত্যতা রয়েছে। তবে পুরো ব্যাপারটি আরও বিস্তৃত। ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে অবস্থিত অ্যান্ড্রোমিডা ক্যানসার হাসপাতালের রেডিয়েশন অনকোলজির চেয়ারম্যান ডা. দীনেশ সিং দেশটিতে ফ্যাক্টচেক নিয়ে কাজ করা দ্য কুইন্টকে বলেন, ‘শাড়ি ক্যানসার মূলত কোমরে হয়। একে “ধূতি ক্যানসার”ও বলা হয়। এটি ত্বকের এক ধরনের ক্যানসার। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে “স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা” বলা হয়।’
নয়াদিল্লির ম্যাক্স ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. হরিত চতুর্বেদী দ্য কুইন্টকে বলেন, ‘শাড়ি ক্যানসার’ নতুন কিছু নয়। ২০১১ সালে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে কোমরে ক্যানসারের এমন দুটি ঘটনা তুলে ধরা হয়। এই তথ্য তখন ভারতীয়দের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছিল।
২০১৪ সালে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা একজন চল্লিশোর্ধ নারীর কোমরে অনিরাময়যোগ্য আলসারের দেখা পান। চিকিৎসকেরা এর জন্য ওই নারীর শাড়ি পরার অভ্যাসের যোগ খুঁজে পেয়েছিলেন। তাঁরা জানান, ওই নারী কোমরে খুব আঁটসাঁট করে শাড়ি পরতেন।
এই দুই চিকিৎসকই বলেন, শরীরের যে কোনও অংশে ক্রমাগত চাপ বা ঘর্ষণের ফলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। সেখানে সৃষ্টি হতে পারে ক্যানসার। যেমন, শাড়ির সঙ্গে অন্তর্বাস হিসেবে পরা পেটিকোট কোমরের একই স্থানে দীর্ঘ সময় শক্ত করে বাঁধার ফলে এটি হতে পারে।
ভারতবর্ষের নারীরা সাধারণত শাড়ির সঙ্গে পেটিকোট পরেন। এই পেটিকোটে একটি সরু ফিতা লাগানো থাকে। নারীরা সাধারণত ফিতাটি বেশ শক্ত করে বাঁধেন।
তার মানে এই ‘শাড়ি ক্যানসার’ পরিভাষাটি কেবল কোমর এবং কোনো নির্দিষ্ট পোশাকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি যেকোনো আঁটসাঁট পোশাকের জন্যই প্রযোজ্য, বিশেষ করে যেসব জামার সঙ্গে ইলাস্টিক থাকে। যেমন, আঁটসাঁট ব্রার স্ট্রাইপ বা ফিতা, নারী বা পুরুষের পায়জামার ফিতা ইত্যাদি। শক্ত করে লুঙ্গি পরার কারণেও এটি হতে পারে।
ডা. দীনেশ সিং বলেন, এই ক্যানসারের রোগী খুবই বিরল। মোট ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার তুলনায় ‘শাড়ি ক্যানসার’ বা ‘ধুতি ক্যানসার’–এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা খুবই কম। এটি মোট ক্যানসার আক্রান্তের শূন্য দশমিক ২ বা ৩ শতাংশের বেশি হবে না।
শাড়ি বা ধুতি ক্যানসার তথা ত্বকের এই ক্যানসার নিয়ে ওয়ার্ল্ড জার্নাল অব সার্জিক্যাল অনকোলজিতে ২০১৫ সালে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। গবেষণাটি করেন ভারতের এনকেপি সালভে ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ও লতা মঙ্গেশকর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের একদল চিকিৎসক। গবেষণাটির শিরোনাম ছিল ‘ধুতি ক্যানসার: কোমরের ত্বকের ক্যানসারের একটি পর্যালোচনা।’
এতে বলা হয়, ভারতের সব ক্যানসার রোগীর মধ্যে ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা এক শতাংশের কম। ‘স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা’ সাধারণত কোমরের ওপরের অংশে হয়। পুরুষদের মধ্যে ধুতি আঁটসাঁটভাবে বাঁধার কারণে এবং নারীদের মধ্যে শাড়ি পরার কারণে এটি হতে পারে। বছরের পর বছর ধরে এসব জামাকাপড় আঁটসাঁটভাবে পরতে থাকলে কোমরে ক্রমাগত জ্বালা হয়, যা একসময় ক্ষতের সৃষ্টি করে এবং পরে মারাত্মক রূপ ধারণ করে ক্যানসারে পরিণত হয়।
গবেষণাটিতে ৬৫ বছর বয়সী এক পুরুষের কোমরে এই ধরনের ক্যানসার হওয়ার তথ্যও তুলে ধরা হয়। ওই ব্যক্তির দীর্ঘদিন ধুতি পরার ইতিহাস ছিল। তাঁর ক্যানসার আক্রান্ত স্থানে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল এবং এক বছর চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকার পর তিনি সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করেন।
ইন্ডিয়ান জার্নাল অব সার্জিক্যাল অনকোলজিতে ২০২০ সালে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণা নিবন্ধে শাড়ির পাশাপাশি সালোয়ার–কামিজের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই ধরনের পোশাক দীর্ঘদিন আঁটসাঁটভাবে পরার কারণে ‘শাড়ি ক্যানসার’–এর মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
সুতরাং, সাধারণত কোমরে হওয়া ত্বকের এক ধরনের সমস্যা ‘শাড়ি ক্যানসার’ বা ‘ধুতি ক্যানসার’ নামে পরিচিত। এটি নারী–পুরুষ যে কারোরই হতে পারে। গবেষণায় শাড়ি বা ধুতির কথা বলা হলেও ফিতা বেঁধে পরা এমন পোশাকের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। গবেষণা বলছে, এ ধরনের পোশাক–পরিচ্ছেদ দীর্ঘদিন আঁটসাঁট করে পরার ফলে ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি হয়ে এমন ক্যানসার হতে পারে। এই ক্যানসার জটিল কিছু নয়, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিরাময়যোগ্য। আর এ ধরনের ক্যানসার অত্যন্ত বিরল।
প্রতিরোধ যোগ্য এই ক্যানসার থেকে সুরক্ষা পেতে বিশেষজ্ঞরা কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে আছে:
• দীর্ঘ সময় ধরে খুব আঁটসাঁট করে পোশাক পরা এড়িয়ে চলা।
• ত্বকে জ্বালাপোড়া, ব্যথা বা লালভাব অনুভব করলে সেই পোশাক পরিহার করা।
• এই উপসর্গগুলোর কোনো একটি দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিড
১ দিন আগেআওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাবরিনা চৌধুরী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমন দাবিতে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘Sabnam Faria কিছুক্ষণ আগে একটা পোস্ট করলেন ৫ মিনিট পর ডিলিট করে দিলেন।’
২ দিন আগেএলিস থমাস নামের এক ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গবেষকের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করেছে এআই পরিচালিত বট নেটওয়ার্ক।
৩ দিন আগেগত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ‘প্রবাসী জীবন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৪২ হাজার বার।
৩ দিন আগে